টিপটিপ বৃষ্টি। লোকাল বাস। স্টপেজে থামতেই দু’দল মানুষের উঠানামা। ক্ষনিকের বিরতিতে এলোমেলো সময়। মানুষগুলোও পলকের দ্বিধায় ভোগে। কেউ অপেক্ষমান রিক্সার খোঁজে তাকায়। দু’একজন চায়ের দোকানের দিকে চেয়ে ভাবে- তেষ্টা মেটানো জরুরী, না বাসায় ফেরা? সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে অনেকেই। তবে কেউ কেউ ডানে-বামে না তাকিয়ে সোজা হাঁটা ধরে।
এমনই একজন হেঁটে চলেছে। মহাসড়কের সাথের শান বাঁধানো চত্বরের কদম গাছটির নিচে আসতেই, পুরা এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। নিমেষে ঘিরে ধরে আঁধার।
লোডশেডিং।
নাগরিক বিড়ম্বনা। অথচ…দেশজুড়ে কত আগডুম বাগডুম এই নিয়ে।
ঘরে ফেরা সেলাই দিদিমনিদের পিছু হেঁটে সে ও সামনে বাড়ায়। পথ একটাই। সামনে এগিয়ে গেছে।
জীবনের মত?
অনেকটা পথ হাঁটতে হয়। সামনে দিয়ে আঁধারে জোনাকির মত মিটমিটে বাতি নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলে যায়। পেছন থেকে যাত্রীবোঝাই অটোরিক্সাগুলি, ডানে-বামে হেলতে দুলতে তাকে পাশ কাটায়। অন্ধকারে মানুষগুলি কেন জানি নিশ্চুপ থাকে।
বাজারের একটা চা’র দোকানে অচেনা লোকটি বসে। অর্ডার দেয়। চায়ের। দোকানি একপলক তাকায়। দেখে কী? একজন খদ্দের চারটা গোল্ডলিফ চায়। চা বানাবার ফাঁকে দোকানি তাকে বিদায় করে।
চা’র কাপে আলগা পাতি দেবে কিনা জানতে চাইলে, লোকটি নিরবে মাথা নেড়ে জানায় লাগবে না। চা’টা খারাপ হয়নি। চুমুক দিয়ে কাপ হাতে নিয়ে সে ভাবে।
অনেক বদলে গেছে এই এলাকাটি। সময়ের সাথে আমরা ও যেমন পালটে যাই, অঞ্চল ও কি আমাদেরকে অনুসরণ করে?
সামনের মার্কেটটি নতুন হয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে সে নিরবে কাপ মুখের কাছে আনে।
দুই যুবক আসে। একজন বাম পায়ে ভর দিয়ে বাঁকা হয়ে দাঁড়ায়। দূর থেকে হেঁটে আসায় একটু রিল্যাক্স করতে চায় বুঝি। অন্যজন সিগ্রেট চায়। তিনটা গোল্ড লিফ আর ছয়টা ম্যারিজ। দাম পরিশোধ করে দ্রুত চলে যায় ওরা। তাড়া আছে। অন্য কেউ হয়ত ওদের জন্য অপেক্ষা করছে।
চা’র দোকানে বসেই পুরা এলাকার খবর জানা যায়। এই যে দুই যুবক, দু’ধরনের সিগ্রেট নিলো। হয়ত এরা গাঁজায় আসক্ত। ওদের চোখ দেখে তার এমনই মনে হয়েছে। সিগ্রেটের দামের তারতম্য এবং ভিন্ন ব্রান্ডের হওয়ায়, শ্রেফ ধুমপানের জন্য কম দামিগুলি নেয়া হয়নি। অনেক দেখেছে সে।
আরো দীর্ঘক্ষণ বাজারের ঐ দোকানটিতে, জেনারেটর বালবের আলোয়-অচেনা লোকটি বসে থাকে। কেউ কেউ তাকে দেখলেও মনে রাখে না। তিনি এমনই। মনে থাকার মত কেউ নন।
লোকটি দাম মিটিয়ে যখন আধাঁরে মিলিয়ে যায়, বাজারে তখনও যুবতী রাতের কোলাহল। বেশ জমে গেছে। প্রতিদিনই এমন এখানে।
পরের দিন সকালে এলাকার এক বাড়িতে, নৃশংসভাবে খুন হওয়া একজনের লাশ পাওয়া যায়।
(ক্রমশঃ)
রহস্যময় গল্পের প্রথম পর্ব পড়লাম আজ। মনে হলো সূচনা। দেখা যাক কোথায় নিয়ে যান গল্পের পটচিত্র। ধন্যবাদ মি. মামুন। শুভ সকাল।
বইমেলা ২০২০ এর জন্য এই উপন্যাসটি বের করার ইচ্ছে রয়েছে ভাইয়া। লেখাটির ২০ পর্যন্ত লিখে শেষ করা হয়নি। নতুনভাবে শুরু করলাম আবার। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা..

খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম মামুন ভাই। অনুগ্রহ করে নিয়মিত করবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ প্রিয় সুমন। ইনশআ আল্লাহ এবার লেখাটি শেষ করবো। সাথে থাকার শুভেচ্ছা রইলো।
বাহ্ মহ. আল মামুন ভাই। রহস্য গল্প আমার কাছে ভালো লাগে। অভিনন্দন। চলুক।
ধন্যবাদ প্রিয় কবিদা'! আপনার ভালো লাগা লেখাটিকে সমাপ্তি রেখায় নিয়ে যাবে। শুভেচ্ছা..

গল্পের শুরুটা সুন্দর হয়েছে প্রিয় গল্প দা।
সাথে থাকার শুভেচ্ছা রইলো রিয়া দিদি। ধন্যবাদ..

গড ফাদারের আত্মোন্মোচনের অপেক্ষায় ….
আপনার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ভাই..

এমন গল্প গুলো আমার ভালো লাগে।
আপনার ভালো লাগা লেখকের লেখায় প্রেরণা হলো জানবেন। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা..

চলুক।
জি, ইনশা আল্লাহ। ধন্যবাদ গল্পের সাথে থাকার জন্য। শুভেচ্ছা..

* পূর্ণাঙ্গতার প্রতীক্ষায়…..
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা..

গল্পটা বেশ রহস্যময় লাগলো ।অনেক ভালো লাগলো।
বাঁকি পর্বের জন্যে অপেক্ষায় রইলাম ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার ভালো লাগা লেখায় প্রেরণা হলো জানবেন।
