আমি শব্দনীড়ের একজন পুরাতন সদস্য ছিলাম। নতুন করে শব্দনীড় চালু হওয়ায় আবার নতুন রূপে শব্দনীড়ে আসছি। ইদানিং শব্দনীড়কে আগের মতো প্রাণবন্ত দেখছি না। বর্তমানে ব্লগারকে মধ্যে তেমন কোন আন্তরিকতা দেখছি না। আমি লক্ষ্য করে দেখছি দুয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই কিছুক্ষণের জন্য ব্লগে প্রবেশ করে একটি কবিতা পোস্ট করে কয়েকদিনের জন্য গায়েব হয়ে যায়! ওনি নিজেতো অন্যের পোস্টে মন্তব্য করেনই না, এমনকি নিজের পোস্টের মন্তব্যেরও প্রতি উত্তর দেন না। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক মনে হলো। যেখানে শব্দনীড় একটা সময় ব্লগারদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সেখানে এমন করুণ অবস্থা হবে তা আমি ভাবতে পারি না। এভাবে নিষ্প্রাণ হয়ে ব্লগ চলতে পারে না। ইদানিং অনেক ব্লগই বন্ধ হয়ে গেছে। শব্দনীড়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শব্দনীড় পূনরায় সচল হয়েছে। এমন অবস্থায় শব্দনীড় নতুন রূপে পুনরায় আসতে পারায় ব্লগারদের জন্য আশার আলো হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাস্তবে তা দেখছি না।
শব্দনীড় আমার প্রাণের ব্লগ। সারাদিন কাজের ফাঁকে যখনই সময় পাই তখনই শব্দনীড়ে ঢু মারি। তাইতো দিন যতই যাচ্ছে ততই শব্দনীড়ের প্রতি আমার দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। সেই দায়িত্ব থেকে শব্দনীড়কে আরো প্রানবন্ত করতে কয়েকটি প্রস্তাব দিচ্ছি।
১। প্রতি মাসে একজন সেরা মন্তব্যকারী ও একজন সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীকে পুরস্কার প্রদান। সেই পুরস্কার হতে পারে বই বা অন্যকিছু। যাহা ফলাফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে কুরিয়ার করে পুস্কার প্রাপ্ত লেখকের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
২। বৎসরে অনন্ত একবার সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা। (সেটা ফেব্রুয়ারি মাসে হলে ভালো হয়।)
২। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ঢাকাতে নির্দিষ্ট স্থানে ব্লগারদের আড্ডা ও মত বিনিময়ের ব্যবস্থা করা।
৩। প্রতি বছর শীত অথবা বর্ষাকালে শব্দনীড়ের সদস্যদেরকে নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করা।
৪। বছরে দুই ঈদ ও বাংলা নতুন বছরে ই-ম্যাগাজিন বের করা।
আশা করি উপরোক্ত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করলে শব্দনীড় আগের মতো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। শুভ ব্লগিং।
‘একটা সময় যেখানে শব্দনীড় তার ব্লগারদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সেখানে আজকের এই করুণ অবস্থা আমরাও ভাবতে পারি না। এমন নিষ্প্রাণ কোন ব্লগ চলতে পারে না।
ইদানিং অনেক ব্লগই বন্ধ হয়ে গেছে। শব্দনীড়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ অনেকদিন পর শব্দনীড় পূনরায় সচল হয়েছে।’ সমমনা মানুষের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্লগ চলছে।
শব্দনীড় নিয়ে আপনার এই আলোচনার সাথে পূর্ণাঙ্গ ভাবে আমি বা আমার বিশ্বাস, যারা নিয়মিত রয়েছেন তারা সবাই একমত হবেন। দ্বিমত রাখার বিকল্প দেখিনা। ইতিমধ্যে আমরা অনেকেই এতদসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ক্লোজ এ্যাণ্ড সর্ট রেঞ্জে আলোচনাও করেছি।
অলাভজনক এবং সৃষ্টিশীল কিছু চালাতে বা চলতে গেলে নির্লোভ সৎ মনযোগী কিছু নিবেদিত মানুষের প্রয়োজন। আশেপাশে এই নিবেদিত মানুষের বড়ো অভাব। যদিও বা মেলে … যখনই অর্থ খরচের বিষয়টি যুক্ত হবার সম্ভাবনা থাকবে, আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনি যাদের বিশেষ পছন্দ করেন; তেমন কাউকে পাশে পাবেন না।
এবার আমার অসহায়ত্বের কথা বলি :
সুবেহ সাদিক থেকে মধ্যরাত আমি শব্দনীড়ে থাকি বা বলতে পারেন এই থাকাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ ব্যক্তিজীবনে আমিও কর্মহীন নই। ঘর সংসার পেট সন্তানাদি সব খেয়াল করেও আমি শব্দনীড়কে সময় দেই বা দিতে পারি। কারণ শব্দনীড় আমার রক্তে নেশার মতো গেঁথে গেছে। এই আমি’র দ্বিতীয় আমি তৈরী হতে সময় লাগবে। কে জানে হয়তো হবেও না। কিন্তু আমরা তো সেটা চাই না। চাই একাগ্রতা।
আপনার প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মফস্বলের মানুষ হয়ে ইচ্ছে থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে স্বশরীরে আমার যোগ হবার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে প্রস্তাবনার সাথে যেহেতু আমি সহমত জানিয়েছি; আমি আপনাকে অনুরোধ করবো ইভেন্ট এর দায়িত্ব আপনি নিন।
… এবং সেটা সরাসরি। প্রয়োজনে কাউকে আপনার পাশে লাগলে জানাবেন।
আপনিও হয়ে উঠুন শব্দনীড় এর স্থায়ী একজন বাসিন্দা। এবং নীতিনির্ধারক।
আমরা যারা রয়েছি তাদের হয়ে আমি কথা দিচ্ছি আমরা আপনাকে সহায়তা করবো।
শব্দনীড় কারু একক নয়; আমরা সবাই ই শব্দনীড় এর। শব্দনীড় আমাদের সকলের।
‘শব্দনীড় কারুর একক নয়; আমরা সবাই ই শব্দনীড় এর। শব্দনীড় আমাদের সকলের’ আপনার এই কথার প্রেক্ষিতেই আমি বলতে চাই যেহেতু শব্দনীড় আমাদের সকলের তাই আমাকে একা এই দায়িত্ব না দিয়ে সকলের মধ্য থেকেই কিছু কর্মঠ ব্লগারকে এই দায়িত্ব দিতে পারেন। আপনার প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মফস্বলের মানুষ হয়ে ইচ্ছে থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে স্বশরীরে আমারও যোগ হবার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে প্রস্তাবনা যেহেতু আমি দিয়েছি;সেহেতু আমি প্রথমত আপনাকে অনুরোধ করবো ইভেন্ট এর দায়িত্ব আপনি নিন। আপনার দ্বারাই সম্ভব। আপনি দায়িত্ব নিতে না পারলে আমার মনে হয় ঢাকাতে বসবাস করে এমন কয়েকজনকে এই ইভেন্টের দায়িত্ব দিতে পারেন। আমি ঢাকার বাইরে থেকে এই আয়োজনের সাথে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারব না। প্রয়োজনে দূরে থেকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও অনলাইনে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমি করব।
‘অলাভজনক এবং সৃষ্টিশীল কিছু চালাতে বা চলতে গেলে নির্লোভ সৎ মনযোগী কিছু নিবেদিত মানুষের প্রয়োজন। আশেপাশে এই নিবেদিত মানুষের বড়ো অভাব। যদিও বা মেলে … যখনই অর্থ খরচের বিষয়টি যুক্ত হবার সম্ভাবনা থাকবে, আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনি যাদের বিশেষ পছন্দ করেন; তেমন কাউকে পাশে পাবেন না।’ এটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন যাবত শব্দনীড় পরিচালনা করার পরও আপনার বিকল্প কাউকে তৈরি করতে না পারাটা সত্যিই আক্ষেপের বিষয়।
আমি পুনরায় ফিরবো মি. আমির ইশতিয়াক। আরও কিছু বলবো।
“প্রস্তাবনা যেহেতু আপনি দিয়েছেন; সেহেতু অনুরোধ করেছেন ইভেন্ট এর দায়িত্ব আমাকে নিতে।” __ যোগ্য মনে করেছেন জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
দায়িত্বকে কর্মঠ ব্লগারদের দেয়া যেতে পারে। মন্তব্যে মুখ ফিরিয়ে রাখা ব্লগারদের মাঝে কাকে কর্মঠ মনে করা যায় আপনি পরামর্শ দিন। দুজনেই নাহয় দেখবো।
শব্দনীড় মুক্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সাহিত্য চর্চার উন্মুক্ত প্লাটফরম। শব্দনীড় রাজনৈতিক বা লেখকগোষ্ঠীর সংঘবদ্ধ দল বা টীম নয়, যেখানে মোহ-নির্মোহে স্বেচ্ছায় কেউ এগিয়ে আসবেন। যেখানে ফাণ্ডিং একটি বড় ফ্যাক্টর। প্রয়োজন নগদ অর্থ।
বিনোদনকে যদি সংযুক্ত কতে চান তার আগে এই প্লাটফরমকেই সুরক্ষিত রাখতে হবে। প্লাটফরমটি যেন বেঁচে থাকে। আপনিও জানেন অর্থের অভাবে পুরোনো শব্দনীড় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। প্রাথমিক ভাবে না হয় এই শব্দনীড়কেই বাঁচিয়ে রাখতে মান্থলি আপনার অনুদান বা আর্থিক স্পনসর যুক্ত হোক আগে।
শব্দনীড় হোক আপনার অঙ্গন। হৃদয়ের অংশ। অনুদান বা আর্থিক স্পনসর হবার জন্য মফস্বল শব্দটি বোধকরি বাঁধা হবেনা। প্রযুক্তির যুগে যেমনটি অন্যের হয়না।
বাস্তবতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ মি. আমির ইশতিয়াক।
যে প্রস্তাবনা আপনি রেখেছেন এর প্রত্যেকটিই শব্দনীড় এক সময় করেছে।
দুর্ভাগ্য সেই দুঃসময়ে আপনার আমার মতো অনেককেই শব্দনীড় পাশে পায়নি।
একটা লাইনের সংশোধনী না দিলে বক্তব্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। শব্দনীড় পরিচালনায় আমার বিকল্প কাউকে তৈরি করতে না পারাটা এখন কোন আক্ষেপের বিষয় নয়। আপনার জন্য সুসংবাদ যে, শব্দনীড় পরিচালনা করতে পারেন এমন মানুষ এখন শব্দনীড়ে আছেন। এবং তারা আন্তরিকতার সাথেই কাজ করছেন। দৃশ্যমান নন। নিজ দায়িত্বে তাঁরা সতত সচেতন আছেন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই পোস্টে আমি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মন্তব্য করছে না। তার মানে কি এই পোস্ট অন্য কেউ দেখছে না। নিশ্চয় এই পোস্টের ভিউ দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেকেই দেখছে। তাই আমি বুঝে গেছি এখানে এই ধরনের প্রস্তাব কাজ হবে বলে মনে হয় না। এখন বৃথা আলাপ করে কোন লাভ হবে না। তাই এই প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি। যেমনভাবে চলছে তেমনভাবেই চলতে থাকুন শব্দনীড়।
শুভ ব্লগিং।
এখানেই টুইস্ট। পোস্টের গুরুত্ব বুঝে বিশেষ নির্বাচন করা হয়েছে।
আগেই বলেছিলাম বাস্তবতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ মি. আমির ইশতিয়াক।
দেখুন এই পোস্টটি গড়ে ৭০ বার দেখা হয়েছে। পরিসংখ্যানে ৭৫ বার দেখা।
শব্দনীড় এর জন্য মান্থলি আপনার অনুদান বা আর্থিক স্পনসর যুক্ত করুন। আর যাই হোক তাতে যেভাবেই ব্লগটি চলুক না কেনো; সবার এই প্লাটফর্মটি বাঁচবে।
আমির ইশতিয়াক ভাই, প্রথমে দেরীতে এই পোস্টে আসার জন্য ক্ষমা চাই।
আপনি শব্দনীড়ের পুরনো ব্লগার তাই এর প্রতি আপনার দরদ লক্ষণীয়। আপনার প্রস্তাবগুলো সুন্দর। একসময় শব্দনীড়ে এইগুলো কিন্তু আচরিত হত। বর্তমানে আমরা শব্দনীড়কে ঠাণ্ডা করে রেখেছি। আমরা ব্লগাররা চাইলে আবার এর যৌবন ফিরিয়ে আনতে পারি।
শুভেচ্ছা ও সালাম রইল।
ঠাণ্ডা শব্দনীড়কে চাঙ্গা করার জন্যই এই প্রস্তাবগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পোস্ট দেয়ার পর থেকে যা বুঝলাম নতুন করে শব্দনীড় চাঙ্গা হওয়ার কোন সম্ভবনা দেখছি না। তারপরও আশার আলো দেখছি। দেখা যাক শব্দনীড় ভবিষ্যতে কোন দিকে যায়।
দেরিতে হলেও মন্তব্য করায় আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।