সেদিন দুটো খাম এসেছিলো ছেলেটির কাছে। প্রথম খামটি সকালবেলা এসেছিলো। আলপনা আঁকা বড় আকারের খাম, ভেতরে একটি লাল কার্ড। গোটা অক্ষরে শিরোনাম লেখা ছিলোঃ “পরীর শুভ বিবাহ।” বাকি লেখাটুকু পড়তে পারেনি ছেলেটি, দুচোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিলো অবোধ কান্নায়। শ্রাবণের বরষা নেমেছিলো দু’গাল বেয়ে।
আর দ্বিতীয় খামটি এসেছিলো শেষ বিকেলে। ধবধবে সাদা খাম। ভেতরে টাইপ করে লেখা চাকুরির এপয়েন্টমেন্ট লেটার। পুরো চিঠিটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ছেলেটি এবারো কাঁদলো। কারন দ্বিতীয় খামটি এলো বড্ড দেরী করে। দ্বিতীয় খামটি কিছুদিন পূর্বে এলে, আজ তাকে প্রথম খামটি পেতে হতো না।
একসময় ছেলেটি শার্টের হাতায় তার দু’চোখ মুছলো। বুকে পাথর বেঁধে জোর করে হাসি ফোটালো ঠোঁটে, মাকে যে দ্বিতীয় চিঠিটির খবর দিতে হবে। অসুস্থ বাবাকে চাকুরীর খবর জানাতে হবে। ছোটবোনকে বলতে হবে- তোর আর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে কোন কস্ট হবে না, বোনটি আমার।দ্বিতীয় চিঠিটি দেখে সবাই খুশি হবে, উল্লাস করবে। কিন্তু গভীর রাতে ছেলেটি আবারো প্রথম চিঠিটি খুলবে… আবারো চোখ মোছা হবে শার্টের হাতায়।
[ফুট নোটঃ এই চিরকুটের কল্পিত ছেলেটি কোন এক মেয়েকে পছন্দ করেছিলো বিয়ের জন্যে। কিন্তু কনের পরিবার তার চাকুরী পাওয়াকে পূর্ব শর্ত করে, ফলে ভেংগে যায় তার স্বপ্ন। চিরকুটটিতে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজকেই তুলে ধরা হয়েছে।]
#ছেলেটি_by_Kamal_Uddin_Mehedi (ফেসবুক হ্যাশট্যাগ)
আমার ব্যক্তিগত ব্লগ।