কামাল উদ্দিন মেহেদী এর সকল পোস্ট

দুই লাইনের ভালোবাসার গল্প (০১-০৩)

দুই লাইনের ভালোবাসার গল্পঃ

[০১]
ঝগড়ার সময় স্ত্রী রেগে গিয়ে স্বামীকে বলল- “তোমার যা কিছু আছে, তা নিয়ে আমার রুম থেকে চলে যাও! আজ থেকে দু’জনের রুম আলাদা।” অতঃপর স্বামীটি স্ত্রীকে কোলে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

[০২]
স্ত্রীঃ তুমি কানা নাকি! বাজার থেকে কি ছাইপাস পটল এনেছো। অর্ধেক পটল বসি পড়েছে। এখন এগুলো তুমি একাই খাবে।
স্বামীঃ কি করবো বলো! সব পটলতো আর তোমার ঐ পটলচেরা চোখের মত এত সুন্দর হয় না!! তোমার দু’চোখে দেখি আমার সাড়ে সব্বোনাশ…
স্ত্রীঃ (খুশীতে) থাক! আর কবি হতে হবে না। বাসি পটলগুলো না হয় আমিই খাবো।

[০৩]
স্বামীঃ এই খেলায় যদি তুই জিতোস, তাহলে আমি তোর। আর যদি আমি জিতি? যা! তাহলেও আমি তোর।
স্ত্রীঃ মনে রাখিস! হুমমম…। হারলেও তুই আমার, জিতলেও তুই আমার। চল! খেলি….

গুনাহ মাফের উপায় ২টি উপায়

আমরা আল্লাহর গুনাহগার বান্দা। গুনাহ করে ফেলার পর, মহান আল্লাহ আমাদেরকে দয়া করে সেসব গুনাহ মাফ করে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন। আজকে গুনাহ মাফের ২টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিঃ

০১) নামায আমাদের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়। তাই ফরয নামাযের পাশাপাশি বেশী করে নফল নামায পড়ুন। এই সংক্রান্ত হাদীছটি হচ্ছেঃ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জনৈক মহিলাকে চুম্বন করে বসে। পরে সে আল্লাহর রাসূল (ছা) এর নিকট এসে বিষয়টি তাঁর গোচরীভূত করে। তখন আল্লাহ তায়া’লা আয়াত নাযিল করেনঃ “দিনের দু’প্রান্তে- সকাল ও সন্ধ্যায় এবং রাতের প্রথম অংশে সালাত কায়েম করো। নিশ্চয়ই ভালো কাজ পাপাচারকে মিটিয়ে দেয়” – (হূদ ১১/১১৪)। লোকটি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! একি শুধু আমার বেলায়? আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেনঃ আমার সকল উম্মতের জন্যই।
[বুখারী ৫২৬, ৪৬৮৭ ।। মুসলিম ১৪০৮ ।। আহমাদ ৩৬৫৩]

০২) তাওবাহর মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। এমনকি পৃথিবী পরিমান গুনাহও ক্ষমা করা হবে, যদি শিরক না করেন। এই সংক্রান্ত হাদীছটি হলোঃ
রাসূল (ছাঃ) বলেনঃ

‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যতদিন তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার নিকট ক্ষমার আশা রাখবে আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন। আমি কারো পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছে অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। আমি ক্ষমা করার ব্যাপারে কারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার দরবারে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কোন শরীক না করে আমার সামনে আস, আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে উপস্থিত হব’।
[তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৩৬।]

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
আমরা অনেকেই একনিষ্ঠভাবে তাওবাহ করতে পারি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি সাজেশান দিবো। শেষ রাতে বা দিনের নিরিবিলি সময়ে একটি নিরিবিলি স্থান বেছে নিন। খুব সুন্দর করে ওজু করুন। পরিস্কার কাপড় পড়ে ২ রাকাত নফল (তাওবাহর) ছালাতের নিয়্যত করুন (নিয়্যত মানে নামায পড়ার ইচ্ছা পোষণ করা, মুখে কিছুই বলতে হবে না)। গভীর মনোযোগে নিজের গুনাহর জন্যে অনুতপ্ত হৃদয়ে ২ রাকাত নামাজ ধীরে সুস্থে ও সময় নিয়ে আদায় করুন। নামায শেষে দুরুদ পড়ুন (দোয়া কবুলের জন্যে দুরুদ পড়া জরুরী)। কিছুক্ষন তাসবীহ পড়ুন (ছোবহ্বান আল্লাহ, আলহ্বামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার… ইত্যাদি)। তারপর দু’হাত তুলুন, প্রথমে আল্লাহর কাছে অকুণ্ঠচিত্তে আপনার গুনাহর স্বীকৃতি দিন, মাথা নত করে স্বীকার করুন সেসব গুনাহগুলি, যেসব গুনাহ আপনি করেছেন। অনুতপ্ত হৃদয়ে প্রাণখুলে কাঁদুন, চোখের পানি ফেলুন (সেই চোখ জাহান্নামে যাবে না যে আল্লাহর ভয়ে কেঁদেছে)। আল্লাহর প্রশংসা করুন, তিনি দয়াবান সেটি উল্লেখ করুন, তিনি উৎকৃষ্ট আর আপনি নিকৃষ্ট অপরাধী স্বীকার করুন। দৃঢ়চিত্ত হোন যে, এধরনের গুনাহ আর করবেন না। আল্লাহর কাছে অতীতের সকল পাপের জন্যে ক্ষমা চান। কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান। প্রাণখুলে কাঁদুন, মনে রাখবেন আল্লাহ আপনাকে দেখছেন। ইন শা আল্লাহ, আশা করা যায়, তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন।

তাওবাহর সময় বিশেষভাবে এই দু’আটি পড়তে পারেনঃ
‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’য়ফু আন্নি’।
অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালবাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (তিরমিযী : ৩৫১৩)

সেক্স ইন রিলেশনঃ মানসিকতার চরম অধ:পতন

ইদানিং যা শুনছি আর দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে, “সেক্স ইন রিলেশন” ব্যপারটা বেশ কমন হয়ে গেছে। এমনকি আমাদের তরুন সমাজের অনেকেই ব্যপারটাকে খুব স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছে, যেন রিলেশনে সেক্স হওয়াটাই কমন! মেয়েরাও সেসব ছেলেদের পেছনেই ঘুরছে যাদের টার্গেট হলো- খেয়ে ছেড়ে দেয়া। একদল মজা লুটছে, আরেকদল মজা নিচ্ছে।

ব্যপারটা ঘটে যাওয়ার পর, কমন ডায়ালগ হচ্ছে- “মানুষই তো ভুল করে”। ওয়েল, এটা মানতে আমার কোন দ্বিধা নেই যে মানুষ ভুল করে, এবং তওবা করে পবিত্র হওয়া যায়। আমার মূল কনসার্ন হলো- ভুল করা এক জিনিস, আর সেক্সের মত জঘণ্য কাজকে অপরাধ মনে না করে “রিলেশনে এরকম হতেই পারে”- এই মানসিকতা ধারন করাটা বিপরীত জিনিস। যখন স্ক্যান্ডাল বের হয় বা ব্রেকআপ হয়, তখনই কেন মনে হয় যে আপনি ভুল করেছেন! এর আগে বহুবার সেক্স করার পরও, কেন আপনার মনে অনুতাপ হলো না? কেন মনে হলো না যে, আপনি জঘণ্যতম পাপ করছেন!

মেজরিটি পার্সেন্ট তরুনরা যেকোন উপায়ে তার গার্লফ্রেন্ডকে ভোগ করতে চায়, ব্যপারটা ইদানিং অনেকটা প্রি-প্ল্যানড হয়ে গেছে। মেয়েরাও যেন নিজেকে বিলিয়ে দেবার অসুস্থ প্রতিযোগীতায় নেমেছে, তারা তাদের মাইন্ড সেটাপ করেই নিয়েছেঃ There is no difference between boyfriend and husband. তো হাজব্যান্ডের সাথে যা করা যায়, বয় ফ্রেন্ডের সাথেও তাই করা যায়!

একটা কথা বলি, ভুল করে থাকলে সেটা এখনই তওবা করে শুধরে ফেলুন। কিন্তু, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের মত “রিলেশনে সেক্স হতেই পারে” বা “খেয়ে ছেড়ে দেবো” এই মানসিকতা পোষণ করে যেনায় লিপ্ত থাকবেন না। যে মেয়েটাকে আপনি খেয়ে ছেড়ে দিবেন, সে হয়তো কারো না কারো বোন; ঠিক একইভাবে আরেকটি ছেলেও যাকে খেয়ে ছেড়ে দিবে, সে হয়তো আপনার নিজেরই বোন! ইয়েস, মাইন্ড ইট!

———–
ফেসবুকে আমি।

আমি তখনো বুঝিনি যে এটা তুমি!


আমি তখনো বুঝিনি যে এটা তুমি!
আমি তার আগেও বুঝিনি যে এটা তুমি!
আমি এখনো বুঝিনি যে এটা তুমি!
কষ্ট নেই তবুও, বুঝবে ঠিকই যখন আর থাকব না আমি!
তুমি তো এক বন্য তুমি, আর যাকে হারালে, সে ছিলাম অন্য এক আমি।

হিসেবের খাতা মেলানো বেজায় ভারি,
থাকুক না যতোই সৌন্দর্য্যের ফুলঝুরি!
কবরের পোকারা যখন খুবলে খাবে লাশ,
মিথ্যে হয়ে যাবে শত ভ্রান্ত অভিলাষ!

দেখা হবে ওপারে; হিসেব বুঝিয়ে দিতে হবে কিন্তু আগে,
গুছিয়ে নিও হিসেবের খাতা, আর ভুলগুলো লিখে রেখো লাল দাগে!

(A joint work of Rabiul Islam and Kamal Uddin Mehedi)

A Boy’s Thoughts About His Lost Hope


At the end of day, I think:
I sowed the seeds of hope, but I got nothing without a pretentious commitment. May be I was wrong to express how I am! I could expose myself more closely, but my good sense never permitted this. Affection does not mean the “show off”, it means how devoted you are! My thirsty heart never forgets (but I’ll try), how I was treated after being devoted! My thirsty heart will be thirsty for a true heart.

A soldier gives up his sword, when his hands are cut off from his arms. Huang Ho, the river of China, is the sign of sorrow for that country. Being devoted, may be a foolish work, is the sign of my sorrow.

বাঘ মামার ডায়েরী, চ্যাপ্টার-০২ঃ হিংস্র লালসা


বাঘিনী বাড়িতে নেই প্রায় দু’মাস হলো, সে বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছে। বাঘিনী না থাকায় শরীর ও মন, দু’টোই উথাল পাতাল করছিলো। তাই বিকেলের মনোরম রোদে নিজের ডেরা ছেড়ে নদীর দিকে এগিয়ে গেলাম। ওমা! নদীর ওপারে দেখি সুন্দরী হরিনীর দল উদ্দাম হয়ে হুশ হারিয়ে খেলছে। জিভে পানি এসে গেল। ইসস! যদি একটা’র ঘাড় মটকাতে পারতাম! কিন্তু খরস্রোতা নদীর কারনে আমার আশা, নিরাশায় পরিণত হলো।

নদীর এপারে দেখি মহিষের বিশাল এক পাল পানি খাচ্ছে। এর ভেতর নাদুস নুদুস কয়েকটি মহিষ দেখে বেশ লোভ হলো। কিন্তু আমার একার পক্ষে মহিষের বিশাল পালের সাথে পেরে উঠা সম্ভব নয়, জানের ভয়ে বাধ্য হয়ে লোভ সামলালাম।

ডেরায় ফেরার পথে দেখি গাছের ডালে কতগুলো সুন্দরী টিঁয়া পাখি মনের আনন্দে ব্যালো ড্যান্স করছে। নাহ! ক্ষুধাটা আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠলো। লোভের জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়লাম।

অবশেষে ডেরার কাছে এসে দেখি, একটা অবুঝ ও কচি খরগোশ ছানা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মনের আনন্দে খেলছে। এতক্ষনের চাঙানো ক্ষুধা পেটে রেখে আর কি লোভ সামলানো যায়! অবশেষে এই অসহায় ও নিরাপদ শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষুধা মেটালাম।

[প্রসঙ্গঃ নারীর বেপর্দা-উশৃঙ্খল চলন, অশ্লীল পোষাক ও ধর্ষণ।]
পূর্ব প্রকাশিত এখানে।

বাঘ মামার ডায়েরী, চ্যাপ্টার-০১ঃ প্রপোজ


সেদিন এক তরুণী জিরাফের অদ্ভুত বাহারী রঙে মুগ্ধ হয়ে তাকে “লাভ ইয়্যু” বললাম। জিরাফটি সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করলো, আমি তার চেয়ে বেজায় খাটো বলে।

তারপর এক হরিণীকে ফুল দিয়ে প্রপোজ করলাম। সে হুট করে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। যেতে যেতে বলে গেলঃ “ফুল দিলেই কেউ ভালো হয়ে যায় না বন্ধু! তোমার লোভের কথা আমি জানি না বুঝি!”

কষ্ট পেয়ে টিঁয়া পাখির কাছে গেলাম এবং তাকে বেলি ফুলের মালা নিবেদন করলাম। নবাবের বেটি গাছের ডালে কিছুক্ষন ক্যাটওয়াক করে বললোঃ “বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াও কোন সাহসে!”

মেজাজ খারাপ করে ময়ূরীর কাছে গেলাম, বললামঃ “তোমার বাহারী পেখমের বাতাসে, মন জুড়িয়ে আসে, আরো কিছু সময় তুমি, থাকো আমার পাশে…।” ছলনাময়ী ফরফর করে তার পেখম গুটিয়ে বললোঃ “জলের ধারে গিয়ে নিজের চেহারাটা দেখে আয় বেটা!”

মনের দুঃখে জলের ধারে গেলাম চেহারা দেখতে। জলের উপর উঁকি দিতেই দেখি, একখানি অগ্নিশর্মা বাঘিনীর মুখ! বুঝলাম বাঘিণী আমার প্রেমিক মনের খবর পেয়ে, আমায় প্যাঁদানোর জন্যে পেছনে অপেক্ষা করছে! তারপর…! বাকিটা বাঘ আর বাঘিনীর সংসারের নিত্যদিনকার ইতিহাস…! দৌড়…. দৌড়… দৌড়….।

[ইয়ং জেনারেশনের তরুন-তরুনী, বিবাহিত-অবিবাহিতদের নিয়ে এটি একটি হাস্যরসাত্বক স্যাটায়ার। “বাঘ মামা” সিরিজের এটাই প্রথম স্যাটায়ার, ক্রমান্বয়ে আরো আসবে ইন শা আল্লাহ।]

সেলফ টেষ্ট

প্লিজ, একটু দাঁড়ান। যাষ্ট কয়েক মিনিটি সময় নিন। চলুন, হয়ে যাক একটা সেলফ টেষ্ট!

”নিঃসন্দেহে (সেসব) ঈমানদার মানুষরা মুক্তি পেয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে একান্ত বিনায়বনত (হয়), যারা অর্থহীন বিষয় থেকে বিমুখ থাকে, যারা (রীতিমতো) যাকাত প্রদান করে, যারা তাদের যৌন অংগসমূহের হেফাযত করে। তবে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী কিংবা (পুরুষদের বেলায়) নিজেদের অধিকারভুক্ত (দাসী)-দের ওপর (এ বিধান প্রযোজ্য) নয়, (এখানে হেফাযত না করার জন্যে) তারা কিছুতেই তিরস্কৃত হবে না। অতপর এ (বিধিবদ্ধ উপায়) ছাড়া যদি কেউ অন্য কোনো (পন্থায় যৌন কামনা চরিতার্থ করতে) চায়, তাহলে তারা সীমালংনকারী (বলে বিবেচিত) হবে। এবং যারা তাদের (কাছে রক্ষিত) আমানত ও (অন্যদের দেয়া) প্রতিশ্রুতিসমূহের হেফাযত করে। এবং যারা নিজেদের নামাযসমূহের ব্যাপারে (সমধিক) যত্নবান হয়। এ লোকগুলোই হচ্ছে (মূলত যমীনে আমার যথার্থ) উত্তরাধিকারী। জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারও এরা পাবে; এরা সেখানে চিরকাল থাকবে।” -(সূরা আল মোমেনুন, আয়াত ০১-১১)

এবার, একটু চোখ বন্ধ করে ভাবুন, আর নিজেকে এই আয়াতগুলো দিয়ে যাছাই করুন। দেখুনতো, আপনি আল্লাহর যথার্থ উত্তরাধিকরী কিনা! আপনি মুক্তি পাবেন কিনা? আপনি জান্নাতের উত্তরাধিকার পাওয়ার যোগ্য কিনা? কোন স্তরে আছেন আপনি? কি করছেন? (এই আয়াতগুলো মোতাবেক) আপনি জান্নাত পাওয়ার টেষ্টে উত্তীর্ণ হতে পারবেন তো? ভাবুন… ভাবুন… ভাবতেই থাকুন…। বিশ্বাস করুন! আজকের ভাবনাতে কোন লস হবে না। আজ আপনার হিসাব নেয়ার জন্যে আপনি নিজেই যথেষ্ট।

এখনো কি আপনার রবের কাছে মাথা নত করে ফিরে যাবার সময় হয় নি? তওবা করার সময় আসে নি? আগামীকাল থেকে ভালো হয়ে যাবেন? আসলেই? সময় পাবেন তো? আগামীকাল থেকে ভালো হয়ে যাবার ইচ্ছে পোষণ করা অনেকেই এখন কবরে শুয়ে আছে। আগামীকাল তাদের জীবনে আর আসে নি। আপনি কি নিশ্চিত আগামীকাল আপনার জীবনে আসেবে? কে জানে! হয়তো আপনার মৃত্যুর আর ক’সেকেন্ড বাকী!

এই টেষ্টে আমি ফেল করেছি, চরমভাবে ফেল করেছি… চরমভাবে…

কোরআন মানবো কিন্তু হাদীছ নয়- কথাটি কতটুকু যুক্তিসম্মত

(একটি প্রশ্নের উত্তরে এটি লিখেছিলাম। তবে বিষয়টি থেকে অনেকে উপকৃত হতে পারেন বিধায় এখানে দিলাম।)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

✿ আসুন আমরা সর্বপ্রথম পবিত্র কোরআনের দিকে তাকাইঃ
১) তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর। তোমাদের আমলসমূহ বরবাদ করো না। (সূরা-মুহাম্মদ, আয়াত-৩৩)
২) এবং আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মেনে নাও, যাতে দয়া করা যায়। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-১৩২)
৩) যদি তোমরা রাসূলের আনুগত্য কর, তাহলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র দ্বীনের দাওয়াত সুস্পষ্টভাবে পৌছিয়ে দেওয়া। (সূরা-নূর, আয়াত-৫৪)
৪) আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তার নাফরমানী থেকে দূরে থাকে, এসব লোকই সফলকাম হবে। (সূরা-নূর, আয়াত-৫২)
*এছাড়াও দেখতে পারেন- (সূরা-নিসা/৫৯, সূরা-নিসা/১৩, সূরা-নিসা/৮০, সূরা-নূর/৫৩)
তাহলে পবিত্র কোরআন বলছে, অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ হল আপনাকে রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য করতে হবে।

✿ এখন রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্য মানে কি?
ক. আল্লাহর রাসূল (ছা.) এর আদেশ নিষেধ সমূহ মেনে নেওয়া।
খ. তার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করা।
গ. তার কার্যাবলী/ কর্মপদ্ধতি মেনে চলা।
ঘ. মোট কথা তিনি যেভাবে জীবন জাপন করেছেন, তা অনুসরন করা।

✿ হাদীস কাকে বলে?
হাদীছের সহজ সাধারণ সংজ্ঞা হল- “রাসূল (ছা.)-এর কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীছ বলে।”

তাহলে দেখা যাচ্ছে রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্য করতে হলে অবশ্যই হাদীছ মেনে চলতে হবে তথা তার পুরো জীবন পদ্ধতি, কথা, কাজ অনুসরণ করতে হবে। এবার আপনি যদি বলেন যে, কোরআনে থাকলে মানবো, হাদীসে থাকলে মানবোনা, তাহলে আপনি রাসূলের আনুগত্য করতে অস্বীকার করছেন। যেহেতু পবিত্র কোরআনে রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই আপনি পবিত্র কোরআনের সরাসরি বিরোধীতা করছেন।

✿ এবার আসুন যুক্তি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করিঃ
আপনি যদি শুধু কোরাআন মানেন, বুখারী-মুসলিম তথা পবিত্র হাদীছ গ্রণ্থগুলোতে বর্ণিত হাদীছ না মানেন; তাহলে আমি আপনাকে প্রশ্ন করবো আপনি নামায পড়েন কি? কেন পড়েন? পবিত্র কোরআনে নামায প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, নামাযের আদেশ দেওয়া হয়ছে, কিন্তু নামাজ কিভাবে পড়তে হবে তা বলা হয়নি!! নামায আদায়ের পদ্ধতি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের দেখিয়ে দিয়েছেন ও হাদীছে বলে দিয়েছেন। এখন আপনি শুধু কোরআন অনুসরণ করে কিভাবে নামাজ আদায় করবেন….!!!

✿ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে নবী করীম (ছা.) বলেছেন- “আজ আমি তোমাদের জন্যে দুটি জিনিস রেখে গেলাম- কোরআন ও সুন্নাহ (হাদীছ); যদি তোমরা তা অনুসরণ কর তাহলে তোমরা কখনো বিপথগামী হবে না”।

✿ আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মহাপবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ হল হাদীছ। সুতরাং আপনাকে কোরআন ও হাদীছ উভয়টিই মেনে চলতে হবে। শুধু কোরআন বা শুধু হাদীছ নয়, বরং উভয়টিই মানতে হবে।

✿ মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সৎপথে চলার ও তার উপর অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

মায়া ও বালকটি


মায়া…
প্রতিটি হৃদয়বান মানুষের মনেই কম বেশি মায়া থাকে, কারো হয়তো কম আবার কারো মাত্রাতিরিক্ত। যে মানুষগুলো নিজেকে কাঠিন্যের আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে, কোন বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিতে চায় না, তাদের হৃদয়ে মায়াটা বোধহয় একটু বেশিই থাকে। এই মানুষগুলোর আবেগের সুরটাও চড়া থাকে। তবে, এরাই জীবনে সবচেয়ে বেশী ঠকে। যে যেভাবে পারে ঠকিয়ে যায়…।

বালকের খুব ইচ্ছে করে গভীর রাতে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে…। মায়াগুলোকে বুক চিড়ে টেনে বের করে ছড়িয়ে দিতে খোলা আকাশের শূণ্যতায়…। শহুরে জীবনে তার সেই ইচ্ছেটা পূরণ হয় না। খুব বেশি হলে কোন এক চাঁদনী রাতে বারান্দা থেকে নারিকেল পাতার ফাঁক দিয়ে একটুকরো চাঁদ দেখতে পায় সে। কিন্তু খোলা আকাশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শূণ্যতার সাথে তার মিশে যাওয়া হয় না, হৃদয়ে জমে থাকা মায়াগুলোকেও বের করে ছড়িয়ে দিতে পারে না…।

মায়া থাকাটা কষ্টের, মায়া লালন করা আরো বেশি কষ্টের। কিন্তু মায়া না থাকলে যে মানুষ আর মানুষ থাকে না! আমরা অনেকেই ’মায়া’ জিনিসটাকে বুঝতে পারি না, প্রচন্ড খামখেয়ালিপনায় ফেলে রাখি। অথচ কেউ কেউ একটুখানি মায়ার জন্যে জগত চষে বেড়ায়! বড় অদ্ভুত এই মায়া, কিন্তু তার চেয়েও বড় অদ্ভুত আমরা এই মানুষেরা!

[Kamal Uddin Mehedi]
ঘুরে আসুন আমার ব্লগ থেকে…
ফেসবুকে আমি।

শেষ বিকেলের ফুল ও বালকটি


অতঃপর শেষ বিকেলে ফুলের হাতছানি পেল বালকটি। হয়তো ফুলটি তার জীবনে সৌরভ ছড়াবে, হয়তোবা নয়। সময় বড়োই স্বার্থপর; কারো জন্যে থেমে থাকে না। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষগুলোও যার যার পথ খুঁজে ফেরে। জীবনের এই পথ পরিক্রমায় যেনো কেউ কারো নয়! ক’জনইবা প্রিয়জনের তরে অপেক্ষার প্রহর গুনতে পারে!

তাই গোধূলীর ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে ”শেষ বিকেলের ফুলকে” ঊষার আলোয় রাঙানোর স্বপ্ন দেখাতে পারে নি বালকটি। ভাঙ্গা স্বপ্নের তালিকায় হয়তো যোগ হবে আরেকটি কলাম, একটি ফুলের নাম এবং টুকরো টুকরো স্মৃতির কিছু স্ন্যাপশট। তারপর? তারপর ক্রমশঃ ধুলো জমবে স্মৃতির ডাইরীর পাতায়। ধুলোর উপর ধুলোর আস্তর জমবে, একসময় মিহি ধুলোর স্তর ঢেকে দিবে বালকের সেই অনুভুতিগুলো।

কিন্তু বহু বছর পর…

কোন এক একাকী বিকেলে খোলা আকাশের বুকে ডুব দিয়ে; বা গোধূলীর ক্রান্তিলগ্নে অস্তমিত সূর্যের শেষ ঝলক দেখতে দেখতে; কিংবা ঝিরি ঝিরি বরষায় ইষৎ উষ্ণ চায়ের কাপে চুমুক দিতে গিয়ে, হয়তো হঠাৎ করে ফ্ল্যাশব্যাক হবে স্মৃতির ডায়েরীতে। অবচেতন মন আনমনে খুঁজে বেড়াবে নির্দিষ্ট সময়ের নির্দিষ্ট কিছু অনুভূতিকে। একসময় ধুলো সাফ হয়ে মানসপটে ভেসে উঠবে সেই কলাম, একটি ফুলের নাম এবং টুকরো টুকরো স্মৃতির কিছু স্ন্যাপশট।
#বালক_by_Kamal_Uddin_Mehedi (ফেসবুক হ্যাশট্যাগ)
————————–0———————-

১) স্ন্যাপশট= হঠাৎ করে তোলা বিশেষ মূহুর্তের ছবি।
২) স্মৃতির স্ন্যাপশট= জীবনে ঘটে যাওয়া বিশেষ মুহূর্তগুলোর ছবি স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকা।
৩) বালক= একটি চরিত্র। A nondescript character.
পূর্ব প্রকাশিত।

ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়ের ঠিকানা প্রয়োজন

ঢাকাতে ভালো ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়ের ঠিকানা জানা থাকলে দয়া করে ঠিকানা জানাবেন। বিশেষ করে নিজে বা নিজের আত্মীয়দের মাঝে কেউ উপকৃত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রেসপন্স আশা করছি।

পৃথিবীর সুন্দরতম দশ মসজিদ- (প্রথম পর্ব)

মসজিদ হলো এমন একটি স্থান যেখানে মুসলিমগন মহান আল্লাহর কাছে সালাত আদায়ের মাধ্যমে প্রার্থনা করে থাকে। সারা বিশ্বে অনেক মসজিদ রয়েছে। আলোচ্য পোষ্টে বিশ্বের সুন্দরতম দশ মসজিদকে তুলে ধরা হয়েছে।

১০. Dearborn (ডিয়ারবর্ন) মসজিদ, মিসিগান, ইউ.এস. এ।


(ছবিটি তুলেছেন- Binkley27)

আলোচিত এই মসজিদটি মিসিগান স্টেটের ডিয়ারবর্ন শহরের এ্যামিরিকান মুসলিম সোসাইটির সাথে সংযুক্ত। এটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত ২য় মসজিদ। ১৯৮০ সালে এই মসজিদটি একটি ’কোর্ট অর্ডারের’ মাধ্যমে প্রথমবারের মত মাইক ব্যবহার উচ্চস্বরে আজানের অনুমতি পায়। আজানের অনুমতি লাভের দিক থেকে এটিই এ্যামেরিকার ঐতিহাসিক প্রথম মসজিদ। শায়েখ হামুদ আফিফের নেতৃত্বে মসজিদটি পরিচালিত হয়। একসাথে ২০০০ মুসল্লি এতে নামাজ পড়তে পারেন।

০৯. শাহ ফয়সাল মসজিদ, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান।

(ছবিটি তুলেছেন- Virgomair)

শাহ ফয়সাল মসজিদ হলো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি ১৯৮৬ সালে মতান্তরে ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয়। তুর্কি স্থাপত্যবিদ Vedat Dalokay এটির ডিজাইান করেন। এই মসজিদটি তৈরি করতে ১২০ মিলিয়ন ইউ. এস ডলার ব্যয় হয়েছিল। এর মূল অংশে প্রায় ৭৪,০০০ মুসল্লি এবং সংলগ্ন অংশে ২,০০০০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে। এতে ৪টি মিনার রয়েছে। ৫৪,০০০ স্কায়র ফিট স্থান নিয়ে এর আভ্যন্তরীণ এরিয়া গঠিত।

০৮. মুহাম্মদ আলী মসজিদ, কায়রো, মিশর।


(ছবিটি তুলেছেন- Xaxier Fargas)

মিশরের কায়রোতে এই মসজিদটি অবস্থিত। ১৮৪৮ সালে মসজিদটির কাজ শেষ হয়। স্থাপত্যবিদ Yusuf Bushnak এই মসজিদের নকশা প্রণয়ন করেন। অটোমান স্থাপত্যশৈলিতে এই মসজিদটির নকশা করা হয়। ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যশৈলির দিক থেকে মসজিদটি বিখ্যাত। ১৯ শতকের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় স্থাপত্যশৈলি ছিল এটি। মসজিদটি দৈর্ঘে ১৭১ ফিট ও প্রশস্তে ২৬৯ ফিট। এতে ২ টি মিনার রয়েছে। মসজিদের মূল গম্বুজটির চারপাশ সাজানো হয়েছে ৪টি ছোট গম্বুজ ও ৪টি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ দ্বারা।একসাথে ১০,০০০ লোক এতে নামায পড়তে পারে।

০৭. শাহ মসজিদ, ইস্পাহান, ইরান।


(ছবিটি তুলোছেন- Hesam)

ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত এই মসজিদটি ”ইমাম মসজিদ” নামেও পরিচিত। ১৬২৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে মিনারের সংখ্যা ৪ টি। মসজিদটির নির্মান ব্যায় ছিল ৬০,০০০ ইরানি মুদ্রা। স্থাপত্যবিদ Safavid এর নকশা করেন। প্যারিসিয়িান স্থাপত্যশৈলির একটি মাস্টারপিস হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়। এই মসজিদটি ও Naghsh-e Jahan Square কে একত্রে ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ সাইট হিসেবে ইউনিস্কো অর্ন্তভুক্ত করে।

০৬. আল-আকসা মসজিদ, জেরুজালেম, ফিলিস্তন।


(ছবিটি তুলেছেন- Christopher)

আল আকসা মসজিদটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে বাইতুল মুকাদ্দাস নামে পরিচিত। এটি ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত। এটি মুসলামানদের ৩য় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ’জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ’ কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়। এতে ২ট বড় গম্বুজ সহ ১০টি ছোট ছোট গম্বুজ, ও ৪টি মিনার রয়েছে। ৫০০০ এরও বেশি মুসল্লি এতে একত্রে নামাজ পড়তে পারে। ঐতিহাসিকভাবে এই মসজিদটি বিখ্যাত, কারন এটি ছিল মুসলমানদের প্রথম কেবলা। রাসূল (ছা.) ১৬ বা ১৭ মাস ধরে বায়তুল মুকাদ্দেসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছিলেন। অতঃপর ২য় হিজরী সারে ক্বেবলা পরিবর্তিত হয়ে বায়তুল্লাহ বা ক্বাবা শরীফ হয়। মুসলিমদের জন্যে অত্যন্ত স্মৃতিধন্য মসজিদ এটি।

বাকী অংশ পরবর্তী পর্বে দেখুন….

* তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।

পূর্ব প্রকাশিত এখানে।

বিরিয়ানিখোর বাঙালি!

আমরা বাঙালি, তাই…

১) কারো সন্তান জন্ম নিলে খাসির বিরিয়ানি খেতে চাচ্চু, মামু’র অধিকার নিয়ে লাইন দেই।
২) সেই সন্তানের ১ম জন্মদিন থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত সকল জন্মদিনে বিরিয়ানি চাই।
৩) তার মুসলামানিতে খাসির বিরিয়ানি না হোক, অন্তত গরুর বিরিয়ানি চাই।
৪) তার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হলে বিরিয়ানির ট্রিট চাই।
৫) সে বিবাহপূর্ব অবধৈ প্রেমে পড়লে বিরিয়ানির ট্রিট চাই।
৬) এমনকি তার গার্লফ্রেন্ড ভেগে গেলেও বিরিয়ানির ট্রিট চাই।
৭) তার চাকুরী হলে বিরিয়ানির ট্রিটতো লাগবেই।
৮) তার এনগেজমেন্টে হবু শ্বশুরবাড়ির বিরিয়ানি চাই।
৯) তার বিয়েতে খাসীর স্পেশাল বিরিয়ানি খাওয়ার আশায় কেতাদুরস্ত পোষাক পড়ে কমিউনিটি সেন্টারে হানা দেই। বিরিয়ানির বদলে অন্য আইটেম থাকলেও আফসোস লাগে- ইসসস! যদি বিরিয়ানি থাকতো!
১০) তার ম্যারেজ-ডে তে ভাবীর হাতের স্পেশাল বিরিয়ানি চাই।
১১) তার সন্তান হলে, ভাতিজা-ভাতিজির শুভাগমনে বিরিয়ানির ট্রিট চাই।
১২) তার মৃত্যুর পর ৩য় দিনে পান্জাবী-টুপি পড়ে মিলাদে দলবেধে যোগ দেই। হুজুর কেন মুনাজাত এত দীর্ঘায়িত করছে, আর ওদিকে বিরিয়ানি শুকিয়ে যাচ্ছে- এই ভেবে ভেবে ক্লান্ত হই।
১৩) তার চল্লিশাতেও যেন বিরিয়ানি পাই- এই কামনায় আবারো পান্জাবী-টুপি গায়ে উঠিয়ে,আতর মেখে, মুখখানা শোকাহত করে তার বাড়িতে যাই।
১৪) প্রতি বছর ঘটা করে পালিত তার মৃত্যুদিবসেও বিরিয়ানির প্যাকেট চাই।

– এই হল কারো ব্যাক্তিগত জীবন থেকে আমাদের বিরিয়ানি পাওয়ার লালসা।

এছাড়াওঃ-
১৫) মাহফিলে বিরিয়ানি চাই।
১৬) মিছিলে বিরিয়ানি চাই।
১৭) মানববন্ধনেও বিরিয়ানি হলে খারাপ নয়!
১৮) হরতালে পিকেটিং শেষে বিরিয়ানি খেয়ে শক্তি যোগাই।
১৯) নেতা/ নেত্রীর জন্মদিনে বিরিয়ানি চাই।
২০) নেতা/ নেত্রীর মৃত্যু দিবসে বিরিয়ানি চাই।
২১) নেতা/ নেত্রী কারাগারে গেলে মুক্তি কামনার মিলাদে বিরিয়ানি চাই।
২২) নেতা/ নেত্রীর কারামুক্তির আনন্দানুষ্ঠানে বিরিয়ানির চাই।
২৩) পীরের ওরশ ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ যত প্রকার বিদআ’তী অনুষ্ঠান আছে, সব জায়গায়ই ছোট হোক বা বড় হোক, গরুর হোক বা খাসির হোক, শুধু এক প্যাকেট বিরিয়ানি চাই।

আমরা বাঙালি জাতি সব জায়গায় বিরিয়ানি চাই, অতঃপর বিরিয়ানি চাই, এবং বিরিয়ানি চাই- on which occasion, that doesn’t matter!

বিরিয়ানি খাওয়াটা দোষণীয় নয়, কিন্তু কি উপলক্ষে খাচ্ছেন, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিন। সকল বিদআতী ও হারাম অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে নিজের পয়সায় বিরিয়ানি খান। মহান আল্লাহ-তা’য়ালা এই বিরিয়ানিখোর জাতির মাঝে হালাল/ হারাম পার্থক্য করার মানসিকতা তৈরি করুন। আমীন।
————————–০————————-

#হ্যামার_অব_ট্রুথ_by_Kamal_Uddin_Mehedi (ফেসবুক হ্যাশট্যাগ)

আমার ব্লগ।
ফেসবুকে আমি।

রেসিপিঃ অল ইন ওয়ান- সব ধরনের মাছের তরকারি রান্না

(ব্যাচেলর এবং যেসব বিবাহিত ভাইদের বউ প্রায়ই বাপের বাড়ি ভেগে যান, তাদের জন্যে। 😀 )

ব্যাচেলর লাইফে টুকটাক রান্না জানা বেশ আবশ্যক। সঠিকভাবে রন্ধনপ্রণালী না জানার কারনে অনেকেই সবকিছু হজবরল করে ফেলেন। আবার অনেকেরই রান্নার জন্যে আলাদা আলাদা রেসিপি মনে থাকে না। ভাত মোটামুটি সবাই রাঁধতে জানলেও, তরাকারি রান্নার বেলায় আটকে যান অনেকেই। আজ আমি শেখাবো, একটি কমন নিয়মে কিভাবে সব ধরনের মাছের তরকারি সুস্বাদু করে রান্না করা যায়।

উপকরণঃ
সবার আগে উপকরণগুলো জোগাড় করে ফেলুন। আমরা ৪/৫ জনের উপযোগী এক বেলার মাছের তরকারী রান্না শিখবো। একবার শিখে গেলে প্রয়োজন অনুসারে উপকরন কমিয়ে/ বাড়িয়ে নিলেই হবে। উপকরনঃ

১. যে কোন সব্জি এক বা দুই পদ।(যেমনঃ ফুলকপি, সীম, কুমড়ো, বরবটি, মুলা, ঘাটি, কাচকলা, পেঁপে, লাউ ইত্যাদি)
২. আলু (ফালি করে কাটা বড় ১টি বা ছোট ২/৩ টি)।
৩. মাছ (প্রয়োজন অনুসারে ৪/৫ টুকরো)।
৪. সায়াবিন তেল (আধা কাপ+আধা কাপ)।
৫. রসুন বাটা (১ চা চামচ)।
৬. জিরা বাটা (১ চা চামচ)।
৭. পিঁয়াজ কুচি (পোনে ১ কাপ)।
৮. হলুদ গুঁড়া।
৯. মরিচ গুঁড়া।
১০. কাঁচা মরিচ (ফালি করে ৩/৪টি)।
১১. টমেটো ফালি (একটি), যদি থাক।
১২. ধনেপাতা কুচি।
১৩. লবন।

রান্নার প্রণালীঃ

১) প্রথমে সব সব্জি (আমরা সীম আর ফুলকপি নিলাম), আলু ও মাছ কেটে ধুয়ে নেয়া।

২) মাছ ভাজার জন্যে আলাদা কড়াই/ ফ্রাইপ্যান চুলোয় বসানো। মাছের টুকরোগুলোতে লবন ও হলুদ ভালো করে মাখানো। কড়াইতে আধা কাপ তেল ঢেলে, সেই তেলে মাছের টুকরোগুলো ভালো করে এপিঠ-ওপিঠ ভাজা।

৩) তরাকারি রান্নার জন্যে বড় কড়াই চুলোয় বসানো। কড়াইতে আধাকাপ তেল ঢালা। তেল গরম হয়ে আসলে, তাতে পেঁয়াজ কুচি (পোনে ১ কাপ) ও কাঁচা মরিচের ফালি (৩/৪টি) দিয়ে নেড়ে দেয়া।

৪) কিছুক্ষণপর পেঁয়াজ লালচে হয়ে আসলে, রসুন বাটা ১ চা চামচ ও জিরা বাটা ১ চা চামচ দিয়ে নেড়ে দেয়া।

৫) এর ১ মিনিট পর সামান্য হলুদের গুঁড়ো দেয়া এবং অল্প পরিমানে পানি দিয়ে নেড়ে দেয়া।

৬) পানি বলক আসলে (ফুটে বুদ বুদ ফোটা উঠলে), লবন ও মরিচের গুঁড়ো দেয়া। তার পরপরই সব সব্জি (ফুলকপি, সীম) ও আলুর ফালি দেয়া। তাপর কড়াই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা।

৭) আনুমানিক ১০ মিনিট পর তরকারি কষে আসলে (সব্জি ও আলু অর্ধ সেদ্ধ হলে), আবার বেশী পরিমানে পানি ঢালা (সব্জির পরিমান অনুযায়ী পানি কম বেশী হবে) ও সব্জিগুলো ভালোমত নেড়ে দেয়া। কড়াই ঢেকে রাখা।

৮) পানি/ ঝোল একটু কমে আসলে টমেটো ফালি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে সব্জিগুলো নেড়ে দেয়া। এরপরপরই ভাজা মাছের টুকরোগুলো সাবধানে তরাকরিতে দেয়া। কড়াই ঢেকে রাখা।

৯) আনুমানিক ১০/১৫ মিনিট পর ঝোল আরো কমে মাখা-মাখা হয়ে আসলে এবং সব্জি ও আলু পরিপূর্ণভাবে সেদ্ধ হলে, তরকারি উঠিয়ে ফেলা। তরকারি উঠানোর পূর্বে অবশ্যই লবন ঠিকমত হয়েছে কিনা, তা চেক করতে হবে। তরকারিতে লবন না হলে, পরিমান মত লবন দিয়ে, ২/৩ মিনিট পর তরকারি উঠানো। ব্যাস, হয়ে গেলো আপনার মাছের তরকারি রান্না। মনে রাখবেন, ঝোল কতটুকু রাখবেন সেটা আপনার ব্যাপার। মূলতঃ সব্জি, আলু সেদ্ধ হওয়া ও ঝোল রাখার পরিমানের উপর নির্ভর করে তরকারি উঠাবেন।

বি.দ্র.- রান্না একটি শিল্প, একদিনেই হয়তো আপনার রান্না খুব ভালো হবে না। তবে আস্তে আস্তে অনেক ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। আমি নিজেই উপরের পদ্ধতিতে প্রথমবার রান্না করেও, অনেক সুস্বাদু তরকারি রাঁধতে সফল হয়েছিলাম। এবার আপনার পালা, ট্রাই ইট।

✔ পিডিএফ আকারে ডাওনলোড করুন এখান থেকে।

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ।
ফেসবুকে আমি।