এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

আকাশে উড়ি ডানা মেলে

cchh

আজকে আমি পাখির ডানায় উড়ে যাওয়ার স্বাদ
করবো না আর ঝগড়া করে সময়টুকু বরবাদ
আজকে আমি আকাশ ছুঁবো, ইচ্ছে মনের মাঝার
হৃদ জমিতে বসেছে আজ ভালোবাসার বাজার।

ভালোবেসে বন্ধু আমার বলেছে আজ কথা
অনুভূতি সুখের তরে হয়ে গেল ভোঁতা।
আকাশে আজ উড়ি আমি কল্প ডানা মেলে
মেঘগুলো উড়ছে আহা নীলে এলেবেলে।

নীল বিরহ উবে গেল এক নিমেষে হাওয়ায়
উড়ুক উড়ুক খোলা হাওয়া আমার মনের দাওয়ায়,
মন খুলে আজ গাইবো সুরে মানবো নাকো মানা
এই পেয়েছি পিঠে আমার দুটো কল্প ডানা।

হাসবো জোরে উর্ধ্বমুখী দেখবো মেঘে শোভা
দিনখানি আজ আমার কাছে বড় মনোলোভা,
রোদ্দুর জ্বলে পাতায় পাতায় সজীব আমার সময়
কেউ করো না এসে হঠাৎ সময় আর অয়োময়।

মেঘের রাজ্যে যাই হারিয়ে ফিরাইয়ো না আমায়
কিছু সুখের ছন্দ তুলো জীবন কাব্যনামায়,
মনের সুখে থাকবো আমি উড়বো ঘুরবো ভাসবো
সুখের কথা করে স্মরণ একলা একা হাসবো।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

বুকে কাশি জমেছে বুঝি?

chh

বুকে জমেছে কফ তোমার, এক কাপ চা খাও
মাথায় ব্যথায় অস্থির এই যে চা নাও,
চা হলো এসব অসুখের বড়ি,
চুমুকে নাও শান্তি, ভাসাও সুখে জীবন তরী।

এমন হাসি খুশি ছাড়া
লাগে না পাগলপারা?
চুপচাপ এমন থাক যদি
দেহ মন হবে ব্যথার নদী।

এক কাপ চায়ের রইলো নিমন্তন্ন
মনটারে রেখো না ধুঁধু অরণ্য,
এবেলা ফুরফুরে কর মনের বাড়ি,
মুখটারে রেখো না জ্বলন্ত হাঁড়ি।

প্রজাপতি সময় যায় চলে ঐ
কিছু উচ্ছল সময় পেতে উতলা রই
চোখের কোণে বিষণ্ণতার বীজই বুনলে
জীবন হত বড্ড সুখের,তুমি মনের কথা শুনলে।

ঠান্ডা লেগেছে তোমার, কাশিতে ভেঙে যায় বুক
তবুও আমার জন্য অথবা চায়ের জন্য
রও না অপেক্ষায় উন্মুখ,
কেমন যেন তুমি নিরামিশি, হয়ে রো আদিম বন্য।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

দূরের গাঁয়ে আকাশ পড়েছে নেমে

vv

ক্ষেতের আলে হেঁটে আকাশে তাকাই
ঐ যে দেখ আকাশ পড়েছে নুয়ে
ঐ দূরের গাঁয়ে, চলো আকাশ ছুঁয়ে আসি।

মেঘগুলো ঐ যাচ্ছে উড়ে
থাকছে না আর এ আকাশে,
চলো মেঘদের করি তাড়া
ফিরিয়ে নিয়ে আসি আমাদের আকাশে।

যদি হাঁটতে না লাগে ভালো
চলো মেঘের ভেলায় রাখি পা
ভেসে যাই দুজনে আজ, দূর বহুদূরে,
যেখানে কেবল শুভ্র মেঘেদের মেলা বসেছে।

এই দুপুরে গা বেয়ে চলো উঠি
শুভ্র মেঘের পিঠে
নীল ছুঁয়ে ভেসে বেড়াই এ আকাশ হতে অন্য আকাশে
কিছু মুগ্ধতা রেখে দিয়ো বুক পকেটে।

সময় তো থামছে না, আমরাও যাই সময়ের পিছে
গিয়ে দেখি কোথায় গোধূলিয়া হাসে
কোথায় শুভ্র মেঘগুলো হয়ে গেলো রক্তিম
একটুখানি রঙ আভায় আমাদের মন করে নেই রঙ্গিন।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

পাতারা বুড়ো হয়ে যায়

ddg

তোমার আমার মতই পাতারাও বুড়ো হয়ে যায়,
হলুদ কমলা পাতা হৃদয় তারে বিষাদের বাজনা বাজায়,
মনে হয় এই বুঝি সময় এলো ফুরিয়ে,
এই যেটুকু সময় আছে বাকী, এসো প্রেমে ভালোবাসায়
নেই মন জুড়িয়ে!

পাতারা তবুও দোলে হাওয়ার প্রেমে
পাতারাও বিমর্ষ হয় বুঝি, রোদ্দুর আসলে নেমে?
তুমি যেন চৈত্রের রোদ্দুর, মাথার উপর জ্বলো,
এমন খাঁখা মনে প্রেম থাকে? বলো তুমিই বলো?

হলুদ কমলা পাতার উপর লিখা আছে আয়ূ
হাওয়ার বেগ বাড়লেই পাতা ঝরবে বন্ধ হবে তাদের স্নায়ু।
পথিকের পায়ের তলায় সুর তুলবে ওরা মর্মর
সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তুমি আমিও হবো তাই
আমরা তো কেউ নই অমর!

এত অল্প আয়ূর জীবন নিয়ে আছি এখানে
কেন বলো তো বিষাদের মেলা বসিয়েছি মনের দোকানে
ক্রেতা হও তুমি বিষাদ কিনো কিছু
অযথাই কেন দৌঁড়াচ্ছো সুখের পিছু।

আমি ছাড়া তোমার সুখ কীসে শুনি, কড়িতে?
কী হবে এত বিত্ত বৈভবে, চোখ রাখো তো দেয়াল ঘড়িতে
নিমেষেই উধাও করে দিয়ে সময় ঘড়ি
হয়ে ওঠে যেন আমার বিষের বড়ি।

তুমি আমি যেন এখন লাল কমলা পাতা
ফুরিয়ে যাবো, তবুও খুলছি না কেন প্রেমের খাতা?
কিছু ভালোবাসার কথন মন উঠোনে গেঁথে দাও
অযথাই বুক দেয়ালে বিষ কথার কাঁটা বিধাও।

(ক্যানন ৬০০ডি, জিন্দাপার্ক, নারায়ণগঞ্জ)

চলো শাপলা চত্বরে আজ

chhoo

ছুটির দিন বিকেলের রোড, থেকে যায় ফাঁকা,
সেই রোডে থাকে গোধূলি রঙ আঁকা
ব্যস্ততা আর ছুটে চলা হন্তদন্ত লোক নেই
নেই গাড়ির বহর, চলো ঘুরি রিক্সায়
সময় কেটে যাবে আনন্দেই।

শাপলা ফোটা মতি মিয়ার ঝিলে
জল ছিল কি তখন, জানতে ইচ্ছে এ দিলে,
এমন পাপড়ি মেলা শাপলা ফুল
তার উপরে বিকেলের আকাশ, শুভ্র মেঘ তুলতুল।

রিক্সায় ঘুরুন্টি মেরে আসি, যাবে
রিক্সায় বসে আইসক্রিম খাবে?
বিকেলের আকাশে রক্তিম মেঘের আনাগোনা
আজ হাওয়ার আওয়াজ শুনি, যন্ত্রের আওয়াজ যায় না শোনা।

আকাশের বুকে উড়ে বেড়াচ্ছে পাখিদের দল
মাঝে মাঝে শুভ্র আর রক্তিম মেঘেদের কোন্দল,
না করো না গো, রিফ্রেশ হতে চাও না,
ঘরের ভেতর উত্তপ্ত হাওয়া,
একটি বিকেল তোমার কাছে আছে পাওনা।

সন্ধ্যার আযান হলে ফিরে আসবো ঘরে
কাজ তো সাজানোই আছে থরে থরে,
মন হলে ভালো, কাজ করতে নেই আর অনীহা
আমার সাথে ঘুরো, বাড়িয়ে দাও কাজের স্পৃহা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, মতি মিয়ার ঝিল)

ভালো মানুষই যে বেশি

ttt

এই যে হাসি আনন্দের ক্ষণ, নির্দ্বিধায় হেঁটে বেড়ানোর পথ
মানুষের কোলাহলে নিজেকে বন্দি না ভাবা,
এই যে সহস্র মানুষের ভিড়ে এলে বিপদের হাতছানি,
কেউ কী ফেলে যায় সেথায় একাকি!

এখানে এই শহর, নগর অথবা গাঁয়ে
ছড়ানো ছিটানো ভালো মানুষের মন
এখানে মানুষের মাঝে মানুষের আন্তরিকতার ফুল ফুটে,
মানুষের ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকে
মানুষের জন্য ভালোবাসা।

এখানে পথে প্রান্তরে, অলিগলিতে
কই দেখি না তো মন্দ মানুষের আস্ফালন
কেউ দুর্ঘটনার হলে স্বীকার, কেউ পড়লে অযাচিত বিপদে
মানুষই তো চলে আসে উদার মন নিয়ে,
শ্রম মেধা আর ঘামের মূল্যে বিকায় মানবিকতা।

এই যে একাকি পথে যাওয়ার বেলা, ভয়হীন চোখ
যে যার মত হেঁটে যাই ফেলে কদম
কই কখনো কেউ বদ মতলবে দাঁড়ায়নি সম্মুখে,
কেউ বলে উঠে নি সহসা মন্দ কথা।

এখানে এই পথের বাঁকে ভালো মানুষেরই বসবাস
ক’জনা মন্দ পারে নি টলাতে ভালোদের মানবিকতার আসন,
মানুষ মানুষের জন্য,
তাই বুঝি পৃথিবীটা এত মনোরম।

বলো না আর মন্দ মানুষে ভরে গেছে শহর,
তোমার মাঝেও কিছু মন্দ ওঁৎ পেতে রয়
সুযোগে তুমিও মন্দদের দলে যেতে পারো অনায়াসে
অচিরেই মনটারে বাঁধো মানবিকতা আর আন্তরিকতার সুতায়।

মনে আমার শরত উড়ে

cdrt

মনটা আমার শুভ্র সুন্দর, সাদা মেঘের মতন
মন আকাশে নিত্য আমি শরত পুষি যতন,
কাশফুলও ফুটে মনের ক্ষেতে, উড়ে সুখের হাওয়া
মনে শান্তি, হচ্ছে ঠোঁটে সুখেরই গান গাওয়া।

রোদ্দুর দুপুর তেজাব আলো, দেয় পুড়িয়ে গা
তবুও আজ শরতের বুকে হাঁটি ফেলে পা,
পায়ের তলায় শুকনো পাতা নূপুর বাজায় সুরে
কল্প শরত পেয়েছি আজ আসি একটু ঘুরে।

যাবে নাকি আমার সাথে ছুঁবে শরত কাল
দিলাম তোমার হাতে তুলে স্নিগ্ধ এই বিকাল
মিহি হাওয়া উড়ছে শূন্যে গাইছে পাখি বনে
শুদ্ধতা আজ এসে হঠাৎ ভর করেছে মনে।

শুভ্র মনের প্রান্ত ছুঁতে ইচ্ছে তোমার আছে?
দাও না সঁপে মনটা তোমার এই বিকেলের কাছে,
নীল আকাশে মেঘেদের দল উড়ছে মেলে ডানা
উড়তে চেষ্টা করছে দেখো ডালে পাখির ছানা।

মেঘগুলি আজ সাদা পায়রা ডানায় রাখা শান্তি
এসো দেখি শরত মিটাই মনের সকল ক্লান্তি,
একটি বিকেল আমাকে দাও, দেব তোমায় শরত
আমায় নিয়ে ঘুরবে, নেবে এটুকু আজ শপথ?

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, গ্রীণ মডেল টাউন ঢাকা)

কোথায় আর আসলে কাছে

325

এ তো শুধু ঠোঁটের বুলি
আসলে কই আর কাছে,
আমায় ছেড়ে থাকলে দূরে
জানটা তোমার বাঁচে।

হাত বাড়িয়ে কী হবে গো
মন বাড়িয়ে দিলাম
মনটা তোমার কর এবার
আমার নামে নিলাম।

যাচ্ছে সময় উড়ে দূরে
ধরার যে নেই সাধ্য
এসো বাজাই মনের তারে
বন্ধু প্রেমের বাদ্য।

কত বিকেল এল গেল
হয় না করা গল্প,
এস তবে বসো কাছে
সময় থাকলে অল্প।

যায় বয়ে যায় জীবন তরী
মনের মূল্য কোথায়,
সময় পেলে এসো বাঁধি
মনটারে প্রেম সুতায়।

এসেছ আজ কাছে আমার
দেব না আর যেতে
তোমার জন্য রেখেছি এই
প্রেমের মালা গেঁথে।

তুমি আসছো তাই বুঝি আজ
গাইছে পাখি সুরে,
ব্যস্ততাদের তুলতে কাঁধে
আর যেয়ো না দূরে।

আমাকে রঙধনু দিবি

ghj

তুই আয় চলে, তুই অদৃশ্য কেউ
বুকের নদীতে তুলে যা সুখের ঢেউ
তুই রঙধনু রঙ আকাশ হয়ে যা,
তুই রোদ হ’ আমি যে বিষাদের জলে ভেজা।

তুই আকাশের মেঘ এনে দে
হাতের মুঠোয় শুভ্র রঙ দে বেঁধে
জানিস? আমার ভালো না লাগার এ বেলা,
ভাসিয়ে আয় কাছে তোর প্রেমের ভেলা।

অযথাই থেকে যাস না দূরে
ইচ্ছে হয় আকাশের মেঘে মেঘে তোকে নিয়ে বেড়াই ঘুরে
নিয়ে যা তোর কল্পরাজ্যে আনায় টেনে
মনের বাড়ি দে না তুই সুখ এনে।

কেমন যেন চুপসে আছি, ভাল্লাগে না কিছু
তুই শুভ্র মেঘ হয়ে নে পিছু
চোখের তারায় কিছু স্বপ্ন দে না
মন আমার হয়ে যাক তোর, যা মুগ্ধতার দামে কেনা।

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো উড়িয়ে নিয়ে যা
দিস না আর একা থাকার সাজা,
চোখের গহীনে তুই স্বপ্ন হয়ে আয়
বেঁধে রাখ আমায় ভালোবাসার মায়ায়।

আকাশের মেঘের যত রঙ, এনে দিবি?
তুই হবি আমার সুখ আনন্দের অস্পৃশ্য পৃথিবী?
কোথায় করিস তুই বসবাস
আয় উড়ে, হয়ে যা আমার শুভ্র মেঘাকাশ।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

তোমায় দিলাম এক ঝাঁক ফুল ভালোবাসা

346AA

মন দেয়ালে রাখিয়ো টানিয়ে, দিলাম এক ঝাঁক ফুল ক্যানভাস
মন বাড়ীতে ছড়াক সে ফুলের সুভাস
তুমি মুগ্ধ হতে হতে হও সুখে মাতোয়ারা
ঠোঁট চুয়ে পড়ুক আজ প্রেমের ফোয়ারা।

মিষ্টি রঙ কসমস ফুলের মত মন হয়ে যাক আজ
নরম নরম, হাওয়ায় দোল খাওয়া মন তুলুক গলায় মিহি আওয়াজ
তুমি আবেগী হও, কও ভালোবাসার বুলি;
সে বুলি শোনে মনের শাখে আমার ফুটুক প্রেমের কলি।

অন্যরকম হয়ে যাও
গলা ছেড়ে আজ গান গাও;
মুগ্ধ হও একবার, তুলে দিলাম হাতে ফুল উপহার
ফুলগুলো মনে তোমার ছড়াক মুগ্ধতার রঙবাহার।

চোখের তারায় ফুলের জ্যোতি পড়ুক ছড়িয়ে
মুগ্ধতার সুখে তোমার দু’চোখ আসুক জড়িয়ে
তুমি স্বপ্নময় ঘুমে হও আচ্ছন্ন
আজ তুমি প্রেমী হও আমার জন্য।

বিনিময়ে বলো ভালোবাসি
চাইছি মনের তারে তারে বাজুক সুখ বাঁশি
সময় ফুরিয়ে গেলে কিছুই হবে না গো কিছুই হবে না
তুমি ফুল হলেও তখন ভ্রমর কথা কবে না।

এই নাও ধরো হাতে এক ঝাঁক ফুল
তোমার আমার ভুলগুলো হয়ে যাক ফুল
ফুলের কলিতে কলিতে এঁকে দিয়ো প্রেম চিহ্ন
আজ থেকে মন দু’জনার না থাকুক অভিন্ন।

.
(ক্যানন ডি৬০০, শালবনবিহার কুমিল্লা)

ইচ্ছে করে সবুজের বুকে হারিয়ে যাই

ttyu

এই যন্ত্র শহর ছেড়ে পালাই ইচ্ছে
ইচ্ছে করে কোনো এক সবুজ প্রান্তরে মন হারাই;
নিঃশ্বাসে নেই শুদ্ধ হাওয়া;
বন্ধ চোখে কিছু শান্তি করি জমা মনের গহীনে।

কালো ধোঁয়ার শহর, জ্যামের ভিতর সময়ের হাহাকার
এসব ছেড়ে যেতে ইচ্ছে দূর কোথাও সবুজ অরণ্যে
যেখানে পাখিদের কলরব আর প্রজাপতির উড়াউড়ি
সেখানে দু’দন্ড শান্তি করতে চাই আহরণ।

এখানে যায় না দেখা খোলা আকাশ
উঁচু প্রাসাদ ছুঁতে যায় আকাশের মেঘ
এখানে বৈদ্যুতিক তারের বেড়াজালে বন্দি সব মুগ্ধতা
আমি সবুজে রাখতে চাই চোখ এবেলা।

যেখানে নিরিবিলি, নিস্তব্ধ দিনের বুকে ঘুঘু ডাকে
সেখানে সবুজে সবুজে ছাওয়া বনভূমি
সেখানেই মন চায় উড়ে বেড়াই
কিছু মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে আসি নীড়ে ইচ্ছে।

ইচ্ছে করে সবুজ সারি সারি গাছের ছায়াপথে হাঁটি
শুকনো পাতার মর্মর সুর তুলে পায়ে
চলে যাই দূর হতে বহুদূর, কিছু ফুরফুরে সময় পেতে ইচ্ছে মনে
ইচ্ছে তাই ছুটে যাই
সবুজ কোনো বন প্রান্তরে।

.
(ক্যানন ৬০০ডি, জিন্দাপার্ক, নারায়নগঞ্জ)

বিবর্ণ রং জমে আছে আকাশে

chh

মন যখন বিমর্ষ আকাশও তখন দেখি বিবর্ণ
কত যে স্বপ্ন নিমেষেই হয়ে যায় চূর্ণ
আকাশে তাকিয়ে রবের কাছে করি প্রার্থনা
যে বা যারা দেয় মানুষকে দুঃখ
প্রকৃতি থাকে ছাড়তো না।

মনের মাঝে রোজ রোজ বিতৃষ্ণা পুষে
আমি ভেসে যাই বিষাদে কোন সে দুষে
অযথাই কেউ মনের কোণে জমায় ঘৃণা
আমার কী এখানে আর শান্তি মিলবে না

বিবর্ণ মন আকাশে উড়ে যদি আসতো শুভ্র মেঘ
বাড়তো বুঝি বুকে সুখের বেগ
বেগ হারিয়ে চোখের কোণে জমাই জল
মন আকাশে কালো মেঘ হয়ে আছে অনুজ্জ্বল।

চাই সুখ আসুক ফিরে
ধরুক শান্তি আমায় ঘিরে
বেশী কিছু চাই না, আমার প্রাপ্তি যা তাতেই হতে চাই সুখী
এবেলা আল্লাহকে ডাকি হয়ে উর্ধ্বমুখী।

আকাশে যেমন পাখিরা করে উড়াউড়ি
মন আকাশেও উড়ুক তেমন রঙিন ঘুড়ি
নাটাই ছেড়া ঘুড়ি হয়ে চাই এবেলা
ভাসাতে চাই শূন্যে আমার জীবন ভেলা।

পাখির ডানায় ছেড়ে আসবো বিষাদ বোধ
দুঃখ পুড়াতে আসতো যদি চৈত্রের রোদ
মন পেতে বসে থাকবো সবুজ মাঠে
কড়া রোদ্দুর এসে বসুক আজ মনের হাঠে।

আকাশের মেঘে মেঘে কেটে যায় বেলা
বসে না আর হৃদয় জমিনে সুখের মেলা;
বেজার মুখে একাকি প্রহর কেটে যায় অবলীলায়
কিছু মেঘ মন উঠোনে মত্ত হোক কানামাছি খেলায়।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ি চুনারুঘাট)

মনের ভেতর কত পাখি

cho

কত পাখি মন আকাশে
উড়ে ঘুরে দিবারাতি,
কত জোনাক রাতে এসে
মনে জ্বালায় মিহি বাতি।

আমি যেন পাখির ডানায়
উড়ে বেড়াই নীল সমুদ্দুর,
বালিচলে পা রাখি আর
ঝরে পায়ে সোনা রোদ্দুর।

মন ময়ূরী আমি যেন
পেখম তুলে নেচে উঠি,
মন উঠোনে খাচ্ছে আহা
সুখ পাখিটা লুটোপুটি।

অশীতিপর বয়স আমার
আমি যেন কুড়ি থাকি,
ভোরের সূর্য সুখ লুটিতে
রোজই যে যায় ডাকি ডাকি।

আমি যেন টিয়া পাখি
মনটা আমার সবুজ বরণ,
মোহ এসে মন দুয়ারে
দুঃখ ব্যথা করে হরণ।

আমার মনে ব্যথার পাহাড়
রাখি না আর জমা করে
ডানা মেলা পাখি আমি
দেখে আসি বিশ্ব ঘুরে।

আমি যেন চড়ুই শালিক
ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ উড়ে বেড়াই,
কত দুঃখ মন মাঝারে
নিত্য লোকের দৃষ্টি এড়াই।

মন কথনিকা-৪৭৭৩

আর পারি না খেতে কিছু ঝালে তেলে ভরা
খেলে পরে পেটের ভিতর নামে অসুখ খরা
গ্যাসের প্রকোপ যায় বেড়ে যায় মেলে না আর শান্তি
অসুখ হলে দেহটারে ঝাপটে ধরে ক্লান্তি।

মন কথনিকা-৪৭৭৪
ও পাখিরে ভাঙ্গাস নে ঘুম, যা না উড়ে দূরে
বারান্দাতে বাশি বাজাস কেন সুরে সুরে
চড়ুই তোরা যা ভেগে যা, ঘুমোতে চাই অল্প
স্বপ্নঘোরে চাই করতে চাই পরীর সাথে গল্প।

শ্রমের আকাশে রোদ উড়ে

cho

আজ শ্রমিকদের ছুটি, কপালের ঘাম শুকোবে
আজ আকাশের নীলও রোদ্দুরে লুকোবে,
আজ শান্ত শহরের বুকে উড়বে রোদ্দুর,
কেবল কাঁপবে না শ্রমিকের বুক তৃষ্ণায় দুদ্দুর।

শ্রমিকের ঘাম শুকোনোর আগে দেয় না যারা মূল্য
তাদের মান সম্মান যেন উচ্ছিষ্টের তুল্য,
আজ মালিকের মুখে ফুটবে না খই
মালিকের অর্ডারের কাছে শ্রমিকের মূল্য কই।

রোদ্দুর কাঠফাটা, আকাশে নীলাভ আলো,
উঁচু বিল্ডিয়ে রড গাঁথতে শ্রমিকের ঘামে মুখ কালো
শ্রমের বিনিময়ে মিলবে যা কড়ি
শ্রমিকের পরিবারে সে হয় শান্তির বড়ি।

এই সুন্দর শহরের অলিগলি, ডাস্টবিন
দিন মজুর না থাকলে বাজতো না সুখ বীণ,
ঝাড়ুদার রোজ সকালে পরিচ্ছন্ন করে শহর
বহায় শহর জুড়ে শান্তির লহর।

এখানে আকাশ ছুঁয়ে শ্রমিক রোজ পুড়ে রোদে
তবুও কষ্টের ঘা লাগে না মালিকের বোধে
ঠকাতে চায়, দিতে দু’পয়সা কম,
শ্রমিক যা পায় নিয়ে বেয়, দেখে না মালিক
শ্রমিকের বুকের জখম।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)