জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

রঙ্গভঙ্গ

আমার বাড়ি কাঁচের চুড়ি
আছে তবে ভূরি ভূরি
হয়ে গেছে কালকে চুরি
তা নিয়েছে কানা বুড়ি।

চুরি করা বুড়ির পেশা
রাতে বেলা করে নেশা
অবাধ তাহার মেলামেশা
পর জিনিসের প্রতি রেষা।

চুরি করে বাড়ি করে
নিজের মতো পথটি ধরে
নিজের স্বার্থে নিজের তরে
পাপে পাপে গেছে ভরে।

গ্রামের ভিতর সেরা বাড়ি
চুরি করে বড় গাড়ি
আছে তাহার চাঁদে হাঁড়ি
মিষ্টি কথা মুখে তারি।

চুরি করে জীবন চলে
নানা খেলার ইচ্ছে ছলে
বাড়ি আনে নানা ফলে
মিথ্যা আশা করে বলে।

রচনাকালঃ
২৮/০৭/২০২১
৪+৪/৪+৪

মোটা বউ

বউটি তাহার অতি মোটা জায়গা হয় না খাটে
শোবার কালে বিবাদ লাগে নিত্য দিনের রাতে।
ছোট্ট তাদের খাটটি রে ভাই আঁটবে পাতলা মানুষ,
কে যেন রে বাতাস দিয়ে ফুলে রাখে ফানুস।

ঘুরে শোবার কালে স্বামী খাটটি থেকে পড়ে
ঘুমের ঘোরে হঠাৎ করে খাটটি চেপে ধরে।
মোটা হওয়া অতি জ্বালা সব কাজেতে কষ্ট,
শোবার কালে রাতে বেলা হয় যে ঘুম ভাই নষ্ট।

মোটা মানুষ অনেক লোকে ভালো লাগে নারে
অবজ্ঞা নয় মানুষ সেযে ভালোবাসো তারে।
সব সময়ে বেশি খাবার নিজে নিয়ে খেতে
হাতির মতো হেলে দুলে সদা চলে যেতে।

ছোট্ট ঘরে থাকা খাওয়া স্ত্রীর কষ্ট জ্বালা
কে দিলে রে দুখের ঘরে সুখের একটু আলা।
শোবার কালে পুরো খাটটি তাহার লাগে তবে
এমন মোটা মানুষ যে ভাই দেখি নি রে ভবে।

সুখের দুখে মোটা মানুষ সদা ভেবে চলে
কখন কি যে হয়ে যাবে নাহি আসে বলে।
সবাই মানুষ চিকন মোটা ভেদাভেদ নাই তোরে
সুখে দুখে সব সময়ে ধরো হাতটি জোরে।

রচনাকালঃ
২৩/০৭/২০২১

৪+৪+৪+২

শিক্ষিত হও

শিক্ষিত হও খোকা সোনা
দূর করো সব কালো,
আঁধার ভেদে ছিনে আনে
ধরার বুকে আলো।

অজ্ঞতার ওই কালো ছায়া
দূর করিবে তুমি,
মাতৃ সম তোমার খোকা
মাতৃ জনম ভূমি।

জাগাবে হে নবীন সমাজ
দেখাবে আলোর মেলা,
যা দেখে সব খেলবে সদা
নতুন আলোর খেলা।

পৃথিবীর সব জরাজীর্ণ
কাটাবে যে খোকা,
বৃথা সময় নষ্ট করলে
হবে তুমি বোকা।

নতুন নতুন স্বপ্ন গুলো
নিবে তুমি কিনে,
তোমার কাছে আসবে সবে
স্বপ্ন কিনতে দিনে।

রচনাকালঃ
২৭/০৭/২০২১
৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

গানের পাখি

ময়না পাখির কাছে আমার
গান শেখারি আশা,
আমার কাছে সুন্দর লাগে
ময়না পাখির ভাষা।

ময়না পাখির গানটি ভালো
হৃদয় লাগে ভালো ,
ময়না পাখির পালক গুলো
ভীষণ ভীষণ কালো।

ধরার বুকে অনেক পাখি
আছে তবে ভরা,
তাদের মধ্যে ময়না পাখি
বলে শুধু ছড়া।

দোয়েল কোয়েল ময়না ফিঙে
আছে নানা পাখি,
তাদের মধ্যে আপন করে
ময়না টাকে রাখি।

ঠোঁটের আগায় হলুদ আভা
সুন্দর লাগে তাতে,
সারাদিনে আহার করে
ঘরে ফিরে রাতে।

রচনাকালঃ
২৫/০৭/২০২১
৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

বিদায়কালে

বিদায়বেলা স্বামীর কোলে
মাথা রাখতে চাই
সুখের সাথী দুখের সাথী
তিনি ছিলেন তাই।

স্বামীর কোলে মরণে সুখ
অন্য কোথা নাই,
বিধির কাছে মোর মিনতি
এমন যেন পাই।

স্বামীই হলো মাথার তাজ
সব সুখের মূল,
জীবন মুখে জীবনে সব
ধরে দিতেন ভূল।

সাত জনমে বাঁধনে বাধা
স্বামীর সাথে মোর,
তাহার সাথে কাটুক গানে
সাত জনমে ভোর।

শেষে বিদায় নেবো যেদিন
আমি পৃথিবী থেকে,
মরণ তুমি দিয়ো আমায়
স্বামীর কোলে রেখে।

রচনাকালঃ
২৩/০৭/২০২১
৫+৫/৫+২

আপন ঘর

12156

আপন কুটির ছোটো হলে
আপনজনে রয়,
মন আনন্দে নেচে গেয়ে
থাকে নাকো ভয়।

আপন কুটির খড়ের ছাওনি
রয়েছে মোর সব,
সেথায় আছে স্বাধীনতা
নাহি কলরব।

ইট পাথরের দালান দিলাম
সুখ যে তাতে নাই,
এমন প্রাসাদ থাকার চেয়ে
নাহি ভালো ভাই।

চড়ুই পাখির মতো পরের
ঘরে থাকা সুখ,
বাবুইপাখির আপন বাসায়
সহ্য করে দুখ।

আপন হাতের তৈরি করা
খড়ের ছাওনি ঘর,
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ
নাহি কেহ পর।

রচনাকালঃ
২৫/০৭/২০২১
৪+৪/৪+১ স্বরবৃত্ত ছন্দ

জীবন তরী

যাবি কে আয় পাল তোলা নায়
ফুলজোড়র নদীর দেশে,
মন মোহিনী প্রেম কাহিনী
ভাসবি সুখে শেষে।

নাওয়া খাওয়া নাহি পাওয়া
নদীর জলে তরী,
শাপলা ফুলে শালুক তুলে
আঁচল গেছে ভরি।

ফুলজোড় নদী আমরা যদি
না ভেসে ওই চলি,
হাওয়ায় দোলে মনটা খোলে
শুধু গানই বলি।

দলে ভাসে নাহি আসে
ওই না নদীর তীরে
নদীর কাছে মানুষ আছে
আপনজন পায় ফিরে।

মনের আশা শুধুই বাসা
একটুখানি ঘোরা,
নাও যে খানি প্রেম যে জানি
মনে মনে জোড়া।

রচনাকালঃ
২৫/০৭/২০২১
৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

কর্মের জন্য

থেকো না আর ঘরের কোণে
কাজে লাগাও মন,
কাজে করলে পাবে তুমি
গুপ্ত ওই না ধন।

যত থাকবে তন্দ্রা ঘোরে
কেটে যাবে দিন,
বসে বসে বাড়বে তোমার
নিত্য দিনে ঋণ।

আলসেমি না করে তবে
কাজের খোঁজে চল
যতই হোক সে কাজটা কঠিন
পাবে সুন্দর ফল।

মুক্তা আনতে সাগর জলে
দিতে হবে ডুব,
তা ছাড়া কি মুক্তা পাবে
থাক না যতই রূপ।

ভালো কাজে ভালো ফলের
আশায় থাকে মন,
বসে আর না কাজই খোঁজো
ওই না সারাক্ষণ।

রচনাকালঃ
২৪/০৭/২০২১

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪+৪/৪+১

ডাকপিয়ন ও চিঠি

34101059

মুঠোফোনের প্রেমে পড়ে
চিঠির চলন নাই,
বসে বসে ডাক পিয়নে
মাগনা হাওয়া খাই।

আগের যুগে চিঠির চলন
নেই তুলনা তার,
ক্ষুদে বার্তার জন্য তবে
দেয় না চিঠি আর।

সুন্দর ভাষা দিয়ে রে ওই
চিঠি লেখা হয়,
ডাক পিয়নই ডাক ঘরেতে
চিঠিবিহীন রয়।

মুঠোফোনে কথা বলা
মুঠোফোনই সব,
বর্তমান ওই চিঠি খানা
রহম করো রব।

আগের যুগে চিঠি দিয়ে
হয়তো সকল কাজ,
এখন চিঠি দিতে গেলে
লাজ লাগে ভাই লাজ।

রচনাকালঃ
২৩/০৭/২০২১
স্বরবৃত্ত ছন্দ- ৪+৪/৪+১

কন্যা সন্তান

300925

বাপের বাড়ি যাবার কালে
খুশি কন্যার মন,
কত কিছু ভাবে সদা
শুধুই ক্ষণে ক্ষণ।

বাপের গৃহে এলে কন্যার
দৃঢ় মনো’বল
স্বামীর গৃহে যাবার কালে
চোখে আসে জল।

সুখে দুখে জীবন তরী
বাপের গৃহে টান,
ঘাত প্রতিঘাত জীবন মুখে
মান আর অভি’মান।

বাপের গৃহে থেকে কন্যার
বেলা গেছে ওই,
স্বামীর গৃহে নেইতো কোথা
প্রাণের প্রিয় সই।

বাপের গৃহে কন্যা সন্তান
থাকে সুখে তাই,
বাপের গৃহে মতো শান্তি
অন্য কোথাও নাই।

বাপের গৃহে কষ্ট করে
থাকে সেথায় মন,
শ্বশুর গৃহের সুখে ভরা
যেমন পদ্ম বন।

রচনাকালঃ
২২/০৭/২০২১
৪+৪/৪+১

খুলে দাও বিদ্যাপীঠ

মাগো তুমি বলতে পারো
স্কুল কবে খুলবে
গুরুর সাথে সবাই মিলে
নানা ছড়া বলবে।

কবে থেকে বন্ধ আছে
ওই না স্কুল কলেজ
তাতে কি মা বৃদ্ধি পাবো
সব শিশুদের নলেজ।

ঘরে বসে সময় কাটে
যাই না কভু বেলা,
একা একা করি শুধু
আমি নিজে খেলা।

কি যে করি ভেবে না পায়
বলো না মা কিছু,
জ্ঞানে গুণে রয়েছি মা
এমনি সবার পিছু।

একটা বছর বসে বসে
সময় গেছে কেটে
করোনার ওই সংক্রমণে
সবাই গেছে টুটে।

রচনাকালঃ
২৭/০৬/২০২১
৪+৪/৪+২

আমার মা

আমার মা

৩+৩+৩+১

মাগো মোর মনে হয়
সাত রাজার ধন
তোমার ওই জন্য মোর
কাঁদে এই মন।

ছোট কাল কত খেল
তোমার ওই সাথ,
কাছে মা থেকে ওই
গেছে তো রাত।

সুখ দুখে মা তুমি
আলো তো মোর,
আসে ওই যত ঝড়
কাটবে যে ঘোর।

বাপ ছাড়া মা সন্তান
মিল করে ভাই,
মায়ের ওই মতো যে
স্নেহের লোক নাই।

অমূল্য ধন যে মা
নেই সম কেউ,
যত দিন গুলো আজ
আসুক যে ঢেউ।

রচনাকালঃ
২০/০৭/২০২১

রাজাধিরাজ

রাজাধিরাজ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব

৪+৪+৪+২

ধরা চলে প্রভুর কথায়
বুঝবে সবে কবে,
তার ইশারায় সূর্য ওঠে
মালিক তিনি ভবে।

পাখির গানে মুগ্ধ সবাই
সৃষ্টিকর্তার লীলা
ধরার অপার সৌন্দর্য যে
প্রভু ক্যামনে দিলা।

তুমি হলে রাজাধিরাজ
সকল কিছুর স্রষ্টা
তোমার দেওয়া বিধানে না
চললে সে পথ ভ্রষ্টা।

নিয়ামতের শোকর করি
আমরা সবে মিলে
সব কিছু তো মোদের জন্য
প্রভু তুমি দিলে।

পৃথিবীতে তোমার সম
নেই তো কারো শক্তি
তোমার জন্য বান্দার মনে
সীমাহীন যে ভক্তি।

রচনাকালঃ
২৮/০৬/২০২১

কবি -২

কবি তোমরা জ্ঞানের প্রতীক ৪+৪
তোমায় পেয়ে খুশি দেশ ৪+৩
তোমাদের ওই জন্য ৪+২
জাতি বলে বেশ। ৪+১

সত্য লিখে সমাজ থেকে
দূর করে সব কবি বেশ
তাদের জন্য সমাজ
সুন্দর হয় যে লেশ।

কবির কথা অতি সুন্দর
বলার ভাষা নেই’রে ভাই
মর্ত্যে তাদের কথা
শুধু খাসা তাই।

শূচি শুদ্ধ চাতক কবি
করে না তো কভু ভুল
থাকে সদা আঁখি
তাঁরা ধরার মূল।

আর কি বলব কবির কথা
কবি দলে দল বাঁধি
সমাজের যে ভালো
রাখি দল সদা ।

রচনাকালঃ
২৯/০৬/২০২১

মা পরম ধন

২+৪+৪+৪

মাগো আমার জান্নাত
হলে তুমি সবার সেরা,
মায়া জালে তোমার
মনটা থাকে সদা ঘেরা।

তোমার স্নেহের সাথে
নেই তুলনা কারো কভু
মাকে আমরা সবাই
বাসবো ভালো পণ যে তবু।

তোমার পরশ পেয়ে
ধন্য আমি মাগো ভবে
তুমি খুশি থাকলে
সহজে স্বর্গ মিলবে তবে।

সুখে দুখে সদা
থেকো মাগো পাশে পাশে,
বলো পৃথিবীতে
কারো দায়ে কে’যে আসে।

জীবন সংগ্রামে যে
মাগো একলা লড়তে হবে,
তুমি পাশে থাকলে
যাবে কেটে বাঁধা সবে।

রচনাকালঃ
০১/০৭/২০২১