জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

শিক্ষার আলো

৪+৪/৪+২

নিত্যক্ষণে পড়তে বুড়ির
লাগে না তো ভালো,
পড়ার কথা বললে মায়ে
মুখটা হয় যে কালো।

বুড়ির ইচ্ছে সারাবেলা
করতে চাই যে খেলা,
মন খুশিতে চড়বে বুড়ি
নদীর ওই না ভেলা।

মায়ের কাছে বলে বুড়ি
কঠিন লাগে পড়া,
আজে বাজে কথা বলে
বলে নানা ছড়া।

মায়ের ইচ্ছে খেলার ছলে
নেবে বুড়ি শিক্ষা,
নানা কাজে বুড়িকে যে
দেবো দেবোই দীক্ষা।

পড়াশোনা হীন জীবনে
যায় না চলা কভু,
তাই তো আমি বুড়িকে যে
শিক্ষা দেবো তবু।

রচনাকালঃ
২০/০৮/২০২১

হেমন্ত

৬+৬/৬+২ মাত্রাবৃত্ত ছন্দ

শরতের শেষে হেমন্ত আসে
নিখিল ধরার বুকে,
ঘাসের বুকতে শিশিরের কণা
পরে ওই মহা সুখে।

নতুন ধানের সোনালি আভায়
মাঠকে লাগে যে ভালো,
হালকা বাতাসে রবির কিরণে
দূর হয় সব কালো।

শীতের আভাস নিয়ে হেমন্ত
আসে মানুষের ঘরে,
হেমন্ত রাতে মেঘহীন নভ
নানা আনন্দে ভরে।

সোনালি ফসল ঘরে এনে চাষি
মহানন্দে যে হাসে,
পিঠাপুলির-ই উত্সব দিনে
বসে স্ত্রীর ওই পাশে।

সেই সময়ের জামাই আদর
ভীষণ রকম খাসা,
বলবো কি আর সেই কথা তবে
নেইকো তেমন ভাষা।

রচনাকালঃ
০৪/১১/২০২১

জয় আর আনন্দ

৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

বেতুয়ার ওই রেকর্ড ভেঙে
আনলে বিজয় তুমি,
তোমার জন্য যে ধন্য গ্রাম
সদা তোমায় চুমি।

তোমার যোগ্য নেতৃত্বে সব
পাবে মুক্তির দিশা,
দুঃখ ক্লিষ্ট দূর হয়েছে
প্রাণটা খুলে মিশা।

সবার মলিন মুখে আজই
ফুটছে হাসির রেখা,
দীর্ঘকালের পরে সবাই
পাইছে সুখের দেখা।

তুমি গর্ব মোদের গাঁয়ের
তুমি সোনার ছেলে,
তোমার জন্য সর্বজনের
প্রাণে শান্তি মেলে।

গর্বিত আজ তোমার জয়ে
আমার গাঁয়ের মানুষ,
চারদিকে তাই উড়ছে কত
হাজার রঙের ফানুস।

রচনাকালঃ
১১/১১/২০২১

বিবাহ

৬+৬/৬+৫ মাত্রা বৃত্ত ছন্দ

জিনা ব্যভিচার সমাজ থেকেই
দূর করতে সবাই চাও
সাবালক ছেলে মেয়ে হলে পরে
তাদের বিবাহ তবেই দাও।

তাহলে সমাজ থেকে কমে যাবে
জিনা ব্যভিচার অবৈধ প্রেম,
জীবন নদীতে শুরু করবে যে
নতুন নতুন স্বপ্ন গেম।

ধরার বুকতে নানা ব্যভিচার
দেরিতে বিবাহ এর জন্য,
যৌবন প্রাপ্ত হলে পরে মনে
তাড়াতাড়ি করে বিবাহ ধন্য।

বিবাহ তো হলো আল্লাহ বিধান
মেনে চলো এটা ধরার সবে,
আল্লাহ বিধান ভঙ্গ করলে
শাস্তি পাবো তো সবে ও তবে।

বিবাহ করলে তবে পাপাচার
হয় না তো এই ধরার বুকে,
সবাই তো কভু আল্লাহ বিধান
মানো তাহলে ই থাকবে সুখে।

রচনাকালঃ
১২/০৮/২০২১

ভস্ম হৃদয়

৪+৪/৪+১

প্রেম অনলে হৃদয় ভস্ম
নাহি কোন সুখ,
কেন মানুষ প্রেম যে করে
প্রেমে শুধু দুখ।

প্রেম যে কত কষ্ট গাঁথা
নাহি সুখের লেশ,
দুঃখ নিয়ে জীবন তরী
কাটে নাহি বেশ।

প্রেম অনলে তিলে তিলে
হৃদয় খানা ছাই,
সবারে তো বলি আমি
প্রেম করো না ভাই।

প্রেম করিলে মনের শান্তি
মেলে না তো আর,
সুখ খুঁজে যে পাওয়া কঠিন
প্রকৃত সুখ যে কার।

একবার ব্যর্থ হলো তবে
দুঃখের নাহি শেষ,
পাগলের ন্যায় ঘুরবে তখন
ধরা খাবে বেশ।

রচনাকালঃ
১৯/১০/২০২১

ছড়াক্কা

আবুল মিয়া

গাঁয়ের সহজ সরল মানুষ আবুল মিয়া নাম
হেঁসে খেলে বলে কথা
মনে তাহার নেই’কো ব্যথা
স্বপ্ন দিয়ে আঁখি ঘেরা
জগৎ মাঝে তিনি সেরা
আবুল মিয়ার স্বপ্ন গুলো কোটি টাকা দাম।

দুইটি ছেলে

আমার গাঁয়ের দুইটি ছেলে কুটিল তাদের মন
পরচর্চা বসে করে
নিজের দোষটা নাহি ধরে
নিজকে ভাবে চালক অতি
নাহি তাহার জীবন গতি
হাতে হাতটা রেখে চলে তারা প্রতি ক্ষণ।

স্বরবৃত্ত ছন্দ
৪+৪+৪+১
৪+৪
৪+৪
৪+৪+৪+১

রচনাকালঃ
১১/০৮/২০২১

জীবন পথে

৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

দামী পোষাক পড়লে পরে
দামী নয়তো তবে,
জ্ঞানে গুণে মহৎ হলে
শ্রেষ্ঠ তুমি ভবে।

নামী মানুষ ভালো পোষাক
বিবেক বিহীন তারা,
ভালো মন্দের ধার ধারে না
অহংকারী যারা।

প্রাচুর্য ওই দিয়ে তবে
ধরার বুকে সুখী,
জ্ঞান বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ নহে
সেইজন হলো দুখী।

চকচক করলে পরে সোনা
নাহি তো’রে হবে,
জ্ঞান বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ হলে
শ্রেষ্ঠ তারে কবে।

সব কিছুতে লজ্জিত হয়
বিবেক বিহীন লোকে,
লজ্জিত মুখ নিয়ে বাঁচে
মনের শোকে শোকে।

রচনাকালঃ
০৭/০৮/২০২১

পালকি

hom

গাঁয়ের পথে হঠাৎ দেখি
পালকি চলে তবে,
এমন সুন্দর পালকি এলো
কেমন করে ভবে।

খোকন সোনার ইচ্ছে ছিলো
ঘুরবে পালকি করে
পালকি বাহন হেলে দুলে
গাঁয়ের পথটা ধরে।

থেকে থেকে পালকি বাহক
দেখায় কত কিছু,
খোকন সোনার দেখার জন্য
ঘোরে পালকির পিছু।

অনেক দিনে দেখি নাই তো
গায়ের পথে পালকি,
কুসম চাচার ছোট্ট ছেলের
বিয়ে নাকি কালকি।

আধুনিক এই যুগে পালকির
প্রচলন নাই তেমন,
আগের যুগে নিত্য কাজে
প্রয়োগ হতো যেমন।

.
৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
রচনাকালঃ
০৬/০৮/২০২১

কবি মহল

৪+৪/৪+১ স্বরবৃত্ত ছন্দ

এমন একটি কবি সমাজ
আমরা সবে চাই,
হিংসা বিদ্বেষ কোনো কথা
সেইখানেতে নাই।

কবি সমাজ মিলেমিশে
থাকতে হবে সব,
কবি কবি হিংসা বিদ্বেষ
নাহি কলরব।

কবি হলো জাতির দর্পণ
কবি শুদ্ধ জন,
ভালো কাজে ভালো ফলটা
কবির সৃষ্টি ক্ষণ।

হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে
চলো জীবন মুখ,
হিংসা বিদ্বেষ জাতি ধ্বংস
পাবে না কো সুখ।

জ্ঞানী গুণী কবি যারা
মন নেই হিংসা দ্বেষ,
তাঁরাই ভীষণ সমাদৃত
সুখের শুধু লেশ।

রচনাকালঃ
০৭/০৮/২০২১

দুর্দিন

খেটে খাওয়া মানুষ গুলো
মুখে তাদের উড়ছে ধূলো
চুকছে পেটের ঋণে,
রোদ বৃষ্টিতে নিত্য পোড়া
মাইনের জন্য পিছু ঘোরা
নিত্য নতুন দিনে।

দিনটা চলে এরূপ করে
শান্তি নাহি আসে ঘরে
খাদ্য চাই যে ছেলে,
সুখের উল্লাস নেই তো কভু
লেগে আছেন দুঃখ তবু
সুখ নাহি তো মেলে।

সংসারের হাল ধরার তরে
খেটে খেটে জীবন ভরে
ভালো থাকার জন্য,
কষ্ট করে গরীব মানুষ
মালিক শ্রেণি ছড়ায় ফানুস
স্ব কে ভাবে ধন্য।

শ্রমে শ্রমে জীবন খানি
শক্ত হয়তো সবাই জানি
অবিশ্রান্ত ঘাম,
কষ্ট নাহি মনে আসে
সুখে দুখে সবাই ভাসে
জীবন এরই নাম।

রচনাকালঃ
৩১/০৭/২০২১
৪+৪/৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

স্বজনের প্রতীক্ষা

শৈশবকালে হারিয়ে যায়
অনেক ছেলে মেয়ে,
আসবে কবে আপন ঘরে
স্বজন থাকে চেয়ে।

হারিয়ে গেছে সেই জনেরা
আসে না কভু ফিরে,
স্বজন তরে থাকেন শুধু
স্মৃতি এটুকু ঘিরে।

তাদের সাথে দেখা করতে
মনে ইচ্ছে করে,
সেই কথাটা মনে হলেই
অঝোর ধারা ঝরে।

চলে গেছে যে সবার থেকে
অনেক বেশি দূরে,
তাকে দেখতে পেলে স্বজনে
হৃদয় খানা ভরে।

সম্ভব না দেখা করে তো
অচিন পুরে ভাই,
সেথায় গিয়ে দেখা করাই
কারো সাধ্য নাই।

রচনাকালঃ
৩০/০৭/২০২১
৫+৫/৫+২ মাত্রা বৃত্ত ছন্দ

বাড়ি যাবো

বাবা মায়ের কাছে যাবে
রেলগাড়িতে চড়ে,
তাদের জন্য জিনিস নেবো
থলেখানি ভরে।

অবহেলায় পড়ে আছেন
তাঁরা অজগাঁয়ে,
সুখে-দুখে তারা থাকেন
তমাল তরু ছায়ে।

অযত্ন আর অবহেলা
ভীষণ কষ্ট করে,
সারাজীবন শুধু তারা
থাকে কুড়ে ঘরে।

এমন করে বাবা মায়ের
সময় যায় রে চলে,
শুধু দুঃখ শুধু দুঃখ
সুখ আসে কি বলে।

এত কষ্ট সহ্য করে
আছেন তারা বেঁচে,
তাদের কাছে যেতে আমার
মনটা ওঠে নেচে।

রচনাকালঃ
৩০/০৭/২০২১
৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

বৃষ্টির শব্দটা গান

images

রিমঝিম রিমঝিম শব্দ মনে
গান গেয়ে যায় প্রতিক্ষণে
সাজে তরু লতা,
মেঘের সাজে নীল আকাশে
জোয়ার আসে ওই বাতাসে
বলি নানা কথা।

গুড়গুড় গুড় ওই মেঘের ডাকে
থেকে থেকে ব্যাঙে হাঁকে
জলের কলতানে,
গাছের ডালে পাখির বাসা
মনের ভিতর বহু আশা
উদাস করে গানে।

পরিস্কার সব গাছের পাতা
নব সাজে তরুলতা
বেশি লাগে ভালো,
মেঘ আড়ালে সূর্য হাসে
মেঘের সাথে আলো ভাসে
দূর করে সব কালো।

মেঘের ভেলা চড়ে খেলা
গগনে সব নীলের মেলা
মনে হয় ওই ছবি,
বর্ষাকালে নদের জলে
ছন্দ তোলে ওই কলকলে
কাব্য লেখেন কবি।

৪+৪/৪+৪/৪+২

রচনাকালঃ
৩০/০৭/২০২১

প্রেমের আগুন

জীব প্রেমের তেজ যার মনেতে
অল্প অল্প জ্বলে,
সেজন সফল মানব কূলে
এই না ধরার তলে।

জীবে সেবা যেজন করে
মুক্ত মনে মনে,
সদা ভাবে সে সব কথা
নিত্য ক্ষণে ক্ষণে।

ভালোবেসে ধরা বুকে
বিভোর থাকে তবে,
ক্যামন করে করবে সেবা
এই না নিখিল ভবে।

যুগল বন্দী জীবন মুখে
জীবে সেবায় সুখী,
সেবায় ব্যর্থ সেজন হলো
ধরা বুকে দুখী।

জীবে সেবা পরম ধর্ম
করে যেজন সেবা,
সেবা করে সুখে কাটুক
দুঃখ চাইবে কেবা।

রচনাকালঃ
৩০/০৭/২০২১

৪+৪/৪+২ স্বরবৃত্ত ছন্দ

মানব তুমি

শ্রেষ্ঠ জাতি মানব তুমি
সৃষ্টিকর্তার দান,
যেমন করে রক্ষিও হোক
তুমি তোমার মান।

মানের চেয়ে দামী নয়তো
এই অবনীর প্রাণ,
মান না থাকলে যতই করো
সপ্ত হর্ষে গান।

দাম দেবে না অবনীর কেউ
মান নাই রে ভাই যার,
কথায় কথায় অবহেলা
করবে সবে তার।

সপ্ত রাজার ধনের চেয়ে
বেশি মানের দাম,
থাকুক যত ধন সম্পদ রে
হবে না কো কাম।

অবনীর বুক সকল কিছু
অর্জন করা যায়,
কভু কোথাও মানের বাজার
আছে কিরে নাই।

রচনাকালঃ
২৯/০৭/২০২১
৪+৪/৪+১