অপবাদ দিও না…
বেদনার রঙ যদি নীল হয়
তাহলে মরণের কোন রঙ?
আসলে কোনো কিছুই রঙের
ক্যানভাস দিয়ে মাপা যায় না।
পটুয়া তাঁর রঙের ক্যানভাসে
বহুরকম রঙের পসরা সাজায়
কোনো রঙেই তুলিতে মনের মতো আঁচড় কাটতে পারে না।
মানুষের মন যখন যেভাবে
রাঙায় ঠিক সেভাবেই তা ফুটে ওঠে। বিষের কোনো রঙ হয়না।
তবে মৃত্যুর রঙ হয় সাদা কালো কারণ…
সাদা কালো কোনে রঙ নয়।
প্রিয়তমা বেদনাকে নীল বলে
অপবাদ দিও না।
মোহাম্মদ আয়নাল হক এর সকল পোস্ট
আমাকে ছুঁইও না
আমাকে ছুঁইও না
অতীতে পৃথিবীর মানচিত্র
আক্রান্ত হয়েছিলো
সামান্য একটা সীমান্ত ঘেঁষে।
এখন পুরোপুরি পৃথিবীর গোলার্ধ আক্রমণ করেছে বিনাশী নাশ…এতে
কোনোকিছুই বাদ পড়েনি।
পুরো ভৌগোলিকবাসী
ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত
এখানে কেউই নিরাপদে নেই।
বড়ো ইচ্ছে ছিলো
তোমার নরম উষ্ণবুকের সাথে
বুক মিশায়ে নির্মল বাতাসের
উন্মুক্ত শ্বাস নিতে।
পারলাম না
পৃথিবীর মতো আমিও
ভীষণ শ্বাসকষ্টে ভুগছি
তাই একান্ত ইচ্ছেটাও
রুদ্ধ হয়ে গেছে।
সামাজিক দূরত্বে
থাকতে থাকতে নিঃসঙ্গতায়
বড়োই একাকী হয়েছি।
জীবনের এই বিষন্নতায়
আমাকে ছুঁইও না
আমাকে ছুঁইও না…
মাগো তোমার খোকা যুদ্ধে গেছে পাঁচমাস হলো
খোকা আমার যুদ্ধে গেছে পাঁচ মাস ধরে
লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ফিরবে আবার ঘরে।
খোকা আসবে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে
এই ভাবনায় মায়ের রাতদিন কাটে
পথের দিকে মা জননী চেয়ে থাকে
এইতো বুঝি খোকা আসছে হেঁটে।
তোর জন্যে রাখা আছে বরণ ধানের
চিঁড়া বিন্নি ধানের খই, গাছে আছে
নারিকেল আর পুকুর ভড়া কৈ
যুদ্ধ শেষ ঘরে ফিরে আয় খোকা
ওরা বলে তুই না কি গেছিস চিরতরে?
তুইতো না-বলে কোথাও যাসনা খোকা
যুদ্ধে যেতে ধরেছিলি বায়না আমার কাছে।
তুই কি রাগ করেছিস? করেছিস কি অভিমান?
তুই নাকি রক্ষা করবি দেশের মান সন্মান।
আশায় আশায় দিন চলে যায়
তুই আসবি সেই আশায়
আয় খোকা আয় কোলে ফিরে আয়
তোর মায়ের আঁচল তলায়…
মা আমার শিক্ষা গুরু
,
নারী তোমাকে ভালবেসে হলাম
নারী, তোমাকে ভালবেসে হলাম সন্ন্যাসী
আপন ইচ্ছায় গলায় পড়লাম প্রেমের ফাঁসি।
নারী, তোমাকে ভালোবেসে ছাড়লাম ঘর বাড়ী
সব ছেড়ে আজ হলাম পথের ভিখারি।
নারী, তোমাকে ভালোবেসে হয়েছি ঘৃণার পাত্র
পাইনি ভালোবাসা পেয়েছি দীক্ষা মাত্র।
নারী, তোমাকে ভালোবেসে হারিয়েছি
আপনজন তবুও আমি পাইনি তোমার মন।
নারী, তোমাকে ভালোবেসে পেলাম শুধু কষ্ট
জীবনটা আমার হয়ে গেল নষ্ট।
নারী, তোমাকে ভালবেসে দিয়েছি মন
প্রাণ, তারপর ও পাইনি কিছু করেছো অপমান
নারী, তোমাকে ভালবেসে করেছি কত কিছু
তুমি নারী আজ ছেড়েছো আমার পিছু
নারী, তোমাকে ভালবেসে পেয়েছি মিথ্যে আশ্বাস
আর তাই কোন নারীকে আমি করবো না বিশ্বাস
নারী।
কবিতা
হলুদ পাখী
অামার ভালোবাসার মৃতলাশ
কাফনে মোড়ায়ে কফিনে ভরে
দাফন করেছি বুকের কবরে!
অাত্মা পাঁজরে বন্ধী করে
চলাচল করেছি এ ভূগোলে ~
কোথাও কারও পাইনি দেখা
কেও বলেনি অাহারে…
মনপাখী বড়ো উড়োল স্বভাব তার
ওড়ে-ওড়ে. ঘুরে-ঘুরে বেড়ায়
দেখার স্বাদ মিটেনা তার..!
অনিয়মের নিয়ম ভাঙার গান গেয়ে
হলুদিয়া পাখী~ওড়ে যায় দূরে বহুদূরে
ছয় রিপুর কাওকে নিয়ন্ত্রন
করতে না পেরে হয়েছি ভ্রষ্টাচার…!
হলুদ পাখী~
বিশ্বাস করো মানুষ হতে
চেয়েছিলাম
হতে পেরেছি কি না তা জানিনা…
টাংঙ্গাইল কবি দেলোয়া হোসেন বাবন ভাই,এর কবিতাটি ।আমার অত্যন্ত একজন প্রিয়কবি।
ভয় হয়
করতে পারিনা কাজ কোন কিছু
ভয়টা সব সময় থাকে পিছু পিছু।
ভয় পাই সব সময় গেলে কোন কাজে
বেঁচে থাকতে চাই সাহসের মাঝে।
কিশের এতো ভয় হয় বারবার
ভয় আছে সমাজের ভয় লোক নিন্দার।
এখানে বাঘ আছে ওখানে আছে
সাপ
সন্ত্রাসীদের দেখে ভয়ে কাঁপি
বাপরে বাপ।
বেশী ধনী হলে চোর ডাকাতের ভয়
গরীব হলে আবার না খেয়ে মরণ হয়।
ঐ গ্রামে যাওয়া নিষেধ ঐ
বাড়ীতে মানা
বাজে কথা বলবে লোকে দিতে
পারে হানা।
ভয় ভয়ে আর লাগেনা যে ভালো
সব ভয়কে জয় করে পেতে চাই আলো।
শব্দচাবি
তালা মেরে অন্তর ঘর
চাবি রাখলে গোপন করে
বুকের ভিতর কথার স্বর
বন্ধী হয়ে কেঁদে মরে।
কথার তোড়ে মারলো আমায়
আপন পর জগত জুড়ে
বিষের কথায় মরণ হইলো
বন্ধী কথা বুকের ঘরে।
এক ঘরে এক বিছানায়
পাশে রাখলাম প্রাণ বন্ধুরে
তারও কথা গোপন রাখলো
কথা খুলে কইলো নারে।
কথা ছুঁড়ে মারলো আমায়
পাড়া পড়শী আপন পরে
তালা মেরে অন্তর কড়ায়
কোথায় রাখলে চাবি সেরে।
আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয়কবি দেলোয়ার হোসেন এর লেখা কবিতা। তার অনুরোধে শব্দনীড় ব্লগে প্রকাশিত।
আমি এবং প্রকৃতি
লাল সূর্যটা পশ্চিম আকাশে ডুবে
গেল
একে একে সব পাখিরা নিড়ে
ফিরলো
পাশের গ্রামের দ্বীপ্তির বিয়ের
আয়োজনে
বেজে উঠলো নতুন গানের সুর।
“মিলন হবে কতদিনে” শুনতে লাগছিল
বেশ মধুর।
মাঝে মাঝে মাথার উপর দিয়ে কিছু
বাদুর উড়ে গেল
পোকা ধরতে গিয়ে খেলা করছিল
কিছু পাখি।
কুয়াশায় ডেকে গেল গ্রামের
চারপাশ
শিশির এসে ঢেকে দিল সবুজের
দূর্বাঘাস
নদীর জল নিরব যেন জমে বরফ হয়ে
আছে
জল প্রায় অর্ধেক মাঝখানে বাঁধ
পড়েছে।
বৃক্ষরা অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে রইলো
মাথা নতো করে
চারপাশে অন্ধকার তাই ফিরে এলাম