কয়েকদিন পর বউয়ের চিঠি পেয়ে অর্ণব খুব খুশী, তার বউ তাকে পত্র লিখেছে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমকে অবজ্ঞা করে..
প্রিয় স্বামী, তোমার পত্র পেয়েছি, পত্রটি পড়ে আমি এতোটাই সুখবোধ করছি সেটা তোমাকে বুঝতে পারবো না, আর তোমার মতো আমিও খুব বোরিং ফিল করেছি প্রথমত তোমাকে ছেড়ে থাকতে কিন্তু যেদিন বন্ধুটির সাথে দেখা হলো, কথা হলো, এখানে ওখানে হাত ধরে ঘুরে বেড়ালাম সবটাই ভুলে গেলাম কখন বলতে পারছি না, হু তোমাকে না বললেই নয়, বন্ধু আমার সাথে সর্বক্ষণ সময় দিয়ে আমাকে এতোটাই আনন্দ দিয়েছে সেটা তুমি আমাকে দেখলেই বুঝতে পারবে। অনেকটা বৃক্ষের পাতা ঝড়ে পরার পর যখন সেই বৃক্ষের নতুন পাতার জন্ম হয় আর সেই পাতার যে কোমলতা ঠিক তেমনি। বন্ধুটি আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে, শিখিয়েছে কিভাবে অনুর্বর জমিকে চাষাবাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।
প্রিয় স্বামী, তুমি চিন্তা করোনা আমি তোমার কাছে আসার পর তোমাকে সবটুকু শিখিয়ে দিবো, আর মাধবী লতার চিঠি পাঠায়নি, টেলিযোগাযোগে অনেকটাই বলেছে, ওর কথা শুনে তো আমি বিস্মিত! কেন আমরা এতোটা উপভোগ করতে পারিনি, এটাও বলেছে যে, ব্যস্ততায় আমরা কেউ কাউকে বুঝতে পারিনি, চিনতে পারিনি কিংবা কারো কষ্ট কেউ শেয়ার করতে রাজি ছিলাম না, আমি আমারটাই চেয়ে গেছি কিন্তু তোমার চাওয়া পাওয়ার কোনো গুরুত্ব দেইনি। হয়তো তুমিও আমার মতো, অবশ্য তোমাকে দোষ দেবো না, কারণ কর্মস্থল ছেড়ে তোমারও বিশ্রামের প্রয়োজন বোধ করা প্রয়োজন ছিলো আমার।
প্রিয় স্বামী, আজ আর লিখছি না, খুব দ্রুতই তোমার নিকট চলে আসছি, তুমি মন খারাপ করোনা, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যা তোমার মাথা নত করতে হয়। তবে আমি এই সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে এসে খুব সুখী বলতে পারি।
[বিঃদ্রঃ স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রিত হতে দিন, অপেক্ষায় থাকুন, কে কতটা পরিবর্তন হয়েছে]