ট্যাগ আর্কাইভঃ বিমূর্ত ভালোবাসা

এবং মানুষ! (উৎসর্গ : জায়েদ হোসাইন লাকী)

আমি মানুষ
আমি কত্তো সুন্দর এক মানুষ
আমার আছে দুটি হাত, আছে দুটি চোখ
চোখ মেললেই দেখি আমার মায়ের মিষ্টি মুখ
আমি হাতের উপর হাত রেখে খুঁজে পাই স্বর্গ সুখ

আমি মানুষ
মানুষের মাঝে অবহেলার, মানুষের মাঝে নিন্দুক
জন্ম যেমন মৃত্যু তেমন আমি এক পৃথিবীর এক মুখ
কখনো সুখে, কখনো হতাশায়, কখনো বা মহুয়ার মদে
আমি ব্যাচেলর ব্যালকনির আকাশসম উম্মুক্ত এক বুক

আমি মানুষ
আছে সব, তবুও কিচ্ছু নেই, আপন হুশে আমি বড্ড বেহুশ
ভুলে যাই পিতা-মাতা, ভুলে যাই স্ত্রী সন্তান ঠিক এর উল্টোও
আমি আশরাফুল মাখলুকাত; মরাকে আমি জ্যান্ত করি জ্যান্তকে করি মরা

আমি মানুষ
সত্তা ভুলে মত্তা থাকি ধর্ম ভুলে বানাই ধর্ম, পরিচয় দিই আমি এক মস্ত বড় নাস্তিক
মাটি ফুড়ে আমার অঙ্কুরোদগম, মাটি ফুড়েই হবে গমন বলি কত রকম
নিঃশ্বাস যখন মাকড়শার জালে, চোখে সহস্র ছানি, খুঁজে ফিরি তখন জীবনের আলো
প্রভু তুমি আছো বুঝে গেছি আমি…

আমি মানুষ
পৃথিবীর বুকে ক্ষমতার বলে সৃষ্টিকে করি অবিশ্বাস, স্বার্থের দরুণ
ধর্মের পর ধর্ম, কর্মের পর কর্ম করি পরিবর্তন, অবশেষে তবুও আমি মানুষ
অমানুষ কিংবা নামানুষে মানুষ!

ফিরে এসো হে মানুষ
দ্যাখো আমি কত সুন্দর, কত সুন্দর পৃথিবী, সবুজ শ্যামলে ভরা পল্লীর প্রান্তর
একবার, একবার মা-কে মা বলে দ্যাখো পৃথিবীর বুকে নেই কোনো অসুখ
আমি মানুষ, মানবিকতায়, শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে-গুণে সৃষ্টিকে করি জয়
এসো বুকে হাত রেখে বলি আমিও মানুষ!

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ২৯১০২০১৭ রাত: ০০:১০।

কবর

কবর খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, অনেকদিন কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে কবরের উপরিভাগের দিকে আনমনে তাকিয়ে থেকেছি, কবর খুঁজে পাওয়া হয়নি, পথিক হয়ে পথিকের নিকট জানতে চেয়ে জেনেছি, মৃত্যু হলেই করবের সন্ধান পেয়ে যাবে, কিন্তু তখন কি বুঝতে পারবো কিংবা অনুভব করতে পারবো এটাই কবর?

আজ ক্যানো জানি শহুরে জীবন-যাপনকেই কবর জীবন মনে হয়, ইট-পাথর আর কংক্রিটের দেয়াল কি কবরের চেয়ে কম? এখানে অনেক মানুষের বসবাস, তবুও কেউ কাউকে চিনতে পারিনা, কোনো ভালোবাসা নেই, চুল, নক, হাত পা কাউকেও আপন মনে হয় না, সবাই দিনদিন বড্ড স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে।

আজ বৃষ্টি হবে, তলিয়ে যাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ আরও অনেক শহর, একদিন হয়তো পল্লীও হারিয়ে যাবে, ক্যানো না মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে যদি হারিয়ে যেতে পারে তবে প্রকৃতির কি দোষ!

অতঃপর, পৃথিবীটাই একটা কবর, কবরের ভেতর কবর…

স্তন

স্তন

আমি তাঁর স্তন স্পর্শ করেই পৃথিবীর সুখ অনুভব করি
বুঝতে পারি আমার মতো সেও এমন স্পর্শে কাতর
এমনটা শুনে তোমরা পৃথিবীর নিকৃষ্ট প্রাণী বলে যে যার মতো
ঘৃণার অবাধ্য লালা আকাশে ছুড়ে মুখ ফিরিয়ে নাও

তোমরা আমাকে যে যাই বলো না ক্যানো, বলবো ঠিক বলেছো
আমি অন্ধ হলে তো তোমরা অন্ধ হতে পারোনা, দ্যাখো এবং বুঝো;
কিন্তু আমি, অতিসয় সহজ সরল, অবুঝ এক জীব; যার
বোধের ঘরে ভালোবাসা আর সরলতা ছাড়া কিছুই নেই
কোনটা অশালীন কোনটা অশ্লীল বুঝি না, শুধু বুঝি ভালোবাসা।

তোমরা যেটাকে অশ্লিলতা বলো আমি বলবো সেটাই শালীন
ক্যানো না আমার স্পর্শে যদি কেউ সুখানুভ করে তবেই আমি সুখী
তোমরা হয়তো স্পর্শ করতেই জানো না কিংবা তোমাদের ত্বক
ফেলে রাখা মরিচার বসবাসে আজ কাঠ থেকে পাথর হয়ে গ্যাছে,

মনে রেখো কতটুকু অধিকার থাকলে কারো স্তন স্পর্শ করা যায়,
তোমরা হয়তো সেটাই বুঝো না…

ফরিদমার্কেট, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, দুপুর: ১২:৩০, ০৬০৬২০১৭।

চরিত্র

আমি উলঙ্গ হলেই যত সমস্যা পৃথিবীর
কিন্তু চ ছ জ ঝ এক চুল রাখেনি গায়ে বস্ত্র, কই?
কোথাও তো শুনিনি কান কথা কিংবা আন্দোলন
গ্রীষ্মের তাপদাহেও পুড়েনি কোনো চায়ের দোকান
তবু কেনো স্বর্গ নরকের হিসেব বুঝানো হয় শুধু আমাকেই!

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, সকাল: ১০:৩০, ২৬০৯২০১৬

তোকে হৃদয় কিনে দিবো

তুই যদি স্বপ্নের প্রজাপতি হয়ে
শুষ্ক নদীতে চিরচির করে বয়ে চলা
জলের স্রোত এনে দিতে পারিস
তবে, তোকে হৃদয় কিনে দিবো

তুই যদি তপ্ততায় বৃষ্টি হয়ে
চৌচির হয়ে যাওয়া মৃত্তিকার বুকে
একটু সুড়সুড়ি এনে দিতে পারিস
তবে, তোকে হৃদয় কিনে দিবো

গোলাপ, গাদা, শিউলি, বেলি, তোর চেয়ে দামী নয়
তুই মূল্যহীন অমূল্য, তোকে স্বপ্নের এক পৃথিবী দিবো
নীলাকাশ, গোধূলী সন্ধ্যা, শরতের নদী মোহনায়
তোকে হৃদয় কিনে দিবো, যদি হৃদয় চিনতে পারিস।

ফরিদমার্কেট, মধ্যআজমপুর, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, দুপুর : ২:১৫, ২৮০৬২০১৬।

দৃষ্টি

Rudra Amin.dristy

দৃষ্টি ফেলো ভেবে চিন্তে
দৃষ্টি ফেলো মায়ায়
এমন দৃষ্টি ফেলোনা তুমি
দেখলে কাঁদে ছায়ায়

মিষ্টি কথায় মানুষ জোটে
তিক্ত কথায় দূরে
এক পলকের দৃষ্টি তোমায়
পুড়িয়ে ছাই করে

দৃষ্টির মাঝে আছে সুখ
দৃষ্টির মাঝে জ্বালা
অমন দৃষ্টি আর ফেলোনা
বুঝলে মানুষ কালা।

কসাইবাড়ি, দক্ষিণখান, রাত: ০১:০০, ২০০৪২০১৭।

চিঠি-২ (স্বামীর নিকট স্ত্রীর চিঠির জবাব)

wife wrote a letter her husband
কয়েকদিন পর বউয়ের চিঠি পেয়ে অর্ণব খুব খুশী, তার বউ তাকে পত্র লিখেছে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমকে অবজ্ঞা করে..

প্রিয় স্বামী, তোমার পত্র পেয়েছি, পত্রটি পড়ে আমি এতোটাই সুখবোধ করছি সেটা তোমাকে বুঝতে পারবো না, আর তোমার মতো আমিও খুব বোরিং ফিল করেছি প্রথমত তোমাকে ছেড়ে থাকতে কিন্তু যেদিন বন্ধুটির সাথে দেখা হলো, কথা হলো, এখানে ওখানে হাত ধরে ঘুরে বেড়ালাম সবটাই ভুলে গেলাম কখন বলতে পারছি না, হু তোমাকে না বললেই নয়, বন্ধু আমার সাথে সর্বক্ষণ সময় দিয়ে আমাকে এতোটাই আনন্দ দিয়েছে সেটা তুমি আমাকে দেখলেই বুঝতে পারবে। অনেকটা বৃক্ষের পাতা ঝড়ে পরার পর যখন সেই বৃক্ষের নতুন পাতার জন্ম হয় আর সেই পাতার যে কোমলতা ঠিক তেমনি। বন্ধুটি আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে, শিখিয়েছে কিভাবে অনুর্বর জমিকে চাষাবাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।

প্রিয় স্বামী, তুমি চিন্তা করোনা আমি তোমার কাছে আসার পর তোমাকে সবটুকু শিখিয়ে দিবো, আর মাধবী লতার চিঠি পাঠায়নি, টেলিযোগাযোগে অনেকটাই বলেছে, ওর কথা শুনে তো আমি বিস্মিত! কেন আমরা এতোটা উপভোগ করতে পারিনি, এটাও বলেছে যে, ব্যস্ততায় আমরা কেউ কাউকে বুঝতে পারিনি, চিনতে পারিনি কিংবা কারো কষ্ট কেউ শেয়ার করতে রাজি ছিলাম না, আমি আমারটাই চেয়ে গেছি কিন্তু তোমার চাওয়া পাওয়ার কোনো গুরুত্ব দেইনি। হয়তো তুমিও আমার মতো, অবশ্য তোমাকে দোষ দেবো না, কারণ কর্মস্থল ছেড়ে তোমারও বিশ্রামের প্রয়োজন বোধ করা প্রয়োজন ছিলো আমার।

প্রিয় স্বামী, আজ আর লিখছি না, খুব দ্রুতই তোমার নিকট চলে আসছি, তুমি মন খারাপ করোনা, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যা তোমার মাথা নত করতে হয়। তবে আমি এই সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে এসে খুব সুখী বলতে পারি।

[বিঃদ্রঃ স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রিত হতে দিন, অপেক্ষায় থাকুন, কে কতটা পরিবর্তন হয়েছে]

বউয়ের নিকট স্বামীর চিঠি-০১

R
প্রিয় বউ,
তোমাকে বলাই হয়নি, তুমি তোমার বন্ধুকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গেছো কিন্তু এদিকে ঘটে গেছে আরেকটি দুর্ঘটনা, তুমি এই পত্র পড়ার পর হয়তো বিস্মিত হবে কিংবা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠবে, কোথাও কোথায় ফোসকা পরে যেতে পারে আবার নাও হতে পারে, তুমিও সাধুবাদ জানাতে পারো এমনটাই মনে করি।

তুমি চলে যাবার পর খুব একা একা লাগছিলো, মনে হচ্ছিল কি এমন বস্তু হারিয়েছি যার জন্য আলোকে অন্ধকার মনে হচ্ছে, যখন তুমি ঘরে থাকতে তখন বুঝতে পারিনি, কত রাত দুজনার মাঝে ফারাক্কার বাঁধ হিসেবে কোল বালিশ দিয়ে রেখেছি কিংবা তুমি রেখেছো, তুমি বলতে আমার জন্য কি তোমার সময় হবে না, বিয়ের আগেই তো ভালো ছিলে তুমি, একসাথে বসে কত ফুসকা খেয়েছি, কত জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, অবশ্য তখন তুমিও পড়ালেখা করতে আর আমিও, তুমি চাকরি পেলে, এক সময় ধুমধাম করে রসায়নের বিক্রিয়ায় নিজেদের পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রে ফেলে ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিলাম। আজ তুমিও ব্যস্ত, তোমার ব্যস্ততা দেখে মনে হয় আমার ভেতর আর কোনো জৈবতা নেই যেটার জন্য জমিন পতিত থাকবে।
প্রিয় বউ সত্যি তুমি বেড়াতে যাওয়ার পর কয়েকদিন তোমার কথাগুলো আমাকে কুরেকুরে খেয়েছে, কিন্তু আজ অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে। হয়তো তুমি আমাকে ফেলে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গিয়ে ফুরফুরে আছো তোমার বন্ধুকে পেয়ে, শুনলাম তুমি যে হোটেলে উঠেছো সেটা তোমার বন্ধুর হোটেল, যাক তোমার পরিবর্তন হোক সেটাই চাই, আমিও বোরিং ফিল করছিলাম আর সেটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতা অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে।

প্রিয় বউ, পত্র পড়ে আশা করি আমাকে ভুল বুঝবে না, আমি এমন কোনো অন্যায় বা অপরাধের কাজ করিনি তোমার বান্ধবীর সাথে, তোমার বান্ধবীও আশা করি তোমার নিকট তেমন কোনো অভিযোগ পেশ করবে না কোনোদিন, কেননা তোমার বান্ধবীও খুব খুশী আমাকে হাসতে দেখে, তুমি জানোনা আমার উচ্চ হাসি শুনতে পেয়ে বলছে তুমি নাকি এমন হাসি হাসতে আমাকে দেখোনি তোমার আমার বিয়ের পর একটি দিনও।

প্রিয় বউ, আজ আর তেমন কিছুই লিখবো না, শুধু তোমার অপেক্ষায় থাকলাম, বাকিটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতার কাছে জেনে নিও। … ইতি তোমার বর অর্ণব।

[বিঃদ্রঃ স্ত্রীর চিঠির জবাব পড়ার অপেক্ষায় থাকুন]

আদুরী দৃষ্টি ফিরে পেলো

বেলী,
আজ আদুরী দৃষ্টি ফিরে পেলো,
বেশ কিছু দিন যাবৎ এমনটাই ভাবনা চিল শকুনের মতো
হঠাৎ করে বললে হয়তো ভুল হবে
সময়ের স্রোতেই অপেক্ষার প্রহর ফুরালো
আঁধারকে আধার করে চলে গেলো।
মনের বাগানে জল ঢেলে
শুষ্ককে সবল করতে জোর তাগিদ দিচ্ছিলাম
কিন্তু ফলাফল; নামি দামি সুগন্ধি বাউরা সংস্রব
আসলে সতেজ বৃক্ষের দিকে দৃষ্টি না পড়লেও চলে
কিন্তু মৃত বৃক্ষের দিকে তা হবার নয়
ঝরে পড়া বাকল প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলে
সে সংস্কৃতের ইস্পাত ভাষা
জলোচ্ছাস, সুনামী, নাসরিন গর্জন করে চলে সর্জরস
যা কখনো কল্পনাতেও ভাবিনি
আদুরী
একবারও কি মৃত্যুর কথা মনে পড়ে?
ভালোবাসি শুধু মুখে বললেই হবে না
বলতে পারো ভালোবাসার মুখটা কেমন?
লাল, নীল, বেগুনী গাঢ় আঁধার তাও নয় আরজিবি কিংবা সিএমওয়াইকে
ওষ্ঠের নিন্মভাগে তিল অথবা ঘোমটায় ঢাকা মুখ
আমি নিশ্চিত বলতে পারি
ভালোবাসা নিজে যেমন তুইও তেমন জানিস না
বেলীকে দেখেই আমি বুঝেছিলাম
ভালোবাসা কাকে বলে, কেমন হয় তার দৃষ্টি
আদুরী চলে গেলো হাসতে হাসতে চাঁদ সুরুজের অপেক্ষায়
বেলীর স্পর্শ পেলাম না আদুরীর ভালোবাসায়
জুঁই, চামেলী, শিউলি, গোলাপ সবাই তো একটি গাছের ফল
আজ ভালোবাসতে সাহস পাই না, কি করে দেখবো
নিজের মৃত্যু নিজের চোখে,
বেলী,
আজ সাহস মরে গেছে।
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, রাত: ১:৩০, ১৩০৩২০১৬।

ঘুম … (Ismat Shilpi -কে)

ঘুম আসে না,
বালিশে মাথা রেখে কি সব অদ্ভূত অদ্ভূত স্বপ্ন দেখি
তার কিচ্ছু বুঝিনা, কি তার তাল, লয়, সুর।

জিহ্‌বা জল কাটার বৈঠার মতো শুধু চিৎকার করে
যে বৈঠা জলে নেমে জল কাটছে তার আবার তৃষ্ণা?
ঘুমের তন্দ্রাচ্ছন্ন কেমিক্যাল সেও আজ পরাজিত
কোনো এক চিহ্নিত অচেনা তৃষ্ণায়, তবুও
এ তৃষ্ণা ঘুমের নয়, জেগে থাকার তৃষ্ণা;
এ তৃষ্ণা আলোর নয়, সোনালী এক সকালের।

এ তৃষ্ণা শুধু প্রভাতী রবির তির্যক কিরণের স্পর্শ পাবার
ঘুম আসেনা, ক্ষত-বিক্ষত প্রশ্নের জবাব খুঁজে ক্লান্ত প্রায়
এ কোনো কঠিন বা জটিল প্রশ্ন নয়, চোখ মুদলে ভাবি,
প্রভাত হবে তো ?

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, রাত: ৩:২০, ১৬১২১৬।