চিঠি-২ (স্বামীর নিকট স্ত্রীর চিঠির জবাব)

wife wrote a letter her husband
কয়েকদিন পর বউয়ের চিঠি পেয়ে অর্ণব খুব খুশী, তার বউ তাকে পত্র লিখেছে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমকে অবজ্ঞা করে..

প্রিয় স্বামী, তোমার পত্র পেয়েছি, পত্রটি পড়ে আমি এতোটাই সুখবোধ করছি সেটা তোমাকে বুঝতে পারবো না, আর তোমার মতো আমিও খুব বোরিং ফিল করেছি প্রথমত তোমাকে ছেড়ে থাকতে কিন্তু যেদিন বন্ধুটির সাথে দেখা হলো, কথা হলো, এখানে ওখানে হাত ধরে ঘুরে বেড়ালাম সবটাই ভুলে গেলাম কখন বলতে পারছি না, হু তোমাকে না বললেই নয়, বন্ধু আমার সাথে সর্বক্ষণ সময় দিয়ে আমাকে এতোটাই আনন্দ দিয়েছে সেটা তুমি আমাকে দেখলেই বুঝতে পারবে। অনেকটা বৃক্ষের পাতা ঝড়ে পরার পর যখন সেই বৃক্ষের নতুন পাতার জন্ম হয় আর সেই পাতার যে কোমলতা ঠিক তেমনি। বন্ধুটি আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে, শিখিয়েছে কিভাবে অনুর্বর জমিকে চাষাবাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।

প্রিয় স্বামী, তুমি চিন্তা করোনা আমি তোমার কাছে আসার পর তোমাকে সবটুকু শিখিয়ে দিবো, আর মাধবী লতার চিঠি পাঠায়নি, টেলিযোগাযোগে অনেকটাই বলেছে, ওর কথা শুনে তো আমি বিস্মিত! কেন আমরা এতোটা উপভোগ করতে পারিনি, এটাও বলেছে যে, ব্যস্ততায় আমরা কেউ কাউকে বুঝতে পারিনি, চিনতে পারিনি কিংবা কারো কষ্ট কেউ শেয়ার করতে রাজি ছিলাম না, আমি আমারটাই চেয়ে গেছি কিন্তু তোমার চাওয়া পাওয়ার কোনো গুরুত্ব দেইনি। হয়তো তুমিও আমার মতো, অবশ্য তোমাকে দোষ দেবো না, কারণ কর্মস্থল ছেড়ে তোমারও বিশ্রামের প্রয়োজন বোধ করা প্রয়োজন ছিলো আমার।

প্রিয় স্বামী, আজ আর লিখছি না, খুব দ্রুতই তোমার নিকট চলে আসছি, তুমি মন খারাপ করোনা, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যা তোমার মাথা নত করতে হয়। তবে আমি এই সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে এসে খুব সুখী বলতে পারি।

[বিঃদ্রঃ স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রিত হতে দিন, অপেক্ষায় থাকুন, কে কতটা পরিবর্তন হয়েছে]

আমিনুল ইসলাম রুদ্র সম্পর্কে

মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, জন্ম : ১৪ জানুয়ারি, ১৯৮১। ডাক নাম রুদ্র আমিন (Rudra Amin)। একজন বাংলাদেশ কবি, লেখক ও সাংবাদিক। নক্ষত্র আয়োজিত সৃজনশীল প্রতিযোগিতা-২০১৬ কবিতা বিভাগে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন। জন্ম ও শিক্ষাজীবন মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র ১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ আব্দুল হাই ও মাতা আমেনা বেগম। পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন কেটেছে খাগড়াছড়ি এবং বগুড়া সদর উপজেলায়। বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি ও মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স সম্পন্ন করেন। কর্মজীবন মূল পেশা থেকে দূরে সরে গিয়ে তিনি লেখালেখি এবং সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি প্রায় সব ধরনের গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর ষ্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন নিউজপোর্টাল নববার্তা.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি উইকিপিডিয়াকে ভালোবেসে উইকিপিডিয়ায় অবদানকারী হিসেবে উইকিপিডিয়া অধ্যয়নরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : যোগসূত্রের যন্ত্রণা (২০১৫); আমি ও আমার কবিতা (২০১৬); বিমূর্ত ভালোবাসা (২০১৮); অধরা- সিরিজ কবিতা (২০২০) প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : আবিরের লালজামা (২০১৭)। আমার সকল লেখা পড়তে ভিজিট করুন : রুদ্র আমিন

8 thoughts on “চিঠি-২ (স্বামীর নিকট স্ত্রীর চিঠির জবাব)

  1. স্বামীর লিখা পত্র পাঠের পর এই চিঠিটিই একজন পাঠক হিসেবে অনেক বেশী কাঙ্খিত ছিলো। অবশেষে স্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছে। স্ত্রী’র চিঠি বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও ইন্টারেস্টিং। :)

    1. সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা ভাইজান।

  2. আশা করি সোয়ামীও স্ত্রীর পত্র পেয়ে খুশিতে বাকবাকুম।

    1. যদি নিজেরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে তবেই সম্ভব বাকবাকুম করা

  3. চিঠিহীন এ যুগে চিঠি!!
    বেশ ভাল লাগল।

  4. আগের দিনে জাপানে একট প্রচলন ছিল, যখন কোন স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা নিয়ে কোন বিচারকের কাছে নালিশ হতো তখন ওদের মাত্র একটা কম্বল দিয়ে নৌকায় করে পাশের কোন দ্বীপে পাঠিয়ে দিত, যাবার সময় বলে দিত তিনদিন পএরে তোমাদের ফিরিয়ে এনে বিচার হবে। তখন বিচার করব কার দোষ আর কার নয়। এখন যাও ঐ দ্বীপে থেকে এসো।

    1. এটাও সেই কাহিনীর মতোই হচ্ছে কি ভাইজান? তবে অনেকটাই সেটাই মনে হচ্ছে আমার। টুইস্‌ তো আগামীতে….

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।