শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

মানবতা মুক্তিপাক

মানবতা মুক্তি পাক।
নিউজিল্যান্ডের
মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের পাহারা দিচ্ছেন মানবতার সেবা করা মানুষ। আসলে সেবাই পরমধর্ম” এই শব্দ থেকে অনেককিছু শেখার আছে” ধর্ম যার যার প্রকৃতপক্ষে সবাই মানুষ। মানবতা মুক্তিপাক সকলের নষ্ট চিন্তা থেকে কট্টরপন্থী মনোভাব থেকে সকল প্রকার বৈষম্য থেকে সকল প্রকার বিশ্বাস অবিশ্বাস থেকে এই হোক কামনা।

এখন আসল কথায় ফেরা যাক….
ধর্ম যার যাঁর আসলে সবাইতো মানুষ- সেবাইতো প্রকৃতির পাওয়া শ্রেষ্ঠ ধর্ম এখন মানুষ যার আশ্রয়ে প্রার্থী হোক না কেন যাঁর সেবাই করুক না কেন। যাঁর ইশারায় চলুক না কেন। মানুষের সাথে মানুষের কোনো পার্থক্য আছে কি। চামড়ার চেহারার পার্থক্য কোনো পার্থক্য নয় বর্ণ কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করার কথা নয়

কারো শরীরের চামড়া সাদা কিম্বা কালো তাতে কি? তাঁর ভিতরের হাড় মাংস রক্ত শিরা উপশিরা সবইতো এক। সবার রক্তের রং তো একই। পার্থক্য থাকতে পারে কর্মে ধর্মে বিশ্বাস থাকতে পারে একেক রূপ তাতে কি পার্থক্য থাকতে পারে পোশাকের অর্থের বাড়ি গাড়ির কিন্তু কেউ তো ছোট নয়। কেউ তো মানুষ থেকে অন্য কোন প্রজাতির নয়। মানুষের কর্মে পশুর আচরণ থাকতে পারে বৈষম্য থাকতে পারে সেটিই প্রকৃত সমস্যা। চিন্তা চেতনা আর শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে যে মানুষ নিজেকে উজানে নিয়ে যাওয়ার সাধনা করে সেই আসলে সেই বৈষম্যের প্রথম উত্তরসূরী।

মানুষের কর্ম ঘৃণিত হতে পারে তবে মানুষ ঘৃণিত নয়। পৃথিবীর সকল মানুষ সমান সেখানে জাতিভেদ থাকতে পারে সম্প্রদায়ের ভেদ থাকতে পারে কিন্তু দিনশেষে সবাই তারা মানুষ। সবার রক্তের দাগ এক। কেউ কাফের না কেউ মোনাফেক না সন্ত্রাসী না খুনি না এরা সবাই তাঁর কর্মের তাঁর নিজ নিজ কর্মের প্রতিশব্দ নিয়ে এগিয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয় আছে তাঁর প্রপার ব্যবহার যখন হয় তখনই মানুষ শ্রেষ্ঠ হয় সুন্দর হয় সনামধন্য হয়।

মানুষ কজন মানুষকে চেনে মানুষ তাঁর নামে পরিচিত হয়। মানুষ তাঁর কর্মে পরিচিত হয়। ধনি গরিবের এই শব্দের ব্যবধান মানুষকে ছোট করতে পারেনা। অর্থসম্পদের বৈষম্যের জন্য মানুষ দারিদ্র্পিড়ীত হতে পারে একজন ক্ষুধার্ত মানুষও মানুষ- আবার একজন ধার্মিক ও মানুষ।মানুষ মানুষকে পার্থক্য করতে পারেনা। জাতপাতের আবরণ মানুষকে পার্থক্য করতে পারেনা ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো ধার্মিক মানুষের পার্থক্য করতে পারেনা। শক্তিশালী মানুষও যেমন মানুষ দুর্বল রোগভোগে থাকা মানুষও মানুষ। হাজার কোটি টাকাওয়ালাও মানুষ আবার দিনমজুর ভিক্ষুকও মানুষ।

মানুষ তাঁর কর্মের জন্য শব্দের তর্জমায় বিভক্ত বলেই তারা তাদের মনুষত্যবোধের বোধিসত্ত্বায় আবর্তিত বোধিধর্মকে ভুলে যায়। যাঁর ফলপ্রসূতঃ আমরা এই আজকের পৃথিবীতে নিসংশয় নৃশংসতা বর্বরতা সাদাকালোয় ভেদাভেদ ধনি গরীবের ভেদাভেদ জাতপাতের ভেদাভেদ। যা কিছু ভেদাভেদ তাঁর সবই জাহির করে শ্রেষ্ঠত্ব। এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই যেদিন থেকে মানুষের ভিতরে আর থাকবেনা সেদিন থেকেই মানুষ মানুষকে মানুষ বলেই অনুসন্ধান করবে। সেদিন থেকেই আর কোনো দেশ থাকবে না। জাতি ও বর্ণের পার্থক্য থাকবে না। মানুষ মানুষের জন্য এই সত্যিটাইই পৃথিবীর বুকে ফলাতে পারেন নতুন এক আলোর দিগন্ত।

______________________
মার্চ ১৯, ২০১৯ বিকালঃ ৪:১৫ মি.

বিশ্বাস কল্পনা ও পরিকল্পনা

বিশ্বাস
দৃশ্যমান-
যা কোনো জ্ঞানের জ্যোতি নয়।
বিশ্বাস হচ্ছে যৌগিক শৃঙ্খল বিশ্বাসের মৌলিকত্ব হচ্ছে তাঁর উপাদানগুলি। যা একটি মানুষকে বিশ্বাস তৈরি করতে সহায়তা করে।

তবে, বিশ্বাসের কোনো আবেগ নাই আবেদন নাই। এটি “বিশ্বাস” পাহাড়ের মতোই স্থির বৃক্ষের মতোই ছায়াময় আর মাটির মতোই সুগভীর।

²কল্পনা
স্বপ্নের মতোই একটি জাল।
কল্পনা
হলো বিশ্বাসের সর্বনিম্ন স্তর। আপনি যা ভাবছেন- আপনি যা করছেন না, আপনি যা দেখছেন না, অনুমান অনুরূপ ভাবে যে স্তরের অস্থায়ী অস্থিতি অস্পষ্ট আপনার মনস্তরের গভীরে উঁকি দিবে যাঁর অবয়ব সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্যমান।
যেকারণে বলতে পারি যে, কল্পনা কখনও বিশ্বাসের স্তরে পৌঁছায় না।

³পরিকল্পনা।
যেটি পৌঁছে সেটি হচ্ছে বিশ্বাসের পরিকল্পনা। পরিকল্পনা হলো বিশ্বাসের দ্বিমাত্রিক রূপ আপনি বিশ্বাস থেকে যেই পরিকল্পনার প্রারম্ভিক উৎস উৎপন্ন করবেন সেটিই বিশ্বাসের সিঁড়িতে চড়ে। যেটা সাকসেস না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাসের অস্পষ্ট ছায়া বলেই মনে করতে পারেন।

###
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার প্রিয় সকল লেখক ভাই ও বন্ধুদের।
শব্দনীড়ে অনেক ভালো ভালো লেখকের আবাসস্থল। তারমধ্যে আমি একজন খুবই সাধারণ। লেখালেখি করা আমার পেশা না হলেও এই কাজটি না করলে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতোই হয়। আমি যেহেতু ব্লগিং করি, আমার দায়িত্ব থাকে সেই লেখক বন্ধুদের লিখায় কমেন্ট করা। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবনের অন্য সকলের মতোই কিছুটা দায়িত্ব নিয়ে বেড়ে উঠেছি সময় নিয়ে লিখাগুলোতে কমেন্ট করতে পারিনা। এতে আমার খারাপ লাগার পরিধিটাও কম নয়। এমনকি আমার নিজের লিখায় কিছু নিঃস্বার্থ বন্ধু আছে যারা কমেন্ট করে থাকে। অফিসিয়াল কাজের প্রয়োজনে প্রত্যেকটি মুহুর্তে দেশে এবং দেশের বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা ব্যয় করি কাজ শেষে তারপর কিছু ভালো লাগেনা। সেজন্য আমি সকল বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ক্ষমার চেয়ে সুন্দর সৃষ্টি জগতে আর কিছু নাই বলেই মানুষ মহৎ হতে পারে। আশাকরি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতেই আমাকে গ্রহণ করবেন। তবে এমনটা সবসময় থাকবে না। আপনাদের মাঝে অবশ্যই ফিরে আসবো মত বিনিময় করার জন্য। শুভ হোক সবার।

মানব জীবন এবং তাঁর বোঝা না বোঝার সঠিক অধ্যয়ন

মানব জীবন
এবং তাঁর বোঝা না বোঝার সঠিক অধ্যয়ন।
মার্চ ১৭, ২০১৯ রাতঃ ১:২০মি.

সময়ের কিছু ভালোলাগা থাকে সেটা ভালোলাগা বা মন্দ লাগার যখন পার্থক্য খোঁজেনা তখনই আপনার জীবনে শুরু হয় একটি নতুন অধ্যায়।

হ্যাঁ, সব ভালোলাগায় মানুষের সায় দিতে নেই। সব ভালোলাগা মানুষের সুখের পথ খুঁজে দেয়না। আপাদমস্তক যা এখন আপনি ভালো মনে করছেন সেই ভালোলাগা আপনার জীবনে একদিন চরম ঝড় তুলবে।

সেখানে হয়তো আপনি আপনার টিকে থাকার ওয়ান পার্সেন্ট চান্স থাকবে কিন্তু সেটা সফল হবেনা।

আপনি যে কাজটি আজকে সুখের আশায় করছেন অন্যকেউ ঠিক একদিন আপনার জন্যও সেই জালটি বিস্তার করবে। এটি মিথ্যা না। এটিই প্রকৃতির নিয়ম।

সব শান্তিই যে সুখের হয়না সেটা মানুষের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হয় এখানে কাউকে বোঝানোর মতো কিছু নেই যার যার প্রয়োজনেই মানুষ শিক্ষাগ্রহণ করে।

মানুষ যত কম বুঝবে তাঁর চিন্তাধারার পথ ততটাই সহজ হবে। হিসাব করে যদি জীবন না চলে তাহলে বেহিসাবি হয়ে জীবন পার করাটাও আরও ভয়ঙ্কর।

•মৃত্যু; সে পরমহংস সত্যের নাম। আচ্ছা মৃত্যু কি সকল সমস্যাসমূহের সমাধান দাতা?

নাহ্ এমন চিন্তাধারা নেহায়তই ছেলেখেলা বাচ্চাদের মতো। এসব দুর্গমপথ পাড়ি দিয়েইতো প্রকৃত একটি জীবন লাভ হয়!

পৃথিবীর এইসব কারারুদ্ধ পথের বন্ধ দরজা খোলার মধ্যেদিয়েই সুখ দুঃখ কষ্টের তুমুল পথ অতিক্রম করতে হয়।

তবেই তো আপনি একজন মানুষ হবেন খুঁজে পাবেন আপনার কাঙ্খিত পথ।

ধৈর্য বুদ্ধি সময় ও অপেক্ষাকৃত দিনের পরেই প্রকৃত দরজা আপনার চোখের সামনে আসবে তাঁকে মুল্যয়ন করবেন এবং গ্রহণ করুন।

সেইদিন পর্যন্ত আপনার ছুটে চলা অবশ্যই সমীচিন। কিন্তু সেটা যদি অসৎ পথের অসম যাত্রা হয় তাহলে আপনার সুন্দর জীবন সুন্দর ভবিষ্যৎ নোংরা ডাস্টবিনের মতোই দুর্গন্ধ ছড়াবে এতে কোনো সুখ নেই।

সবকিছুর শেষ আছে, যেকোনো কর্মের যেমন আছে শেষ পরিনতি। মানুষ সেই দিনগুলি দেখতে চায়না।

কিন্তু কি বলবো, প্রকৃতি তাঁর খেলা যেভাবে জারি রাখে সেখানে আপনার প্রাপ্য ফল আপনাকে দেবেই আজ নয়তো কাল সময়ের ঋণ ঠিক একদিন পরিশোধ হবে।

অতএব, আপনি যা কিছু করেন না কেন সেটা আপনার স্বচ্ছ জীবনে যেনো কালিমার দাগ না লাগে সেটিই হবে আপনার জীবনের প্রকৃত চিন্তা।

মানুষের জন্য

মার্চ-১১, ২০১৯ বিকালঃ ৩ঃ২০মি.

মানুষের জন্য
সুখ, দুঃখ ও বস্তুগত যেই শক্তিকেই বুঝানো যাক না কেন-
এসবের কোনো কিছুই আপনার জন্য চিরস্থায়ী নয়।

মজার ব্যপারটা হলো আপনার শরীর ভেঙ্গে যাওয়ার আগেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনাকে আপনার পথটি খুঁজে নিতে হবে।

কিন্তু এখানে আপনার পথ হবে দুইটিঃ
একটি সৎ¹ আরেকটি অসৎ²

উপায়ঃ
আপনি যদি অসৎ পথ ধরেন তাহলে আপনার চারপাশের মানুষ খারাপ নজরে দেখবে…

আবার যদি আপনার পথ হয় সৎ তাহলে আপনার চারপাশে আপনার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে আর আপনি হবেন আদর্শ ও অনুকরনীয়।

এই পৃথিবী, এই একটিমাত্র
পৃথিবীর খুব সুন্দর ব্যাপারগুলো হচ্ছে জীবনের কোন দুঃখই চিরস্থায়ী না তেমনটি সুখবোধের ব্যাপারেও ওই একটি কথাই আসে।

কবিতা

কবিতা

যদি তুমি ঈশ্বরের মানবিক রূপ দেখো
তবে তুমি বুঝবে,
সে কোনও ঈশ্বর নয়।

ঈশ্বর হলো আমাদের এই
মহাজাগতিক সৃষ্টির নাম
যদি সেই সৃষ্টির রূপ কোনও মানবীয় হয়।
তবে তুমি জানবে,
সে কোনও ঈশ্বর নয় কোনও দিন ছিলো না।

কোনও মানবকে
যদি তোমরা ঈশ্বর জ্ঞান করো
তবে, সেদিন থেকেই
মৃত্যুবরণ করবে তোমার মনের ঈশ্বর।

ঈশ্বর কোনও অস্তিত্বের নাম নয়
অস্তিত্বহীনতাই বলতে পারেন অজানা ঈশ্বরকে।

বরং তোমরা
নিজেদের দিকে লক্ষ্য করো
এই শরীর,
এই অস্তিত্ব, অস্থিমজ্জা
এই সমৃদ্ধ দেহাবশেষ।

হাত, পা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
শিরা উপশিরা নিশ্চয়ই
কোনও অজানা ব্যাখ্যার আবর্তে ঘূর্ণন নয়।

ওই মহান শূন্যের দিকে তাকাও
ওই মহান নক্ষত্রের দিকে তাকাও
সমৃদ্ধতম ওই তারকারাজির দিকে দৃষ্টি ফেরাও

সমৃদ্ধশালী ছায়াপথের দিকে তোমাদের সামান্য মেধা শক্তিকে কাজে লাগাও
বিস্তার হওয়া ব্রহ্মাণ্ডের দিকে অধ্যায়ন করো।

ছোট বড় জানা অজানা
এই মহাজাগতিক জীবনের দিকে তাকাও

আর, তাকিয়ে দেখো তোমার দিকে
তোমার আশেপাশে
তোমার ভাবনা নির্ভাবনা সত্তার দিকে।

এসবই জানান দেয় কোনও এক অস্তিত্বের
যে, অস্তিত্ব এতোটাই সমৃদ্ধ যে,
এই নস্যি মানব সভ্যতার কাছে
যার কোনও চাওয়া পাওয়া নাই।

নভেম্বর ২৪, ২০১৮

আমি কে

আমি কি?
আমি কে?
আমি কোথায় ছিলাম?
আর কোথায় থেকে এসেছি?
আমার যাপিত জীবনের অধ্যায় শুরু এখানেই কি প্রথম?
আমিকি কোনো মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া একজন সাধারণ মানুষ?

যাঁর চারপাশ জুড়ে অন্ধকার?
যাঁর চারপাশ জুড়ে এমন অনুসরণীয় কেউ নেই!
কিছু নেই?

আমিকি অতীত থেকে আসা কোনো সম্ভ্রান্ত মানুষ?
নাকি ভবিষ্যৎ থেকে আসা একজন ফেঁসে যাওয়া মানুষ যে কীনা সময়ের ইন্দ্রজালে বন্দীত্বের ঘানি টানছেন?

যাঁর বর্তমানে এসে ভবিষ্যতের পিছুটান দুর্দমনীয় ভাবে হতাশ করছে নিজেকে?

নাকি আমি কোনো অতীব সুপ্রাচীনতম বোবা পাথর?
যাঁর কথা বলার শক্তি নেই!
অধিকার নেই?
সামর্থ্য নেই?

আমি তাহলে কি কোনো মানব রূপি অন্যকোন প্রাণ?
যে কীনা অভিশপ্ত ইন্দ্রজালে আটকা পড়া অভিশপ্ত- এক অধিকারহীন মানব?

নাকি আমি অন্য কিছু?
কিম্বা কোনো এক দেবদূতের বরপুত্র?

যাঁর বিদ্যা বুদ্ধি বিবেক জ্ঞান নিঃসৃত রাতের গোলকধামে আটকে গিয়ে বয়ে বেড়ানো এক অতিমানব?

যে শুধু বর্তমানকে দেখবে বোবা তোরণের মতোই?
যে কীনা মরা বৃক্ষের মতোই স্থির থাকবে?

যে কীনা যৌবনের বৃক্ষ হয়েও তাঁর শরীর ছেঁদ করবে, ছেঁটে দেবে, কিন্তু কিছু বলতে পারবেনা, চিৎকার করতে পারবেনা?

তাহলে আমি কে?
হে আমার পথব্রত অধিকারহীন মানব? আমিকি তাহলে এই জগতের মায়াময় ইন্দ্রজালে ফেঁসে যাওয়া কোনো অধিকার বঞ্চিতদের একজন?

জগতের এই প্রাচীন সূর্য, চাঁদ, তারকাদের আনাগোনা যদি আমি স্বাধীন ভাবে দেখতে পারি- তাদের দিকে আমার দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে পারি, অনুপ্রবেশ করাতে পারি, তাহলে কেন এই বোবা শক্তির জগতে প্রবেশ করালে?
তাহলে কেন থাকবে না কথা বলার অধিকার?

তাহলে কেন থাকবেনা অন্যায়ের প্রতিবাদী মন?
তাহলে কেন থাকবেনা স্বীয় স্বাধীনতার পূর্ণ সমর্থন?
তাহলে কেন?

পৃথিবী যদি একটি চাঁদের নীচে একটি সূর্যের নীচে ধাবিত হয় ঘূর্ণন করতে পারে তাহলে আমরা আমাদের পথ কেন বেছে নিতে পারবোনা?
তাহলে আমি আমার সময়ে কেন ফিরে যেতে পারবোনা?

সময়ের এই মহাবিবর্তনের পথধরে পৃথিবী যেভাবে তাঁর গতিপথ পাল্টেছে সেভাবেই কি আমার পথচলা উচিৎ নয়?

কোথায় সেই আমার ফিরে যাওয়ার ভবিষ্যৎ প্রবেশদ্বার! যাঁর দ্বারা আমার জীবনের মুক্তি ঘটবে?
পিছুটানের মুক্তি ঘটবে হৃদয়ের স্পন্দনের স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

আমিকি স্বাধীনতার প্রকৃত প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করতে পারবোনা?

আমিকি সেই সভ্যতার আলোকসম্পাত দেখতে পারবো না?

আমি মুক্তির সেই দিনটিকে এক অনুসরণীয় দিন করে রাখতে চাই
যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মোহময় ইন্দ্রজাল অপেক্ষমান।

আমি সেখানে মুক্ত ইথারে প্রাণভরে শ্বাস নেবো। যেখানে থাকবে অধিকার, স্বাধীনতা, নির্লোভ আত্মসম্মানবোধ আর নির্ভীক জীবনের সব নির্ভরযোগ্য এমনকি বিশ্বস্ত মানুষ।

________________________
মার্চ ০২, ২০১৯. গভীর রাতঃ ২:২০মি.

শব্দ, ধ্বনি, বাক্য ভাষাগত বিশ্বাস

ফেব্রুয়ারী ১৭,২০১৯
বিশ্বাস বা অবিশ্বাস

শব্দ,ধ্বনি, বাক্য ভাষাগত বিশ্বাস
শব্দের বিশ্বাস হলো মনোস্তাত্ত্বিক পরিভাষা-

মানুষের খেয়াল, কর্ম, স্বভাবগতগুন, ভাবনা, দুর্ভাবনা কিম্বা জাগতিক চিন্তা চেতনা থেকে যে বিশ্বাসের ভ্যুৎপত্তি। “এখানে কোনো বস্তুসমূহ নেই”

বস্তুগত বিশ্বাস সবসময় স্বচ্ছ আয়নার মতো অখন্ড যা বারবার দৃশ্যের মধ্যদিয়ে একইভাবে বর্ণনা করা যায়।

আর শব্দের বিশ্বাসে নিশ্চয়ই একটি ধ্রুব সত্যি আছে তবে সেটা বিশ্বাস কিম্বা অবিশ্বাস এ দুয়ের মধ্যবর্তী নির্নয়ন যা আপনাকে স্যাটিস্ফাইড “সন্তুষ্ট” করতে পারে আবার স্যাটিস্ফাইড “সন্তুষ্ট” নাও করতে পারে।

তবে বিশেষত আপনি সেটাকেই বেশি বিশ্বাস করেন যা আপনার পরিভাষার সাথে মিলে যায়।

কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে বিবেক দিয়ে যদি কোনো শব্দের বিশ্বাস খুঁজতে সচেষ্ট না হয় কেউ তাহলে সেই ব্যক্তি মানব- “শব্দের” ধোঁকায় আপনাকে আপনার চোখ এবং কানকে কব্জা করবে।

যদি কখনও তা অখন্ড থেকে যায় ততদিন পর্যন্ত আপনার বিশ্বাসের অবরুদ্ধ দুয়ার বন্ধই থাকবে।

যদি তা না হয় যদি তাঁর ব্যতিক্রম ঘটে আপনার প্রথম বিশ্বাসটি আপনার কাছে প্রতারণা মনে হয় তবে তখনই সত্য সামনে আসবে- মিথ্যা প্রমাণিত হবে আর বিশ্বাসের উদার দুয়ারে আপনার পদচিহ্ন পড়বে।

আমরা মানুষ বরাবরই এই আস্থা নিয়ে বেঁচে থাকি ঘর বাধি স্বপ্ন দেখি পরিবার গড়ি সমাজ রাষ্ট্র গড়ি।

কিন্তু আমরা কখনও বুঝতে চেষ্টা করিনি বিশ্বাসের প্রকৃত ভিত্তি কি অবিশ্বাসের প্রকৃত সুত্র কি?

মানুষের মাঝে একে অন্যের প্রতি যে আস্থা বিশ্বাস তৈরি হয় সেটির ভিত্তিও সুদূর প্রসারিত।

এটি তখন পর্যন্ত আপনার কাছে সঠিক মনে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার নিকটবর্তী মানুষের থেকে অবিশ্বাস না পান-

প্রতারিত না হোন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার সাথে সত্যিটা খেলা মনে হবে মিথ্যা অন্ধকারেই থেকে যাবে।

আপনার কাছে একটি প্রশ্নঃ

আপনার কাছে একটি প্রশ্নঃ
ফেব্রুয়ারী১৭,২০১৯। বিকালঃ ৪:১৫মি.

•প্রশ্নটি কি?
•প্রশ্নটি কী আপনি বুঝেছেন?
•প্রশ্নটি সম্পর্কে আপনার নূন্যতম ধারণা আছে কি?
•প্রশ্নটি আপনার আয়ত্তের বাইরে?
•প্রশ্নটি আপনার জন্য যদি হয় তবে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক কি?
•প্রশ্নটির উত্তর না দিতে পারলে আপনার ইগো হার্ট হবে কি?
•আচ্ছা আপনার যদি সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা হয় তবে আপনার কি করা উচিৎ?
•প্রশ্নটি না বুঝেও প্রশ্নটির উত্তর দেয়া আপনার জন্য কতটা জরুরী?
•প্রশ্নটিকে আপনি কিভাবে নিবেন খুব স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?
•প্রশ্নটির গুরুত্ব সম্পর্কে আপনার অভিব্যক্তি কি হতে পারে?
•প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া আপনার কাছে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
•প্রশ্নটি জেনে প্রশ্নের উত্তর আবিষ্কার করবেন নাকি আপনার মতো করে একটি যেমন তেমন উত্তর দিবেন?

আর যাই বলেন প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই আপনার জ্ঞান দর্শন লুকিয়ে আছে সেটা আর আপনাকে বারতি ভাবে বলতে হবেনা।

তবে আমরা বেশিরভাগ সময় প্রশ্ন না বুঝে উত্তর দেয়ার প্রয়াস করে থাকি; কিন্তু তাঁর আগে আমাদের বোঝা উচিৎ হয়যে, আমাকে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তাঁর যথাযথ উত্তর খুঁজে বেড় করা।

আমরা সবসময় আমাদের নিজেদের অদূরদর্শী নীতির ভুলত্রুটিগুলো কি তা একটুও খুঁজে দেখিনা বলে আমাদের ভুলগুলো কি তা খুঁজে বেড় করিনা।

তবে আপনি কি অবগত; আপনি কি জানেন এই নীতিতে চললে আপনি নিজেকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারবেন না?

নিজেকে তুলে ধরার জন্য আপনার যথেষ্ট সময় যদি থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার সেই নিকটতম সময়ের মধ্যে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে তুলে ধরতে হবে।
নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরার মধ্যে জগতে যে স্বাধীনতা তা আপনাকেই তৈরি করতে হবে।

তবে আমরা আমাদের নিজেদের প্রজ্ঞা সম্পর্কে যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াকিবহাল না হই ততক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যার জাল আপনাকে চারদিকে থেকে ঘিরতেই থাকবে।

অতএব এই প্রশ্নটি আবিষ্কার হয়েছে যেখানে- সেখানে আপনার জরুরী প্রশ্নটিকে আপনার সমার্থক শব্দ দিয়ে সঠিকভাবে বুঝে নেয়া।

তবেই তো সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনার ভিতরে আবিষ্কৃত হবে।

তবে প্রশ্নটি কী সেটাকে না বুঝে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করাটাকে নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু নয়।

এই সমস্যার সমাধান যাঁর যাঁর অবস্থানে থেকে নিজেকে সমাধানের পথ তৈরি করাই হলো একজন প্রকৃত মানুষের প্রথম দায়িত্ব।

এই দায়িত্বশীল আচরণ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ভিতরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজেকে তুলে ধরার বিন্দু মাত্র সুযোগ পাবেন না।

অতএব প্রশ্নটি কী আগে সেটি জানা দরকার তারপর প্রশ্নের উত্তর। একটি প্রশ্নের সঠিক ও যথাযথ উত্তর আবিষ্কারের মাধ্যমেই সেই প্রশ্নের সঠিক সমাধানে পৌঁছা যায়।

তুমি স্বাধীন মানুষ তুমি কোনো রোবট না কাঠ পুতুল না

ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

তুমি স্বাধীন মানুষ; তুমি কোনো রোবট না কাঠ পুতুল না তোমার দেহে প্রাণ আছে অনুভূতি আছে আশা আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছা অনিচ্ছা ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে

একটি পুতুল বা কোনো রোবট নিজের ইচ্ছাধীন চলতে পারেনা। তাঁর যে মালিক সে যেভাবে পরিচালনা করবে সেভাবেই চলে।

আমি যখন দেখলাম রোবটটিকে তাঁর স্বাধীনতা দেয়া যায়। স্বাধীন মতো চলতে দেয়া যায়। তখন আমি তাঁর ভিতরে বিশ্বাস দিয়েছিলাম যে, রোবটটি (তুমি) স্বাধীন।

আমি কোনো নিকৃষ্ট কিম্বা বিবেকবুদ্ধিহীন মালিক হতে চাইনা। না সেটা ককখনও না। কেউ কারও মালিক হতে পারেনা।

মানুষ; তুমি কোনো বাজারের পন্য না যে আমি পণ্যটি কিনেছি এবং পণ্যটি এখন থেকে আমার অধিনস্থ।

মানুষ; এই জীবনবাদের জগতে তুমি তোমার নিজের মালিক।
এখানে কেউ তোমাকে বলতে আসবে না তুমি একটি বাজার থেকে কেনা পণ্য। দাসত্বের যুগ আর নেই। মানুষ এখন রাস্তায় খোলা বাজারে বিক্রি হয়না।

মানুষ এখন তাঁর স্বাধীন জীবনের সময়টাকে বিক্রি করে। কখনও খোলা বাজারে কখনও অফিস আদালতে ইত্যাদি।

নির্দয় মানুষের কাছে তুমি পুতুল হতে পারো। একটি পরিবার তোমার দাবীদার হতে পারে। পুতুলের মতোই পরিচালনা করতে পারে।

কিন্তু সেখানে ভালোবাসাটাও থাকে আবার থাকে নির্দয় বিবেকহীন মনোভাব।

আসলে এসব বুঝবার বিষয়। অনুভব করবার বিষয় অনুধাবন করার বিষয়। বিশেষ কোনো একটি দিক নিয়ে জীবন গোছানো যায়না। পৃথিবী সাজানো যায়না।

একটি পরিবারকে ঘরের সেই জীবন্ত পুতুলটিকে স্বাধীনতা দেয়া উচিৎ এটি তাঁর অধিকার।

জগতে কারও কোনো অধিকার নাই একজন স্বাধীন প্রানকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা।

এটি আইন বহিভূত বিবেক বর্জিত হৃদয়হীন অপরাধ। যে কোনো মানুষকে তাঁর সঠিক পথে চলতে দেয়া উচিৎ ।

প্রত্যেকটি মানুষ তাঁর জায়গা থেকে তাঁর সাফল্য তুলে ধরবেন শক্তি সামর্থ্য তুলে ধরবেন।

যে প্রাণী সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে কখনও রোবট হতে পারে না। পুতুল হতে পারে না। দাসত্ব করতে পারে না। দাস হতে পারে না। তাঁর কোনো মালিক থাকতে পারেনা।

এই সত্য যারা অনুধাবন করতে পারে না তারা কখনও মানুষ নয়। শিক্ষক নয়- শিক্ষিত নয়।

কিম্বা যারা এসব জেনেও চুপ করে থাকে তারা হলো সমাজের চতুর সুবিধাবাদী। সুবিধা ভোগি।

তারা নিজেরা স্বাধীনতা ভোগ করবে অথচ তাঁর সামাজিক ভাবনার উল্টো প্রয়োগ করবে। সমাজ পরিবার তাদের টার্গেট হয়।

দমিয়ে রাখা নীতিমালা যে সমাজের গোড়ায় প্রবিষ্ট সেই সমাজ কখনও স্বাধীন হতে পারেনা।

পুতুল সেই হয় যে নিজেকে পুতুল বলে ভাবতে থাকে। রোবটটি ও সেই হয় যে ভাবে আমার একজন পরিচালক আছে মালিকে আছে।

কিন্তু যে কখনও ভাবতে শেখেনি তাঁর কোনো বন্ধু থাকতে পারে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে পথপ্রদর্শক থাকতে পারে।

জন্মের পর থেকে যখন আমরা বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমাদের শিখিয়ে দেয়া হয়। কিছু বাধ্যবাধকতা। চাপিয়ে দেয়া হয় কিছু বাধ্যবাধকতা।

কিন্তু তাকে বলা হয়না তুমি স্বাধীন। তোমার বিবেকজ্ঞান থেকে সিদ্ধান্ত নাও কোনটা ভালো আর কোনটি মন্দ।

কিন্তু আমরা বরাবর ধরেই বেড়ে উঠি পরাজিত চেতনায়। পরাধীনতার শিকল যখন হৃদয়ের গহীনে শেকড় গেড়ে বসে পড়ে তখন তাকে আর ফেরানো যায়না।

তখন তাকে আর বুঝানো যায়না তখন তাকে তাঁর ইচ্ছাধীন করানো যায়না।

কারণ আমরা আমাদের সমাজ পরিবার থেকে যে শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠি সেই শিক্ষায় সিদ্ধান্তহীনতার অভাব থাকে।

স্বাধীনতার অভাব থাকে। আস্থার অভাব থাকে। বিশ্বাসের অভাব থাকে। আর এসব করি আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে নয় আমরা এসব করি নিজেদের স্বার্থে।

এটাই বাস্তবতা এরচেয়ে চরম সত্য জগতে আর কি থাকতে পারে।

সংক্ষিপ্ত।

মানুষ চোখের দেখাতেও ধোঁকায় পড়ে

ফেব্রুয়ারী ৩,২০১৯
মানুষ চোখ দিয়ে দেখে বেশিরভাগ কাজ করে- কিন্তু সেই দেখায় অনেক ক্ষেত্রে অসফল হয়;

মানুষকে দেখা উচিৎ মনের চোখে; তৃতীয় নয়ন বলে একটি কথা আছে। যে মানুষ এই তৃতীয় নয়নকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে পেরেছিল সে কখনও অসফল হয়নি।

তাইতো, দেখবার জন্য চোখের প্রয়োজন হলেও মনের চোখের প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরী।

মনের চোখে যখন কিছু দেখতে যাবেন, খুঁজতে যাবেন, তখন সেখানে বিবেচিত হয় বিবেকের ব্যবহার। যা সভ্যতায় ফিরিয়ে আসার জন্য একমাত্র মানুষেরই প্রয়োজন।

সেটা যদি না হয় তবে জগৎ রসাতলে যাবে আর মানুষ যাবে অধপতনের দিকে।

কল্পনা হলো জ্ঞানের চেয়ে অধিক শক্তিশালী

ফেব্রুয়ারী ২,২০১৯ সময়ঃ ২:৪৫মি.
কল্পনা হলো জ্ঞানের প্রথম শর্ত; আপনি যদি কিছু ভাবতে যান তাহলে আপনাকে আগে কল্পনা করতে হবে।

আপনি যদি সঠিক ও স্বাধীনভাবে কল্পনা করতে না পারেন তাহলে আপনার সব ভাবনা বৃথা। কোনো বৃহত্তম স্বার্থে আপনার যদি কোনো অংশীদারিত্ব না থাকে সেই ছোট কিম্বা বৃহত্তর কাজটির কোনো সফলতা আসবেনা।

তাই বলবো জ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে গেলে আপনাকে আগে কল্পনা করতে হবে একটি কল্পনা যখন আপনি পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে নিবেন তাঁর সাফল্য সময়ের ব্যপারমাত্র।

খোলা জানালা

জানুয়ারী ২,২০১৯
খোলা জানালা।

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি স্বাধীন না পরাধীন থাকবেন। বদলে যাবেন নাকি বদলে দিবেন।
আপনার ভ্রুণ যদি কোটি কোটি কীটের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে পৃথিবীর বুকে পা রাখতে পারে তাহলে আপনার দ্বারা নিশ্চয়ই কিছু করে দেখানো সম্ভব। আপনি যদি এখনই হাল ছেড়ে দেন তাহলে কিভাবে হবে।

আপনি যদি এখনই দুর্বল হোন তাহলে কিভাবে চলবে। আপনার সকল প্রতিবন্ধকতা আপনাকেই নস্যাৎ করতে হবে। অতএব আপনি প্রস্তুতি নিন নতুনভাবে আপনার শক্তি সামর্থ্য ইচ্ছা অনিচ্ছা এখনও ফুরিয়ে যায়নি।

জীবন প্রগতিশীল পৃথিবী ও তাই আপনার পথটি ভঙ্গুর হতে পারে বিস্তৃত সাগর থাকতে পারে নদী মহানদী থাকতে পারে কিন্তু কঠিন নয় পারাপার অসম্ভব নয়। বুদ্ধি খাটান একটু একটু করে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আপনার সাফল্য সময়ের ব্যাপারমাত্র।

মানুষ পূর্নাংগ স্বাধীন নয়। পরিবার থেকে সমাজ থেকে কিম্বা রাষ্ট্র থেকে। তবে মানুষ পূর্নাংগ স্বাধীন হয়ে নিজের আত্ম নিয়ন্ত্রন নিতে পারে যদি সে তাঁর চিন্তাধারা বুদ্ধিমত্তা ও সহনশীলতার পূর্ন ফায়দা নিতে পারে।

মানুষ তাঁর নিজের প্রতি গভীর আস্থা দেখাতে পারলেই যে সমাজ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে তা নয়। আসলে মানুষের উচিৎ নিজের প্রতি আস্থা অর্জন করা। নিজের স্বাধীন বুদ্ধিমত্তার সাফল্য অর্জন করা।

নিজের চেতনাবোধের প্রতি অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা। তবেই বদলে যাবে সব তবেই বদলে দেয়া যাবে সমাজ রাষ্ট্রের কিম্বা পরিবারের নির্মিতব্য একেকটি অশুভ দেয়াল। ভঙ্গুর চেতনাবোধ নিয়ে জগৎ বদলানো যায়না।

পৃথিবী প্রতিনিয়তই তাঁর রূপ বদলায় মানুষ পরিবর্তনশীল পরিবর্ধনশীল আজ আপনি যদি মন্দকে ভালোর গুন দিয়ে বদলে দিতে পারেন সভ্যতা আপনাকেই মনে রাখবে।

সুন্দর সৃজনশীল সৃষ্টিই পারে সুন্দর পৃথিবী গড়ার শ্রেষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে মানুষতো উছিলামাত্র। চিরস্থায়ী সবুজের মধ্যে আপনার নামটি যদি অক্ষর বিন্যা‌সের মাধ্যমে সৃজিত হয় তবেই মানবের মুক্তির পথ সুগম হবে তাই বলবো বদলে যান বদলে দিন।

জিদ মানুষকে মুহুর্তের মধ্যে নিঃস্ব করে

মানুষের মন বুঝতে হলে তাঁকে তাঁর নিজের উপর ছেড়ে দাও তবে তাঁর হাল ছেড়না। তুমি যদি বুঝে থাকো সে ভুল করছে তবুও তাঁর অদৃষ্টের উপর ছেড়ে দাও ভুল করুক এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিক। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নজরে রাখো। দেখো নতুন কোনো বড়ো ধরনের ভুলের মধ্যে জড়িয়ে যাওয়ার আগে সাবধান করো যখন সে তাঁর ভুল বুঝতে পারবে সে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নেবে।

জিদ মানুষকে মুহুর্তের মধ্যে নিঃস্ব করে। দুজনের মধ্যে যখন তৃতীয় ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে সেখানে সম্পর্ক নামক বন্ধনে তিক্ততা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্কে মরিচীকা বাসা বাঁধে।

তাই প্রত্যেকটি সম্পর্কে বিশ্বাস থাকাটা জরুরী। আজ তুমি তাকে যেভাবে দেখছ সেটাকে তাঁর জীবনযাপনের প্রকৃত রূপ ভাবতে পারো।

তোমার কাছে যা গল্প আরেকজনের কাছে সেটাই বাস্তবতা হতে পারে এই জন্য যদি তাঁর সবকিছু অবিশ্বাস্য মনে হয় তবে তুমি ভুল করছ।

মানুষ যখন তৃতীয় মাত্রার জালে আটকা পড়ে তখন তাঁর মধ্যে সবকিছুই ধুম্র ধোঁয়াশা লাগে। আসলে সে বুঝতেই পারেনা কি হারাতে যাচ্ছে। বিনিময়ে কি পেতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নিজের বিবেক আর বিবেচনা বোধ থেকে নেয়া উচিৎ।

অহংকার জিদ মানুষের জীবনে অহেতুক। এইসব অহেতুক মনোভাবনা দিয়ে সত্যকে আড়াল করা হয়। জিদ অহংকারে যদি সাফল্য থাকতো তাহলে পৃথিবীর ইতিহাস নতুনভাবে লিখা হতো।

অহেতুক জিদ সম্পর্কের প্রকৃত বন্ধনকে ছোট করে দেয়। বিস্তৃত পৃথিবী একটি মানুষের কাছাকাছি থেকে সংকীর্ণ হয় দূরে চলে যায় যার পরিণতি হয় বিভাজন। কিছু সম্পর্ক হয় এ্যামিবার মতো। যা সৃষ্টি থেকে বিস্তৃতি লাভ করে তুমি যদি প্রজননে বিশ্বাসী না হও তাহলে তোমাকে বিভাজনেই আস্থাশীল হতে হবে।

অথচ তোমাকে বিশ্বাসে আস্থাহীন না হয়ে বিবেক বিবেচনায় আস্থাবান হওয়ার কথা। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি মানুষ বিশ্বাস দিতে পারেনা। প্রত্যেকটি মানুষও রাখতে পারেনা বিশ্বাসের মর্যাদা।

তুমি যদি বিশ্বাসের বদলে সন্দেহপ্রবণ হও তবে তোমাকে সুসংগত ভাবা যাবেনা। সুস্থ মানুষরা সুস্পষ্ট থাকে সুসম্পর্ক বজায় রেখে।

সন্দেহপ্রবণরা বাহানা খোঁজে নতুনভাবে জাল বিস্তার করে তাঁর মুল উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর। আসলে উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সমীচীন। উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ অনৈক্যের বিরুদ্ধে নৈতিক কিম্বা নৈকট্যের।

জীবন কোনো পরজীবী আগাছা নয়। আজ তোমার প্রাপ্তিযোগ থেকে যে দিন চলে যাবে আগামীকাল হয়তোবা সেদিন আর আসবে না। ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে গেলে নতুনভাবে গোছানো যায় নতুনভাবে তৈরি করা যায়। সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে জোড়াতালি দিয়ে আবারও একত্রিত হতে পারে কিন্তু মন ভেঙ্গে গেলে বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে আস্থা হারিয়ে গেলে আর কোনোদিনই পাওয়া যায়না।

তাই বলবো বিশ্বাস করো। যে তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছে তাঁকেই তুমি ভালোবাসো যে তোমার ভালোবাসার মর্যাদা দিতে জানে।

এই পৃথিবী সত্যাগ্রহদের জন্য আরামপ্রদ না। এই পৃথিবী মিথ্যুক আর প্রতারকদের জন্য অভয়ারণ্য। সবচেয়ে বড়ো কথা সত্য সবাই নিতে পারেনা।

সত্য যাঁর নিকট অধরা তাঁর কাছে প্রত্যেকটি সত্য হেয়ালি মনে হবে হাস্যকর মনে হবে সন্দেহজনক মনে হবে দুর্বোধ্যতাকে পুঁজি করে পরিচ্ছন্ন পথ আবিষ্কৃত হয়না।

দুর্বোধ্যতাকে পুঁজি করে সুখী জীবনের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়না। প্রকৃতরা সবসময় আস্থার মর্যাদা দেয়।

স্বপ্ন যদি গভীর হয় ঘুমিয়ে থাকাটা অবাস্তব মনে হবে। আমি বাস্তবতা বিশ্বাসী মানুষ। আমি জেগে থেকে যা পরিকল্পনা করি বাস্তবে তাঁর একটি রূপরেখা তৈরি করি।

তা নিয়ে আলোচনা করি। আমি মানুষ; আমার মুখমণ্ডল যেমন উন্মুক্ত আমার চিন্তাধারা ও তেমনি মুক্ত, স্বচ্ছ। তুমি আমাকে স্বচক্ষে যা দেখছো দূর থেকে তাঁর বিপরীত না।

তাইতো আমি নিরন্তর পৃথিবীর একজন ভূপাতিত লক্ষ্যভেদী মানুষ। আমার অলক্ষ্যে বয়ে চলে মিশরের নীল নদ আমার চোখের মধ্যে বয়ে চলে চিনের হুয়াংহ নদী তবুও মানুষ জেগে উঠে অলক্ষ্যের লক্ষ্যে।

এভাবেই একদিন মানুষের বিবেকের মুক্তি ঘটে। এই পথ চলতে চলতে একদিন শেষ হবে। যখন ক্লান্ত শরীর নিয়ে কোথাও বসে পড়বে আর জীবনের লাভক্ষতির হিসাব করবে তখন তুমি ঠিক ধরতে পারবে এই জিদ অহংকার তোমাকে কি দিয়েছে তুমি কি পেয়েছ আর কি পাওনি।

নভেম্বর ১৭, ২০১৮।

দুর্বল চিত্ত নিয়ে বিজয়ী হওয়া যায়না

নভেম্বর ১৬,২০১৮

“দুর্বল চিত্ত নিয়ে বিজয়ী হওয়া যায়না। দুর্বলরা তাই বরাবরই ভুল করে সেজন্য বলবো আপনি কি দুর্বল! তবে এটি আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। কতদিন এমন থাকবেন কতদিন অন্যের উপর ভরসা করবেন কতদিন অন্যের আশায় বেঁচে থাকবেন। বিবেচনা করুন আপনার প্রতি যেটি পারে আপনাকে পথ দেখাতে। সঠিক পথে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে বদলাতে হবে নিজেকে নিজে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে”

অস্পষ্ট চেতনাবোধ অদৃষ্ট চিন্তা অদৃশ্য কল্পনা কিম্বা অদৃষ্ট মনোভাবনা যখন আপনার মধ্যে জেগে উঠবে তখন আপনি কোনভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আপনার জীবনে অদৃষ্ট কোনো প্রাপ্তি নেই যা আপনার পথিকৃৎ হবে। দূর্বল চিত্তের মানুষ বরাবরই এই ভুলগুলো করে।

বুদ্ধিমানরা সংশোধিত হয় কোনো না কোনো সময় তাদের চিন্তাধারায় ভুলগুলো উঠে আসে। আপনাকে এইজন্যই জানতে হবে অজ্ঞতা কি? অজ্ঞতা সম্পর্কে না জানলে আপনি কোনোদিন জানবেন না। আপনার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যে আপনার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আপনি নিজেই।

এগিয়ে যাওয়ার জন্য কি শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হোন? এগিয়ে থাকার জন্যই কি শুধু অতিক্রম করেন অন্যকে? আচ্ছা আপনি কি কারণে সামনের দিকে যাচ্ছেন? আপনার সামনে কি কেউ আছে নাকি আপনি বারবার আপনাকে অতিক্রম করে চলেছেন?

কখনও কি আপনি নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিবেচনা করেছেন আপনাকে ?

কখনও কি আপনি আপনার চিন্তাশক্তি দ্বারা বিবেচিত হয়েছেন অন্যের কাছে কিম্বা স্যাটিস্ফাইড হয়েছেন আপনার কাজে আপনি নিজেই ?
যদি এমনটি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনাকে ভুল পথে চালিত করেছেন।
আর এটি সবসময় যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি কখন যে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন কিম্বা আস্থাশাল ছিলেন সেটা আপনি নিজেই নিশ্চিত না।

তাই বলবো,
অন্যের বুদ্ধিতে আপনি যখন কথা বলবেন তখন আপনি আপনার বিচারগুন দেখতে পাবেন না। নিজের বুদ্ধি জ্ঞান খুঁজতে হলে আপনাকে জানতে হবে। বুঝতে হবে শুনতে হবে শিখতে হবে। ঠিক সেই একই কারনে এখন থেকেই অন্যকে গুরুত্ব দিন।

অন্যের কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে শুনুন সে কি বলছেন কি আলোচনা করছেন। বিষয়টি যদি আপনার জানা হয় তবুও গুরুত্ব সহকারে শুনতে থাকুন সে কি বলতে চায়। আর সে কি বলছে যা ববলছে কিঠ না বেঠিক সেটা আপনি নিজেই ক্যালকুলেশন করতে পারবেন।

তবে কোনো একটি সুন্দর
ভাবনাগুন বিচারই পারে আপনার মধ্যে বিশেষত্তগুলি তৈরি করে দিতে।
সময়ের বিরামবনাগুলো আপনার জীবনে বিরামচিহ্নের সৃষ্টি করতে পারে অতএব সময়কে গুরুত্ব দিয়ে আপনার অক্ষাংশের নির্মাণ করুন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পরে নির্মাণের মাধ্যমেই বিনির্মাণ করতে হয়। তবেই না আপনি সামনে আসবেন। তবেই না আপনি আপনার পথে অগ্রগামী হবেন।

সেখানে আপনার গুরুত্ব আরও বাড়বে যখন আপনি অন্য একজনকে গুরুত্ব দিবেন, গুরুত্বপূর্ণ ভাববেন। প্রত্যেকটি মানুষ দামি। প্রত্যেকটি মানুষ জগতে মুল্যবান। আপনার বিশেষত্ব দিয়ে অন্যকে মাপবেন না। অন্যের গুন আপনার চেয়ে বেশি বা কমও থাকতে পারে সেজন্য কখনও অহংকারী আচরণ নয়। এটি মানুষকে নির্বুদ্ধিতার দিকে নিয়ে যায় ভুলপথে পরিচালনা করে। কোনো মানুষ ছোট না এটিই চরম সত্য।

আপনার যখন অন্যের যুক্তি শুনবেন সেটা অবশ্যই আপনার খন্ডনের অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। যদি তা না হয় যদি অভিজ্ঞতা খন্ডন না করে একজন ব্যক্তি ভাবনার বিশেষ বিশেষত্বের উপর নজর দেন তবে সেটা হবে আপনার জন্য দুর্ভাবনার।

“যে বিষয়গুলো আপনার জীবন দুরুহ করতে পারে ”

১) অন্যের বুদ্ধিতে চলা।
২) অন্যের আলোচনা সমালোচনার ধ্যানধারণা থেকে বুঝার চেষ্টা করা। এমনকি তাঁর বিষয়টির উপরে সত্যতা খুঁজে বের না করা।
৩)অন্যের কথা শুনে নিজেদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি করা।
৪) যখন তখন যা ইচ্ছা তাই বলে সম্পর্কের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা।

আপনি যখন আত্ম জ্ঞান প্রয়োগ করবেন চিন্তা চেতনায় তখন আপনাকে কেউ একটি কথা নির্ভরযোগ্য না তা কখনও বলতে সাহস পাবেনা।

এই বিষয়গুলো মানুষের জীবনে বরাবরই সম্পর্কের অনিশ্চয়তা তৈরি করে যখন এই অনিশ্চয়হীন উন্মাদনায় নিজেকে খামখেয়ালিপনা করে তুলবেন তখন আপনি নিজের সুখী সুন্দর ভাবতে পারবেন না। সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে আপনি যখন তাঁর পারিপার্শ্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করবেন তখন অবশ্যই আপনার স্বাভাবিক জীবন বাঁধা মুক্ত থাকবে।