শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

আপনার অলক্ষ্যে যে লক্ষ্যচ্যুত আপনি

অক্টোবর ৩০,২০১৮
জ্ঞানই শক্তি আর সেই শক্তিই হচ্ছে আলো; কোনভাবেই তাকে অবহেলা না। মূঢ় ও অজ্ঞতার দিকে নিয়ে যাবেন না।

জ্ঞান সঠিক জায়গায় প্রয়োগের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় আলোর বিকিরণ।

জ্ঞান উৎপন্ন হয় আত্মার আত্মপ্রকাশ থেকে আত্ম উপলব্ধি থেকে।

চিন্তা হচ্ছে জ্ঞানের খোরাক চিন্তা না করলে জ্ঞানের দরজায় কড়া নাড়তে পারবেন না।

আর আপনি যদি সেই জ্ঞানের প্রতিফলন চান তাহলে আপনাকে জ্ঞানের দরজায় পৌঁছাতে হবে। আর সেটা হবে আপনার বুদ্ধিমত্তার জোরে।
শক্তি দিয়ে জ্ঞানের পথে প্রবেশ করা যায় না।

শক্তি উৎপন্নের জন্য যেসকল প্রকৃত জ্ঞান থাকা দরকার তা যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে আপনার দ্বারা কোনো কাজই স্বাস্থ্যকর হবে না সাধিতও হবেনা।

যে চিন্তা মানুষের জীবনে মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে মানসিক চাপ তৈরি করে উদ্বিগ্ন ও ভঙ্গুর হৃদয় তৈরি করে সে ককখনও জ্ঞান নয়।

আর তা যদি সুস্থ মস্তিস্কে নিরাপদ পথে ধীরস্থির ভাবে চিন্তা করে সঠিক বুদ্ধির প্রয়োগ করে সমাধান করা যায় সেইতো জ্ঞান। যে বুদ্ধিমত্তা ও প্রখর শক্তির জোরে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে সমস্ত দুর্বলতা থেকে দূরে রাখে তবেইতো সমাধান।

মনে রাখবেন কখনোই জ্ঞানী হওয়ার জন্য চিন্তা করবেন না।

যখন নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে শুরু করবেন। যখনই নিজেকে শক্তিধর ভাবতে শুরু করবেন।

যখনই নিজেকে সবার থেকে উন্নত ভাবতে শুরু করবেন তখনই আপনার ভিতরে মূঢ় বাসা বাঁধবে, অজ্ঞতা আপনাকে শেষ করতে থাকবে।

আপনি আপনার প্রকৃত সত্তাকে হারাবেন।
আপনি আপনার প্রকৃত নিজস্বতাকে খুন করবেন।

তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আমি অন্যদের মতোই সাধারণ মানুষ।

আপনি আপনার এই সামান্য পরিচয়েই খুশি থাকুন, মানুষই পৃথিবীর সবথেকে বড় আবিস্কারক।

জন্মের পর মানুষই আবিষ্কার করে পৃথিবী এতোটাই কঠিন এতোটাই সুন্দর আর এতোটাই সহজ সরল।

মানুষই বিবেকবান তাদেরই বিবেচনাবোধ প্রকৃত তারাই জানে আপনি তাদের থেকে আলাদা।

তুমি না থাকলে

তুমি না থাকলে
জন্ম নেবে না আমার শ্রেষ্ঠ শিল্প।
তুমি না থাকলে
জন্ম নেবে না আমার প্রিয় গল্প।
তুমি না থাকলে
পার্কের দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বাস হবেনা হাসি।
তুমি না থাকলে
মধুর রসে বলা হবে না ভালোবাসি।
তুমি না থাকলে
আলোকিত ঘর বদ্ধ গুমোট।
তুমি না থাকলে
এই মহারণের পার্টিটাই হবে বৃথা।
তুমি না থাকলে
হাজার মানুষের ভির ঠেলে ফেরার জায়গা নাই।
তুমি না থাকলে
এলোমেলো জীবন অগোছালো।
তুমি না থাকলে
চারপাশের রং ফিকে হয়ে আসে।
তুমি না থাকলে
ধুসর আকাশটা কখন যে অন্ধকারে ছায়াপথ।
তুমি না থাকলে
শক্তি দিয়ে বাঁধিতে পারিনা আমি
তুমি না থাকলে
ভালোবাসাবাসি শুধুই শূন্যতা।
তুমি না থাকলে
জোর করে তাঁর পাবোনা পূর্ণতা।

_____________________
আগস্ট ২৫,২০১৮
সময়: দুপুর ২:৪০মি. বগুড়া থেকে ঢাকার পথে।

একটি কবিতার মৌলিকতা

জীবন সম্পর্কে
আমার বেশ অদ্ভুত কিছু ধারণা তৈরি হয়েছে।
তাইতো, আমার হৃদয়ের ধমনিতে
তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পাই।
গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে শুনি তোমার ডাক।

কখনও কখনও নুপূরের ধ্বনিতে
শুনতে পাই তোমার ফিরে আসার প্রতিবিম্বিত রূপ।
আহ্ সেকী সৌন্দর্যের বিভা
বাতাসের উষ্ণ ছোঁয়ায় আমার দেহের বিবর্তন হয়
মনের বোধিসত্ত্বা পরিবর্ধনের আভাস দেয়।

যেভাবে নদীপ্রণালীতে তোমার জলছবি দেখি প্রতিদিনের রোজনামচা তোমার।
তোমার ভাবনায় থমকে যাওয়া স্রোতের গতিপথ
পাল্টে হয় গতিশীল সে কীভাবে বুঝাবো তোমায়!

তুমি আছো দৃশ্যের মাঝে
দৃ‌ষ্টির সীমানা জুড়ে তুমি।
তুমি আছো অন্তরে আবদ্ধ যৌবনের সঞ্চালক তুমি!
তুমি আছো তুমুল উচ্ছ্বাসে মনের গভীরতায়।
তুমি আছো গল্পে,কবিতায় আনন্দে হাসিতে
পথের নিরন্নতায় তুমি
তুমি আছো আনন্দে আনমনে নিরানন্দে সুন্দর সৌহার্দ্য।

তুমি আছো বাঁশির সুরে
দোয়েলের কণ্ঠে প্রাণের প্রত্যুষে তুমি।
চাঁদের উপমায় তুমি।
তুমি সমুদ্রের গভীর তরঙ্গে আলোঝলমল
বিমোহিত লাখো মানুষের চাওয়া।
তোমাকে কি হাত বাড়াতেই আমার হবে পাওয়া;

সৌন্দর্যের অসীমে তুমি;
তোমাকে পাওয়া কার সাধ্বী না পাওয়ার
অসীমতটীয় হাত তোমার,
নক্ষত্রের অপার সুন্দর তুমি।

যেখানে আমি নশ্বরের মাঝে অনশ্বর।
তোমাকে পাওয়া আমার কী দায়।
তবুও হতবুদ্ধি মন তোমাকে চায়
তোমাকে ফিরে পাই কবিতার সারাংশে
তোমাকে পাই গল্পের শুভ্রতায়।

তুমি ছিলে হৃদয়ের গোপন আঙিনায়
নিশ্চিত হাজার বছর।
তবুও জানলে তুমি;
কদিন আগেও তুমি ছিলে কল্পনাপ্রসূত
অথচ আজ তুমি আমার।

প্রকৃতির মতোই সুন্দর তুমি
তুমি আর আমি মিলে যা হয় অসীম।
তবুও আমি ক্ষুদ্রতর নগন্য নগরীর মানুষ
যদি ভালোবেসে কাছে টেনে নাও
আপন করে আপন মাঝে ভালোবাসা দাও
আমিই হবো আজীবন তোমার।

সেবা

তুমি যদি সেবাই করতে চাও তাহলে মানুষের কাতারে পৌঁছে যাও; মানুষের দ্বারে না পৌঁছে তুমি যদি সেবা করার কথা বলো সেটাতো শুধু বাহানা মাত্র।

মানুষের সেবা বড়বড় বক্তৃতায় হয়না চেয়ারে বসে সেবার ধর্ম পালন করা যায়না। দেশের সেবা করতে আগে জনগণের সেবা করতে হবে। আর জনগনের সেবা করতে চাইলে মানুষের দরজায় পৌছাতে হবে।

ভালোবাসা পেতে যতটুকু কষ্ট সহ্য করতে হয় সেবা করতেও সেই একই ব্যথায় কাতরাতে হয়।

সেবায় কোনো ক্ষমতার উৎস থাকেনা। সেবা দিতে কোনো গদিতে বসতে হয়না। সেবা করতে যদি গদির প্রয়োজনববোধকরি তাহলে সেটাকে আরামের জন্য।

সেবায় কোনো আরাম নেই, সেবায় ভালোবাসা পাওয়া যায়, মানুষ মন থেকে যতটুকু ভালোবাসবে সেবাতে সেটাই তৃপ্তি, সেটাই আরাম, সেটাই শক্তি, সেটাই সাহস আর সেটাকেই আনন্দ বলা হয়।

সেবা কোনো ক্ষমতার রাজত্ব কায়েম করেনা। সেবা কোনো খুনের অসীহত করেনা। সেবার পথ জোরপূর্বক হাসিল করতে পারেনি কেউ।

আজ পর্যন্ত যাঁরা সেবার নামে গদিতে বসেছে তাঁরা নিতান্তই ক্ষমতার লোভী। পৃথিবী কোনো ক্ষমতা লোভীকে পছন্দ করেনা। ক্ষমতা লোভীরা বরাবর মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়।

যতক্ষণ সেবাকে সঠিকতর গুরুত্ব না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেবার অপব্যবহার হবে। একজন দলান্ধ একজন গদিলোভী, একজন ক্ষমতালোভী ককখনও জাতির বিবেক ছুঁতে পারেনা।

জাতির ভাষাজ্ঞান যতক্ষন পর্যন্ত একজন ব্যক্তি না বুঝতে পারবে সে কোনোদিন মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনা।

সেবার নামে দেশ দখল সেবার নামে লুটপাট সেবার নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হোক। জোরপূর্বক কেউ সেবা দিতে চাইলে বুঝবে সে বিশেষ শ্রেণীর মতলববাজ যে সবকিছু গ্রাস করার জন্য যথেষ্ট সুত্র রেখে যায়।
জুলাই। ১৯,২০১৮ রাত,১:২০মি.

প্রাচীন গোলাপ

প্রাচীন গোলাপ

এই পৌত্তলিক শরীরে বসন্তের ঋতু স্বাগত জানাচ্ছে…
স্বাক্ষর রেখে যাবে তাঁর;
রেখে যাবে এই বসন্তে অনেক রহস্যের উপমা।
এই পৌত্তলিক মননে মহিমান্বিত তুমি।
স্বমহিমায় ফোটাও যতো ফুল।
আমি প্রতিক্ষীত জগতের এই ক্ষয়িষ্ণু মানব;
স্বতঃসিদ্ধ ঢঙে ঘর্মাক্ত তৃপ্তির দায় চোখে
নিয়ে পাড়ি দিচ্ছি পৃথিবীর প্রলয়ের পথ
প্রলম্বিত প্রহর যেখানে আচমকা আতংক তৈরি করে।

প্রেমের ঈশ্বর আজ আমাকে করেছে মুক্ত।
কে, কবে, কখন, কিভাবে প্রাপ্তির মোহে
ভেদ করেছিল ঐ দুর্দম নীলজ্যোৎস্না!
তা আজ কার জানা; নিশিকান্ত পদ্মাবতী তুমি;
এই সুরমল্লার তরে রজনীগন্ধার সুবাস ছড়িয়ে
অপেক্ষা করছে দুর্বিনীত এই শতাব্দীতে
আমি তাঁরই অংশীদারিত্বের একখণ্ড নীলাভ আলো ওখানেই গোপন আছে আমাদের সব;
এখানেই রহিত আমার এই শতাব্দীর পরম মুক্তির পথ।

ফিরে দেখা একাত্তর ও আজকের বাংলাদেশ অতীত এবং বর্তমানের এপিঠ ওপিঠ

এই দেশ কোনো রক্ষীবাহিনীর না একাত্তরের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বাঙালি সেটা দেখে আঙ্গুল চুষবে সেটা আর হতে পারেনা! এদেশের কোটি কোটি জনগন সাক্ষী একরামুল কমিশনার নির্দোষ অপরাধীরা তাঁর বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে একজন মানুষের মৃত্যুর পরওয়ানা হুকুমদাতা কেউ দিতে পারেনা; জনগনের চেয়ে বড় বিচারক আরকি পৃথিবীতে আছে? তাহলে আর দেরী কেন!

এদেশের ২০ কোটি মানুষ যখন বলছে, এটা অন্যায়, জনগন যদি বুঝতে পারে ভিকটিম নির্দোষ ক্রসফায়ার একটা স্রেফ রাজকীয় নাটকীয়তা জনগন যদি হয় সঠিক ও নিষ্ঠাবান তদন্তকারী তাহলে অপরাধী কে সেই রায় যখন জনগন দিতে পেরেছে। তাহলে কিসের জন্য দেরী করা হচ্ছে? এখন দরকার হুকুমদাতা আর খুনিদের। খুনি ও খুন আর হুকুমদাতা একই। ভিকটিম শুধু বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে কেন? সাধারণ মানুষের যদি জীবনদাতা কেউ না হতে পারে তাহলে খুন করার হুকুমদাতা কে? এদেশের সাধারণ জনগন তাঁদের দেখতে চায়।

হে আবাল বাঙালি তোমরা সাবধান থেকো, সাবধান বাঙালি সাবধান; রক্ষীবাহিনী আবারও ফিরে এসেছে। আমাদের সামনে আরেকটি একাত্তর। একাত্তরের সেই দাঁতাল গোপন হত্যাকারীদের এখন পুনরুত্থান ঘটেছে। লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। আপনার বেঁচে থাকার অধিকার কেউ মৃত্যুর পরোয়ানা দিয়ে কেড়ে নিতে পারেনা। প্রকৃতি প্রদত্ত জীবনের মুল্য কেউ দিতে পারবেন একটি জীবন সৃষ্টির উপাখ্যান যেমন কেউ তৈরি করতে পারেনা তেমনি একটি প্রাণের হত্যার হুকুমদাতা কেউ হতে পারেনা লড়াইই করার জন্য প্রস্তুত হোন কয়েক হাজার দাঁতালের কাছে বিশ কোটি মানুষ জিম্মি থাকতে পারেনা। কয়েক হাজার দাঁতালের জন্য বিশ কোটি মানুয কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেনা।

একজোট হও রুখে দাঁড়াও আর রুখে দাও সাহস না করলে জয়ের স্বাদ পাওয়া দুরূহ আরেকবার পাগলাটে হও কাঁপিয়ে তোলো অপরাধীর ভীত।

পৃথিবীর রূপেই গচ্ছিত তাঁর প্রকৃত স্বরুপ আপনি তাঁর স্বাক্ষর নিন সাক্ষর হোন স্বাক্ষর দিন

জীবন পরাক্রমশালী নয়। জীবন অনেকটা ছোট্ট; এই সম্মানসূচক জীবনের চেয়েও একটি বিষয়হীন জীবন দীর্ঘকাল বাঁচে। অতএব এই বেঁচে থাকাকালীন জীবনের জন্য যেই মর্যাদা তাঁকে গ্রহণ করো সম্মান করো। বেঁচে থাকো,মর্যাদা দিয়ে মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকো ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা নিয়ে। অন্যকে সম্মান দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে সম্মানিত করুন। পৃথিবীর রূপেই গচ্ছিত তাঁর প্রকৃত স্বরুপ আপনি তাঁর স্বাক্ষর নিন সাক্ষর হোন স্বাক্ষর দিন।

বাহ্

বাহ্
মানুষ বোঝেনা।

রাজনীতি বোঝনা ক্ষমতা বোঝো
পেট্রোলের বদলে বোঝো পেট্রোল বোমা
মানুষ বোঝনা গুম বোঝো খুন বোঝো।
জনতার সম্পদ লুটপাট বোঝো।
বাহ্ চমৎকার গুণ তোমার চমৎকার হিংস্র দুটি চোখ।

জ্ঞান ও তাঁর শক্তির জগৎ

জ্ঞান হচ্ছে দরজা জানালা কিংবা ঘের বিহীন একটি ঘর

যে ঘরে খুব সহজেই যে কেউ অনুপ্রবেশ করতে পারেনা।

এতে প্রবেশ করতে হলে চাবির প্রয়োজন হয়।
আপনি যতো মানবীক হবেন জ্ঞান আপনার ততোটাই সমৃদ্ধ হবে।
যতটা ধীর হবেন শান্ত হবেন ঠিক ততোটাই সঠিক হবেন।

আপনি যতটা বিবেকবান হবেন বিবেক দিয়ে কাজ করবেন।
ঠিক ততোটাই প্রবেশাধিকার পাবেন।

আর যখনই কোন জ্ঞান সম্পর্কে আপনি অবগত হবেন
তখনই জ্ঞানের একটি অবয়ব তৈরি হয় আপনার মধ্যে
যা অদৃশ্যত থেকে দৃশ্যতে পরিণীত হয়।
তখন আপনি বুঝবেন যে সেই ঘরে আপনি প্রবেশ করতে পেরেছেন।

বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান আালাদা বৈশিষ্ট গঠন করে।
এই ঘরগুলোও সর্বজনীন নয়
সবাই প্রবেশ করতে পারেনা, দেখতে পারেনা।

জ্ঞানলাভকরা যতটা খেয়ালীপনা ঠিক ততোটাই দুস্তর, কঠিন।
”জ্ঞানলাভ পাওয়া জ্ঞানী” শুধুই শিক্ষিত হবে তা কিন্তু নয়।
”শিক্ষা দিক্ষাহীন মানুষও” জ্ঞানলাভ করতে পারে।
প্রচুর তপস্যা প্রচুর অধ্যাবসার পরও মানুষ জ্ঞানলাভ পায়না।
আবার একজন সাধারণ মানুষ তা সহজের পেতে পারে।
তবে জ্ঞান লাভের জন্য একটি স্থির স্থাপনার মতো একটি প্রাচীতম মন থাকা দরকার ধরা যাক সেনেকা,সানজু,সক্রেটিস কিম্বা প্লেটো এর মতো কিংবা আরোও…

যেখান থেকে বেড়িয়ে আসবে সমসাময়িক আধুনিক ও আগামীকাল কিংবা ভবিষ্যতের উপযুক্ত মানুষ তৈরির কৌশল। যারা পথ দেখাবে এই পৃথীবিকে।

জ্ঞানের কোনো শেষ নেই, জ্ঞান কখনোই সমৃদ্ধভাবে কারোর নিকট আসেনা। মৃত্যুর শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত জ্ঞান লাভকরা যায়।
আপনার মৃত্যুর শেষ সেকেন্ডে অন্তরের অন্তস্থল ”নীরব” থেকে যে জ্ঞান লাভ করবেন আপনার জীবনে সেই জ্ঞানটাই সবচেয়ে শিক্ষনীয়। অথচ তা আপনি বলে যেতে পারেন না পৃথীবির মানুষকে।

ঘটনাপঞ্জি

আমি খুশি হবো মৃত্যুর পরে
যদি জীবন থেকে থাকে
তেমনি আমি কষ্ট পাই মৃত্যুর পরে
সবকিছু অচল হয় দেখে!

আচ্ছা! মানুষের শরীরে কোনো
ইলেক্ট্রন স্থাপন করা আছে কী
সিমিলার কিংবা বিপরীত যা
বিকর্ষন অথবা আকর্ষন করে!

বৃহত্বর বিষ্ফরণের মধ্যদিয়ে
এই মহাবিশ্বের শুরুর অনন্যতা
বৃহত্বর সঙ্কোচনের মধ্যদিয়ে
মহাবিশ্বের ধ্বংসের অনন্যতা।

মানুষের মনের মহাকর্ষন শক্তি
এতটাই প্রখর যে সেখান থেকে
পৃথিবীর কোনো কিছুই বিলুপ্তি হয়না
নিথর হয়েও তা যেন সম্ভাবনাময়!

শক্তিমত্তার দিকদিয়েও অতি দূর্লভ
মানুষই বইতে পারে সর্বোচ্চ ভর!

তাই আমি খুবই খুশি হতাম
মানুষ যদি বুঝতে পারতো
কিছু প্রশ্নের না জানা ভবিষ্যত;
তবে আশাহত হতাম না।

আমার মধ্যে কিছু চুম্বকীয় বল
বারবার আপ্লুত করে বিবেককে
আমি তার ভিতরের পার্থক্য বুঝিনা
মনেহয় এসব কিছুই অদ্ভূতদর্শন।

সেইসব হ্রস্ব ব্যবধান দেখে দেখে
আজ আমি বড্ড ক্লান্ত
কিছু কিছু পরমানুর অস্তিত্ব পেয়ে
মনেহয় ভুলে বসছি আদীঅন্ত সব।

সময়ের দর্শন

সময়কে রিকুয়েস্ট করনা কারণ সময় তোমার রিকুয়েস্ট গ্রহণ করবে না। সময়ের কাছে তোমার কোনো অনুগ্রহ দয়ার্দ্র অনুনয় বিনয় কিম্বা তোমার অনুসুচনার কোনও মুল্য নাই।

তারচেয়ে বরং তুমি সময়টাকে ছুঁতে চেষ্টা করো যাতে ছুটে না যায়। মনে রেখো সময় দ্রুতগতিতে ফুরিয়ে যায়। সময় থেকে গেছে কিম্বা থমকে গেছে সময় সৃষ্টির পর কি এমন কেউ শুনেছ?

নাহ্ এমনটা অবাস্তবের আর বাস্তবে যা কখনই সম্ভব নয়। যারা একটু বেশিই ধর্মাশোকে কাতর তাদের ওইসব অলৌকিক ভাবনা (রোগের নাম এই মুহুর্তে খেয়াল নেই) সাইকোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত।

জীবন যেমন মুল্যবান সময়ও তেমনি মুল্যবান। সময়ের কাজ সঠিক সময় না করলে যেমন তাঁর মুল্যদিতে হয়। তেমনি জীবনাচারে পৃথিবীর এই পাদদেশে নির্গমনের পরে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ের গুরুতর ভাবনাটি যদি তুমি বুঝতে না পারো তাহলে তোমার বেঁচে থাকাটাই বৃথা।

অন্ধকার যেমন আলোরপ্রথম দ্বারে আঘাত করে ঢেলে দেয় অন্ধকার তেমনি আলো অন্ধকারের দ্বারে আঘাত করে উজ্জ্বল করে পৃথিবী।

সময় মানুষের জাগতিক জীবনের সকল আকাঙ্খা পুরনের চাবিকাঠি। আজ যদি সময়কে সময়ের সময় গুরুত্ব না দেন গুরুত্বপূর্ণ না ভাবেন তাহলে আপনি আর কখনোই আপনার জগতে জীবনভাবনা থাকবে বলে মনে হয় না।

অতএব সময় জীবনের পরিপূরক যেমন জীবন সময়ের পরিপূরকতা হবে সেটাই স্বাভাবিক। এখন ভাবনার বিষয় আপনি কি করবেন আপনি কি করতে চান আপনি কি ভাববেন আপনি কি ভাবতে চান তা আপনিই নির্ধারণ করবেন সময় নয়।

সময়ের যেখানে শুরু হয়েছে আমরা যে তাঁর নিকটবর্তী হতে পারিনি সময় কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে হবে এর কোনো তথ্যও নাই কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সময়ের প্রত্যেকটি ন্যানো সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ পরিপূর্ণ ও শক্তিশালী।
এপ্রিল ২৫,২০১৮

পঙ্গু

দেশ ছেয়েছে উগাণ্ডার সব
ছোটবড় জ্ঞানপ্রতিবন্ধী;
রাজনীতিতে (!) পাবনার পাগল!
রাজনীতির করে সন্ধি।

সুবুদ্ধির সব সুশোভিত মন
লজ্জায় লজ্জায়
আড়ালে লুকায় চোখ
ভালো মানুষরা ভাষাহীন হয়ে
নিশ্চুপ রত মুখ।

রাজনীতিতে ছুটছে এখন
অসততার ঘোড়া
ভালো মানুষ যতো
আড়ালে লুকানো মুখ;
খারাপ মানুষের কর্মে যতো
কামানের গোলা ছোড়া।

যেখানে চোখ যায়
অসৎ লোকেতে ভরা
রাজনীতিতে চলছে এখন
ভালো মানুষের খরা।

জ্ঞান প্রতিবন্ধী রাজনীতিগড়া
বাচাল শত লোকজন
দেশের সেবায় সাধারণ মানুষ
দেখে হয়ে যায় বোবা;

এপ্রিল ২৪,২০১৮ রাত,১১:৪০মি.

বৃষ্টি

বৃষ্টি

বৃষ্টির মুখে পড়েছি আমি
ছুঁয়েছে শরীর বৃষ্টিতে
কে যেনো আজ গড়ছে আকাশ
ভাঙছে আমার দৃষ্টিতে

স্মৃতি যেনো মন, ছুঁয়েছে দুচোখ
তোমার রূপের সৃষ্টিতে
আমার চোখের দৃষ্টিতে
এই অঝোর ধারার বৃষ্টিতে।

কি যেন এক

কি যেন এক

কি এক অভূত শূন্যতা
কুড়ে কুড়ে ‘খাচ্ছে’ নষ্ট করছে জীবন
কি এক দানা বাঁধা কষ্ট
আহত করছে অন্দরের
ওই বিস্তৃত ভুবন।

কি এক শূন্যতা
কি এক দুর্বিনীত দূরদর্শী দৈন্যতা
কি এক অনাদর স্মৃতি
ভেসে দিচ্ছে দুরাশার এ মন ;