কাব্যকাল এর সকল পোস্ট

কাব্যকাল সম্পর্কে

কবিতা লেখার প্রবল ইচ্ছা থেকে কবিতা লেখা। কবিতা হিসেবে আলোচিত হোক বা না হোক এইগুলো আমার কবিতা। আমার ভালবাসা। বি:দ্র: নিজের পরিচয় বা সম্পর্কে বলতে শ্রেফ ভালো লাগে না।

অবজ্ঞা

ও চাদ তুই ফিরে যানা বাড়ী
আধার এখন একান্ত আমারি।
পুরে যাব আমি
স্মৃতির আগুনে
তোর সাথে আমার আড়ি।
কেন যে ফুলের গন্ধ টানছ আমাকে
জান না কেন ভালো থাকি কাটার আঘাতে।

…….. অসমাপ্ত

প্রথম কবিতা

কবিতায় আজ আমার বয়স উনিশ।
আমি কবি!
উচ্চ কন্ঠে ঘোষণা করলাম।
এটা আমার প্রথম কবিতা
আমারই প্রথম কবিতা।
আলোচনা সমোলচনা তিরস্কার পরোয়া করেনা আমার কবিতা।
আমার কবিতায় কেবল আমিই প্রকাশিত।

আপনারা কি আমার কবিতার সাথে হাটবেন?
বন্ধুর এই পথে উড়িয়ে দেব নরম বিষন্নতা।
ভুলেও ভাববেননা আমি অহংকারী অথবা বদরাগী
আমি আসলে নরম নদীর মতো
শুধো যখন দেখি আমার নীল আকাশকে ঢেকে দেয় কালো ধোয়ার মেঘ
তখন ক্ষিপ্ত নদীর মতো আমিও অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়।

আপনারা কি আমার কবিতা তেমন করে ধরবেন
যেমন করে ধরে পিতা তার পুত্রের হাত।
আপনারা কি আমার কবিতা তেমন করে পড়বেন
যেমন করে প্রেমিকা বারংবার পড়ে তার প্রেমিকের চিঠি।

আমার প্রথম কবিতা মানে আমার গর্ভজাত সন্তান।

নির্বাক

কোথাকার নীল তুমি?
কোথাকার ধবল কাশফুল?
আমি জন্ম হতেই কালো কৃতদাস।
আমার নখে নোনাজল
আমার ভাংগা কেশে তারার হাহাকার
ঘামে শুকনো রুটির গন্ধ।

জানতে চাও?
কার জন্য এই কবিতা।
কার জন্য ল্যাম্পপোস্টের নীচে নির্বাসন?
আর রং চায়ে কড়া মেকাপ?

আমি লুকোতে চাই।
আমাকে তুলে ধরো শুন্যে।
ছুড়ে ফেল ডাস্টবিনে।
বুক চিরে বীজ বুনে দাও সবুজের।

ভেবোনা তোমার শাড়িতে খুজেছি
আমার আদিম উন্মাদনা।
নষ্ট অহংকারের হাসি।
আমি গল্পের চিত্রায়িত প্রেমিক নই।
আমি মায়ায় আটকে পরা দাস।

তুমি বরাবরের মতো আজও নির্বাক।

তোমার নির্বাকতায় আজ আমার অভিশাপ।

অন্য গল্প

অন্য রকম হোক একটা গল্প
ডিজেলের রাতে জোছনা অল্প
হারিয়ে যাক পেয়ালায় রদ্দুর
চল হাটি। হাটি বহুদুর।

একটা চেনা গানের টানে
কবিতার বই খুলি খুব ভোড়ে
জীবন তুমি শিখিয়োনা ব্যস্ততা
বাজারের ফর্দেও থাকে ভালবাসা।

ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতি খুব চেনা
হারিয়ে যাওয়া ক্যাকটাস আমার কেনা
ভুল তুমি ভুলিয়োনা আমাকে
আমার খবর থাকে তারাদের মেলাতে।

বৃষ্টি

ভিজে গেছে রাস্তা
ভিজে যাচ্ছে আমার শহর
গুনছি বসে মন খারাপের এই প্রহর।
ভিজে গেছে ভালবাসা
ভিজে যাচ্ছে নরম হৃদয়
শুধু রইলেনা তুমি এমন সময়।

কাগুজে মোড়ানো পিতলের দিন
মনের ভীতর বাজে অচেনা বীণ।
নিয়ন বাতী শোন বলছি তোমায়
আমার গল্প শুনে তোমার হাসি পায়।

ও রিক্সা দেখ ফেরারি আমি
তোমার দেয়ালে ছায়াছবি আকি।
ময়ূরের পাখা আমারো চাই
যদিও কাক হয়েই থাকছি ভাই

নদী

নদী
——
বারংবার আমার বুক চিরে তুমি বয়ে গেছ নদী
আমি ভাটিতে দাঁড়িয়ে শুনেছি আমার ডাকনাম।
তুমি ভ্রুক্ষেপ করনি!

কবরের খবরে যারা পত্রিকা পড়ে
তারা কখনো আকাশ ছুতে পারেনা।
পারেনা করতে চোখের তারাতে সবুজের চাষাবাদ।

পিপড়ার দল সারি বেধে কেন চল না?
ট্রাফিকের নিয়ম ভাঙতে নয় মানতে জান।
তোমরা কি জানতে চাওনা জীবনের সিগনাল।

শোন নামহীন ধূসর ফর্সা রমণী
আমি তোমাকে ভিক্ষা দিতে এসেছি।
ভিক্ষা দিতে এসে নিজেই আজ ভিক্ষুক।
তুমি কি দেখনা আমার শুন্য থালা।

এসো বুক চিরে বয়ে যাও নদী
আমি তোমাকে চাই।
এবং চাই।
আমি তোমাকে।
মূলত নদীকে বড্ড ভালোবাসি।

সজনী

সজনী
——-
সজনী বুকে কান পেত থাক
শুনে যাও বিষাদী সুরে বিরহের এক করুন গান।
যে গানে তোমার আরাধনা আছে
আছে চোখের কথা
ঠোটের কথা
আর আমার অপারগতা এবং মৃত্যুর কথা।

গত বর্ষায় তুমি ছাতা হতে চেয়েছিলে
অবিরাম ভেজার ইচ্ছায়।
আমি হতে চেয়েছিলাম ভেলা
দূরে ভেসে যাবার ইচ্ছায়।
আমরা কিছুই হতে পারিনি।
আসলে আমরা কিছুই হতে পারিনা।

তোমার আচলে আমার ছায়া!
দেখিনি কোনোদিন।
দেখিনি তোমার মুখে আমার অংকন।
তবু আমরা ভালবেসেছি
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর সস্তা উপমাতে।

সজনী বৃথায় খুজে ফিরছ
আমার শরীরের ভেতরে কল্পনার সুখের শহর।
কবির কখনো সুখ থাকে না
থাকে শুধু কষ্ট।
আর
ঘুনে ধরা ২০৬ টা হাড়।

সজনী এখনই চলে যাও
আর কখনো এস না।
জেনে যাও কবিকে শুধু ভালবাসা যায়।
কবির সাথে ঘর বাধা যায় না।

চাদ ও জোছনা

ঘুম ভাংলো এবার রাতের
চেয়ে দেখে চাদের ছায়া তার শরীরে।
আলতো করে চাদর টেনে দিল জোছনা।
অভিমান উবে গেল
গেল রোজকার যন্ত্রণা।

মন খারাপের সে ক্ষনে
কি যে যন্ত্রণা ছিল রাতের মনে।
একাকী সময়ে ছিল সে বড় একা
চাদ তাই সঙ্গ দিল
দিল জোছনা।

দাম্পত্য

তোর কথা তুলে রাখা
আলমারির গোপন তাকে,
তোর হাসি লেপ্টে আছে
আমার শার্টের কলারে,
যে ভাবে ভালবাসিস আমায়
আমি ভালবাসি সেইভাবে,
তোর জন্য মন আজ সেজেছে পুতুল খেলাতে।

উরে যাব তোর সাথে
দু ডানা ধার করে,
রোজ সকালে ভাঙ্গাবি ঘুম
আদুরে হাক ছেড়ে।

হলুদ বেশী রান্নাতে
তবু বলবো ভালো হয়েছে,
দাড়িয়ে থাকবি রোজ তুই
দরজার ওপাশেতে।