যাযাবর জীবন এর সকল পোস্ট

শুদ্ধ ভুল

শুদ্ধ ভুল

একদিন ভুল করে তোর দিকে তাকিয়েছিলাম
তারপর আরেকদিন
তারপর আরেকদিন
তারপর ক্রমাগত
তারপর থেকে আমি অন্ধকারে হারিয়েছিলাম;
প্রেম তো অন্ধকার, তাই না?

একদিন আমি ভুল করে তোর চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম
তারপর আরেকদিন
তারপর আরেকদিন
তারপর ক্রমাগত
তারপর তোর চোখে অন্ধ হলাম;
অন্ধ চোখে কি অন্য কারো দিকে তাকানো যায়?

প্রথম প্রথম তোর খুব অস্বস্তি হতো
কেও সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকলে কার ভালো লাগে?
কেও সারাক্ষণ পিছু হাঁটলে কিভাবে দিন চলে?
একদিন, দুদিন, তিনদিন
তারপর একদিন তুই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলি
রুখে দাঁড়িয়েছিলি,
সে দিনটার কথা আমার এখনো খুব মনে আছে
তোর মনে আছে কি?
রেগে মেগে একাকার সেদিন তুই হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে
চিৎকার করে উঠলি
আপনার সমস্যা কি?
কেন সারাক্ষণ পিছু নিয়ে থাকেন?

আমি চুপ মুখে তোর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম
কতক্ষণ মনে নেই
তুই আবার ঝাঁঝিয়ে উঠলি, কি ব্যাপার? বোবা নাকি?
আমি তোর চোখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট গলায় একটি কথাই বলেছিলাম – “ভালোবাসি”;

তুই থমকালি
চমকালি
তারপর উল্টো পথে হাঁটা দিলি;

পরদিন আবার চোখাচোখি
এবার আমিই এগিয়ে গেলাম
স্পষ্ট গলায় বললাম – “ভালোবাসি”
তারপর হাঁটা দিলাম উল্টোপথে;

তারপর সময় অপেক্ষার রথে
একদিন
দুদিন
তিনদিন
ক্রমাগত অপেক্ষার সূর্য রাতের তারায়
……
……
……

কতদিন পরে হার মেনেছিলি?
মনে আছে?

তারপর কোন এক চাঁদ রাতে চাঁদনি এলো
চোখে চোখে
মনে মনে
অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকা দুজন দুজনাতে,
সেদিন তুই কোন কথা বলিস নি
শুধু ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে চলে গেলি;

তারপর অনেকদিন ধরে রাতের তারা সূর্য হলো
তুই আসতেই জীবনে জ্যোৎস্না এলো
খুব বেশীই অন্যরকম ছিল সে দিনগুলি
হাসি খুশি ঝর্ণা নদী
উচ্ছল চপল বৃষ্টি নূপুর
ভালোবাসায় টইটুম্বর আদর সোহাগ টাপুর টুপুর
মনে পড়ে কি তোর?

আচ্ছা আজ চাঁদের দিকে তাকালে কি তোর মনে জ্যোৎস্না আসে?
আমি কিন্তু অমাবস্যা দেখি
আকাশের দিকে তাকালে তুই নীল দেখিস?
আমি কিন্তু রাত দেখি,
রংধনু দেখি নি সেই কতদিন হয়ে গেছে
বৃষ্টিতে তুই হাসিস নি বলে,
আচ্ছা তোর ওখানে বৃষ্টি হলে কি আমার কথা মনে পড়ে?
কিংবা খুব হঠাৎ চোখ ফেটে কান্না এলে?

তোকে নিয়ে আমার অন্যরকম এক স্বপ্ন ছিল চাঁদ থেকে সূর্য অবধি
অথচ দেখ! তুই চাঁদনি হয়ে রাত্রি হলি;
আর তুই রাত হতেই আমি অন্ধকার আপন করেছি;

ভাগ্যিস সেদিন ভুল করে তোর চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম
ভাগ্যিস সেদিন ভুল করে তোতে মন হারিয়েছিলাম
তাই তো ভালোবাসা শিখলাম।

তুই আকাশে ভালোবাসা খুঁজিস

তুই আকাশে ভালোবাসা খুঁজিস

আকাশ দেখেছিস?
নীল আকাশ,
সাদা সাদা মেঘ ছড়ানো;
সাগর দেখেছিস?
নীল সাগর, দ্বৈত নীলে রাঙানো;

তুই আকাশে ভালোবাসা খুঁজিস
আমি খুঁজি নীল
তুই সাগরে তীর খুঁজিস
আমি দেখি নীল,
ওটা দৃষ্টিভ্রম নয় রে দৃষ্টিভঙ্গী
আমি তোতে মানুষ দেখি
তুই আমাতে খুঁজিস সঙ্গী;

ভালোবাসিস?
অনেক বুঝি?
তবে কাঁদিস কেন?
কেনই থাকিস দূরে?

তুই আকাশে চেয়ে থাকিস,
তুই সাগর দেখিস,
আমি পাখি নই, যাব তোর কাছে উড়ে
নই মাছ, ভাসব সাগর তীরে,
ভালোবাসিস?
তবে কাছে আয়
থাকিস কেন দূরে?

আমরা দ্বৈত জীবনে বাস করি দ্বৈত ভালোবাসায়
দ্বৈত মনের দ্বৈত অনুভূতি আমাদের দ্বৈত সত্বায়
তোর ভালোবাসা মন খুলে খুলে
আমার ভালোবাসা মনের কেওড় মেলে,
তোর খোলা মনে ঢোকা হয় না আমার
আমার খোলা দরজায় তোর
তুই রাত চেয়ে চেয়ে দিন
আমার নিদ্রাহীন চোখে ভোর,
কোথায় জানি ফারাক দুজনার চাহিদায়
মনে অনেক ক্ষোভ জমে থাকে তোর;

একদিন পুঞ্জিভূত ক্ষোভে ঘৃণা জ্বলবে
অপেক্ষার রাত হবে না ভোর
দ্বৈত ভালোবাসা আর দ্বৈত ঘৃণায়
দূরত্ব বাড়বে আমার সাথে তোর;

যেদিন তোর তীব্র ভালোবাসা তীব্র ঘৃণায় পরিনত হবে
সেদিন দূর থেকে বুঝতে পারবি,
“অনেক ভালোবেসেছিলাম তোকে”

সেদিন আবার দ্বৈত ভালোবাসা আর দ্বৈত ঘৃণায়
ভাসিস, ডুবিস না
কান্নায় থেকে থেকে।

তবে কবিতা হ আমার কলমে

তবে কবিতা হ আমার কলমে

কাগজে কলম হিবিজিবি আঁক দিতেই
এক একজন এক এক ভাবে চেয়ে থাকে,
কাগজের দিকে;

গল্প-পোকা নতুন কোন গল্পের খোঁজে
ছবি-বোদ্ধার চোখে দুর্বোধ্য কোন ছবির বিমূর্ত মুগ্ধতা ফুটে ওঠে
কবিতা প্রেমী মেতে ওঠে অবোধ্য আঁকের নতুন এক কাব্যরসে;

কেও কেও আবার ভুরু কুঁচকে চেয়ে থাকে
কেও কেও বক্র হাসি হাসে
শ্লেষ্মার কটূক্তি শোনা যায় কারো কারো মুখে
কোথা থেকে জানি ঈর্ষাপোকা পোড়া গন্ধ ভেসে আসে;

আমি আঁকতে জানি না
লিখতে জানি না,
কখনো দাগ কাটে নি কেও আমার অনুভূতিতে;
তবুও মাঝে মাঝে কাটাকুটি খেলাতে যখনই কাগজে কলম ঘুরাই
তখনই খাতায় তোর জিজ্ঞাসার উঁকি,

আমাকে নিয়ে কবিতা লিখছ নাকি?

আমি সূর্য ভেঙে যাই খাদ্যাহ্নেষণে
প্রেমের খোঁজে তুই আমায় ভেঙে ভেঙে
আমি রাত ভেঙে যাই অমাবস্যা হাতে
তুই ভালোবাসা খুঁজিস মরা জ্যোৎস্নাতে;

অনেক ভালোবাসিস বুঝি?

তবে কবিতা হ
আমার কলমে।

কখনো সরব কখনো নীরব

এক একটা সময়ের এক এক অনুভব
জীবনের অধ্যায়গুলো কখনো সরব কখনো নীরব;

একটা সময় জীবন মানেই বাবা-মা
একটা সময় বন্ধু-বান্ধব
একটা সময় যৌবনের আগমন
একটা সময় বিপরীত লিঙ্গে আকর্ষণ
একটা সময় শুধুই যৌবনের
নিয়ন্ত্রণহীন বল্গাহরিণের
একটা সময় ভালোবাসার
একটা সময় চোখ স্বপ্ন
একটা সময় তাকে ছাড়া সব ফাঁকা
একটা সময় কঠিন জীবন
জীবন মানেই টাকা টাকা
একটা সময় থিতু হওয়ার
একটা সময় ঘর সংসার
একটা সময় সবাই আপন
স্বার্থ এলেই খুব দুশমন
একটা সময় সবাই পর
যেতেই হয় রে মাটির ঘর;

আমি জীবন দেখেছি,
পাহাড় থেকে মরুভূমি হয়ে সাগর
ঝর্না থেকে গড়িয়ে লোনা জল
দিনের নিচে চাপা পড়া রাত
সাদার সাথে অমাবস্যা মেলানো কালো
সুখ সুখ চেহারায় বুকচেরা কান্না
আরও কত কি?

তোমরা যাকে জীবন বলো
আমি বলি স্বপ্ন
এক সময় ঘুম থেকে জেগে দেখব
শুয়ে আছি সাড়ে তিন হাত ঘরে;

তারপর?
আবার একটা নতুন জীবন শুরু হবে?

আচ্ছা! কি দেখব ওখানে?
কেও থাকবে কি পাশে?
সেখানে অন্ধকার থাকবে নাকি আলো?
বাবা, মা, ভাই, বোন?
স্ত্রী সন্তান পরিজন?

এই যে এত এত ভালোবাসা
এত এত অনুভব,
কাকে বলব সেখানে?

কত কত প্রশ্নই না ক্রমাগত মাথায় ঘোরে,
কি আছে আর কি নেই সেখানে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে;

অনেকগুলো সময় পারি দিয়ে এসেছি
এবার যেতে হবে মাটির ঘর।

ঝড়

ঝড়

অন্ধকারে অন্ধকার
রাত বড্ড কালো;

অথচ মন একসময় দিন ছিলো
তুই ছিলি, ভালোবাসা ছিলো
সকাল ছিলো, সূর্য ছিলো
বিকেল ছিলো চায়ের কাপে
সন্ধ্যে ছিলো দুজনাতে
রাত্রি বেলায় চাঁদ ছিলো, জ্যোৎস্না ছিলো
অমাবস্যায় জোনাক ছিলো, তারা ছিলো
তুই ছিলি তাই অন্ধকারেও আলো ছিলো;

এখন শূন্যতায় শূন্যতা
মন বিষণ্ণতা
নীল দেখি না আকাশে
নীল দেখি না সাগরে;
একা একা কি আকাশ দেখা যায়? ওপরে তাকালেই তো বৃষ্টি
একা একা কি সাগরে নামা যায়? পা বাড়ালেই তো লবণ,
বালির ঘর ভেঙে গেছে কবেই! ঠুনকো অভিমানের বাতাসে;
ভাগ্যিস ঝড় সইতে হয় নি আমাকে;

একদিন খুব অভিমান ভাঙা ঝড় ওঠে যদি
তবে আবার না হয় ঘর বাঁধব ফুঁসে ওঠা সাগর তলে
তুই আমি দুজনে;

আর নয়তো অপেক্ষার প্রহর একা একা
তারপর ছোট্ট মাটির ঘর, একদম একা
অন্ধকারে সংগোপনে।

ভালোবাসি চল

ভালোবাসি চল

বাইরে বৃষ্টি তুমুল
ভিজবি?
চল

প্রেম নাই বৃষ্টিতে
ওখানে শুধুই জল
ভালোবাসা মেশাবি?
ভিজবি?
তবে চল

সবাই বৃষ্টি পায় না
সবাই বৃষ্টি চেনে না
মন ভালোবাসা হলে তবেই না জল
ভালোবাসিস?
তবে চল

সবাই ভালোবাসতে পারে না
সবাই ভালোবাসায় কাঁদতে পারে না
তোর চোখে কেন এত জল?
অনেক ভালোবাসিস বুঝি?
তাহলে একবার চিৎকার করে বল
“ভালোবাসি”
ঝুম বৃষ্টির মত, মাঠ ঘাট ভাসিয়ে দিয়ে
হো হো ঝড়ের মত, সব ওলোটপালট করে দিয়ে
ভূমিকম্পের মত, পৃথিবী নাড়িয়ে দিয়ে;

তারপর
দুজন ভালোবাসায় ভিজি চল।

তুই দিন তো আমি আঁধার

প্রতিটা জীবনেরই কিছু গল্প আছে
প্রতিটা জীবনই গদ্যময়,
জীবনের গল্পগুলো মোটামুটি একই রকমের
কিছু সাদাকালো আর কিছু রংধনু মেশানো;

একটা পুরো জীবন সাদা হতে পারে না
পারে না পুরোপুরি অন্ধকার হতে;

ওখানে কখনো নীল খেলা করে কখনো মেঘ ওড়ে ঘুরে
কখনো কাঠফাটা রোদ তো কখনো ঝুমঝুমান্তি বৃষ্টি
কখনো বা রোদবৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় রংধনু রঙে একাকার

জীবন কখনো লাল ভোর, কখনো মেঘলা দুপুর আর কখনো বিষণ্ণ বিকেল
কখনো কর্মব্যস্ত দিন তো কখনো মন-উদাস জ্যোৎস্নার রাত
কখনো চাঁদ, কখনো অমাবস্যা, কখনো বা মনখারাপের অন্ধকার

কেও কেও জীবনের গল্প বলে হালকা হয়
কেও কেও নীল গল্পগুলো চেপে রাখে নিজের মাঝে
কারো কারো জীবন খটমটে প্রবন্ধ তো কারো গদ্যময়
কারো কারো জীবন গানে গানে আর কারো জীবনে কবিতা কথা কয়

আমি তোর জীবনের সবগুলো গল্প জানি
থাকুক না আমার নীল গল্পগুলো কালো অমাবস্যায়!

তুই দিন তো
আমি আঁধার

তুই প্রতিদিন নতুন সূর্যের গল্প শোনাবি
আমি কবিতায় এঁকে যাব অন্ধকার

অন্ধকার পড়ার ক্ষমতা আছে ক’জনার?

আমি আর একটা রাত

তুই, আমি আর একটা রাত
মুখোমুখি বসে ছিলাম আমরা আর ছিল হাতে হাত

মনটা ছিল তরল
চোখ একটু ঘোলাটে বাষ্প বাষ্প
ঠোঁট আগানো ছিলো ঠোঁটে,

ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই চোখ বন্ধ হয়েছিল দুজনার;

চোখে চোখ রেখেছিলি কি?
কি জানি!
না তুই কিছু দেখছিলি
না আমি
শুধু শরীরে শরীর মিলেমিশে একাকার;

সে রাতটা ছিল নিঃসঙ্গ একা আর চারিদিক বড্ড আঁধার আঁধার,
তুই ছিলি চাঁদ
মন ছিল চাঁদনি
আর দুজনার ভালোবাসার হাহাকার;

কিছু কিছু রাত স্বপ্ন স্বপ্ন
কিছু কিছু রাত কল্পনা
অল্প কিছু রাত ভালোবাসা
কিছু কিছু রাতে তুই আমার
একটি দুটি রাতে আমি তোর
আর বছরের বাকি রাতগুলো অনুভবে একাকার;

থাকুক না একটি দুটি রাত স্বপ্ন হয়ে!
শুধু তোর আর আমার।

💕

কান্নার রঙ

কান্নার রঙ

কত কত রঙ তোর
কত রঙের মন
মন আর নারীতে
কত কত বিভাজন,
চিনতে পারি নি নারী
চিনি নি তোর মন
রংধনুর রঙে দেখি
তোর নানা রঙ;

সাদা দেখি কালো দেখি
জ্যোৎস্না মন
মনের রঙ কি হে নারী
রংধনুর রঙ,
কত কত মন রঙে
কত রঙের ঢং
ভালোবাসার রঙ নাকি
অশ্রুর রঙ;

জলের রঙ কি রে নারী?
অশ্রুর রঙ?
ভালোবাসা কান্না
ভালোবাসা ক্ষরণ,
নারীর মন কেমন?
ষড়ঋতু যেমন
প্রেম মানেই ছলনা
কান্নার রঙ।

অল্প

অল্প

একদিন অনেক রাতে
তুই আর আমি,
হাতে হাত ছিল
চোখে চোখ
মনে মন রাখতে গিয়েই চোখ লবণ,
কিছু না বলা কথা ছিল
কিছু অনুভব
অনেকটা ভালোবাসা
আর বেশ খানিকটা নিস্তব্ধ রাতের প্রহর;

সুখ আর কতক্ষণের বল?
তারপর বিচ্ছিন্নতা
আর বাকি রাত দু:খ দু:খ অনুভব;

তুই, আমি
দিন, রাত
আর চাঁদ, সূর্য মিলেই
আমাদের ভালোবাসার গল্প,
কখনো দু:খ কখনো বেদনা
কখনো হাসি কখনো কান্না
অনেক অনেক ভালোবাসা,
আর সুখের সময়গুলো বড্ড অল্প।

তোতে, তোতে

তোতে, তোতে

যখন স্পর্শে তুই, ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা
ছুঁয়ে ভালোবাসা
যখন অনেক দূরে, মনে মন রাখা
মনে ভালোবাসা

আমার ভোর শুরু হয় তোতে
আকাশে সূর্য ওঠে সকালে, আমি রোদ তাপাই তোতে
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামে, আমি ভাত ঘুমে তোর সনে
সন্ধ্যা গড়ালেই আকাশে চাঁদ, তুই চাঁদনি আমার
তারপর ভালোবাসাবাসির সারা রাত
স্পর্শে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দূর থেকে মনে মনে
তারপর সারারাত স্বপ্নঘুমে তুই বুকে,

আর ভালোবাসাবাসির অষ্টপ্রহর তোতে, তোতে।

রাতটুকুই আমার

রাতটুকুই আমার

কিছু থাকে না রাতে, ছুঁয়ে থাকে অন্ধকার
থাকে না কিছু হাতে, মুঠো মুঠো আঁধার
কিছু থাকে না চোখে, নির্ঘুম স্বপ্নহীন রাত
থাকে না কিছু মনে, শরীরে মন কোথায়?

মন তো সেই কবেই দিয়ে দিয়েছি তোকে
অনিদ্রা কেড়ে নিয়েছে চোখ
হাতে শূন্যতার হাহাকার,

রাতটুকুই কেবল আমার।

মনের ভেতর নদী

মনের ভেতর নদী

মনের ভেতর নদী
মনের ঠাঁই অতল
আমি বয়ে যাই, ডুবে যাই
মনে ভালোবাসার চলাচল

চোখের ভেতর জল
চোখ বায় জল
আমি ভেসে যাই, ডুবে যাই
আর নোনা জল চলাচল

মনের ভেতর তুই, জলের ভেতর জল
চল চোখ, সাগর চল
আমি বয়ে যাই আর ডুবে যাই তোতে
বল, একটিবার ভালোবাসি বল

ঈর্ষা

ঈর্ষা

জলপরী তুই জলের মাঝে জলকেলি
বয়ে যাওয়া পানি তোকে ছুঁয়ে যায়
আমি পাড়ে বসে ঈর্ষায়
আমায় নিয়ে যা তোর সাথে
দুজন মিলে ফুল তুলি;

পদ্ম দেখেছিস?
লাল লাল,
শাপলা গুলো বড্ড বেগুনী
তুই সবুজ শ্যাওলা মেখে আমায় কেন মন দিলি?
এবার সাদা মেঘ হ, আমার আকাশে
তারপর দুজন নীল হই ভালোবেসে
চল দুঃখ ভুলি;

পানি ছুঁয়েছে তোকে,
আমারও যে বড্ড ইচ্ছে করে তোর ঠোঁট ছুঁতে;
অনেক খেলা হয়েছে পানিতে
এবার উঠে আয় জলপরী,
আয় চুমু খেলি।

স্বপ্ন ভেঙে অন্ধকার

স্বপ্ন ভেঙে অন্ধকার

চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে কান্না
গাল ছুঁয়ে ছুঁয়ে আদর
মন ছুঁয়ে দিয়ে ভালোবাসা
ঘুমহীন স্বপ্ন বাসর,
অনেক তারায় রাত জোনাকি
অনেক জ্যোৎস্নায় সেজেছে চাঁদ
অনেক প্রেমেও বাসর সাজে নি
ভালোবাসায় কোথাও তো ছিল ফাঁক,

চোখ ভেঙে ভেঙে নির্ঘুম রাত
স্বপ্ন ভেঙে অন্ধকার
যতবারই আমার মন ভেঙেছিস
ততবারই তুই আমার।