বিভাগের আর্কাইভঃ বিবিধ

শব্দনীড় ঈদ সংখ্যা – ই লিটলম্যাগ এ যাদের লেখা এলো

শব্দনীড় এ প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগার ব্লগে নিবন্ধন করছেন এবং লিখা পোস্ট করছেন। দিনের পর দিন শব্দনীড় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের স্বপ্নগুলো আরো বড় হচ্ছে। আমরা যেন ক্রমাগত সাহসী হয়ে উঠছি। দিনদিন প্রতিদিন। শিখছি। পড়ছি। একে অপরকে জানছি। শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছি।

ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। লিখা পাঠানোর প্রতিযোগিতা, আড্ডা, পরামর্শ। ব্লগারদের লিখা নিয়ে প্রকাশিত হয় ই-বুক বা ই-ম্যাগাজিন। যেখানে নতুন পুরোনো সকলের সম উচ্ছাসে উদ্ভাসিত হয় প্রযুক্তির আরো একটি দিক। ব্লগের লিখা পরের পাতায় চলে যায়। খুঁজে বের করতে হয়। সেখানে একটি ই-ম্যাগাজিন বুক শেলফে রাখা অলঙ্কারের মতো। উপহার দেবার মতো।

কলেজ জীবনের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কথা কি মনে পড়ে? ভুলে যাবার কথা নয়।
শব্দনীড় এগিয়ে যাবে তার আপন গতিতে। কেননা যেখানে ব্লগাররাই ব্লগের প্রাণ।

শব্দনীড় ঈদ সংখ্যা ২০১৩ – ই লিটলম্যাগ এখন সার্বিক দিক থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যে কোন দিন যে কোন সময় মুক্তি পেয়ে যেতে পারে আপনার আমার আমাদের প্রত্যাশিত এই এ্যালবামটি। যাদের লিখা এই সংখ্যায় এলো।

অনুবাদ কবিতা

stock-ve রেজা নুর
stock-ve জিয়া রায়হান
stock-ve অজরখেচর

গুচ্ছ কবিতা

stock-ve বাবুল হোসেইন
stock-ve ফরিদুল আলম সুমন
stock-ve আজাদ কাশ্মীর জামান
(ব্লগ নিক: মুরুব্বী)
stock-ve সুমন আহমেদ
stock-ve নাজমুন নাহার
stock-ve রিয়া দাশ গুপ্তা

কবিতা

stock-ve শাকিলা তুবা
stock-ve কে এম রাকিব
stock-ve ডা. দাউদ
stock-ve আফজাল খান
stock-ve চারুমান্নান
stock-ve মহাকালের প্রতিচ্ছবি
stock-ve খেয়ালী মন
stock-ve আশিক রেজা
stock-ve গাজী তারেক আজিজ
stock-ve তায়েবুল জিসান
stock-ve সালমান মাহফুজ
stock-ve বখতিয়ার শামীম
stock-ve গোমূমোকৃঈ
stock-ve সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল)
stock-ve এ হুসাইন মিন্টু
stock-ve উলুখাগড়া
stock-ve জহির খান
stock-ve রাজীব সরকার
stock-ve সঞ্জয় কুমার মুখার্জি
stock-ve মোহাম্মদ আনু
stock-ve বৈশাখী ঝড়
stock-ve তাহমিদুর রহমান
stock-ve ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী)
stock-ve জেড এ বাবুল পাঠান
stock-ve হান্নান হামিদ লিখন
stock-ve অপ্সরা মীম
stock-ve খন্দকার আযাহা সুলতান
stock-ve আজিম হোসেন আকাশ
stock-ve আমিনুল ইসলাম
stock-ve আলমগীর সরকার লিটন
stock-ve মোঃ রাফাত শেখ
stock-ve আর.এইচ.মামুন

ছড়া কবিতা

stock-ve এস. এম. কামরুল ইসলাম
stock-ve প্রিন্স মাহমুদ হাসান
stock-ve মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
stock-ve সুমন কুমার সাহু
stock-ve মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

গল্প

stock-ve মাহবুব আলী
stock-ve সুখী ইসলাম
stock-ve কবিরনি
stock-ve ভালবাসার দেয়াল
stock-ve সেলিনা ইসলাম
stock-ve নাজমুল হুদা
stock-ve আদর
stock-ve সুপণ শাহরিয়ার
stock-ve বদরুল ইসলাম
stock-ve কাউসার মোঃ সায়েম
stock-ve আরাফ করিম

প্রবন্ধ

stock-ve মাঈনউদ্দিন মাইনুল
stock-ve স্বপ্নীল
stock-ve এম. এ. বাসেত
stock-ve আমির হোসেন

সাহিত্য আলোচনা

stock-ve মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ
stock-ve ফিদা

মুক্তিযুদ্ধ

stock-ve সাঈদ মোহাম্মদ ভাই
stock-ve মোঃ খালিদ উমর
stock-ve জাজাফী

রম্য রচনা

stock-ve হরবোলা
stock-ve ডাক্তারের রোজনামচা
stock-ve শুভ্র সমুজ্জ্বল
stock-ve আ,শ,ম এরশাদ

প্রবাস

stock-ve তির্যক নীল

ভ্রমণ ও ছবি ব্লগ

stock-ve মাতরিয়শকা
stock-ve জেসমিন
stock-ve সাইক্লোন
stock-ve নিঃশব্দ যাত্রী

চিঠি

stock-ve কুহক
stock-ve এমদাদুল হক তুহিন

তালিকায় কারো নাম বাদ পড়লে পুনরায় সংশোধন করা যাবে। লিখক পাঠক এবং সম্মানিত সংগ্রাহক সবাইকে জানাচ্ছি প্রীতি এবং শুভেচ্ছা। শুভ ব্লগিং।
Devider

পোস্ট দাতার ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শুভ জন্মদিন … এবিএম শিবলী সাইক্লোন

birthday_casd

আমার দিনলিপি

ব্যস্ত আমার দিনলিপিতে সময় কোথায় পাই,
চলছি আমি সময় স্রোতে থামার সুযোগ নাই

বিশ্ব ঘড়ির কাঁটার সাথে বাঁধা আছে দম,
করতে হবে অনেক কিছু সময় অনেক কম।

কি পেয়েছি, পাইনি কি বা সেসব হিসাব রেখে,
জীবন খাতায় জমলো কি আজ সে টুকু লই দেখে।

কুড়িয়ে নিলাম অভিজ্ঞতা দিয়েও গেলাম কিছু,
চলছে সময়, চলছি আমি ফিরিনা ভাই পিছু।
birthday_124-2-1
shiblybirth

137616406534374অন্বেষণ: বে নি আ স হ ক লা

যদি আকাশের একটুকু নীল আনতে পারতাম,
দেখতাম সেই রং কি কষ্টের নীল কিনা …
আচ্ছা কষ্টের রং কি আসলেই নীল ?
কেন সবাই কষ্টের রং কে নীল বলে ?
কষ্ট হলে নাকি হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়,
সেটা কি নীল রক্তক্ষরণ ??

ইচ্ছে করে ওই সাদা পায়রার কাছ থেকে
একটু সাদা রং চেয়ে নেই,
শুভ্রতার রং, শান্তির রং,
খুঁজে ফিরি কোথায় সেই শান্তি
যা ওই সাদা সুভ্রতে লুকিয়ে আছে।

0935329_n 25fbf2f4 মাটির কোলে পরম সুখে ঘুমিয়ে থাকা ধান-বীজেরা অঙ্কুরিত। জেগে উঠে এক নতুন স্বপ্ন নিয়ে, ভোরের আলোর সাথে কথা বলে চুপি চুপি। দেখে আর দেখায় এক সোনালি ভবিষ্যৎ; আমি চেয়ে থাকি সেই ভবিষ্যৎ পানে, এক সুন্দর আলোর রেখার জন্মলগ্নে। আমি দেখেছি এক সোনালি বিন্দুকে পরিণতি পেতে, সেই স্বপ্নের আলোর রেখায় যার সাথে তালে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে আমার ভাবনার সবুজ ডালপালাগুলো। আমার চারিদিকে তাই সবুজ এক পৃথিবী আলোকিত হতে থাকে, আমি ছুঁতে চাই সেই সবুজকে হেসে ওঠা অঙ্কুরিত ধান বীজের সবুজ। প্রিয় ব্লগার সাইক্লোন। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন। আসুন জানাই আমাদের প্রিয় ভালোবাসা এবং অভিনন্দন।

happybirthdayblueflash
312hpdsga
raa

birthday cake ity
special cake
happ866
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ হোক ব্লগিং।

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

দিয়েছি অনেক … নিয়েছো তার চেয়ে বেশী …

ব্লগনিক : মুরুব্বী। আছি আজাদ কাশ্মীর জামান নামের অন্তরালে। যারা আমাকে একটু বেশী জানেন বিয়টি তাঁদের অধিকাংশেরই জানা। আজকের এই পোস্টটি আহামরি তেমন কিছু মানের বা গুণের নয়। আর্শীতে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখা এবং পাশাপাশি খানিকটা মূল্যায়ণের অপকৌশল মাত্র। আজ নিকট অতীতে ফিরে যাবো। কেননা এই পোস্ট দিয়েই আমার শব্দনীড় পোস্ট সংখ্যা দাঁড়াবে দুই শতাধিক। এই পর্যন্ত মোট ১৬৫ জনের প্রিয় লেখক তালিকার ব্লগ রোলে আমি রয়েছি। শব্দনীড় এ আমার যাত্রা শুরু : ১৩-১১-২০১০ ইং।

প্রকাশিত পোস্ট : ২০০টি। খসড়া পোস্ট : ২২টি। মন্তব্য কৃত পোস্ট : ১২১৫৫টি।

শব্দনীড় পরিসংখ্যান আনুযায়ী মন্তব্য করেছি : ১৯১৯৪টি। মন্তব্য পেয়েছি : ৩৮৫ জনের এবং মন্তব্য দিয়েছি : ৬৮০ জনকে। প্রকৃতি : ব্লগার নির্বিশেষে সামাজিক।

শব্দনীড় ব্লগ ঠিক যেদিন যে মুহূর্ত থেকে আত্মপ্রকাশ করেছে সেই দিন সেইক্ষণ থেকে আমি শব্দনীড় এ আছি। ব্লগ পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে আমার শব্দনীড় যাত্রা শুরু। মাঝে একটানা অর্পিত এই দায়িত্ব পালন ছাড়া আমি আমার সামর্থ্য আনুযায়ী ব্লগ এবং ব্লগারদের সংস্পর্শে থেকেছি। কখনো কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত্রির দ্বিপ্রহর পর্যন্ত। প্রত্যেকের ঘরে উঁকি মেরেছি। স্মৃতি থেকে যদি বলি : কফি হাউসের সেই আড্ডা গানটির বাণীর কথা মনে পড়ে যায়। কত জন এলো গেলো কত জনই আসবে আমিই যেন শুধু রয়ে যাই। কতো কতো মহৎপ্রাণ লিখিয়ে এলেন। আলোড়ণ তুললেন আবার ধোঁয়ায় মিশে গেলেন। পুরোনো গেলো অস্তাচল নতুনরা সে জায়গা পূরণ করে নিচ্ছেন জগতের মহান সত্যের মতোন। সবার এবং সব বেলার ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য; তেমনটাই আরোপিত বা স্থিত হয়ে এই শব্দনীড়েও। কারু জন্য কিছু থেমে থাকে না। হয়তো থমকে পড়ে কিছুক্ষণের জন্য; সব গতি ফিরে পায় জাগতিক সব অমোঘ নিয়তির মতো।

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম এটা বললে অত্যুক্তি হবে না। কেননা আজ থেকে এক বছর আগেও ব্লগারদের ছিলো সহ-ব্লগার প্রীতি। একেকটা পোস্ট মেতে উঠতো আনন্দ উচ্ছলে। যেন স্কুল জীবনের মতো বন্ধুদের কোলাহল। মন্তব্য আর প্রতি মন্তব্যে ভরে উঠতো যে কারু পোস্ট। ধীরে ধীরে ব্লগ যেন হয়ে উঠলো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কে কখন আসেন কখন বেড়িয়ে যান পুরোনোরাই টের পান না আর তো নবীন !! এটা ক্লেশের কথা নয়; হকিকত। পরীক্ষিত সত্য।

কথায় কথা বাড়ে। লিখতে গেলে আরো লিখতে হয়। আজ তেমনটা করতে চাই না। বলতেও আমি মানসিক ভাবে অন্তত প্রস্তুত নই। আজকের লিখার শিরোনাম : দিয়েছি অনেক নিয়েছো তার চেয়ে বেশী। আমার একটা পোস্ট ছিলো মেধাবী এক কিশোরীর প্লীহা অপারেশনে অর্থ সাহায্যে যারা হাত বাড়ালেন তাঁদের নাম আপডেট:: ঐচ্ছিক সাহায্য চাই। অনেকেরই মনে থাকবার কথা। অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন। ভুলে যাবারই কথা। পোস্টটি প্রদর্শিত হয়েছে ৪০০ বার।

শব্দনীড় এ সেই পোস্টটি ১৯শে জুন ২০১৩ইং থেকে ২৫শে জুন মধ্য রাত্রি পর্যন্ত সঞ্চালক নির্বাচিত অবস্থায় ছিলো। আমার বিশেষ এক বন্ধু ঠাট্টাচ্ছলে বলতেন ভিক্ষার পোস্ট আর কতদিন ঝুলবে !! আমি উত্তর খুঁজে পাইনি। পোস্টে ১৭ জন মন্তব্যকারী উপস্থিত হয়েছিলেন। নামে বেনামে দেখেছেন অনেকেই। পোস্টের মন্তব্য ঘরে মূল্যবান শব্দকথায় নিজের উপস্থিতি যারা দিয়েছেন শ্রদ্ধাভরে আমি তাঁদের স্মরণ করি। বৈশাখী ঝড়, মাতরিয়শকা, সুমন আহমেদ, তোফায়েল আহমদ, ডা. দাউদ, আরাফ করিম, উলুখাগড়া, চারুমান্নান, মহাকালের প্রতিচ্ছবি, আল আমিন ডলার পাঠান, মোঃ আমিনুল ইসলাম, ফেরদৌসা, আজিম হোসেন আকাশ, দামাল ছেলে, মাঈনউদ্দিন মইনুল এবং কে এম রাকিব। সবাইকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আমার অন্তস্থল থেকে তাঁদেরকে অনেক অনেক ভালোবাসা।

মি. মাতরিয়শকা আমাকে সেই দিনই ফোন করেছেন সুদূর রাশিয়া থেকে। এলিজা আকবর এগিয়ে এসেছেন ফেসবুকে। বৈশাখী ঝড় সরাসরি ফোন দিয়েছেন। ভিন্ন একটা ব্লগ বন্ধুব্লগ, শ্রদ্ধেয় ফেরদৌসা এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন তাদের নিজ নিজ সামর্থ আনুযায়ী এগিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে এই একটি পোস্টে আমার পুরোনো সেই বন্ধুরা কোথায় !! কেননা একই পোস্ট ফেসবুকে সমানভাবে প্রচারিত হয়েছে। আমি ফেসবুককে গণনায় আনতে চাই না। আমি পর্যবেক্ষণ করেছি আমাদের শব্দনীড়কে। দেখেছি দুটি চোখে বন্ধুদের এসে ফিরে যাওয়া।

সম্প্রতি আমি একটি প্লাগইন্স এর মাধ্যমে দেখতে পাই শব্দনীড় এ বর্তমান এবং সেই সময় নিবন্ধিত ব্লগার অফলাইনে কতজন এবং কারা কারা ছিলেন। বলার অর্থ হচ্ছে যাদের পাশাপাশি আজ আমার ব্লগিং জীবন প্রায় পাঁচ বছর, সেই পুরাতন বন্ধুদের আমি এই শব্দনীড়েই দেখেছি অথচ সাহায্য চাই পোস্ট বলেই কি তাঁরা ব্যস্ততা বা অনীহায় পোস্টটিকে এড়িয়ে গেছেন !! আমি কষ্ট পেয়েছি। ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। বন্ধুর প্রয়োজনেই বন্ধু সাহায্য চায়। আর এই প্রয়োজনেই পাশে এসে দাঁড়ায়। আফসোসের পাশাপাশি আমি আনন্দিত আমার পাশে পুরোনো বলতে ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে যারা যারা চেনেন তাঁরা কেউ এসে দাঁড়ান নি।

ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই : সবাই বন্ধু হয় না। কেউ কেউ হয়।
মনে রেখো … দিয়েছি অনেক … নিয়েছো তার চেয়ে বেশী।
নিজের ভেতর নিজেকে আড়াল করে রেখে দিলাম বন্ধু।

স্পর্শ প্রহর

আমার এক হাতে সবুজ পতাকা
অন্য হাতে কালো;
সবুজ আনন্দ আর যৌবনের প্রতীক,
কালো শোকের।

যেদিন তুমি আমার হাতে হাত রাখলে
সবুজ বৃক্ষরাজির বিনয়ে, ভরে উঠেছিলো প্রকৃতি
রাতের আকাশে ছিলো নধর চাঁদ
আমার বুকের ভেতরেও
ছিলো বর্ণচ্ছটা।

ঝাউবন অবিরাম ঢেউ তুলে
দিয়েছিলো সুখের বারতা।
আজ উজার হয়েছে ঝাউবন খসে গেছে চাঁদ
জলেরা মেঘ হয়ে ঢেকেছে আকাশ
আমার হাতে কালোপতাকা
নিদ্রাহীন স্বপ্নহীন জেগে থাকা অবিরাম।

মৃত্যুর অল্প আগে
কার কথা মনে পড়ে বেশী
লুকোতে ইচ্ছে হয় কি
দুর্ভেদ্য কোন আবাসে !!

মনে পড়ে কি শৈশবে
জ্যোৎস্না মাখানো যমুনার
তীর ঘেঁষে হেঁটে বেড়ানো
আর চোখে চোখ রাখার কথা;

মনে কি হয়
এই ভারগ্রস্ত অর্থহীন জীবনের
হিসেব নিকেশ শেষ হলেই ভাল !!
নাকি নিমিষেই নেমে আসে অন্ধকার চোখ জুড়ে
মস্তিস্কের কোষগুলো ভেঙ্গে খান খান হয়
ভাবনাগুলো এলামেলো অর্থহীন হয়ে
মিলায় অনন্তে …

কুয়াশায় ভেজা উত্তুরে
বাতাস আমায় আচ্ছ্ন্ন করে
একা আমি শূন্যে ভাসতে থাকি
চরাচর নিঃশব্দে ভাসতে থাকি।

স্পর্শ আবৃত্ত হীম দরোজা খোলা আমার
কালের প্রহর যে ফুরোয় না …

নীল নীল জ্যোৎস্নায়

d133b70876452aa51972b2e5ab8bff59

সেদিন দু’জনে জ্যোৎস্না দেখতে গিয়েছিলাম
মেঠোপথ ছাড়িয়ে যেখানে উদাস
বন শুরু হয়েছে সেখানে।
রূপোলি থালার মতো চাঁদ উঠলো
মনে পড়লো কি ভীষণ
রোম্যান্টিক ছিলো ছেলেবেলা;
এরকম জ্যোৎস্নায় ছুটোছুটি করে
কেটেছে খেলার ক্ষণ গুলো।

বনের ভেতরই মাথা উঁচু করে
দাঁড়ালো শৈশবের গ্রাম
পাশে বয়ে যাওয়া পদ্মা।
বনের প্রান্ত থেকে যেন একদল
হরিণী নেমে এলো-
সেই হরিণীদের একজন শৈশবের সঙ্গিনী।
বন তখন মাতাল জ্যোৎস্নায়
বুঁদ হয়ে আছে
মনে পড়লো ওর কোমল স্নিগ্ধ
স্পর্শ নেয়ার কথা।

শৈশব কৈশোর আর যৌবন
পিঠাপিঠি তিন সময়
কি দুর্দান্ত, এই ভরা জ্যোৎস্নার মতো
প্লাবিত করে সমস্ত কিছু।

আমি জানি আমার বলা হবেনা কিছুই।

আমি জানি কখনো হবার নয়,
তারপরেও যদি কখনো কোনো চাঁদনী রাতে আমার কথা মনে পড়ে-
তাহলে ওই খোলা আকাশের দিকে চেয়ে দেখো;
দেখবে তোমার মাথার উপর ছোট তারা হয়ে জ্বলজ্বল করে জ্বলছি।

কিম্বা কোন এক শীতের সকালে যদি আমার কথা মনে পড়ে-
তাহলে তোমার পদতলের ওই দূর্বা ঘাসের দিকে চেয়ে দেখো;
দেখবে দূর্বা ঘাসের আগায় শিশির বিন্দু হয়ে ভাসছি।

আজকের কথা কোনদিনই আর মনে থাকবে না তোমার,
তবু তুলতুলে ওই দুটি হাতের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে
তোমার জন্য কেনা তোমার জীবনের প্রথম ডায়েরির
প্রথম পাতায় লিখে দিয়ে গেলাম আমার অভিব্যক্তি।
যদি আর কখনো সময় না পাই

কথা গুলোন আমার পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে
অপূর্ব আজাদ পার্থক্য‘র উদ্দেশে লিখা।

সবাই চলে যাবে
আবার সবাই একদিন ফিরেও আসবে।
এই নীল জ্যোৎস্নায়

d133

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শুভ জন্মদিন … আনন্দময়ী

birthday_casd

আমার উনপঞ্চাশটি দুঃখ

আমার একটা দুঃখ নেই। সত্যি বলতে কি সেই অর্থে একটা দুঃখও আমার নেই। লোকে জিজ্ঞাসা করে সুখ কি? আর আমি বলি, দুঃখ তুমি কি? লোকে বলে সুখ সবচাইতে বড়। আমি বলি দুঃখের সাথে তার পাল্লা হয়না ভারী। যখন অনেক দুঃখ ছিল জীবনে, আমি সুখকে খুঁজে বেড়াতাম নিয়ত। তখনকার সেই অভিমানী দুঃখগুলোকে আমি ‘যাহ’ বলে গাল দিয়েছি কত। অথচ দুঃখ; এখন আমি তোমাদের ডাকি ‘এসো’। কিন্তু দুঃখরা আর আসে না। দুঃখরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। যাবার সময় বলে গেছে, তুমি আর ডেকো না। তোমাকে আমরা অজস্র হাসিখুশী সুখ বর দিয়ে গেলাম।
birthday_124-2-1
anndomoyeeeblog

136953475440524 এখন আমার কাছে অনেক সুখ, সুখের সাগর আমার। দুই পাহাড়ের মাঝখানে বহমান নদীর মত চকচকে সোনালী-রূপালী সুখ। আমার ব্যাগ ভর্তি রঙিন মাছের মত সুখ। রান্নাঘরের তাকে, গারদে রাখা শাড়ির ভাঁজে, বসবার ঘরের টেবিলে রাখা পোর্সেলিনের দামি জারে, গোটা স্টোর রূমেও তাদের ঠাসাঠাসি। একটু কষ্ট করে যদি শোবার ঘরের লাগোয়া বাথরুমে উঁকি দাও, দেখবে কমোডের ভেতরেও সুখ। পেয়ালা উপচে পড়া সোনালী তরলের মত বেসামাল মূর্খ সুখ সর্বত্র। সুখ যদি ইথারের মত কোন কাল্পনিক তরল হতো তাহলে আমি এক্ষুনি, এক্ষুনি তার অস্বিত্ত্ব প্রমান করে দিতাম নোবেল কমিটির সামনে। সহজ এই সুখের সমীকরণ।

394870_556754317687660_292152450_n আমি আর তোমাকে বলবো না অপেক্ষা মানেই অভিমান। ঘড়ির কাঁটা দশ ঘর পেরিয়ে কাত হয়ে গেলে প্রতি রাতে স্থির আঙ্গুল টলোমলো চোখে এঁকেবেঁকে দাগ কাটে শ্লেটে। তুমি যে বল প্রেম তবে গেলো কই? আমি বলি, এই দেখো আমার পেছনে, ভয়ে ভয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে কেবল তোমাকে। আর বলবো না কাউকে; ‘অপেক্ষা মানেই অভিমান”। একাকী হ্রদের ধারে, আমাদের সব দেনা মিটিয়ে বেঁচে যাওয়া তোমার ধোঁয়াটে চাঁদ বিনিময় হবে আমার বিষাদের সাথে। এমনি নিছক কিছু কথা ছিল তোমার কাজ ফিরতি পথে । এখন গাঢ় আঁধারের কালি লেপটে আছে আকাশে জলের শরীর কেটে পিছলে বেরিয়ে গেছে প্রেম। চিহ্ন কোথাও রাখেনি, রাখেনি শব্দও তার পায়ের শুধু নির্ঘুম তারাদল, ‘কে ছিল পলাতক’ জেনেছে । পলাতক জানলো না কেবল; ‘অপেক্ষা মানেই অভিমান’। প্রিয় ব্লগার আনন্দময়ী। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন।

happybirthdayblueflash
raa

birthday cake ity
special cake
happ866
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

মুখচেনা অনাসৃষ্টির স্রষ্টা … একটি অকবিতা

5249913_n

ইদানীং অনেকেই সৃষ্টি করে –
প্রতিষ্ঠিত করে হৃদয়ের বিচ্ছিন্ন যুক্তি
উড়িয়ে দিতে চায় নীল বিহঙ্গে
হৃদ কেন্দ্রিক উচ্চারণ গুলো
কী সংক্ষিপ্ত অভিনবত্বে
ছুঁড়ে দেয় বিজ্ঞের বিলাসিতায়।

ঠোঁটে তুলে নেন তাম্রকূট
নয়নে ধরেন উদাসীনতা বিস্তর
দেহে অবহেলার পরিচ্ছাপ;

বিরোধ গড়েন স্বয়ং স্বকীয়তার সংগে
হয়ে ওঠেন আলাপ বিমূখী কখনো সখনো
কখনো যুদ্ধংদেহী দেব পুরুষ
শব্দের অলংকারে তুলে নেন রঙ জল তুলি
নাক্ষত্রিক ক্যানভাসে
অস্পষ্ট অহংকার এসে যায় কলমের ডগায় …

একদিন, সময়ের সন্নাস ভাঙ্গে
বাস্তবতার অভিযাত্রা ছোঁয় তৃতীয় নয়নের জানালা
মুছে যায় ভাবনা, দিনের আলো ঢেকে দেয় কালো আকাশ।

সৃষ্টি অপেক্ষা পায় স্বভাবের দো’রে
স্বভাবের অভাব খেয়ালী
থেমে যায় সব, গম্ভীর হয়ে যায় সব। আর বুঝি হয়না –
সৃষ্টিকে যে লালন করতে জানেনা
সে কেমন শিল্পী
কেমন সে স্রষ্টা?

গৃহবাড়ি ধ্বসে যায় পুরাতন প্রেমের কম্পনে
যে যায় যেভাবে যায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিয়ে যেতে থাকে –
নিঃশব্দ চরণে প্রেম তবু আসে দুয়ার মাড়িয়ে।

5249913_naa

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শুভ জন্মদিন : মেঘ অদিতি

birthday_casd

অন্তরনগরের কবিতাগুচছ

আলো নিভিয়ে এসো
আজ রাতের আকাশ দেখি,
একক নীল নক্ষত্রের রাত।
সান্ধ্যশহর অতিক্রম করা
ডানাগুলি খুলে এখন
তাকে তুলে নেবো মুঠোর ভেতর;
নির্ঘুম রাত ধরা দেবে বাজপাখি নখে।
birthday_124-2-1
12209230_ueXDs_1367610071

136761351577155 বোবা ইশতেহার

ক্ষয়িষ্ণু রাত দুলছে মায়াবী পর্দায়
হা ঈশ্বর এইবেলা চোখ তোলো
অন্তত একবার দেখো
লঘুচালে বলা কথাগুলো –
কেমন সত্যি হয়ে উঠেছে
দেওয়ালে সেঁটে থাকা পোস্টারে তোমার মুখ
দেখো ইশতেহারে কার নাম লেখা
আর আমার কাছে একটা শব্দও নেই
যা দিয়ে কবিতা লিখতে পারি
জ্যোৎস্নার মধ্যে ঢুকে পড়ছে ভিখিরি এক মেঘ
আর শহরের সিঁড়ি বেয়ে বেনোজল।

394870_556754317687660_292152450_n 9d32a5ab2d56cc01327563b3caa44e96 কে থাকে, কি থাকে! কেউ না, কিছুই না। অদৃশ্য এক আততায়ী ছায়ার সাথে আমরা পথ চলি। সাথে সাথে নিয়ে ঘুরি অথচ ভুলে যাই তার অস্তিত্ব, ভুলে যাই সেই অমোঘ নিয়তির কথা। সে ভোলে না কিছু, দূর থেকে ক্রমে কাছে এগিয়ে আসে নিঃশব্দে। মুক্তি নেই, তার কাছ থেকে কিছুতেই মুক্তি নেই। স্তব্ধতার মাঝে ক্ষয়ে যেতে যেতে টের পাই সেই অদৃশ্য স্পর্শ যা আর কোনদিন আমার হাত দুটোতে উষ্ণতা এনে দেবে না। এখানে পড়ে আছে কেবল শেষ স্মৃতিচিহ্ন যা কেবল পোড়াবে আমৃত্যু, যা কেবল ভাসাবে নোনা জলে বাকী পথটুকু । সে আমাদের প্রিয় ব্লগার মেঘ অদিতি। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন।

happybirthdayblueflash
raa

birthday cake ity
special cake
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

শুভ জন্মদিন : সুমন আহমেদ

cake

জীবন

জীবনকে একবার চুম্বন করে দেখতে চেয়েছি
একবার ভেবেছি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
শিখে নেবো মন্ত্রপাঠ; মোহনীয় সঙ্গীত!

একবার তোমাকে ছুঁয়ে, জীবনকে ছুঁয়ে
দেখতে চেয়েছি!

একবার দেয়ালের লাল পোস্টারে সেঁটে হৃৎপিণ্ড
দেখতে চেয়েছি কতোটা ক্ষত-বিক্ষত হতে পারি!
নগরের বিষাক্ত বাতাসে কতোটা মৃত্যুর ঘ্রাণ
ছড়িয়ে কতোটা উল্লাসে মেতে উঠতে পারে,
নাগরিক সম্প্রদায়! বিনীত ভদ্র মহোদয়গণ!
birthday_124-2-1
10793948_Cgprirm_1366832582

136683150448471 পরষ্পর -০১

অতঃপর-
আলিঙ্গনাবদ্ধ চুম্বনে একটি শিশু আত্মার জন্ম হোল
আমরা একটি অভিমুখে ধাবিত হতে থাকলাম!
একটি আলিঙ্গনের রাতে, একটি চুম্বনের শব্দে,
একটি উষ্ণতর মুহূর্তে পরষ্পর
পরস্পরে গলে যেতে থাকলাম;

বাতাস গর্জে উঠলো; আকাশ বৈরি হলো
আমরা মিশে যেতে থাকলাম;

রাতগুলো-
আরো ঘনিষ্ট শব্দে, ক্রমশ: গভীর হতে থাকলো!

822e5 উচ্চারণগুলো লিখে দাও জলের ভেতর তুমুল শব্দ তুলে! ফাগুন আগুন হলে; শিমুলের বন হোক আরো লাল! উত্তপ্ত পুকুর জুড়ে হোক উষ্ণ আয়োজন! শুভ্র দেহখানি দেহতে ভাসাও! ঠোঁট যদি নেমে আসে ঠোঁটের নিকট, এস তবে শিখি আজ দৈহিক পাঠ! ত্বকের ভেতর ত্বক, এস রেখে আজ, ভাঁজের শস্য বুনি, ডাকে ফসলের মাঠ! কবিতা একদিন ভীষণ আহত ছিল; যেন গভীর কোন জঙ্গলে ডানা ভাঙ্গা আহত পাখিটির মতো; শাদা বকটির মতো! যেন সমুদ্রের পাড়ে পড়ে থাকা আহত মাছটির মতো! প্রবল বর্ষণে উদ্ভ্রান্ত পাখির মতো; তার নীড়ের মতো! সে আমাদের প্রিয় ব্লগার সুমন আহমেদ। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন।

happybirthdayblueflash
raa

special cake
happ866
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

শুভ জন্মদিন :: ফরিদুল আলম সুমন

cake

বৈশাখে তোমার শহরে যাবো

এ বছর বৈশাখে যদি তোমার শহরে যাই
মুঠোভরে নিয়ে যাবো বসন্তের জমানো পরাগ।
রোদেপোড়া রাজপথে বিছিয়ে দিয়ে আসবো
আমাদের প্রণয়ের মতন সজীব দূর্বাঘাস।
দাপুটে ঝড়ের জৈষ্ঠ্য মাসটা তুমি মনে হয়
বাইরে কাটাবে। দূরের কোনো শান্ত শহরে।
যদিও সারাটি বছর এই পাহাড়ি নদীর কাছে
পাথুরে সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি
অনায়াস বেঁচে থাকি চূড়ান্ত সুখের ভেতর।
তবুও সম্ভাব্য ভিড়, ধুলোবালিছাই পেরিয়ে
তোমার শহরে যাবো একবার।
উড়ে যাওয়া ধূসর মেঘের আঁচলে
রেখে দিয়ে আসবো পরাগরেণু।
birthday_124-2-1
9392731_Pwribi_

136608209039027 জীবন তোমাকে অভিবাদন

বেঁচে আছি বলেই বেঁচে আছে জীবনের
যাবতীয় ক্ষোভ। প্রতিবেশীর ঝুলবারান্দার
পোষা পাখির চোখে ছুঁড়ে দিতে পারি
নিজেরই পাখিহীন বিকেলের অভিমান।
কণ্ঠ আছে বলে রাত শেষে জেগে ওঠে
পিপাসার ভোর। একান্ত মাঠের কিনারা ঘেঁষে
একটি টলটলে সরোবর হলোনা ভেবে
বুক ঠেলে উড়ে গেছে চাপা শ্বাস, কতবার!
মৃতেরা কি ফুঁসেছে কখনো ক্ষোভে?
মৃতদের পাঁজর কখনো পুড়েছে কি কামনায়?
বেঁচে আছি বলেই বেঁচে আছে কামনার রঙ,
ভাতঘুম, সিগারেট, গ্রীন চা, কোজাগরী ঘ্রাণ।
চারপাশে এতো এতো মরনের ভিড়ে আমাকে
আজও বাঁচিয়ে রেখেছো বলে হে জীবন
তোমাকে জানাই হাজারো অভিবাদন!

199202 আমি লিখতে বসলে তুমি আর ওভাবে পেছনে এসে দাঁড়িয়োনা। নিঃসঙ্গ পিঠের ওপর ছড়িয়ে দিওনা সান্নিধ্যের কাঙ্ক্ষিত মায়ারোদ। এই আঁচটুকু পেলেই ইচ্ছে হয় খাতা ফেলে দিয়ে ক্যানভাস খুঁজি। তোমার পাঁপড়ির গায়ে সন্তর্পণ আঁচড়ে এঁকে দেই গোলাপের লাল। দুপুরের নির্জন ঘরের ওপাশে থরেথরে ফুটে আছে বিলাসী বাগান। চোখ না তুলেই টের পাই চন্দন সুগন্ধী বুকের সর্বগ্রাসী মোহ। আমি লিখতে বসলে তুমি আর ওভাবে চুপিচুপি কাছে এসোনা। তুমি এসে দাঁড়ালেই কবিতার ব্রত ভুলে আচমকা পুরুষ হয়ে যাই। সে আমাদের প্রিয় ব্লগার ফরিদুল আলম সুমন। আজ শুভ জন্মদিন।

happybirthdayblueflash
raa

special cake
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

বাংলা নববর্ষের ইতিকথা, স্বাগত ১৪২০

kheya বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ, বর্ষবরণের দিন, শুভ নববর্ষ। এদিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসব আমেজ আর ফুরফুরে বাতাসের দিন বসন্ত। আলপনা আঁকা শাড়ি আর পাঞ্জাবি ছাড়া যেন এদিনটিকে আর পালন করাই যায় না। সাথে লাল সবুজ আর সাদার মিশেলে হাতে, গালে ফুলকি আঁকা এখন হাল ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছরই ক্রমশ বাড়ছে বর্ষবরণের আমেজ। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের কল্যাণে এখন রমনার বটমূল থেকে পুরো ঢাকা হয়ে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে ঘটা করে নববর্ষ পালনের সংস্কৃতি। শুধু গ্রাম নয় শহর উপশহর রাজধানীর ঢাকারও বিভিন্ন অলিগলিতে বসে বৈশাখি মেলা। পান্তা- ইলিশ, বাঁশি, ঢাক -ঢোলের বাজনায় আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্ণতা পাচ্ছে বাঙালির এ উৎসব মুখরতা। কিন্তু যদি বলি এই নববর্ষের ইতিহাস কত দিনের ? হয়ত অনেকে বলবেন সেই অনেক বছর আগের ইতিহাস থেকে চলে আসছে বর্ষবরণ। আবার অনেকে হয়ত জানেন এর প্রকৃত ঠিকুজি কুষ্ঠি (ইতিহাস)। তারপরেও একটু ফিরে দেখা বাংলা নববর্ষের পথচলার ইতিহাসের দিকে।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাসঃ
হিন্দু সৌর পঞ্জিমতে, বাংলায় বারোটি মাস অনেক আগে থেকেই পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই সৌর বছর গণনা শুরু হত। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ভারত বর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য শুরুর পর থেকে আরবী বছর হিজরী পঞ্জিকা আনুযায়ী তারা কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরী সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে এর কোন মিল পাওয়া যেত না। আর তখনই সম্রাট আকবর এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলায় বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সম্রাটের আদেশ আনুযায়ী সে সময়কার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী সৌর বছর ও আরবী হিজরী সালেরও ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম তৈরীর কাজ শুরু করেন। বাংলা বছর নির্ধারন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই মার্চ বা ১১ ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে পরীক্ষামূলক এই গননা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে অর্থাৎ সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের তারিখ থেকে। প্রথমে ফসলি সন বলা হলেও পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিতি পেতে শুরু করে।

বাংলা মাসের নামকরণঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলা মাসের নামগুলো বিভিন্ন তারকারাজির নাম থেকে নেয়া হয়েছে। যেমনঃ বিশাখা থেকে বৈশাখ, জেষ্ঠ্যা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পূষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। অগ্র অর্থ প্রথম আর হায়ন অর্থ বর্ষ বা ধান। সম্রাট আকবরের সময়ে একটি বিষয় ছিল অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য, তা হল মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা নাম ছিল। যা কিনা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। তাই সম্রাট শাহজাহান ৭ দিনে সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণের কাজ শুরু করেন। ইংরেজী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইংরেজি ৭ দিনের নামের কিছুটা আদলে বাংলায় ৭ দিনের নামকরণ করা হয়। যেমন : সানডে- রবিবার। সান অর্থ রবি বা সূর্য আর ডে অর্থ দিন। এভাবে বর্ষ গণনার রীতিকে বাংলায় প্রবর্তনের সংস্কার শুরু হয় মোঘল আমলে।

বর্ষ বরণের প্রবর্তিত রুপঃ
তখনকার দিনে শুধু কৃষিকাজ করার তাৎপর্যকে ধারণ করেই বাংলায় বছর গণনার রীতি চালু হয়। কিন্তু বহির্বিশ্বের সাথে বাঙালিদের যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই খ্রিষ্টীয় সন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত পঞ্জিকা অনুসারে এ দিনটিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরী ও খ্রিষ্টীয় সনের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। তা হলো হিজরী সাল চলে চাঁদের সাথে আর খ্রিষ্টীয় সাল চলে ঘড়ির সাথে। একারণে হিজরী সনের নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনের মধ্য দিয়ে, ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের শুরু হয় ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে।

l.phpa নতুন বছর বরণে বাঙালি আয়োজনঃ
বাংলাদেশে বর্ষবরণের মূল আয়োজন মূলত ঢাকার রমনা পার্কের বটমূলকে (অনেকে বলেন অশ্মথ মূল) ঘিরেই। সেই আনন্দ আয়োজন আর পান্তা ইলিশের বাঙালিয়ানায় পুরো জাতি নিজেকে খুঁজে ফিরে ফেলে আসা গত দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন আর নতুন অনাগত সময়কে বরণের ব্যস্ততায়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জাতিই নিজেদের ইতিহাস সংস্কৃতিকে বরণের জন্য বিশেষ বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখে।

যেমন প্রাচীন আরবীয়রা ‘ওকাজের মেলা’, ইরানী’রা ‘নওরোজ উৎসব’ ও প্রাচীন ভারতীয়রা ‘দোলপূর্ণিমায়’ নববর্ষ উদযাপন করে থাকত। ( উল্লেখ্য, ইরানী’রা এখনো অনেক ঘটা করেই নওরোজ উৎসব পালন করে থাকে)। এখানে বলে রাখা ভাল, পূর্বপাকিস্তান সব সময়ই বাঙালি সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদে ১৯৬৫ সাল ( ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে) ছায়ানট নামের একটি সংগঠন রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ……এসো, এসো….গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানাতে শুরু করে নতুন বছরকে। বর্ষবরণ এগিয়ে যায় আরো এক ধাপ। বিস্তৃত হতে শুরু করে ছায়ানট নামের সংগঠনটির। যা এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি মহীরুহে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ছড়িয়ে পড়ে সবার অন্তরে অন্তরে। প্রতি বছরই কোটি বাঙালির অপেক্ষা থাকে কবে আসবে বাংলা নববর্ষ।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালা :
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যাণে এখন ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হওয়া বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান উপভোগ করে কয়েক কোটি বাঙ্গালি। ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় বৈশাখকে বরণের সব প্রস্তুতি করা হয় আগে ভাগে। পহেলা বৈশাখের দিন ভোরেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে উম্মুক্ত কনসার্ট, বাউল, লালন, জারী-সারি, মুর্শেদী গানের আসর। আর শহুরে অ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্বাদ থাকলেও এই দিন অন্তত নাগর দোলায় চড়তে চায় অনেক শিশুই।

পান্তা ইলিশ:

বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হল পান্তা-ইলিশ। যেন এই পান্তা-ইলিশ না হলে আর পহেলা বৈশাখের কোন আমেজই থাকে না। বেশ তো এই সুযোগে রমনার লেকের পাড়েই অনেকে বসে পড়েন ইলিশ পান্তা খেতে। সাথে থাকে কাঁচা মরিচ। মানে সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালিয়ানার পরিচয় দিতে যেন ব্যস্ত সবাই।

মঙ্গল শোভা যাত্রাঃ
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল গড়িয়ে যখন রমনা টি.এস.সি শাহবাগে মানুষের উপচে পরা ভিড় থাকে, তখন শুরু হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এখানে পশু পাখির মুখাকৃতির ছবিসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা অনুসঙ্গকে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং বেরং-এর মুখোশ ও আলপনার মাধ্যমে। ছেলে বুড়ো সবাই তখন মেতে ওঠে বর্ষবরণের মঙ্গলশোভা যাত্রার আনন্দে।

মেলা:
বৈশাখ মাস বলতে তো মেলার মাসকেই বোঝায়। একসময় শুধু গ্রাম গঞ্জে মেলা হলেও এখন এর পরিধি বিছিয়েছে শহরের বড়সর এপার্টমেন্ট ও হাই-সোসাইটিতেও। তবে পার্থক্য থাকে গ্রামের আর শহুরে মেলার। বাঁশের বেতের তৈজস আর নানা জাতের খেলার সামগ্রী, নারকেল মুড়কিসহ আরো কত কি থাকে এসব মেলায়- তার ইয়ত্তা নেই। মেলার সময়ে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর বসে এখনও।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলি খেলা। আর বর্ষবরণের এই মেলা প্রবাসীদের জন্য হয় মিলন মেলা। দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসরে বৈশাখী মেলা প্রবাসী বাঙালিদের দেয় অফুরন্ত আনন্দ। জাপানে প্রতি বছরই অনেক ঘটা করে বিশাল পরিসরে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। জাপান প্রবাসীদের এ মিলন মেলার রেশটা থাকে সারা বছর জুড়ে। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলোতে বসে বৈশাখী মেলার আয়োজন।

booshakh হালখাতাঃ

প্রাচীন বর্ষবরণের রীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবেই জড়িত একটি বিষয় হল হালখাতা। তখন প্রত্যেকে চাষাবাদ বাবদ চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করে দিত। এরপর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ভূমির মালিকরা তাদের প্রজা সাধারণের জন্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখতেন। যা পরবর্তীতে ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানিরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসে দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। এ উৎসব গুলো সামাজিক রীতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির ঘরে। এখনো গ্রাম গঞ্জে নববর্ষে হালখাতার হিড়িক পড়ে।

আধুনিক নববর্ষের সূচনাঃ
আধুনিক নববর্ষ পালনের তত্ত্ব তালাশ করতে গিয়ে জানা গেল ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তন ও পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরে ১৯৮৩ সালে একই ভাবে ভাল কিছু উদ্যোগ নেয়া হয় নববর্ষ পালনের জন্য। মোদ্দা কথা ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়নি। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়তে থাকে পহেলা বৈশাখ বরণের সাড়ম্বরতা।

বৈশাখ এলেই এর সাথে আসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবের কথা। প্রলয়ংকরী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে বসত ভিটা, জমি জিরেত, তারপরেও আবারো ফিরে দাঁড়ায় ঝড়ঝঞ্ঝার সাথে লড়াই করা প্রতিটি বাঙালি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে শুরু হয় ঘর বাঁধা। এসব দুঃখ-দূর্যোগকে ভুলে পুরো জাতিই মেতে ওঠে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ পালনের আনন্দে। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আনন্দে থাকে মাতোয়ারা। উৎসব প্রিয় বাঙালিরা জাতীয় উন্নয়নে এসব পার্বন থেকে নতুন সঞ্জিবনী শক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করলেই আর পিছিয়ে থাকবেনা আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২০ বঙ্গাব্দ। সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুনের দিনের শুভ সূচনা হোক, জাতি খুঁজে নিবে নতুন মুক্তির দিশারী।
সূত্র : নেট । অতিরিক্ত কৃতজ্ঞতা : শূণ্য।

শুভ জন্মদিন :: ডা. তৈয়বা

cake

মেঘের পরে আলোর ভীড়ে

বুঝতে দাওনি কেনো আমাকে
সাজিয়েছো যা হৃদয়ে,
ছায়া হয়ে ছিলে পাশে
বলো কি করে যাবো তোমায় রেখে
মেঘের পরে আলোর ভীড়ে।
তুমি-ই প্রথম চেয়েছিলে
বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
রেখেছো যে কতো মায়াতে।।
birthday_124-2-1
103664

7487615_lUlAx_ বুঝিনি এতোটুকু তোমাকে
হারিয়েছিলাম স্বপ্নের ঘোরে,
কতোটা পথ ঘুরে এসেছি
তুমি বন্ধু আমার ছিলে পাশে
মেঘের পরে আলোর ভীড়ে।
তুমি-ই প্রথম চেয়েছিলে
বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
রেখেছো যে কতো মায়াতে।।

toiyeba ভালোবাসার কথাটা এত কেন বলো তুমি? আমি মাঝে মাঝে ভুল করি – অবচেতন মনে বিশ্বাস করেই ফেলি – তুমি বোধ হয় সত্যিই – ভালোবাসো আমায় …।। সে আমাদের প্রিয় ব্লগার ডাঃ তৈয়বা। আজ শুভ জন্মদিন।

happybirthdayblueflash
raa

special cake
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

শতবর্ষ পেরিয়ে নারীদিবস এবং আজকের নারী: রণদীপম বসু

এক.
মানবসভ্যতার সেই লজ্জাকর মুহূর্তে নারী যখন সর্বগ্রাসী ধর্মীয় মৌলবাদী পুরুষতন্ত্রের হাতে এক ব্যবহারযোগ্য ভোগ্যপণ্য হিসেবে শৃঙ্খলিত হলো, সেই থেকে নারীসত্তা তার শৃঙ্খল ভাঙার অবদমিত ইচ্ছাকে লালন করে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে। পুরুষতন্ত্রের সেই আদিম ও আরোপিত ফাঁস থেকে নারীর আজো বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাকে বেরিয়ে আসতে দেয়া হয়নি। কেননা প্রচলিত সভ্যতা ও সংস্কৃতির গোটা প্রক্রিয়া ও কাঠামোটাই এই মৌলবাদী পুরুষতন্ত্র এক প্রতারণামূলক ধর্মতাত্ত্বিক বিটুমিন দিয়ে নিজের অনুকূলে ঢালাই করে নিয়েছে সুকৌশলে। প্রতিনিয়ত অসভ্য প্রহরায় রাখা সেই ঢালাই ভাঙা তো চাট্টিখানি কথা নয়।

পুরুষ নামের প্রাণীরা নিজেদেরকে মানুষ ভাবলেও ঘরে ঘরে যাদের সাথে সংসার করে আসছে শত শত বছর ধরে, সেই নারীও যে তার মতোই মানুষ এবং মানবিক অস্তিত্ব হিসেবে মানবসভ্যতায় সমসঙ্গি পুরুষের সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার ধারণ করে, তা বোঝাতে এবং পাওয়ার দাবীতে এই নারীকে ঘর ছেড়ে এক অনিশ্চিত আন্দোলনের রাস্তায় নামতে হয়। এটাই মানবেতিহাসের বহমান এক লজ্জার গাথা। মায়ের অভিন্ন গর্ভে একই পিতার ঔরসে জন্মানো ছেলেটির মতোই যে মেয়েটিরও জন্ম হলো, ছেলেটি পুরুষ হয়ে ওঠে আর সেই মেয়েটিকে বানানো হয় নারী। নারীবাদী লেখিকা সিমোন দ্য বোভোয়া তার ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’ গ্রন্থে তাই বলেন – ‘নারী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না, নারী হয়ে ওঠে।’ পুরুষশাসিত এই সভ্যতায় পুরুষরা স্বঘোষিত মানুষই হয়। কিন্তু নারীকে সাংস্কৃতিকভাবে এমন এক অদ্ভুত অস্তিত্ব বানিয়ে তৈরি করা হয়, শুধু সম্মানের সাথে ভোগ করার বেলায় পুরুষ তাকে আদর করে মানুষ বলে ডাকে। কিন্তু অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে পুরুষ নারীকে তার সমকক্ষ হিসেবে স্বীকার তো করেই না, উপরন্তু শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত বৈষম্যের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য দেয়াল তুলে তাকে বুঝিয়ে দিতেও কসুর করে না যে নারী একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ভোগ্যপণ্য বস্তু বা প্রাণীবাচক অস্তিত্ব কেবল। তার নিজস্ব কোন স্বপ্ন, কল্পনা, চাওয়া থাকতে পারে না। তার নিয়ন্ত্রণকারী হচ্ছে পুরুষ এবং পুরুষের চাওয়াই তার চাওয়া। কিন্তু পুরুষের পাওয়া তার পাওয়া নয়। সেভাবেই পুরুষ সৃষ্টি করেছে সংসার, সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম ও যাবতীয় তত্ত্ব। এর স্বত্ব ও বৈধতাও পুরুষ রেখেছে নিজের অধিকারেই। এই স্বয়ম্ভু স্বার্থপর পুরুষ সত্ত্বা আসলে কোনো মানবিক পুরুষ সত্ত্বা নয়, এক সর্বগ্রাসী দানবিক পুরুষতন্ত্র তা।

তাই সম-অধিকারের প্রশ্নে নারীর যে আন্দোলন সংগ্রাম, তা পুরুষের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ নারীর বিদ্রোহ নয়, বরং এক অবৈধ পৈশাচিক পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে বঞ্চিত নির্যাতিত মানবতার দীর্ঘ অসম যুদ্ধ। আর তাই অনিবার্য এ যুদ্ধে অনায়াসে সামিল হয়ে যান নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানবতাবাদী মানবহিতৈষী সকল মানুষ।

দুই.
০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ২০১৩ সালের এই তারিখে এসে নারী অধিকার আদায়ের সংগ্রামের বয়স আনুষ্ঠানিকভাবে একশ’ বছর এর বেশী পূর্ণ হলেও সংঘটিত আন্দোলনের অনানুষ্ঠানিক বয়স সম্ভবত দেড়শ’ বছরেরও বেশি। অথচ অবাক হয়ে ভাবতে হয়, পৃথিবীতে আর কোনো মানবিক আন্দোলনকে কি এমন দীর্ঘমেয়াদী ও চূড়ান্ত ফলাফল হীন অবস্থায় এভাবে অনিশ্চিত দূরগামী সক্রিয়তায় যুক্ত থাকতে হয়েছে ? নারী আন্দোলনের ইতিহাস এই প্রশ্নটাকে বিস্ময়ের সাথে এক অনিশ্চিত গন্তব্য নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে আজো।

আন্দোলন যতো তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক পর্যায়েরই হোক না কেন, তার সূত্রপাত ঘটে প্রথমত বস্তুগত বঞ্চনার পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকেই। নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়।

আজ থেকে দেড়শ’ বছরেরও আগের কথা। আমাদের এই উপমহাদেশে তৎকালীন ব্রিটিশরাজের অধীনস্থ সিপাহী, আমাদের বিক্ষুব্ধ পূর্বপুরুষ, মঙ্গল পাণ্ডে ১৮৫৭ সালে শৃঙ্খল ভাঙার যে ঐতিহাসিক বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ রাজশক্তি এটাকে সিপাহী বিদ্রোহ বলে প্রচারণা চালালেও মূলত তা-ই ছিলো ভারত উপনিবেশে আমাদের জেগে ওঠা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।

নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের যন্ত্রণা যে আসলেই একটা অভিন্ন আন্তর্জাতিক ভাষা, তার প্রমাণ পাই ঠিক সেই সময়কালেই অর্থাৎ ১৮৫৭ সালেই পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁই কারখানায় যখন নারী শ্রমিকরা দৈনিক ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি কর্মঘণ্টা পরিশ্রম, নিম্ন-মজুরি তথা মজুরি বৈষম্য, অমানুষিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। ফলশ্রুতিতে তাদের উপর নেমে আসে দমন পীড়নের প্রথাগত নির্যাতন। ৮ই মার্চের সেই ঘটনাকে বিশ্বের দেশে দেশে নিপীড়িত নারীরা কখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যাওয়া সম্ভবও ছিলো না।

১৮৬০ সালে এই নারী শ্রমিকরাই নিজেদের দাবি আদায়ের প্ল্যাটফরম হিসেবে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠন করেন। আর তাই অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবেই ১৮৬৮ সালে শ্রমিক শ্রেণীর সেই প্রথম আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে মহামতি কার্ল মার্কস শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামের সঙ্গে নারী অধিকার ও নারী মুক্তির বিষয়টিও তুলে ধরেন। তাদের প্রচেষ্টায় এর পর থেকেই নারী শ্রমিকদেরও ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য করা শুরু হয়। ফলে ১৮৭১ সালে ফ্রান্সে প্যারি কমিউনের বিপ্লবী সংগ্রামে প্রবল সাহসিকতা নিয়ে শ্রমজীবী নারীরা অংশগ্রহণ করে দেখিয়ে দেয় সমকক্ষতায় পুরুষের চেয়ে কোন অংশেই এরা কম নয়। এভাবে এসব আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নারীদের একটি বড় অংশের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।

উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে ১৮৮৯ সালে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিন সর্বপ্রথম রাষ্ট্র ও সমাজজীবনের সর্বক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে নারীর সমানাধিকারের দাবি তোলেন। আন্দোলন সংগ্রামের এই ধারাবাহিকতায় ১৯০৭ সালে জার্মানীর স্টুটগার্টে এই ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বেই প্রথম আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯০৯ সালে ৮ই মার্চ নিউইয়র্কের দর্জি শ্রমিক নারীরা প্রথম নারীর ভোটাধিকারের ঐতিহাসিক দাবি তুলে ধরেন। ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে ১৭টি দেশের ১০০ প্রতিনিধি নিয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবং এ সম্মেলনের গৃহিত সিদ্ধান্ত আনুযায়ী ১৯১১ সাল থেকে প্রথমবারের মতো নারীদের সমানাধিকার দিবস হিসেবে ৮ই মার্চ পালিত হওয়া শুরু হয়। এ ধারা অব্যহত থাকে এবং দেশে দেশে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যতটুকু জানা যায় অবিভক্ত ভারতে ১৯৪৩ সালে বোম্বেতে প্রথম ৮ই মার্চ পালিত হয়। আর বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কর্তৃক প্রথম ৮মার্চ পালিত হয়।

নারী অধিকারের এই যৌক্তিক দাবিগুলোকে মাথায় রেখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর প্রেক্ষাপটে ১৯৪৫ সালে সানফ্রান্সিসকোতে জাতিসংঘ মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নামের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। সেই থেকে সদস্য দেশগুলো তা পালন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়। আর বিশ্বব্যাপি পালিত হয়ে আসা ৮ মার্চের দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি বিল উত্থাপিত হয়। নিজ নিজ দেশের ঐতিহাসিক জাতীয় ঐতিহ্য ও প্রথার আলোকে মহিলাদের অধিকার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘ এই দিনটিকে দিবস হিসেবে পালনের জন্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানায়। আর এরই ফসল হিসেবে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহিত প্রস্তাব আনুযায়ী ৮ই মার্চ-কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।

আজ ৮ মার্চের নারী দিবসের দাবি শুধু মজুরি বৈষম্য বিলোপ ও ভোটাধিকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে তা ব্যাপ্তি লাভ করেছে নারীর অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। সেই ১৮৫৭ থেকে আজতক এই যে দেড়শ’ বছরের নারী মুক্তি আন্দোলনের পরিক্রমা, এতো দীর্ঘকালব্যাপী পৃথিবীতে আর কোনো আন্দোলনকেই বোধ হয় এমন অনিশ্চিত অভিযাত্রায় ঘুরপাক খেতে হয় নি। এটাই বোধ করি মানবেতিহাসে মানব সভ্যতার এক চরম পরিহাস! এখানেই প্রশ্ন আসে, সভ্যতার জারিজুরি মাখা আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজটা কি আদৌ বন্যতার আদিম সাম্য সমাজটাকেও অতিক্রম করতে পেরেছে? নইলে মানুষ পদ বাচ্যে থেকে পুরুষের সমকক্ষ হয়েও একজন নারীকে কেন আজো পুরুষের সমানাধিকার প্রাপ্তির জন্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করে যেতে হবে?

তিন.
১৯১১ সালে প্রথমবারের মতো নারীদের সমানাধিকার দিবস হিসেবে ৮ই মার্চ পালিত হওয়া থেকে ০৮ মার্চ ২০১০ এর ব্যবধান একশ’ বছর। এই সময়কালে সারা বিশ্বে একেকবার একেকটি করে বহু থিম নিয়ে নারী দিবস পালিত হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কতোটা উন্নতি হয়েছে তা ধারণা করা যায় এবারের নারী দিবসের শ্লোগান থেকেই। ‘সম-অধিকারের মাধ্যমে সবার অগ্রগতি’। অর্থাৎ নারী-পুরুষের সম-অধিকারের বিষয়টি এখনো প্রশ্নের পর্যায়েই রয়ে গেছে। কী সেই প্রশ্ন ?

প্রথমত অধিকার বলতে আমরা কী বুঝি ? মৌলিকভাবে এখানে দুটো বিষয়কেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার এবং ক্ষমতা-বলয়ে অংশগ্রহণের অধিকার। অর্থাৎ একজন পুরুষ স্বাভাবিকভাবে যে সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, সে তুলনায় একজন নারী কতটুকু সুযোগ-সুবিধা পান। একইভাবে ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয়ভাবে কতটুকু অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এই দু’পর্যায়ের অধিকারে নারী-পুরুষের তুলনামূলক প্রাপ্তি বা বঞ্চিত হওয়ার হার নির্ণয়ের মাধ্যমেই নারীর আপেক্ষিক অবস্থানকে চিহ্ণিত করা হয়ে থাকে। এটাই সারা বিশ্বে জেন্ডার সূচক হিসেবে স্বীকৃত। একটি জেন্ডার উন্নয়ন সূচক, অন্যটি জেন্ডার ক্ষমতায়ন সূচক। মূলত এই দুটো সূচক চিহ্নিত করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের এই সূচক দুটোর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে নারী-পুরুষের অবস্থান দেখানো হয় এবং সূচক আনুযায়ী বিভিন্ন দেশের অবস্থানও দেখানো হয়।

জেন্ডার উন্নয়ন সূচকে নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা প্রতিফলিত হয়ে থাকে। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন রিপোর্ট-২০০৯ আনুযায়ী বাংলাদেশের জেন্ডার উন্নয়ন সূচক দেখানো হয়েছে ০.৫৩৬। এই সূচকের অর্থ হচ্ছে পুরুষের তুলনায় নারীর সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির হার প্রায় অর্ধেক। ভিন্নভাবে বললে নারীরা পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই রিপোর্টে ১৫৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তম।

অন্যদিকে জেন্ডার ক্ষমতায়ন সূচকের মাধ্যমে দেখানো হয় নারীরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয়ভাবে কতটুকু অংশগ্রহণ করতে পারছে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয়কে তথ্য-উপাত্ত হিসেবে বিবেচনা করে সূচক নির্ণয় করা হয় তা হলো, জাতীয় সংসদে পুরুষের তুলনায় শতকরা কতজন নারীর আসন রয়েছে, কতজন নারী মন্ত্রী রয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক পর্যায়ে কতভাগ নারী রয়েছে, বিভিন্ন পেশাগত এবং কারিগরি কাজে নারীর অংশগ্রহণের হার কত এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও আয়বৈষম্য কীরকম। মোটকথা এখানে কিছু নির্ধারিত ক্ষেত্রে সুযোগের বৈষম্য তুলে ধরা হয়। এইসব তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে নির্ণীত জেন্ডার ক্ষমতায়ন সূচকে বর্তমানে ১০৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮। খুবই হতাশাজনক অবস্থান বলা যায়। আর বাংলাদেশের জন্য এই সূচকটি হচ্ছে ০.২৬৪। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য আরো ব্যাপক।

নারী-পুরুষ বৈষম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচকে যে হতাশাব্যঞ্জক চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে, রাষ্ট্র ও সরকার আন্তরিক হলে এর একটা সন্তোষজনক উন্নতি হয়তো সম্ভব। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তাসহ শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ যত বাড়ানো যাবে ততই অর্থনৈতিক জীবনে নারীর অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক হয়ে ওঠবে। কিন্তু শিক্ষার সুযোগ অবারিত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গেলেই যে রাষ্ট্রিক অর্থনৈতিক স্থিতি ও দেশপ্রেম সুলভ উদার মানসিকতার প্রয়োজন, সেই ভিত্তি টুকুর দিকে আমরা কি কখনো দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছি বা করি ? রবার্ট ফ্রস্ট-এর সেই বিখ্যাত কবিতাংশটি মনে পড়ে যায়-
‘আই হ্যাভ মাইলস টু গো !’

চার.
কী করিলে কী হইবে- বিশেষজ্ঞদের বাঁধানো পথে অর্থতত্ত্বের জটিল পরিক্রমায় হয়তো অনেক কিছুরই সমীকরণ মিলে যেতে পারে। কেউ কেউ মিলিয়ে দেবেনও হয়তো। এভাবে একদিন জেন্ডার সূচকে উন্নতির বিরাট প্রাপ্তিও অর্জিত হতে পারে। কিন্তু ‘সম-অধিকারের মাধ্যমে সবার অগ্রগতি’-এর প্রতিপাদ্য ধরে জেন্ডার সূচকে নারী-পুরুষের অধিকারের সমতা নিশ্চিত করতে হলে যে তাবিজটিকে উন্মুক্ত করা একদিন অবশ্যই জরুরি হয়ে ওঠবে, তার কথা জোরালোভাবে কাউকেই বলতে শুনি না আজো। যা না হলে সবকিছুই শেষপর্যন্ত ফাঁকা বুলি বা প্রতারণা ময় ফাঁকি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে সেটা হলো- ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধতা ও কূপমণ্ডূকতা থেকে দৈহিক ও মানসিক মুক্তি। এতদঞ্চলে যতকাল এই বিষবৃক্ষের উৎপাটন না হবে, ততকাল বাকি সব অসার বকবকানিই রয়ে যাবে।

প্রচলিত ধর্মীয় ব্যবস্থা যেখানে নারীকে পুরুষের সমকক্ষ হিসেবে কখনোই বিবেচনা করে না, সেখানে একইসাথে বৃত্তাবদ্ধ ধার্মিক ও প্রগতিশীল হওয়ার দাবী কি আদতে কাঁঠালের আমসত্ত্ব হওয়া নয় ? সমাজের ক্ষুদ্রতম প্রতিটা এককে আমরা যে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা নিয়ে পরম আয়েশে দিনযাপন করছি, একবারও কি ভেবে দেখেছি, নারীর সত্ত্বার মানবিক অধিকার না দিয়ে মা’কে শ্রদ্ধা, বোন’কে মমতা, স্ত্রী’কে সোহাগ বা কন্যা’কে যে বাৎসল্য দেখাচ্ছি আমরা, আসলে তা কী দেখাচ্ছি? এটা কি মর্মস্পর্শী ভণ্ডামীরই নামান্তর নয়?
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আজ আমরা যখন এই বিপুল মহাবিশ্বের অলিগলির খোঁজে ছড়িয়ে যেতে পারছি নিমেষেই, সেখানে পাশের একান্ত নারী-সঙ্গীটিকে চিনে নিতে সামান্য নিজের ভেতরে ডুব দিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি কেন আমরা? কোথায় তার সমস্যা? আদৌ কি ডুব দিতে চাচ্ছি আমরা, না কি পুরুষত্বের আদিম চামড়াটা ছিঁড়ে এখনো সত্যি সত্যি মানুষই হতে পারিনি? বাকি সবকিছুর আগে এর উত্তর পাওয়া জরুরি বৈ কি। নারী দিবসের শতবর্ষে এই চাওয়াটা বোধ করি খুব অযৌক্তিক হবে না।

ক্রমবর্ধমান পচনের উৎসটিকে রোধ না করে ধর্মতাত্ত্বিক সুগন্ধী মাখিয়ে মানবিক পচনশীলতাকে আর কতোকাল ঠেকিয়ে রাখা যাবে?


লেখক – রণদীপম বসু।
h-o-r-o-p-p-a-হ-র-প্পা।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’র মৃত্যুদণ্ড এবং ফেসবুক বন্ধ !!

সকাল এ ফেসবুক এ ঢুকতে সমস্যা হয়েছিলো।
কয়েকটা প্রশ্ন করলো: আমি কোন বিখ্যাত কে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট করেছি কিনা।
করে থাকলে তাহলে ক্যানসেল করো … ইত্যাদি বিষয়ক নাকে খত।

পরিশেষে না না টিক বক্সে চেক মার্ক আনচেক করে ঢুকেছি।
এখন আর ফেসবুক পাচ্ছি না।

দেখুন তো আপনাদেরও কি একই সমস্যা হচ্ছে নাকি কেবল আমারই।

এই মাত্র সংবাদ পেলাম যারা মোবাইল থেকে ফেসবুকে লগিন করে আছেন তারা ফেসবুক দেখতে পাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

নেট গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আবার কি আমরা কোন অন্ধকার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি !!

আপনারা যারা মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করছেন –
তাঁরা এই এড অন্স ব্যবহার করে ফেসবুক দেখতে পারেন। এখানে ক্লিক করুন।

addon টি আপনার ব্রাউজারে ইনস্টল করে নিন। এড্রেস বারের হাতের ডানে একটি এ্যারো দেখতে পারবেন। মাউস কার্সার দিয়ে এনাবল করে দিন।

ব্রেকিং নিউজ
মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে – দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’কে
মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১
২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮ টি অপরাধ প্রমাণিত।

তবে কেন নিজেরে দিয়েছিলে যোদ্ধা বলে পরিচয় ?

জামাতি ফেসবুক পেজগুলো কিছুদিন নীরব ছিল কিন্তু রাজিব হত্যার পর থেকে ওদের শক্তি দেখি অনেক গুন বেড়ে গেছে।
রাজিবকে ওরা মৃত্যুর পরেও শান্তি দিচ্ছেনা। নাস্তিক বলে গালাগালি করে যাচ্ছে। নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
নব উদ্যম নিয়ে ওরা আবার সাইবার মাঠে নেমেছে। ঠিক যেন বিজয় উল্লাস।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের সাইবার যোদ্ধাদের ঠিক এই সময়ে পাওয়া যাচ্ছেনা।
শাহবাগ নিয়ে ২০ টার উপরে পেজ ছিল একটারও কোন খবর নাই। কারণটা কি ?
শিবিরের ভয়? যদি তাই হয় তবে বলি,
মরনে যদি পাও এতো ভয়,
তবে কেন নিজেরে দিয়েছিলে
যোদ্ধা বলে পরিচয় ?