আনন্দনির্ভর
ভূমিতে পা রাখা আলতো সেবা হয়ে ওঠে
স্মিত ও টাটকা চপ্পল
জমির প্রতিটা তন্বী অণুর ওপরে
সুষমা উন্মুক্ত হয়ে যায়
দেখি বাতাসের রোমকুয়োয় ধূপকাঠি গোঁজা
আর শুকনো পাতার নিচে ব্যবহার না হওয়া নিঃশ্বাস
জ’মে থেকে মরে গেছে
মুছে যাওয়া আনন্দনির্ভর…
রাস্তার পাশের বাড়ি কড়াই-ছাত্র আর উনুন-মাস্টার মিলে
পড়াশোনাগন্ধের “সিরাজ”
চলৎশক্তি হেঁটে গেল, গতিশক্তি সাইকেলে, সুভাষিত বলো
নুড়িপাথরেরা
উঠি ইচ্ছে আমারও যে! গানের মাঝখান থেকে
গল্পের উপকারিতা থেকে, এমনকি পায়েসের কিশমিশ থেকেও
লাফ দিয়ে উঠে সবাইকে গোটো করে তুলতে চাইছি
হকারের জামায় স্টেশনারি দোকান যেমন
কবে থেকে গুটিয়ে শিরোধার্য করে রাখা মন আমাদের
বিছিয়ে দিলে সেগুন কলোনির ভেতর এই
অনন্ত ঘুরকাটা লাল সুরকির পথ হতো…
আপনার কবিতার ধরণ এবং গড়ণ দুটোই যেন চেনা শোনা। অন্যদের থেকে আলাদা।