ছয়
দেখে মনে হবে রেস্তোরাঁ। আসলে বাইরের ঘর।
মুখোমুখি বসে প্রেমকাহিনি বাড়িয়ে নিচ্ছিলাম
একবারও দৃষ্টি সরাচ্ছে না উজ্জ্বল আনন্দিত
চোখ সে-মেয়ের। অল্প নিউরটিক কি ঝিলাম?
তাকানোর মধ্যে একটা গোগ্রাস আছে। সে যেন
প্রেমের কাছে পিণ্ডদান চায়। আঙুলে আঙুলের
শেকড় জড়ানো, উঠতে গিয়ে মন অপরাধী।
“চলে যাচ্ছ! ভেবেছিলাম আজ দুজনে ধরা দিই…”
সে ও তার ল্যাব্রাডর — দুজন বলতে। ঝিলামের
ধূসর দাদাও ভেতরের ঘরে থাকে, প্রতিবেশীসম।
একদিন চা খেয়েছি একসঙ্গে, সিপগুলো গুনে
… এগারোটা। এ-বাড়িও পৃথিবীর একাদশ কোণে
আসতে আসতে একদিন দুম করে দাদাশূন্য ঘর
সিল্কের শাড়িটা ওর ত্বক থেকে পায়ের নুপূর
মরু-পরিশ্রম শেষে বর্ষা নামে দুগুণে চৌগুণে
ঝমঝম শব্দে ডুবছে চেন বাঁধা ক্ষ্যাপা ল্যাব্রাডর
আমি সেই বৃষ্টিজল থেকে মুখ তুলে দেখি, ঠোঁটে
জোয়ারির হাসি, কপালে কুর্নিশে উঁচু ডান হাত!
কোথাও প্লাবন নেই, কামনার তৃপ্তি ছেঁড়া পাতা
সে আমাকে দিল তার ইয়ারকির মতোই যৌনতা
ছিটকিনি খুলতেই কুকুর লাফিয়ে এসে ঢোকে
চন্দ্রদীঘল নারী, যেরকম স্কেচবুকে পাও
সামান্য আর্তির মতো ঘাসজমি শরীরে যেখানে —
সন্তানসজল চোখ, জিভ নেমে যায় বীতশোকে
বেরিয়ে এসেছি। সর্বস্বসমেত এই বেরিয়ে আসাকে
সি অফ করে না কেউ। দুই বন্ধু অন্তরঙ্গে আছে
যে কোনও সত্তায় ওরা সুগভীর, যেমন বোর্হেস
অন্ধ হয়ে যান, তবু হলুদ আলোটি পাশে থাকে
এই নীলোৎপল একা, না বুঝি না বোঝাতে সক্ষম
নাল ছিঁড়ে গিয়ে শুধু ঘূর্ণিদশা, শুভদৃষ্টি কম
.
[“ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক” বইয়ের কবিতা]
অভিনন্দন কবি চন্দন দা।
কবিতাটি পড়লাম। আপনি বরাবরই অসাধারণ লিখেন। প্লক্ষতরুণী শব্দটির কি অর্থ হবে?
প্লক্ষ মানে পাকুড়। একটা পাকুড় গাছের গোড়া থেকে সরস্বতী নদীর উৎপত্তি হয়েছিল। আমি প্লক্ষতরুণী বলতে দেবী বা নদী সরস্বতীকেই বুঝিয়েছি।
লেখাটি ষষ্ঠ খণ্ড। বাকি পর্ব গুলো পড়তে পারলে হয়তো এর ধারাবাহিকতা বুঝতে পারতাম। তারপরও বুঝবার চেষ্টা করলাম কবি। শুভেচ্ছা জানবেন।
এটা দীর্ঘকবিতা, নদী বা দেবী সরস্বতীর জন্ম আর বেড়ে ওঠা নিয়ে এক কাল্পনিক কাহিনি। সবটুকু দেওয়া মুশকিল। গোটা কবিতা একটু অগোছালোও। পরে সংশোধন করে প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে।
ধন্যবাদ কবি দা।
কবিতায় ভিন্ন মাত্রিক সৌন্দর্য্য রয়েছে। যারা অনুসন্ধাান করবেন তারা পাবেন।
সুন্দর প্রিয় কবি দা। মন্তব্যে একটি প্রশ্ন আছে দেখলাম। উত্তর দিলে জেনে যাবো।
মন্তব্য পেয়েছেন : ৪৮ জনের
মন্তব্য দিয়েছেন : ০ জনকে।
আহমেদভাই, আপনার দেওয়া পরিসংখ্যান পড়ে নিজেকে অপরাধী লাগছে। ক্ষমা করবেন আমাকে। আপনারা আমার সামান্য লেখা পড়ে মতামত দেন, প্রশংসা পাই, এইসব কিছুই আমাকে আগামি লেখার জন্যে শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চুপ করে আপনাদের মন্তব্যগুলো গ্রহণ করাকেই শ্রেয় মনে করি। কোনও প্রশ্ন থাকলে নিশ্চয়ই সাধ্য মতো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
লিখাটি ভারী সুন্দর চন্দন দা।