আজ দশ বছর পর তোমাকে দেখতে পেলাম
একটা হাই তুলতে গিয়ে
এক দশক আমি রেড সিগন্যালকে নিয়তি আর
ট্র্যাফিক পুলিশকে দেবতা মেনে ঘুরে বেড়িয়েছি রাস্তায়
তোমার অফিসের উল্টোদিকে গুটখা দোকানদারের
তিন মেয়ের নাম বেছে দিয়েছি অভিধান দেখে
আর এই গোটা সময়কালে আমি মূলত হাই তুলে গেছি
কোটি কোটি নানা সাইজ আর মনোভাবের হাই
ঘড়ি ধ’রে ওষুধ খাওয়ার মতো
চারপাশ দিয়ে জীবনযাত্রা উড়ে যাচ্ছিল বিমানযাত্রা হয়ে — উঁচু অনিশ্চিত,
আর আমি মেসার্স অতীতকাল অ্যান্ড সন্সের
প্রধান দরজার তাকিয়ে ভাবছিলাম, যে ফিরে আসে
সে হয়তো বাঁচে না, কিন্তু যে বেঁচে থাকে সে তো ফিরে আসেই
দিনগুলো হেডলাইন না নিয়ে আসতো
রুবি হাসপাতালের মোড় থেকে শুরু হয়েছিল প্রায়শ্চিত্ত
তবু যতবার মাটি খুঁড়ে অতলস্পর্শে যেতে চাই, কোদালের আগায় ঠং ক’রে লাগে নিজের করোটি। ন্যায় থেকে অন্যায় খুলে নেওয়া
মানে ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করা — বুঝে
আজ থেকে আজ পর্যন্ত আমি চুপ ক’রে আছি, আর
চারদিকে আলো লোহা হয়ে যাচ্ছে
কবিতার বই থেকে একটা-দুটো ইঁদুর লাফিয়ে পড়তে পড়তে দু’মলাটের মধ্যে
একপাটি বাঁধানো দাঁত ছাড়া কিচ্ছু নেই
দশ বছর পর আবার নক্ষত্রের অতিপর্ব তৈরি করছি
জামরুলকুঁড়ির ভেতরে; তোমার নেমপ্লেটের পাশে
ম্যাটাডোর-ভর্তি ক’রে নিয়ে যাচ্ছি নিজের ঠিকানা
কাল থেকে দুজনের একই পুজোকমিটি, এক কেবলভাড়া, এক রাস্তায় জমা রোদ্দুর। ভাবতেই শিহরণ হচ্ছে তোমার অটো থেকে
আমি খুচরোর অভাবে নেমে গেলাম…
[‘সন্তানপ্রণাম’ বইতে আছে]
আপনার কবিতার অসামান্য সৌন্দর্যই বলে দেয় লিখাটি কার। অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন দা। অনেকদিন শব্দনীড়ে আপনাকে দেখিনি। আশা করবো ভালো আছেন।
Very good post
দশ বছর পর আবার নক্ষত্রের অতিপর্ব তৈরি করছি
জামরুলকুঁড়ির ভেতরে; তোমার নেমপ্লেটের পাশে
ম্যাটাডোর-ভর্তি ক’রে নিয়ে যাচ্ছি নিজের ঠিকানা
কাল থেকে দুজনের একই পুজোকমিটি, এক কেবলভাড়া, এক রাস্তায় জমা রোদ্দুর। ভাবতেই শিহরণ হচ্ছে তোমার অটো থেকে
আমি খুচরোর অভাবে নেমে গেলাম…৷
ওায়াও। দারুণ।
বেশ দশবছর পর আবার চোখে দেখা মজাই লাগল কবি দা