অহংকারীদের অহংকার চূর্ণ করতে তু্ই আসিস!….

বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট আইসা
তুই তোর আলিঙ্গনে বাঁইন্ধা ফালাস..
বজ্র কঠিন – এমনভাবে জড়াইয়া ধরিস,
তোর থাইকা নিজেকে ছাড়াইয়া নেওয়া যায় না…
তোর সে ভালবাসার বন্ধন থাইকা মুক্তি পাইতে
বহুত কাঠ খড় পুড়াইতে হয়!

এমনই তোর সেই প্রেম রে আর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ!
তুই মানিস নে কোনো বাঁধা, মানিস নে ঝড় তুফান
তুকে আটকানোর সাধ্যি নাই কারোর।

তুই যা ভাইবা নিস তাই করিস,
আচম্বিতে তোর প্রেম উগড়াইয়া দিস যার তার উপর
যখন যেমন, যেখানে ইচ্ছে।

তোর চক্ষু লজ্জা নাই, তুই বেহায়া, তুই অসভ্য!
ঘুমের মাঝে কিংবা জাগরণেই হোক
তুই আইসা বুকে ঠোঁটে চোখে খাইতে থাকিস অনবরত চুমু
তোর বিষাক্ত চুমুতে একেকটা মানুষ হইয়া যায় নাস্তানাবুদ।

ঝাপটাইয়া ধইরা শুইয়া থাকিস মখমলের বিছনায়
সহজেই তোর থেকে কেউ নিজেকে ছাড়াইয়া নিতে পারেনা।
নাকে, চোখে অবিরত জল ঝরাইয়া তুই
আনন্দে লুটাইয়া পড়িস সর্বাঙ্গে, তুই একটা খাটাস! ছি!

তোর সে বিষ ঠোঁটের বিষ ঢাইলা দিস যখন ইচ্ছে যার তার দেহে
কত শত অহংকারী মানুষকে তুই ধুলায় লুটাইয়া দিস
দম্ভ চূর্ণ কইরা দিস তুই হা হা হা হা, কতটা নির্দয় রে তুই!
তোর আদর এতটা নিবিড়, চুপসে নিস দেহ হইতে ভালবাসার নিখাদ নির্যাস,
রক্ত, রস, ঘাম, শক্তি চুইষা নিস ধীরে ধীরে একেকটা দাম্ভিক সুন্দর দেহ হতে।

তুকে ভালোবাসে না রে কেউ, অথচ তুই ভালোবাসিস তোর সর্বশক্তি দিয়ে যাকে তাকে
তোর ভালোবাসা পাইলে কেউ সে যৌবন থাইকা ক্ষয়ে হইয়া যায় বৃদ্ধ
তুই পারিস যখন তখন কাইড়া নিতে শক্তি,
তুই কইরা দিতে পারিস চোউখ ঝাপ্সা, চামড়া ঝুলাইয়াও পারিস দিতে,
কতটা নির্মম তুই বুঝতে পারছিস খবিশ!

তোকে তাড়াতে মানুষ স্মরণাপন্ন হয় তোর জল্লাদ সাদা এপ্রোনে মুড়ানো কারো নিকটে
তুইতো তখন ভয়ে যাস কুঁকড়াইয়া, সেঁটে থাকিস কারো দেহ জড়াইয়া
ইনজেকশন পুশ কইরা তুকে দিতে হয় শাস্তি
কিংবা এন্টিবায়োটিকের মাত্রা হয় বাড়াইতে,
গাদার গাদা ট্যাবলেট, ক্যাপ্সুল করাইতে হয় গলদঃগরন
তবেই তো তুই হইতে থাকিস দুর্বল, পালাইতে হোস প্রস্তুত
সহসা নাইমা পড়িস ঘাড় থাইকা,
তবে যাওয়ার কালে একেকটা মানুষকে কইরা যাস পঙ্গু
কাইড়া নিয়ে যাস টাকা কড়ি সব ভিটামিন আর চলৎশক্তি।

তুই বড় নিষ্ঠুররে, তোর দিলে দয়া মায়ার লেশ নাই
হতচ্ছাড়া বেঈমান তুই,
তুই ভালোবাসতে না আসলে মানুষ আদায় করে শোকরিয়া
আর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে প্রভুর, বলে তুই ছাড়া বেঁচে থাকা আল্লাহর রহমত
তুই বুইঝা ল, তুই কতটা বিরক্তের আর ঘৃণার হা হা হা!!

তবে তুকেও সময়ে অসময়ে প্রয়োজন, তোর ভালোবাসা না পেলে মানুষই বুঝেই না সুখের মর্ম
অহংকারী হইয়া বুক ফুলাইয়া কইরা যায় নানান অপকর্ম।
তোকে বলছি শুনে যা, তুই আসিস যখন মানুষ ভুইলা যায় প্রভুর দয়া
সব চূর্ণ করে দিতে আসিস ফের, যখন তখন, যেথায় সেথায়…
নিমন্তন্ন রইল তবে!

August 3, 2016 at 10:31 AM

২০১৬ সালে এই দিনে লিখেছিলাম কে জানতো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্যিই আমাদের সম্মুখে এসে দাঁড়াবে। এই লেখাটি পড়ে নিজেই হাসতেছি মনে হচ্ছে এ এক ভবিষ্যতবাণী । ফেসবুক মনে করিয়ে দিলো তাই এখানে পোস্ট দিয়ে দিলাম। এসব আবোল তাবোল লেখা সরি :(

8 thoughts on “অহংকারীদের অহংকার চূর্ণ করতে তু্ই আসিস!….

  1. "এমনই তোর সেই প্রেম রে আর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ!
    তুই মানিস নে কোনো বাঁধা, মানিস নে ঝড় তুফান
    তোকে আটকানোর সাধ্যি নাই কারোর।"

    অনেক সুন্দর হয়েছে প্রিয় কবি এই মেঘ এই রোদ্দুর। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া জি

      ভালো থাকুন

  2. তুই বড় নিষ্ঠুররে, তোর দিলে দয়া মায়ার লেশ নাই
    হতচ্ছাড়া বেঈমান তুই,
    তুই ভালোবাসতে না আসলে মানুষ আদায় করে শোকরিয়া
    আর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে প্রভুর, বলে তুই ছাড়া বেঁচে থাকা আল্লাহর রহমত
    তুই বুইঝা ল, তুই কতটা বিরক্তের আর ঘৃণার হা হা হা!! 

    এক কথায় অসাধারণ! আর ভবিষ্যতবানীর কথা বললে তো দারুন ভাবনা https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    1. আন্তরিক ধন্যবাদ সাইদুর ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।