স্বাধীন ভারত স্বদেশের গান (গীতি কবিতা) দ্বিতীয় পর্ব

পরাধীন ভারতবাসীর স্বাধীনতার স্বপ্ন
স্বাধীনতার সংগ্রাম…… স্বাধীন ভারত

তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

১০০ বছর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক শোষনঃ
১৭৬৫ সালের ১লা অগাষ্ট লর্ড ক্লাইভ দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করেন। বিহার-ওড়িশার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা লাভ করে, নবাবের নামে মাত্র অস্তিত্ব থাকে। ফলে পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে যে শাসন-ব্যবস্থা চালু হয় তা দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। নবাবের হাতে থাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব, আর রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের পূর্ণ কর্তৃত্ব পায় কোম্পানি। এতে বাংলার নবাব আসলে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে আর এই সুযোগে কোম্পানির লোকেরা খাজনা আদায়ের নামে অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচার শুরু করে দেয়। মূলতঃ ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল এই প্রায় ১০০ বছর ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে ভারতবর্ষের শাসনভার থাকে।

৯০ বছরের ব্রিটিশ ভারত ঔপনিবেশিক শোষনঃ
এরপর ১৮৫৮ সালে ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তির হাতে স্থানান্তরিত হন। রাণী ভিক্টোরিয়া নিজ হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ ভারতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভারতবর্ষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধঃ
প্রায় এই ১৯০ বছর এই ভারত ভুখণ্ডের মানুষরা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করেছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে। আর তাই ১৮৫৭ সালে ভারতে প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন হয়। কিন্তু বর্বর ইংরেজদের ভাষায় ওটা ছিল “সিপাহী বিদ্রোহ”।

ইংরেজ সেনাবাহিনীর অন্তর্গত ভারতীয় সিপাহীরা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহে মূল ভূমিকা পালন করে। ইংরেজ সরকার এই বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করলেও এর মাধ্যমে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়।

স্বদেশের গান (গীতি কবিতা) দ্বিতীয় পর্ব
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

দারুণ আঘাতে পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করো
বিদেশীদের শাসন হতে নিজেদের মুক্ত করো
পরাধীন জাতি ভারত-সন্তান সবাই অস্ত্র ধরো

নাহি ভয় নাহি ভয়,
আমরা করবো জয়।

সংগ্রাম … ! সংগ্রাম … !
……………….আমাদের সংগ্রাম চলবে।

পরাধীন ভারতবাসী শেষ কথা বলবে।
দিন আগত। সেদিন একদিন আসবে।

দিনকে করেছে যারা অমানিশার রাত।
চিনে নাও ওদের ওরা বিদেশীর জাত।
ওরাই করে হিন্দু-মুসলমান জাত-পাত।

হিন্দু-মুসলমান সকলেই ভাই ভাই,
সেই ভাই-ভাইয়ে কোন ভেদ নাই,
জাতির বিচার তাই করো না সবাই,

হবে জয় …নাহি ভয়,
করো প্রতিজ্ঞা দুর্জয়,

সংগ্রাম … ! সংগ্রাম … !
……………….আমাদের সংগ্রাম চলবে।

পরাধীন ভারতবাসী শেষ কথা বলবে।
দিন আগত। সেদিন একদিন আসবে।

বিদেশীদের দেশ থেকে করবো নিপাত।
মুসলমান ও হিন্দু এসো বন্ধু ধরো হাত।
মিলিত আক্রমনে ওরা হোক কুপোকাত্

তুমি মুসলিম আমি হিন্দু
ঢেলে দেব শেষ রক্তবিন্দু

সংগ্রাম … ! সংগ্রাম … !
……………….আমাদের সংগ্রাম চলবে।

পরাধীন ভারতবাসী শেষ কথা বলবে।
দিন আগত। সেদিন একদিন আসবে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “স্বাধীন ভারত স্বদেশের গান (গীতি কবিতা) দ্বিতীয় পর্ব

  1. পরাধীন ভারতবাসী শেষ কথা বলবে।
    দিন আগত। সেদিন একদিন আসবে।

    নিশ্চয়ই সেদিন আসবে। অমিয় সুখ সাধনায় তৃপ্ত থাক আমার প্রতিবেশী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।