বসন্ত জানে

চৈতন্য হারা অরণ্য পুড়ছে প্রখর রোদ্দুরে
তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ছুঁয়েছে পলাশ অগ্নিঝরা দুপুরে
আকাশ জুড়ে আবেগের বলিরেখা- বিদীর্ণ সুর
চোখে তার অমর্ত্যের স্বপ্ন আঁকা- বুকে ভাংচুর।

শুনি চারদিকে কড়মড় ধ্বনি
তেপান্তরের বুক ছুঁয়ে আসা বাতাসের কানাকানি,
অন্তরে অন্তরে অজস্র বুনোহাঁসের ফিসফাস
বসন্ত চুম্বনে পুড়েছে জীবন্ত নদী- বিহঙ্গীর গুপ্ত নিবাস।

আমি বিনে কেউ দেখেনি- তন্বী নয়নের বহ্নি
দেখেনি,বাউলের গানে প্রাণের আকুতি বেড়েছে বহুগুণ,
সাপ নেউলের আলিঙ্গনে বিস্মিত শকুন,দেখেছে রুদ্ধ শনি!
অথচ, বসন্ত জানে- কোন সুবাসে মত্ত হয় মন, সিক্ত হয় ধরণী।

দা উ দু ল ই স লা ম
১৮/২/১৭

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “বসন্ত জানে

  1. বারুদের মতো একেকটি লিখা দিয়ে এমন মুগ্ধ করে গায়েব হয়ে যান যে,
    আশে পাশে খুঁজেও আপনাকে পাইনা স্যার। অসাধারণ লিখিয়ে আপনি স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।