সমাধির প্রান্তদেশে

আমরা আমাদের পশ্চাতে ফেলে আসি
আমাদের প্রত্যাগমনের পথ, জন্ম প্রহর, মহেন্দ্র স্বর
ফেলে আসি কস্তূরী গন্ধ,
জননীর পীযুষ দুগ্ধ- মৃণ্ময়ী চাদর…
অথচ এই আমরাই
প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করি নতুন নতুন জন্মের ভেতর;
প্রতি লহমায় লাভ করি জীবনের স্বাদ
কখনো অনন্ত, কখনো খুনসুটি-আহ্লাদ, কখনো তিক্ত বিষাদ
জীবন নির্গত- প্রতিদিন…
চয়নিকার মত রচিত বিগত ইতিহাস! রাত প্রহরে
প্রতিদিন কত ধ্বনি, কত সঙ্গসার… চরাচরে
মতে-দ্বিমতে কত কথার ফুলঝুরি
অন্তরে- অন্তরে কত অন্বয়- সমন্বয়; উদাসী ঘোরে
কত কান্না, রুদ্ধশ্বাস, কত অশ্রু নিভৃতে ঝরে…

আমরা আমাদের আবৃত রাখি মাতৃ জঠরে, মায়ারন্ধ্রে…
সম্বন্ধ গুলো বৃত্তের আবর্তের মত- কোনটি রক্তিয়, কোনটি আত্মীয়…
প্রজন্মের পর প্রজন্ম; আমরা নিমিত্ত খুঁজি স্বর্গ মর্ত্যের সংসারে…
অন্তহীন সমুদ্রে
ঠাই –অঠাই সাঁতারে
নদীর আর্তনাদে এবং কি অরণ্য গহ্বরে প্রাচীন শিলাস্তরে…
খুঁজে ফিরি অস্তিত্বের সুবর্ণ শিখা
একের পর এক জন্ম উৎসব, পরম্পরার সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে
সদ্য প্রসবকৃত উত্তরাধিকার… দুর্লভ রঙ তোরণ;

এখানে কোন সংস্কার নাই…
এবড়ো থেবড়ো পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাই সমাধির প্রান্তদেশে
বৃষ্টির মত কান্নার স্বর… মায়ার আলিঙ্গন ছিন্ন করে
জীবন অতিক্রম করে ধোঁয়াশা পূর্ণ একটি কবিতার প্রহর…

দা উ দু ল ই স লা ম
২৪/৭/১৭

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “সমাধির প্রান্তদেশে

  1. পরিশেষ মুগ্ধতা স্যার দাউদুল ইসলাম।
    শব্দনীড় আপনার ব্যস্ত সময় থেকে আরও কিছু সময় দাবী করে। দিতে পারেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. সালাম জানিবেন স্যার
      কিছুই পারছিনা… অবক্ষয়ের পথ দৌড়াতে দৌড়াতে আমি ক্লান্ত।
      দৌড়াতে হয় বলে শক্তি চাই… শক্তির জন্য লিখতে হয়
      তাই আসতে হয়…
      একদম স্বার্থবাদী চিন্তা বলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা আরো কঠিন

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।