পাঁজরের অভ্যন্তরে পাঁজর স্তব্ধ হবার অপেক্ষা

পাঁজরের অভ্যন্তরে পাঁজর স্তব্ধ হবার অপেক্ষা

আমি পালিয়ে গেলাম প্রবল অহংকারের তেজদীপ্ত আলো থেকে
পালিয়ে গেলাম গগন বিদারী শীৎকারের অতৃপ্ত বঞ্চনা থেকে,
আর সবার মত বাঁচতে পারিনি অবনত মস্তকে; প্রকাশ্য দিবালোকে
মানতে পারিনি মিথ্যা প্রহেলিকার নির্মম অগ্রাসনের বিমূর্ত রূপ!

ছেড়ে গেছি, হ্যাঁ আমি পালিয়ে গেছি!
ভীত কাপুরুষের মত সরে এসেছি পেছনে।

তোমরা আমাকে বাঁচাতে পারোনি, বাঁচতে দাওনি
সভ্যতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমি শিখেছি দহন সহ্যের ক্ষমতা!
সে সভ্যতাই তোমাদের গলায় ঝুলে দিয়েছে অহংকারে অলংকার
বিদীর্ণ প্রান্তরের জলশূন্য তৃষ্ণা, হাহাকার
সবুজের বিলীনতা দেখে দেখে আমি খুঁজে নিয়েছি অস্তিত্বের ঠায়
যেখান থেকে তোমরা সরিয়ে নিয়েছো মানবতা, দেবতার মূর্তি
সরিয়ে নিয়েছো এক একটি জন্মচিহ্ন; প্রেমিকের আশ্রম, স্থিতি।

বহুদিনের ক্লেদাক্ত পায়ে পালিয়ে এসেছি সংকীর্ণ অন্ধকারে
এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের বালাই নাই, অদৃশ্য হুংকারে
মন ভাঙ্গার উল্লাস নাই…তাণ্ডবের উচ্ছ্বাস নাই
এখানে কেবল অপেক্ষা………
পাঁজরের অভ্যন্তরে পাঁজর স্তব্ধ হবার অপেক্ষা…।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

8 thoughts on “পাঁজরের অভ্যন্তরে পাঁজর স্তব্ধ হবার অপেক্ষা

  1. "সভ্যতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমি শিখেছি দহন সহ্যের ক্ষমতা!
    সে সভ্যতাই তোমাদের গলায় ঝুলে দিয়েছে অহংকারে অলংকার
    বিদীর্ণ প্রান্তরের জলশূন্য তৃষ্ণা, হাহাকার।"

    কবিতার অংশবিশেষ টেনে আনলেও পুরো কবিতাটিই অসাধারণ হয়েছে স্যার। শ্রদ্ধা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. পরিচ্ছন্ন আর বক্তব্য নির্ভর আধুনিক একটি কবিতা পড়লাম কবি দাউদ ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif কোথায় আপনি ? https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।