অধরা তাপসী

অধরা তাপসী

অধরা তাপসী, হে প্রিয়তমা আমার
দেখো ঐ অকূল প্রান্তর থেকে, ছুটে আসছে দুর্মার অন্ধকার; দেখো ঐ হিজলের বুকে বিঁধে আছে অপয়া বিষাদাগার, তপ্ত বিলাসী প্রজাপতির ডানা জোড়ার বর্ণাঢ্য কারুকাজে জমেছে ধুলোর আস্তরণ, বিস্মৃতির বিরহী সুর বাজে। অলীক অহংকারে দূর আকাশে মেঘের বনে ঠুমরীর গর্জন বজ্র হুংকারে শুনো আমার আর্ত চিৎকার! যে আকুতি ঘিরে কেঁদেছি বার বার, দেখো সেই ঘোরে ডুবে আছে সহস্র স্বপন তোমার -আমার। ক্রুদ্ধ স্মরে যে কথা বলে যাই, দুঃস্বপ্নের গহ্বরে তার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই; এই সেই মিনতি বিগলিত অলকানন্দা হয়ে তোমার চরণে দিয়েছে আরতি; বৃন্তচ্যুতে যেই উত্তাপ তোমাকে বিস্ফোরণ করেছে টগবগে লাভার মতন, এই সেই শীতল দৃষ্টি; যেই চোখে পেতে পারো এক পশলা জীবন।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “অধরা তাপসী

  1. "অলীক অহংকারে দূর আকাশে মেঘের বনে …
    ঠুমরীর গর্জন বজ্র হুংকারে শুনো আমার আর্ত চিৎকার!" __ চমৎকার স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।