দাউদের কাব্যময় উচ্ছ্বাস : দেবী ও কবি ৩৫

debi o kobi

কবি,
তোমাকে পেয়েছি আমার আজন্ম তপস্যায়,
পেয়েছি জীবনের ঘোর অমানিশায় নিভু নিভু যখন জীর্ণ প্রদীপ;
তোমাকে পেয়েছি প্রাণের বিদীর্ণ চাতালে যখন বুভুক্ষুর আর্তনাদ
যখন বিদগ্ধ শ্মশানে পোড়মাটি ভেদ করে জেগে উঠল প্রেতাত্মা
দিগন্ত ছেদ করে যখন অবিরত বজ্রনিনাদ হলো উন্মাদ! তখন-
তুমি বিষাদের ক্লেদে ঢেলে দিলে শীতল জলের আস্ফালন।
তোমাকে ফিরিয়ে দেয়ার স্পর্ধা ছিলোনা কবি
ভয় ছিলো !
আশঙ্কা ছিলো, মোহও
বিবর্জিত জীবনের নির্বাসিত প্রাণের চৌকাঠে তুমি এলে
উজ্জ্বল দীপাবলির মত; আমি আমার রমণীয় স্বপ্নে ফিরে এলাম
পদ্ম-কমল দোলা। ভরা জ্যোৎস্নার রাতে সারিন্দার সুরে মত্ত হলাম।
তোমার কবিতার যতি চিহ্নের মতো অর্থময় প্রতিটি স্পন্দন
আমার জানা হতোনা, উৎকণ্ঠিত বুকের বিষক্রিয়ায় মরতাম ধুকে ধুকে।
দেখো কবি,
দেখো এখানে সবুজের কোলে গোধূলির বর্ণীল হামাগুড়ি
অথচ! আলোর বুক ছিরে খানিক পরেই নামবে আঁধার
তবুও সহবাসের মৃদঙ্গ তালে তরঙ্গ নৃত্যের ঝংকার
মৃন্ময় পুতুলের মুখে স্ফুটিত অম্লান হাসির অহংকার!

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

3 thoughts on “দাউদের কাব্যময় উচ্ছ্বাস : দেবী ও কবি ৩৫

  1. আশঙ্কা ছিলো, মোহও
    বিবর্জিত জীবনের নির্বাসিত প্রাণের চৌকাঠে তুমি এলে
    উজ্জ্বল দীপাবলির মত; আমি আমার রমণীয় স্বপ্নে ফিরে এলাম
    পদ্ম-কমল দোলা। ভরা জ্যোৎস্নার রাতে সারিন্দার সুরে মত্ত হলাম।

    আবার একবার মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি প্রিয় স্যার দাউদুল ইসলাম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।