….হুম
নিকুচি করে এলাম তোদের বুর্জুয়া জোট
থাক তোরা মাংসের দরকষাকষিতে
মেকি হাসির মাখামাখিতে
আমি তো সেই কবেই
মাগনা বিক্রি করে দিয়েছি ঝুড়ির সব বন্ধুপ্রীতি!..
আদতে
আমি তা ভিক্ষা দিয়েছি
কি হবে এই মিথ্যের বেসাতি আঁকড়ে
যেখানে
মুত্রের দামে বিক্রি হয় বিবেকের মনুষ্যত্ব!
প্রেমের নামে
বিক্রি হয় নির্মম দাসত্ব,
মুনাফা অর্জনে বিকোয় বন্ধুত্ব
বিশ্বাসের সস্তা বলিদানে!…
নিগূঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত হীরক কণা
অবলীলায় মেনে নেয় নির্বাক-ধূসর শূন্যতা
জীবনের ক্ষণে ক্ষণে জড়িয়ে থাকা লাজুকলতা
ছলনাটা ভালোই আয়ত্ত করতে জানে,
জানে উত্তাল ঢেউ*র ফণা
কেমন করে ছোবল মারলে ছড়াবে বিষ মনে প্রাণে!
…. এভাবে একদিন মৃত্যু ঘটে সমস্ত দাবীর!…
কবির অন্তরে আগুনের গনগনে দহন
বহুকাল আগে
খেলার ছলে অবলীলায় দিয়েছি যেই অঞ্জলি
পূতপবিত্র সেই আত্মাকে
আজ তোরা টেনিস বলের মতো
দক্ষ হাতে ঘুরাচ্ছিস অবিরাম
এ-প্রান্ত হতে ও-প্রান্তে.….
আমি নির্বোধ বলে-
জেনেও থেকেছি না জানায়, থেকেছি নীরবে
নিভৃতের ক্রন্দনে…
শুনেছি পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম ভাঙনের আর্তনাদ
দেখেছি – প্রান্তর জুড়ে উন্মাদ রঙ্গ তামাশা
জমিন হতে অন্তরীক্ষ নির্ভার দাস বাজার
বিকৃত উল্লাসে নির্বিবাদে আবাদ হচ্ছে
সর্বনাশা অহম বৃক্ষ!
প্রান্তর জুড়ে উন্মাদ রঙ্গ তামাশা
জমিন হতে অন্তরীক্ষ নির্ভার দাস বাজার
বিকৃত উল্লাসে নির্বিবাদে আবাদ হচ্ছে
সর্বনাশা অহম বৃক্ষ!