বৃষ্টিপাতের স্বরলিপি

পথের দুপুরগুলো জানে—কোনো হিংসেই অমর নয়। কোনো—
প্রতিপালিত দুঃখ-দেনা, মানুষের শক্তির বিরুদ্ধে করতে পারে না
বিদ্রোহ। অতএব, মানুষই ক্রমশ বপন করে যায় আকাশের
বিস্তারে ভালোবাসার মেঘ। বৈধ বেহালার বাহুতে বাহু রেখে
কাছে আসে প্রেমিক, চুমু খায়—নাচে।

প্রেমিকা তার ঠিকানা হিসেবে বেছে নেয় সেই নর্তকনগর।
যারা ঘোরগল্প পাঠে অভ্যস্ত—কেবল তারাই পড়ে নিতে পারে
ঠোঁটরেখা, রাগরহস্য আর নিগূঢ় স্বরলিপি।

বৃষ্টিপাতের রাতে, যে কবি কাঁদতে ভুলে গিয়েছিল
স্বরলিপিগুলো পুনর্লিখিত হয় যুগে যুগে তার হাতে।
কোনো ঝড়ই উড়িয়ে নিতে পারে না কালের উনুন।

দৃশ্যগুলো ধারণ করতে করতে সমাপ্ত হয়ে যায়
সেলুলয়েডের ফিতা।
থেকে যায় প্রেম,
গোলাকার পৃথিবী জেনে যায় একদিন তারও—
শেষ সমাধি হবে বিদগ্ধ বসন্তের স্তনে।

3 thoughts on “বৃষ্টিপাতের স্বরলিপি

  1. “পথের দুপুরগুলো জানে—কোন হিংসেই অমর নয়।”

    (প্রকৃত মানুষ হিংস্র হতে পারে না— কোনদিন…)

    শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম কবি, শুভ্র সকাল।

  2. কবিতার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভ সকাল।

  3. হিংসা-বিদ্বেষ ও অপতৎপরতা সদাই ধ্বংসই বয়ে আনে আঙ্কেল। সালাম র’লো। ভালো লাগলো লিখাটি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।