দুটি কবিতা : কবিগুরুর পদচিহ্নে এবং ঋতু ও রবীন্দ্রনাথ

দুটি কবিতা
কবিগুরুর পদচিহ্নে
_________________
এই জমি খুব পরিচিত আমার। এই নদীর সকল উজানী
ঢেউ- একদিন আমার বুকে রুয়েছিল যে বীজ, আমি যতনে
বৃষ্টি ছড়িয়েছিলাম সেই মনবৃক্ষে। জোড়াসাঁকোর ভোরে
খুব একাকী পড়েছিলাম গন্তব্যের গীতবিতান।
এই গান খুব স্বজন আমার। যে প্রেমিকা আমাকে হাত ধরে
নিয়ে গিয়েছিল প্রান্তিক চত্বরে- সেদিন সেখানেও উপস্থিত
ছিলেন একজন রবীন্দ্রনাথ। তিনি চলে যাওয়ার পর, আমি
সেই মাটির দিকে তাকিয়েছিলাম। দৃষ্টি বিনিময় করেছিলাম
ঘাসগুচ্ছের সাথে। একটি পদচিহ্নের প্রতি বিনীত পালক
ছড়িয়ে দিয়েছিল ঠিক আমার মতোই একটি বিবাগী দোয়েল।

ঋতু ও রবীন্দ্রনাথ
___________________

ঋতুর রঙের কাছে ঋণ চেয়ে হাত পাতি। কিছু ভোর চাই।
কিছু ভালোবাসা বিনিময় করবো বলে নদীর স্রোতে ডুবাই
চোখ। ফিরে আসে নিজের প্রতিবিম্ব আর পরখ করে দেখা
কালের রজক। জানি আমিও এভাবেই মুক্ত আকাশের লেখা
ধার করে সাজিয়েছি কাব্য। বাজনার অজস্র নহরে রেখে হাত
অনুভব করেছি গ্রীষ্ম কিংবা বৈশাখের ঝড়।বিজলীর সাক্ষাত
পাবার জন্য তাকিয়েছি উত্তরে। দক্ষিণের দিন আমার বাহুতে
বাহু রেখে যুগিয়েছে শক্তি। রাতের মধ‌্যাহ্নও এসেছে দিতে
প্রেম, পরিণয়ে বর্ষার ঢেউ। অথবা শরতের ছায়া। কবির চোখে
আঁকা হেমন্তের ধানমাখা মাঠ।শীতের উষ্ণতা নিয়ে সবুজের দিকে
ধাবমান চাঁদের ইশারা। যেখানে এখনও বসন্ত বাতাসে উড়িয়ে
পতাকা, একজন রবীন্দ্রনাথ আসেন আমাদের প্রান্তছায়া হয়ে।

2 thoughts on “দুটি কবিতা : কবিগুরুর পদচিহ্নে এবং ঋতু ও রবীন্দ্রনাথ

  1. চমৎকার এবং অসাধারণ দুটি কবিতা। অভিনন্দন প্রিয় ইলিয়াস ভাই।

  2. দুটি ভাল কবিতা পড়লাম কবি দা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।