উন্মাদ বিকেলকে আমার হাত ধরতে বলেছিলাম। খুব কানে কানে
উত্তরের হাওয়াকে বলেছিলাম থামো! সাথে নিয়ে যাও। অথবা
পুনরায় সুযোগ দাও ক্ষমা চাইবার। তোমার শরীরে ছিটিয়ে দিয়েছিলাম
যে কার্বন ডাইঅক্সাইড— তার কালো ধোঁয়া এখন আমাকেও
দংশন করছে হে মাটি !
যে বুলেট আমিই তৈরি করেছিলাম, তা এখন বিদ্ধ হচ্ছে আমার বুকে।
যে পরমাণু বোমা পকেটে রেখে আমি পাড়ি দিয়েছিলাম
চল্লিশ হাজার ফুট উঁচু আকাশের স্তর, তা এখন ঘিরে ধরছে
আমার চোখ। চুলগুলো পুড়ে যাচ্ছে। গা থেকে—
খসে পড়ছে কাপড়, পশম, রক্তের উষ্ণতা।
আমি জানি, আমার এই দিগম্বর দৃশ্য বিশ্বের কোনো
কাপড় পরিহিত মানুষই দেখছে না। কেউ-ই,
জানতে চাইছে না আমি কোথা থেকে এসেছি— কিংবা
কোথায় যেতে চাই।
যদি দেখতো, তবে অবশ্যই জানতে চাইতো বিশ্বে
অসম যুদ্ধ, ঘটাবে আর কত সাধারণ মানুষের প্রাণহানি!
আমি ফকির ইলিয়াস নামক মানুষটির জন্য কিছু
শোকগুচ্ছ লিখে যাচ্ছি। যে মানুষটি কিছুই করতে পারে নি।
যে মানুষটি একটি চিৎকার দিয়েও বলতে পারে নি—
থামাও গণহত্যা ! থামাও ধ্বংসযজ্ঞের হীন রক্তপাঠ !
অসাধারণ আপনার কবিতা … প্রিয় কবি প্রিয় ফকির ইলিয়াস। কবি দীর্ঘজীবি হোন।
চমৎকার শুধু অনুপ্রাণিত কবি দা
অনন্যসাধারণ ভাবে অনুপম লেখা
অসাধারন কবিতা টি
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল –