জাগো হে জ্যোতির্ময়

সুরমা নদীতে রক্তের ফোয়ারা আমি একাত্তরে দেখেছি
ক্বীনব্রীজের পূবাকাশে প্রতি ভোরে,
যে সূর্য ওঠে- আমি দেখেছি তার জ্যোতি।
এবং সেই জ্যোতি নিয়েই আমি গ্রহণ করেছি নির্বাসন।

মানুষ নির্বাসিত হয়
কিন্তু তার ভিটে ভুলে যায় না
মানুষ আত্মহারা হয়
দেখে দেখে শিকড়ের আয়না

চাদনিঘাটের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমি
সেই ঢেউ ছুঁয়েছি বহুবার, বহু দুপুরে।
আর বলেছি,
ভালো থেকো মাটি, সুখে থাকো স্বদেশ।

সেই মাটিতেই আজ কে ঝরাচ্ছে রক্ত!
কারা আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীর ভোরে,
ভাঙচুর করছে আমাদের স্থাপনা-
আমার আত্মজের বুকে কে বসাচ্ছে ছুরি!

জাগো হে জ্যোতির্ময়, হাত বাড়াও
বাহু বাড়াও, ডাক দাও
আসুক মানুষের মিছিল। যারা দ্রোহ ভুলে গেছে
অথবা যারা ভুলে গেছে একাত্তর,
আরেকটি বার তারা সমবেত হোক।

আরেকটি বার,
তারা বলুক, এই মাটিতে খুনি-লুটেরাদের স্থান নেই।
এই মাটিতে একাত্তরের পরাজিত শক্তির স্থান নেই।
এই মাটি হায়েনা দখলদারের উঠোন নয়।

2 thoughts on “জাগো হে জ্যোতির্ময়

  1. যে সূর্য ওঠে- আমি দেখেছি তার জ্যোতি।
    এবং সেই জ্যোতি নিয়েই আমি গ্রহণ করেছি নির্বাসন। :(

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।