শব্দনীড়ঃ কয়েকটা বর্ণের সমষ্টিতে একটা শব্দ হয় এইটা আমরা সবাই জানি। নীড় অর্থ বাসা এইটাও অজানা নয় ব্লগারদের। অর্থাৎ শব্দনীড় হলো বাংলা বর্ণের বাসা। এখানে বর্ণের সমষ্টিতে আমরা শব্দের চাষ করি যা হতে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধি লাভ করছে। তাই প্রতিটি ব্লগারই সাহিত্যের একজন কৃষক।
ব্লগঃ আধুনিক জামানায় ব্লগ হলো লেখালেখির সবচেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এই জন্যই ব্লগের লেখা সমাজকে নাড়া দেয়, ঝাকানো দেয়। লেখার পক্ষে বিপক্ষে মত গড়ে উঠে। তবে আপনি কী ধরনের লিখা লিখবেন তা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত। ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি, বিজ্ঞান নাকি সাহিত্য যে কোন বিষয় আপনার পছন্দীয় হতে পারে। সব বিষয় লিখার খোলা আকাশ বা জমিন এই ব্লগ।
ব্লগারঃ সৃজনশীল, মননশীল, সৎ, সততা, মানবিক ও ন্যায়পরায়ণ আধুনিক লোকটিই ব্লগার। শব্দনীড়ে বর্তমানে অনেক লেখা আসে তবে বেশীর ভাগ সাহিত্য বিভাগের। “লেখকের লিখনী সমাজ পরিবর্তনের বলিষ্ঠ হাতিয়ার।” সাহিত্যের মাধ্যমেও সমাজের অন্যায়-অবিচার ও বন্ধ্যাত্ব দূর করা সম্ভব। এখানের প্রতিটি লেখা তাই বলে অন্তত।
অথচ এই লোকগুলি অন্যের লেখা পড়ে না। লেখা পড়লেও কোন মন্তব্য করে লেখককে উৎসাহ দেয় না। কেউ মন্তব্য করলেও প্রতিউত্তর অনেকেই দেয় না। যেমন বাচ্চা জন্ম দেওয়াই শেষ, লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার দরকার নেই এমনিই বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা বড় হয় ঠিকই সেই বাচ্চা মানুষের চেহারায় হলেও কাজে মানুষ নাও হতে পারে। ব্লগার মনগত এত কৃপণ কেন হবে এত হীনম্মন্য কেন হবে। আসুন সব অলসতা ঝেড়ে ফেলে মন্তব্য করি, প্রতি-মন্তব্য করি। একে অপরের সাথে বন্ধুতা গড়ে তুলি। আলোচনা সমালোচনা করে নিজেকে এবং ব্লগকে বিকশিত করি। কৃষক জমিতে ভালো ফলন পেতে যাই করে শব্দচাষীও তাই করা উচিত। শুধু উর্বর মাটি ও ভালো বীজ হলে ভালো ফলন হয় না। মেধাবী কৃষক মানে চাষে নতুনত্ব আনে।
বিঃদ্রঃ এইটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তাই ক্ষমা করবেন।
ভাল লেখেছেন কবি মহী দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
বসন্তের শুভেচ্ছা ।
এই পোস্টে আমি পরে মন্তব্য করবো মি. ফয়জুল মহী।
এবং যারা যারা কমেন্ট করবেন এখানে তারা আদৌ পোস্ট পড়েছেন কিনা জানাবো।
Ok .বসন্তের শুভেচ্ছা ।
পোস্টে আপনি যে বিষয়ের অবতারণা করেছেন … এতদবিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আমি এবং অপরাপর অন্যান্য পরিচিত অনেক ব্লগার চেষ্টা করেছেন শব্দনীড় ব্লগকে গতিশীল করার। পরিশেষ ফলাফল শূন্য। আমরা পারিনি অনেকের ঘুম ভাঙ্গাতে।
কিছু করার নেই; এভাবেই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। ভরসা হারাবেন না।
ভালোবাসা সবার জন্য
এই পোস্টে আপনি লিখেছেনঃ-
শব্দনীড় হলো বাংলা বর্ণের বাসা। এখানে বর্ণের সমষ্টিতে আমরা শব্দের চাষ করি যা হতে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধি লাভ করছে।
শব্দনীড়ে প্রথম থেকে এখনও যে কজন ব্লগার আছেন, তাদের একজন হয়ে আপনার এই মন্তব্যে আমি আনন্দিত, গর্বিত। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের ব্যাপারে কি বলব, একসময় মন্তব্যে আর প্রতিমন্তব্যে ভরে উঠত ব্লগগুলি। এখন তেমন জমজমাট নয় শব্দনীড়।
আপনিসহ কয়েকজন এখনও ব্লগটাকে সচল করে রেখেছেন। আবারও ধন্যবাদ।
আপনার জন্য
Respect dear
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য ইত্যাদি খুব দরকার
তবে কাওকে জোর করার আমার মনে হয় দরকার নেই। যে যার মর্জির মালিক। তাছাড়া লেখা বহুজন পড়ে। সবাই যে মন্তব্য করবে তার কোন মানে নেই।
সাহিত্যে নীরব পাঠক সবচেয়ে বেশি। আগে তো শুধু বই লেখা হত। সে বই কতজন পড়ত কেউ কি তার হিসেব রাখত। লেখক কি জানতে পারত কতজন পড়েছে। আর বই বিক্রি বা এখনকার লাইক কমেন্ট ইত্যাদি সাহিত্যের কোন মাপকাঠি নয়।
মনন চর্চা নীরবে ছড়িয়ে পড়ে দূর থেকে দূর প্রদেশে। তার ফললাভও তাৎক্ষণিক নয়। আজও যেমন চর্যাপদ প্রাসঙ্গিক। তেমনি লেখ্যবৃত্তি চলতেই থাকে। ধন্যবাদ।
যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। বগ্ল ফেসবুক নয়
সময় আমার ঘরছাড়া, দাদা। তাই ইদানীং সময়টাকে ধরে রাখতে পারছি না। যার কারণে শব্দনীড় নিয়ে আপনার বিশ্লেষণমূলক পোস্ট খানাও আমি সত্যি নজরে নিতে পারিনি। এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক! আমি লজ্জিত!
তবে দাদা, বর্তমানে শব্দনীড় ব্লগের আমার মতো অনেকই হয়তো সময় হীনা। আরও আরও সম্মানিত ব্লগারদের পোস্টেও আগের মতো তেমন মন্তব্য পড়ে না বা অনেকেই দিচ্ছে না। তাই প্রতিটি পোস্টে মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যও নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। কেন যে এ-অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা আমার ধারণায় আসে না। মোটকথা, এ-বিষয়ে আমি অজ্ঞই থেকে গেলাম।
তো, আশা শব্দনীড় ব্লগের প্রত্যেক ব্লগারের এই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রত্যেক লেখকের লেখা বা পোস্টে আসা দরকার ও লেখা পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করা দরকার বলে আমি মনে করি।
পরিশেষে সুন্দর বিশ্লেষণমূলক পোস্টের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে থাকলো ফাল্গুনী শুভেচ্ছা।
ভালোবাসা হোক প্রাণে প্রাণে। ভালোবাসা হোক ক্ষণে ক্ষণে । ভালোবাসা হোক সবার জন্য
সহমত।