নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ

WhatsApp-Image-2023-07-16-at-23.22.35

নেতারা কি সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করার কাজ করেন? না, মোটেও না। তারা সাধারণ জনগনের মাথায় টুপি পরিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করেন। বর্তমানের এক একজন নেতাদের কাছে এক একটা করে তেলের খনি আছে, আর সে খনিতে অনভিজ্ঞ কর্মীরা টাকার বিনিময়ে তেল মালিশের কাজ করে।

যে দেশে দেশপ্রেম না থাকা স্বত্ত্বেও টাকার বিনিময় রাজনৈতিক অভিভাবক বা নেতা হওয়া যায় সে দেশে আবার রাজনৈতিক কোন দলকে ভালো বলবো? ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে যেমন ভগবত সিংহ কিংবা মহাত্মা গান্ধী বা জিন্নাহর যে দেশপ্রেম ছিল এবং পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে বাঙালির মুক্তির জন্য সালাম, রফিক, বরকত, শফিক, বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, সরোওয়ার্দী বা ফজলুল হকের মত যারা দেশপ্রেমিক ছিল তাদের মত এখন কি আর দেশপ্রেমিক আছে? কোথায় নুর উদ্দীন? কোথায় হিমাদ্রি সহ শত শত খুন হওয়া দেশপ্রেমিক ব্লগাররা?

আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলে হঠাৎ বড়লোক হওয়া হাজার হাজার ব্যাক্তি টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের পদ নিয়ে কোটি টাকার সুবিধা নিচ্ছে। আর এইসব আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়া সমাজ সেবকদের কাছে সত্যিকার অর্থে আওয়ামীলীগ বা দেশপ্রেমিকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। যে লোকটির পরিবার দেশ স্বাধীন হোক চায় নাই, এমনকি আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেছিল, সে ব্যক্তিটিও আজ টাকার বিনিময়ে বলে বেড়ায় সে একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার।

আগের রাজনীতি ছিলো সেবা, এখন রাজনীতি হচ্ছে শোও-অফ সেবার নামে ব্যবসা। আগের রাজনীতি ছিলো মানুষের অধিকার রক্ষা করার জন্য, এখন রাজনীতি হচ্ছে অধিকার হরণ করে ক্ষমতাবান হওয়া। আগের রাজনীতি ছিলো ধর্ম নিরপেক্ষতার রাজনীতি, এখন রাজনীতি হচ্ছে ধর্ম সহিংসতার রাজনীতি।

যে দেশে শুয়োরের মাংস খাওয়া হারাম বলে খায় না অথচ এর চেয়ে জঘন্য পাপ কাজ তথা পর-নারী বা পর-পুরুষের সাথে শয্যাশায়ী হওয়াকে আধুনিকতা বলে, আর সুদ খাওয়াকে মর্ডান বিজনেস বলে, সে দেশের মানুষদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলে লাভ কি?

নেতারা কথা দিয়ে কথা রাখে না ঠিকই তবে অর্থকড়ি আত্মসাৎ করে নেয়, কিন্তু বেশ্যার টাকার বিনিময়ে ঠিকই সাময়িক শারীরিক ক্ষুধা মিটিয়ে দেয়। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ।

ইকরামুল শামীম সম্পর্কে

ইকরামুল হক ( শামীম ) পেশা : সমাজকর্মী, লেখক ও আইনজীবী । জন্মস্থানঃ ফেনী বর্তমানঃ ঢাকা, বাংলাদেশ স্ট্যাডি ব্যাকগ্রাউন্ডঃ ১.মাস্টার্স ইন ভিক্টিমলজি & রেস্টোরেটিভ জাস্টিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২. মাস্টার্স ইন পলিটিক্যাল সাইন্স। ৩. ব্যাচেলর ডিগ্রী অব সোশ্যাল সাইন্স। ৪. ব্যাচেলর অব 'ল'। কর্মঃ ১. ফাউন্ডার, বাংলাদেশ রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সোসাইটি. ২. জুনিয়র ল'ইয়ার, জেলা জজ কোর্ট। ৩. এক্স এ্যাস্ট. কো-অর্ডিনেটর, বিশ্ব সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সংস্থা, বাংলাদেশ। ৪. এক্স- ট্রেইনার(HIV & DOWRY), টালফ অর্গানাইজশন, বিডি। বর্তমানে তিনি " ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা এবং অপরাধীদের সংশোধন" নিয়ে কাজ করছেন। রাজনীতিঃ দেশপ্রেম। প্রিয় লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নির্মলেন্দু গুন। সখঃ ভ্রমণ করা, কবিতা পড়া এবং দাবা খেলা।

1 thought on “নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ

  1. সমকালীন রাজনীতির আলোচনায় সহমত জানানো ছাড়া অন্য পথ খুঁজে পেলাম না। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।