“ভোট”এর ব্যাথা

ও ভাই আমার সরকার!
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া কি কোন নেই কর্ম আর?
কোন সালে সেই খুলেছ বদন তোমা অতি কাল হলো,
কত গড়েছ মৃত্যু মিছিল, আজ ভোল গো মোহ ভোল!
কর্কশ শব্দে ভরেছ দেশ, যেন মম মালিক গেছে ঘুমে।
হাজার হস্ত ছেড়েছে মম, বিদায় নিছে মাতৃভূমি চুমে!
দেখ গো হেথায়, ভোটার হাঁপাই, অশান্তি মাগিছে ছুটি!
দেশে ধ্বংসের গন্ধ, কর গো বন্ধ, মোহের লোটা লুটি!

মনে নাহি পড়ে, মালিকের গড়ে,কি ছিলাম আমি ভোরে?
তুমি বুঝালে সুঝালে সিধে বাঁকা গোল লম্বা চৌকা করে!
কভু হিংসা বিদ্বেষ, কভু সম্প্রীতি শেষ, কভু বা নম নম,
কভু মিথ্যে ফুঁৎকার-এ জড়িয়ে দিলে অসচ্ছ দাপ মম।
গঞ্জে গঞ্জে, অতি রঞ্জে, উড়িয়ে পুড়িয়ে মিটালে মম সাধ।
মোহের টানে, সম্প্রীতির প্রাণে, আজ জন্মে দিলে তুমি উন্মাদ!
আমার মালিক যারা, হয়ে পাগলপারা, অহর্নিশে তারা,
মোহের ঢিপে, দিলে গলা টিপে করে তাদের আত্মহারা!

গলির কোণে, মালিকের মনে,তুমি ধরিয়ে চুলা চুলি,
ঘন ঘন ঘন, পরিবর্তনে তোমার মোহের ফুঁৎকার তুলি।
তোমার মিথ্যা ফুঁৎকারে জনের কর্ণব্যাধিতে আমি নিরুপায়!
সেই হেতু গড়ে সেতু পড়েছি তোমার গর্দানে আমি ভাই।
যা হওয়ার ন্যায় হোক না, প্রবল করিয়াছি প্রতি বাদ;
আমায় ন্যায্য মূল্যে গড়িলে ভরিয়া যাবে কত মন স্বাদ।
তোমার ওই মরা দেহেতে আজ যারা ঢেলে দিলো প্রাণ,
তাদের হারায় গেল সবকিছু, অসহায়, নেই কোন ত্রাণ!

মালিকদের অন্তঃ অন্তঃ সুঘ্রাণ দিয়ে আমি, বেঁকে বসি যদি!
দেখো কি হবে তোমার তাঁবেদারি? কোথায় রবে
তোমার গদি?
তোমার যারা শ্বাসপ্রশ্বাস, তোমার ঘরের আলোক বাতি,
তারা আজ অজানা অচেনা, তাদের পেটে প্রতি দানে লাথি!
আমার কিছু মালিক আছে তাদের জন্ম যেন কুকুরের কাছে!
না বুঝে চাতুরী, তোমার বিষ্ঠার কোন সে স্বাদে ঘুরে পাছে
পাছে?

ও ভাই আমার সরকার!
রাখিবো কাহাকে সাক্ষী? কাহার কাছে করিবো বিচার?
তুমি শয়তান দেখেও কেন দেখোনা অমৃত সব কূল?
আমি যে অমর,আমার মালিকের দ্বারা আমিই তোমার মূল!
কত শত মস্তক আর হস্তে পদে তোমায় গড়ে দিয়েছি মতি।
তুমি ছিলে কোন অচেনা আবাল, আজ তোমায় দিয়ে জ্যোতি!
তুমি না থাকিলে মোর মালিকদের কিবা হতো তাতে ক্ষতি?
কৃতজ্ঞতা কি এই পাঠাইছো হিংসা বিদ্বেষ দাঙ্গা লড়াই আর অশান্তির মারফতি?

দেশ ও দশকে তুমি, ধ্বংসের ভেলা চুমি, করিয়ে দিলে ছারখার!
মরণের পরে হায়! হবে কি উপায়? পাইবে কি তারা মম ন্যায্য অধিকার?

কালাম হাবিব সম্পর্কে

কবি কালাম হাবিব ১৯৯৯সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি মালদা জেলার অন্তর্গত সাহাবান চক গ্রামে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা লাল মহাম্মদ মিঞা ও মাতা রুকসেনা বিবি। মা বাবার তিন সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা শুরু হয় সাহাবান চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ২০০৯সালে বেদরাবাদ হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বেদরাবাদ হাই স্কুল থেকেই। তার পর ওই বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন 'কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'-এ।বর্তমানে পার্শ্বীয় কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'এর বি এ সাম্মানিক বাংলা বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। কবিতা লেখালেখির হাতেখড়ি দশম শ্রেণি পড়াকালীন , তবে আজও তার বেগ প্রবাহমান! কবির এই লেখালেখি বিশেষ কারও দ্বারা প্রভাবিত নয় বললেই চলে কবিতা পড়তে পড়তে ভাবনা আর সেই ভাবনা লিপিবদ্ধ করার অধীর আগ্রহই হাতে উঠে আসে কলম! কবিতার পাশা পাশি গল্প লেখাতেও কবির রয়েছে বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ! কবির কবিতায় কথা বলে কলম, শরিয়তের মধ্যে থেকে সঠিক সত্য কল্যাণময় আদর্শের! কোন ভীরুতার ধার ধারেনা, সর্বাবস্থায় আওয়াজ তোলে সজীব তীক্ষ্ণ জীবন্ত দন্ড খান প্রতিবাদের শীর্ষক মাকামে! কবির প্রথম কবিতা "বেআইনি অস্ত্র ” এবং প্রথম গল্প " নৌকা যাত্রীরা"। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী কয়েটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত রয়েছেন......

2 thoughts on ““ভোট”এর ব্যাথা

  1. দীর্ঘ কবিতায় আপনার জুড়ি মেলা ভার। অনেকদিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। আশা করবো ভালো ছিলেন। শুভেচ্ছা জানবেন কবি কালাম হাবিব। শুভ সন্ধ্যা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।