রাশেলের রক্তাক্ত বুক

সমাজটাকে পালটে ফেলা, অথবা
নিজের মাপে করে নেওয়ার স্বপ্নটা,
রাশেল দেখেছিলো খুব আপন করে।
চেয়েছিলো জগতটাকে বদলে নিবে,
ব্যক্তিগত সুখ, দুঃখ, হাসি – কান্না,
টিকে থাকার নিজস্ব লড়াই,
সমাজের পচে যাওয়া মুল্যবোধ,
ক্ষয়ে যাওয়া মানুষিকতা, অসাম্য আর
অনৈতিকতা সব কিছু পিষে ফেলে,
এগিয়ে যেতে চাওয়া এক স্বপ্নীল
যুবক, আমাদের রাশেল, সাহসী রাশেল।

পুর্নিমার ধর্ষিত শরীর, নাবালিকা মায়ের
মেয়েকে বাঁচানোর করুণ আর্তি।
লাখো সংখ্যালঘুর আগুনে পোড়া
ধ্বংসের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা,
শাসক শ্রেণীর দাম্ভিকতা,
হাওয়া ভবনের সর্বগ্রাসী কমিশনিং,
রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস,অনাচার,
অত্যাচারে বিক্ষুদ্ধ রাশেল,
সমাজ বদলের স্বপ্নকে সাথে
নিয়ে পথেনামে রাশেল,
আমাদের সাহসী রাশেল।

ক্ষমতায় অন্ধ হাওয়া ভবন,
সংগে পুরানো শকুন,
একাত্তরের খুনী আর পরাজিত শত্রু,
ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার হিংস্র ষড়যন্ত্রে,
পেটো বাহিনী ঝাপিয়ে পরে,
স্বাধীনতা আর গনতন্ত্রকামী মানুষের
মিছিল আর মানুষের সমাবেশে,
গুলিতে ঝাঝড়া হয় রাশেলের বুক,
গনতন্ত্রের সাহসী বুক, গনতন্ত্রের
আপোষহীন লড়াইয়ে এক সাহসী নাম।

5 thoughts on “রাশেলের রক্তাক্ত বুক

  1. সমাজের পচে যাওয়া মূল্যবোধ, ক্ষয়ে যাওয়া মানসিকতা, অসাম্য আর অনৈতিকতার সব কিছু থেকে … বহু কষ্টে অর্জিত; বহু রক্তাক্ত বুকের রক্তে অংকিত আমাদের স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র সব সময় সমুন্নত থাকুক। দেশ হোক সর্বজনীন নাগরিকের। 

  2. কবিতার তেজ অসাধারণ হয়েছে কাজী রাশেদ ভাই।

  3. আপনার কবিতায় এই বঙ্গদেশের বর্তমান চিত্র ফুটে উঠেছে শ্রদ্ধেয় রাশেদ দাদা। আজ এই শব্দনীড়ে আপনার একটা ক্ষোভিত কতিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সেইসাথে এই শব্দনীড়ে আপনাকে সাথে পেয়ে খুবই আনন্দিত হলাম। আশা করি সবসময় পাশেই পাব। আপনার জন্য শুভকামনা সবসময় ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।