
সময়ের চড়াই-উতরাইর ভাঁজে ভাঁজে নিজেকে সাজাতে সাজাতে
সময়ের গা বেয়ে উঠে আসে সর্বনাশা সময়। যতটা হলে ঠিক মানায়,
সেই গোল টেবিলে ততটা খাদ্য ভরা পাত্র রেখেও হাতে লাঠি নিয়ে
চলে লোপাট জীবন, পায়ের উপরে এখন আর সবটুকু ভরসা
করা যায় না। যদৃচ্ছায় হেঁটে বেড়ানোর স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে
ফুট মেপে কিনে দেয়া বিচিত্র বিলাসী ইট। এখন বেশ বুঝতে পারি
বয়সি বিরহ ভালোবাসার নয় নির্ভরতার, আমার বিরচিত
রামায়ণে রাম আছে, সীতা আছে, লক্ষন আছে, রাবন ও আছে
তবে তা কিনা সময় ভেদে। একদা রাম, যিনি ছিলেন
তিনিই এখন রাবন, আর সীতা হয় সূর্পনাখা। কিছুটা
ছায়াছবিতে দেখা এক নায়কের দুইটি অভিনয়ের মতো।
তবু আমরা সংসার বিয়োজন করতে পারি না, বর্তমানের
গা বেয়ে উঠা সর্বনাশা শীতল, সময়ের সাপের জন্য।
স্মৃতির হৃদয়ে বিরাজ করা চিন্তার কোষগুলো ফাঁসুরে ডাকাত হয়ে
আমার সামনে হেঁটে বেড়ায়, আমি তাকে বলতে পারিনা
দেখ এই আমি একদিন তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনছিলাম,
স্বপ্নের গাছে পানি দিয়েছি, সার দিয়েছি, নিজের সময় নষ্ট করে
তোকে স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছি, তোর স্বপ্ন পূরণের জন্য
নিজের স্বপ্ন বিক্রি করেছি জলের দামে ।
আসলে আমি কিছুই বলতে পারি না।
কিছু বলার মত অবস্থান আমার আর নেই
কারন আমার সরকারী পেনশনে পাওয়া অর্থগুলোর সবটুকু
স্বপ্নের হাতে তুলে দিয়েছি তাকে স্বপ্ন দেখাবো বলে আর নিজে
কিছু বয়সি স্বপ্ন বুনবো বলে। আসলেই জীবনের সাথে কড়ির সম্পর্ক
নাড়ি ছেড়া মাতৃ সর্ম্পকের থেকেও বোধকরি বেশী ।
মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ পরজীবি কোন গুল্ম বলে ভুল করি।
কিছু পরজীবি গাছও তো ফুল ফোটায় কিন্তু আমি তো তাও পারলাম না।
___________________________________________
* আমি আমার এক বন্ধুর বাবাকে সম্মান জানানোর জন্য এই লেখাটা লিখেছি যদিও সেই বন্ধুর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই বা করিনা আর যার জন্য লেখা তিনিও কোন দিন ব্লগ পড়ে না তবুও লেখাটা লিখতে গিয়ে আমার বুকে একটা পাথরের চাপ অনুভব করেছি কারন আমিও এক জন পিতা।
**** এটি একটি কুবিতা
কেউ কবিতা ভেবে পরলে সেই দায় পাঠকের।
যে বন্ধুর জন্য লিখাটি লিখেছেন তিনি হয়তো এই ব্লগটি পড়বেনও না। তারপরও ভাবাবেগ প্রকাশের যে ত্রুটি রাখেননি … পড়ে যারপরনাই অবাকই হলাম।
প্রথমত প্রচ্ছদ। এই প্রচ্ছদটি যে কাউকে নাড়া দেবে। নস্টালজিক করে তুলবে।
দ্বিতীয়ত লিখা। এতো এতো উপমাকে নন্দিত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে যে ভালো না লাগার ভিন্ন কোন যুতসই কারণ থাকতে পারে না। __ অভিনন্দন প্রিয় খেয়ালী মন।
কবিতা ভেবে পড়ার দায়টা মাথায় নিয়ে নিলাম। আপনি যদি কুবিতা’র পরিবর্তে কবিতা বলতে চান তবে সেই দায়টাও পাঠক হিসাবে আমাকেই দিয়েন।
পিতৃত্বের মত একটা মূল্যবান বিষয়কে কবিতাটিতে নিখুঁত বাস্তবতার চিত্রে চিত্রায়নের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ কবি ।
মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ পরজীবি কোন গুল্ম বলে ভুল করি।
কিছু পরজীবি গাছও তো ফুল ফোটায় কিন্তু আমি তো তাও পারলাম না।
এই অনুভূতির সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আমিও পরিচিত খেয়ালী মন ভাই। অসাধারণ প্রকাশ।
আমরা সংসার বিয়োজন করতে পারি না, বর্তমানের
গা বেয়ে উঠা সর্বনাশা শীতল, সময়ের সাপের জন্য।
চিরচেনা এই বাস্তবতা কবি ভাই।
এমন অসাধারণ লিখেছেন দাদা শরীরের রোম দাঁড়িয়ে গেলো। আমি ভেবে পাই না, কেন আপনি নিয়মিত লেখেন না। অনুরোধ রাখলাম প্রিয় মন দা।
চমৎকার



হৃদয় হরণ করে নিলেন কবি খেয়ালী মন ভাই।
জীবনের গল্প না থাকলে সেটা কবিতা হয় কি করে!! আপনার লিখাটি কবিতা।