অমীমাংসিত লেফাফা ২

পরজীবি গাছের চিন্তায় একটি সময়ের গোল টেবিলে
আমারা কজন বসেছিলাম মুখোমুখি, যৌক্তিক কথার
ফাঁকফোকর গলিয়ে সন্ধ্যা নামে, তারপর কথার জালে
আঁটকে পরে বিরক্তিকর আঁধার, কিছুটা ছায়া দেখা গেলেও
আমারা একে অপরের দিকে অন্ধকার ছুঁড়ে মারতে শুরু করি,
যেখানে যবনিকাপাত হবার কথা ছিলো, সেখান থেকেই
নতুন শুরু হয় রঙ্গমঞ্চের পটাবরণ। বাড়ন্ত নোলা দিয়ে
আলো চেটে অন্ধকারে কেটেছে চল্লিশ বছর, আর কতো
নখ, দাড়ি, গোঁফ সাজিয়ে রাখতে চাও ঝুলন্ত পাঞ্জাবীর পকেটে!

এইবার গাত্র তোল ফাঁসির মঞ্চে তোর ডাক পরেছে,
বারান্তর বারুদ এখন আর মানুষ ভয় পায় না।
দাত, নখ বা লাল চক্ষু এখন আমরা ভয় পাই না,
ফতোয়ার বুনো পারাং এর প্রতিবাদ করার ক্ষমাত
ধীরে ধীরে বুঝে নিয়েছে মানুষের দল। বৃত্তাকার সওদাগরির
চক্র ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে যোদ্ধা বুহিতাল। প্রয়োজনে আবারো
তারা গান বাঁধবে, কবিতা লিখবে, করবে পথনাটক;
মানুষের মানবাত জাগিয়ে দিতে, তবু তোকে কেউ
আলোতে আনবে না। যতই চিৎকার করো
গোল টেবিলে আলোর মিছিলে দাঁড়িয়ে থাকা ভীতু
মানুষগুলোও বুঝে গেছে, ছুড়ে দেয়া অন্ধকার
আলোর কাছে কোন দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আর
কোন দিন পারবেও না।

* এইটা কোন কবিতা না এটা কুবিতা, কবিতা ভেবে পড়লে সেই দায় আমার না।
ছবি নেট থেকে কপি পেষ্ট এবং ছবিটি রশীদ তালুকদারের তোলা।

9 thoughts on “অমীমাংসিত লেফাফা ২

  1. অবিসংবাদিত একটি ছবির সাথে গম্ভীর একটি লিখা।

    ‘যতই চিৎকার করো
    গোল টেবিলে আলোর মিছিলে দাঁড়িয়ে থাকা ভীতু
    মানুষগুলোও বুঝে গেছে, ছুড়ে দেয়া অন্ধকার
    আলোর কাছে কোন দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আর
    কোন দিন পারবেও না।’

    ___ কেন জানি মনে হয় জাতি হিসেবে আমরা নিত্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছি।

  2. আমি কবিতা হিসেবে পড়েছি এবং আমার ভাল লেগেছে। কিছুকিছু শব্দের প্রয়োগ ছিল চমৎকার।

    1. অনেক ধন্যবাদ আনু আনোয়ার
      শুভকামনা থাকলো

  3. এইবার গাত্র তোল ফাঁসির মঞ্চে তোর ডাক পরেছে,
    বারান্তর বারুদ এখন আর মানুষ ভয় পায় না।
    দাত, নখ বা লাল চক্ষু এখন আমরা ভয় পাই না,

    এখন আর আমাদের কোনও ফতোয়ায় গ্রাস করতে পারবে না, শ্রদ্ধেয় কবি। জাতি এখন খুবই সচেতন। 

    শুভেচ্ছা সহ শুভকামনাও থাকলো।       

  4. আলো চেটে অন্ধকারে কেটেছে চল্লিশ বছর, আর কতো
    নখ, দাড়ি, গোঁফ সাজিয়ে রাখতে চাও ঝুলন্ত পাঞ্জাবীর পকেটে!

     

    * শুভ কামনা প্রিয় কবি…. https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  5. // এইবার গাত্র তোল ফাঁসির মঞ্চে তোর ডাক পরেছে,
    বারান্তর বারুদ এখন আর মানুষ ভয় পায় না।
    দাত, নখ বা লাল চক্ষু এখন আমরা ভয় পাই না,
    ফতোয়ার বুনো পারাং এর প্রতিবাদ করার ক্ষমাত
    ধীরে ধীরে বুঝে নিয়েছে মানুষের দল।//

     

    'কুবিতাটা' ভাবনার দ্বার খুলে দিলো । শুভকামনা 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।