ভাগাড়ের জীর্ণ দেয়ালে
সময়ের শ্যওলা জমেছিলো বেশ
দেয়ালটা স্বাক্ষি আছে
অভাবের ভাগাড়ে আছে জীবনের ক্লেশ।
রক্তের পোড়খাওয়া স্মৃতি জমাট বেধে,
দাগ হয়ে জমে থাকে অন্ধকার দেয়ালের গায়,
হৃদয়ের যত ক্ষত শরীরের সাথেই হারায়।
কেউ খুঁজে দেখেনা ভাগাড়ের বুকে জমে থাকা বিষে
কত প্রাণ আজও ঘোরে সেই দেয়ালের কার্নিশে
দেহহীন প্রাণীরা বলে দেয়ালের কাছে
কোথায় আমার সরূপ বলে দেও পাছে;
সরূপ খুঁজিতে প্রাণ করে হায় হায়
দেয়াল চিৎকার করে বলে, এখানে
মানুষ কিংবা পশু নাহি চেনা যায়,
জানিতে পারে কিছু শেওলা আমার
রক্তের ছোঁয়া পেয়ে জীবন তাহার।
ডি এন এ বিভাজন আছে তার কাছে
মানুষ পশুর ফারাক হয় তার কাছে
যদিও সে আমার গায় বসত করে
তবুও নিজ নামে জীবন সে ধরে।
আত্মারা খুঁজে ফেরে শ্যওলার ঘর
পাইলে তাহার দেখা, হবে জবরদখল।
ভাগাড়ের শ্যওলার বলে চেনো নাই মোরে!
তোমার মগজ কোষে সদা যে ঘোরে?
সেই আমি, আমি আমরা তুমি যাকে করেছো আবাদ
সরূপ জানিবার আগে বল, তুমি কোন জাত?
বলিতে পারিলে কথা দেহটার পাবে দেখা
হয়তো সে হয়ে আছে কবরে কঙ্কাল।
বুঝেশুনে ভয় পেয়ে দেহহীন প্রাণ, মিনতি করিয়া যাচে
মোর কোন দেহে ছিলো জান? জানি না কিছুই আমি
ভাগাড়টা অন্তরজামি, দেয়াল স্বাক্ষী আছে
কে বা কারা বয়েছিল লাশ। হয়তো
পশুই ছিলাম নয়তো মানুষ,
আজ আর মনে নাই
বেহিসাবি হুস।
হিসাবের খাতা ছিল
শরীরের কাছে, শরীর বেঁচেছে
দোকান নিয়তির কাছে।
নিয়তি জেগেছিলো ভাগাড় দেয়ালে
জীবন বিলিয়েছে প্রাণ
আপন খেয়ালে।
অাপনার কিছু নাই জানে মহাজন
তাই আজ দেয়াল ঘেরা ভাগাড়ের মন
নিয়তির বিচিত্র ছবি ঝুলানো দেয়ালে
শব ছবি খসে যায় শরীর হারালে।
চিত্রনাট্য বেশ রচনা হয়েছে কবি দা
অভাবের ভাগাড়ে আছে জীবনের ক্লেশ।
রক্তের পোড়খাওয়া স্মৃতি জমাট বেধে,
দাগ হয়ে জমে থাকে অন্ধকার দেয়ালের গায়,
হৃদয়ের যত ক্ষত শরীরের সাথেই হারায়।
Excellent
কবির লেখায় আমার জীবনকেই খুঁজে পাই। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি।