বিশ্ব কবিতা দিবসে

বিগত ২১ শে মার্চ ছিল বিশ্ব কবিতা দিবস। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতা হোক অধিকার আদায়ের স্লোগান। কবিতা হোক প্রকৃতির অপরূপ, মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধ, বৈষম্য, অধিকার, নৈতিকতা, অধিকার, শোষণ-বঞ্চনা, আদর্শ, অবক্ষয়, আর ঘটনা প্রবাহ নিয়ে ছন্দের অভিবন্দনা। কবিতার মুক্তবাণী ডানা ছড়াবে দিগন্তে। মানবিক বিবেক জাগ্রত করে এগিয়ে যাওয়ার আশার আলো দেখাবে। কবিতা মানুষের কথা বলে, কবিতা জীবনের কথা বলে। কবিতা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। কবিতা দিকে দিকে বিদ্রোহের ঝড় তুলে। দিন আগত, সেদিন আসছে। কবিতার বিপ্লবে আজ যোগ দিয়েছেন বহু নাম জানা অজানা কবি। তাদের সবাইকে জানাই শব্দনীড়- এর পক্ষ থেকে সংগ্রামী অভিনন্দন।

মানুষ যখন সুখে থাকে তখন কবিতা লিখতে শুরু করে। দুঃখের দিনে কবিতার একমাত্র সাথী। কবিতায় কবিরা সহানুভূতির পরশ পায়। পায় নিবিড় ভালবাসা আর মনের প্রশান্তি। মানুষ যখন শান্তিতে থাকে তখন কবিতা পড়ে। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন কবিতা লেখে। আমরা সবাই কবিতার সাথে প্রেম করি। কবিতায় থাকা প্রকৃতি, প্রেম, অজপাড়া গাঁ, শহর, স্মৃতি, সৃষ্টি লীলার কবিতাপ্রেমীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট ও মোহিত করবে। নবপ্রজন্মের জন্য আহবান, কবিতার শক্তি আর কণ্ঠের আগমনী দিয়েই গড়তে হবে নতুন বিশ্বকে। তাহলেই তুমি হবে কবি। তাহলেই হবে তোমার কবিতা লেখা সার্থক।

আসুন, বিশ্বের খেলাঘরে আমরা রচনা করি নতুন নতুন কবিতার মালা। শুরু হোক নতুন কাব্যচর্চা। কাব্য সাধনা হোক আমাদের জীবন সাধনা। সারা বিশ্বে আসুক সাহিত্যের নতুন প্রজন্ম।
বিশ্ব কবিতা দিবসে সবাইকে জানাই আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

বিশ্ব কবিতা দিবসে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বিশ্ব কবিতা দিবসে আজিকে কবিতারা ঝড় তুলে,
কান্না ঘাম আর রক্তে ভেজা নীরব অভিমান ভুলে।
কবিতার ব্যথা বোঝে নাকো কেহ চক্ষে অশ্রুজল,
পোড়া রুটি আর পান্তা ভাত খায় গাছতলা সম্বল।

অনাহারী যত ক্ষুধিতের দল কবিতার পাতায় এসে,
কবিতার ঝুলি কাঁধে নিয়ে দিন কাটায় কায়ক্লেশে।
কবিতার পাতায় বন্দী যারা কবে পাবে ওরা ছুটি?
ক্ষুধার অন্ন পায় নাকো তারা পায় না একটি রুটি।

কবিতারা আজ মাঠে মাঠে, রোদে জলে করে চাষ,
কলকারখানায় হাতুড়ি চালায় খেটে খায় বারোমাস।
কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ দিকে দিকে,
পূর্ব গগনে হাসিছে অরুণ লাল আগুনের রং মেখে।

সারা বিশ্বের যারা কবি আজ সবারে করি আহ্বান,
মানুষেরে ভালবাসো আজি, গাও মানুষের জয়গান।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

7 thoughts on “বিশ্ব কবিতা দিবসে

  1. কবিতার শক্তি আর কণ্ঠের আগমনী দিয়েই গড়তে হবে নতুন বিশ্বকে।

    সারা বিশ্বের যারা কবি আজ সবারে করি আহ্বান,
    মানুষেরে ভালবাসো আজি, গাও মানুষের জয়গান।

    বিশ্ব কবিতা দিবসে আপনার মতো আমাদেরও একই আহ্বান মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতা হোক অধিকার আদায়ের স্লোগান। কবিতা হোক প্রকৃতির অপরূপ। সহমত কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  3. বিশ্ব কবিতা দিবসে আপনাকেও জানাই আন্তরিক প্রীতি ভাণ্ডারী দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  4. বিশ্ব কবিতা দিবসের শুভেচ্ছা দাদা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।