শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)

শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

যুগ পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবনী

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে স্মরণীয় ও অনুসর্তব্য বহুবিধ অমূল্য নির্দেশ দান করেছেন। তিনি ধর্ম, অর্থ, কর্ম, পরমার্থ, অধ্যাত্ম, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, বিবাহ, কৃষি, শিল্পকলা, বাণিজ্য, বৃত্তি, সত্তা, ব্যষ্টি, সমষ্টি, অতীত ও বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুকে এক মহা সমন্বয়-সূত্রে সংগ্রথিত করে এবং সর্বার্থ পরিপূরাণী পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শন তাঁর অমৃতনিষ্যন্দী বাণীনিচয়ের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। এই মহাবাণীনিচয় জনসাধারণের মধ্যে পরিবেশনকল্পে বিষয়বস্তু বিচারে ভাগে ভাগে ভিন্ন-ভিন্ন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।

অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর প্রায় ৪৬টি পুস্তক রচনা করেন। এগুলোতে ধর্মশিক্ষা, সমাজ প্রভৃতি বিষয়ে আদর্শ ও উপদেশসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:-
সত্যানুসরণ
পুণ্যপুথি
অনুশ্রুতি (৬ খন্ড)
চলার সাথী
শাশ্বতী (৩ খন্ড)
বিবাহ বিধায়না,
সমাজ সন্দীপন,
যতি অভিধর্ম[১]
নারীর নীতি , ইত্যাদি।

শ্রী শ্রী ঠাকুরের সত্যানুসরণ গ্রন্থ থেকে পাঠ

অনুতাপ কর; কিন্তু স্মরণ রেখ যেন পুনরায় অনুতপ্ত হতে না হয়। যখনই তোমার কুকর্মের জন্য তুমি অনুতপ্ত হবে, তখনই পরমপিতা তোমাকে ক্ষমা করবেন, আর ক্ষমা হলেই বুঝতে পারবে তোমার হৃদয়ে পবিত্র সান্তনা আসছে, আর তা হলেই তুমি বিনীত, শান্ত ও আনন্দিত হবে।

যে অনুতপ্ত হয়েও পুনরায় সেই প্রকার দুষ্কর্মে রত হয় বুঝতে হবে সে সত্বরই অত্যন্ত দুর্গতিতে পতিত হবে। শুধু মুখে মুখে অনুতাপ ও আরও অন্তরে অনুতাপ আসার অন্তরায়। প্রকৃত অনুতাপ এলে তার সমস্ত লক্ষণ অল্পবিস্তর প্রকাশ পায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

12 thoughts on “শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)

  1. বিশেষ ধন্যবাদ মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। পোস্ট পড়ে উপকৃত হোক সেটাই চাই। :)

    1. পরম প্রেমময় পরম দয়ালের রাতুল চরণে জানাই প্রণাম।

      সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম ও অনুপ্রাণিত হলাম।
      আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ। জয়গুরু!

  2. শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কবি। :)

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ করলেন কবিবর।

      আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন প্রিয়।

      মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে বিমুগ্ধ করিলে হে কবি!
      লহ মোর প্রীতি আর শুভেচ্ছা।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম ও অনুপ্রাণিত হলাম।
      আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ। জয়গুরু!

    1. পরম প্রেমময় পরম দয়ালের
      রাতুল চরণে জানাই প্রণাম।

       

      মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম।
      আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
      জয়গুরু!

    1. মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
      প্রিয়কবি দিদিভাইকে শ্রদ্ধা জানাই।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।