গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
অষ্টম পর্ব- ভাটিয়ালি গান-৮
গীতরচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভাটিয়ালি: ভাটি অঞ্চলে নদীকেন্দ্রিক গানগুলো ভাটিয়ালি গান নামে পরিচিত। ভাটিয়ালি গানের নাম নয়, সুরের নাম। ঐ সুরের গানগুলো ভাটিয়ালি গান। আধুনিক ভাটিয়ালি লোক-সঙ্গীতে মরমিয়া চেতনার ধারাবাহিকতাও যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং, আধুনিক ভাটিয়ালি সঙ্গীত অনেকাংশেই ‘বস্তুবমূখী’ চেতনায় সমৃদ্ধ হচ্ছে। নৌকার মাঝি অথবা নৌকায় নৌকায় ব্যবসারত সওদাগরের মনে লাভ-লোকসান এর হিসাব প্রাধান্য পায় ভাটিয়ালি গানে।
‘ভাটিয়ালি গান’ সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি রাগিণীর নাম।শ্রীকৃষ্ণ-কীর্তন কাব্যে ‘রাগ’ অর্থে একাধিক পদেই তা উল্লেখ আছে। বৈষ্ণব ও সুফীপদেও বহুস্হলে এমন ভাটিয়ালি রাগের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। এর মধ্যে এখনও দেশ-প্রচলিত ভাটিয়ালি গানের সহিত খুব ব্যবহার রাগ-রাগিণী তা হলো ‘ভাটিয়াল’, ‘করুণা-ভাটিয়াল’, ‘দুঃখ ভাটিয়াল’, ও নাগোধা ভাটিয়াল। এইবাংলার গান, প্রাণের গান, মনের গান, জীবনের গান, প্রেমের গান, ভালোবাসার গান ভাটিয়ালি গান। জীবনের চাওয়া, পাওয়া, না পাওয়া, আনন্দ কিংবা দুঃখ ভাগা-ভাগিই হলো ভাটিয়ালি গান। জীবনের পরতে পরতেই যেন মিশে আছে বাঙ্গালী ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতের এই ভাটিয়ালি গান।
”আমি যে গহীন গাঙের নাইয়া।
সাঁঝের বেলায় নাও বাইয়া যাই, আপন মনে চাইয়া।
ভাটির টানে বাইয়া চলি, ভাইটালি সুরে গাইয়া”।
গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
গীতিকার- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সুর – ভাটিয়ালি
ও নদী রে……. ও নদী…… ও নদীরে……..
কেন রে তুই একা একা বইয়া যাস রে।
ও নদীরে……….
কূল নাই কিনারা নাই অকূল পাথার,
ঝড়ে তরী ডুবু ডুবু জানি না সাঁতার।
আমার ছিঁড়ে গেছে পাল ভেঙেছে হাল কেমনে হব পার।
ও নদীরে…………….
আমি অকূল গাঙের মাঝি নাইকো আমার ঘর,
তরী বেয়ে পারে ক্যামনে যাবো বইছে যখন ঝড়।
আমি যে এক দিশাহারা হয়ে তাঁরে খুজি ফিরি,
অবিচারের ঝড়ে যেমন ভাঙে আমার ঘর বাড়ি।
ওরে ও…… ও …….. ও ………………………….
নদীরে………………..
নদীর ঘাটে সরু বালির চরে বাঁধি বৃথাই ঘর,
জীবন নদীর ঝড় তুফানে উড়ে সরু বালিচর।
কেন রে তুই একূল ভেঙে, দুকুল গড়িস রে।
ভাঙিস যদি ভাঙুক দুইদিক,
না ভাঙে তো থাকুক সেদিক।
দুদিকেই কাশের বনে গাইছে পাখি রে…………………………
কেন রে তুই একূল ভেঙে, দুকুল গড়িস রে।
ওরে ও…… ও …….. ও …
নদীরে………………..
ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। শারদীয়া অভিনন্দন রইল।
সাথে থাকুন। পাশে রাখুন, জয়গুরু!
গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও লোকগান
গীতিকার- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
মি. ভাণ্ডারী। একবার বোধকরি জানতে চেয়েছিলাম, আপনার গীতিকাব্য রেকর্ড করা হয়ে থাকলে এবং শুনতে চাইলে সেটা কিভাবে পাবো। আজকেও জানতে চাইলাম কবি।
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন।
সাথে থাকবেন- এটা প্রত্যাশা করি।
জয়গুরু!
ভালো লাগলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। আগাম শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন।
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আপনিও শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
সর্বদাই সাথে সাথে থাকবেন- এটা প্রত্যাশা করি।
জয়গুরু!
সুন্দর পোস্ট কবি।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হলাম কবি দা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
শারদীয়া অভিনন্দন জানাই।
জয়গুরু!
অসাধারণ প্রিয় কবি দা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
শারদীয়া অভিনন্দন।
জয়গুরু!
শারদীয়া অভিনন্দন রইলো কবি ভাণ্ডারী।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
শারদীয়া অভিনন্দন রইল প্রিয় কবিবর।
জয়গুরু!
সুন্দর।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
শারদীয়া অভিনন্দন।
জয়গুরু!