পৌষমাসে টুসু পূজা…….. টুসুর বন্দনা লোকগান
সপ্তম পর্ব।
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা আর সম্পাদকীয় কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেবীকে কেন্দ্র করে এই বাংলার গড়ে উঠেছে জনপ্রিয় লোক উত্সীব টুসু৷ অগ্রহায়ণের শেষ দিনে শুরু হয়ে পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলে এই দেবীবন্দনা৷ ওই দেবীকে কেন্দ্র করে এই বাংলার গড়ে উঠেছে জনপ্রিয় লোক উত্সবব টুসু৷ অগ্রহায়ণের শেষ দিনে শুরু হয়ে পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলে এই দেবীবন্দনা৷ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান ও হুগলি জেলার গ্রামাঞ্চলে টুসু পূজা প্রচলিত৷ টুসু উত্সববের প্রধান আকর্ষণ ব্রতীদের দ্বারা গীত টুসুর গান৷ ব্রত পালনের জন্য রঙিন কাগজের সাজে সজ্জিত একটি দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ কোথাও কোথাও এই উপলক্ষে মেলাও বসে যায়৷
তথ্য সহায়তায়: এই সময় পত্রিকা
কবিগীত যেমন ফসলের ঋতুর গীত তেমনি ‘উধয়া’ হল ফসলশূন্যতার ঋতুর গীত। পৌষ সংক্রান্তির দিন নদীতে টুসু বিসর্জন দিয়ে গ্রামের মানুষ ‘উধয়া’ গাইতে গাইতে ঘরে ফেরে। কবিগীতের মত এ গীতও ঘরে গাওয়া যায় না। এ গীতও যৌনতার গন্ধমাখা।
‘উঠহুঁ না দেলে ভৌজি গো/
নিদহুঁ না দেলে গো/
আ রে, অতি বেগেঁ হেল ভিনিসার’।
ফসলের ঋতু আর নিফসলের ঋতু – এর মধ্যেই কত উৎসবে কত গান বাঁধা হয়ে যায়। পৌষ মাসে হয় টুসু উৎসব। একদম প্রথমে টুসুর গান দিয়ে শুরু করেছি এই লেখা। টুসু উৎসবকে পুরুলিয়ার ‘জাতীয় উৎসব’ও বলা চলে – এত জনপ্রিয় এই উৎসব। এর আর একটি নাম আছে পৌষালী বিজয়া। ভারি চমৎকার নাম তাই না? পৌষে টুসু আর পৌষ সংক্রান্তির দিনে ‘মকর’। এই দিনটির জন্য সারা পৌষ মাস ধরে চলে প্রস্তুতি।
‘…আসছে মকর দুদিন সবুর কর/
তুরা পিঠা-মুড়ির যোগাড় কর…’।
টুসুর গানের মধ্য দিয়ে পুরুলিয়ার রুখা শুখা মানুষগুলির দুঃখ বেদনা যেন আনন্দের ফল্গুধারার মাঝে প্রবাহিত হতে থাকে। শত অভাব অনটন সত্ত্বেও এত গান, এত প্রেরণা, এত প্রাণের স্পন্দন এরা পায় কোথা থেকে – এটাই ভাবতে অবাক লাগে! সারা পৌষ মাস মেয়েরা টুসু পুজো করে আর পৌষ সংক্রান্তির দিন চৌডোল করে টুসুর বিসর্জন দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও বিশেষ করে দক্ষিণ মানভূম ও ধলভূমে টুসুর প্রতিমা করা হয়।
‘ছোবড়ি লো লবড়ি আরো তিল ছাঁই
বাটিতে করে ঘি গুড় দিব খাও টুসালে মাঈ।
টুসু সিনাছেন, গা দুলাছে হাতে তেলের বাটি
নুয়ে নুয়ে চুল ঝাড়ছেন, গলায় সোনার কাঁটি’।।
এমনি অজস্র টুসু গান –
‘পৌষ পরবে মকর পরবে
টুসুর পা পড়ে না গরবে।
বাড়িনাম’য় তমালের বন
কোকিল ডাকে ঘন ঘন।
আর ডেকো না বনের কোকিল,
টুসু আমার অচেতন’।
তথ্য সহায়তায়: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইন্টারেস্টিং বিষয়। আমার কাছে কিন্তু বেশ লাগছে।
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা আর সম্পাদকীয় কলমের লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীকে অভিনন্দন।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম প্রিয়। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
ইংরাজী শুভ নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন। সবাইকে ভালো রাখুন।
জয়গুরু!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ কবি ভাণ্ডারী দা।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম। শুভ ও শান্তিময় নববর্ষ-2020
শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি। শুভ নববর্ষ।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম। শুভ ও শান্তিময় নববর্ষ-2020
শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম। শুভ ও শান্তিময় নববর্ষ-2020
শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
প্রাণঢালা ভালোবাসা।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। ইংরাজী শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
বছরের প্রতিটি দিন সুন্দর কাটুক। শুভ কামনা রইলো।
জয়গুরু!