নেতাজী ও স্বাধীন ভারত কবিতা-২

নেতাজী ও স্বাধীন ভারত (কবিতা-২)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

হে নেতাজী সুভাষ বসু, কোথায় তুমি আজ ?
আছে কেবা, করতে এ স্বাধীন দেশের কাজ।
ভারতবর্ষ হয়েছে স্বাধীন, স্বাধীন ভারতবাসী,
স্বাধীন সবাই, ধনী দরিদ্র এবং গাঁয়ের চাষী।

ক্ষুধিত মানুষ অন্ন পায় না এই স্বাধীন দেশে,
আবার তুমি এসো নেতাজী অগ্নিশিশুর বেশে।
দেশের মাটিতে বিদেশীরা এসে চালায় সন্ত্রাস,
স্বাধীন ভারতে হচ্ছে আজও দেশের সর্বনাশ।

ফিরে এসো এসো ফিরে, নেতাজী সুভাষ তুমি,
সোনার ভারত গড়বে তুমি এ স্বাধীন জন্মভূমি।
ভারতবর্ষ হয়েছে স্বাধীন। এসো ফিরে পুনর্বার,
স্বাধীনতার স্বপ্ন তব বুঝি সফল হলো এইবার।

স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর, যিনি করেছেন সংগ্রাম,
জন্মদিবসে মোরা সকলেই জানাই সহস্র প্রণাম।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “নেতাজী ও স্বাধীন ভারত কবিতা-২

  1. ক্ষুধিত মানুষ অন্ন পায় না এই স্বাধীন দেশে,
    আবার তুমি এসো নেতাজী অগ্নিশিশুর বেশে।

    অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি। শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ কবি মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।