পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার ও অতলের অস্তিত্ব
উৎসর্গঃ (শ্রদ্ধেয় জিয়া রায়হান। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মহানুভবের দর্শন করিয়েছেন।)
প্রশান্তি বিমুখ অস্তিত্বে বাসা বেঁধেছে নিভৃত অসুখ
স্বপ্ন বিরোধ বৈরাগ্য স্থিতে হেঁটে চলেছি অনন্ত পথ,
বিষণ্ণ গোধূলির সঙ্গে
প্রদোষের বিবর্ণ রাতের রঙে
আকাশের প্রদীপ্ত ধ্রুবতারার সঙ্গে
একাত্ম হতে চেয়েছি, নিবিড় হতে চেয়েছি নিমগ্ন ধ্যানে;
হৃদয়ের কোণে
শোণিতের উন্মত্ত অনুরণনে
শব্দের পতিত জমিনে খুঁজেছি জীবনের মানে।
পৃথিবীর পথ ধরে
জ্যামিতির তীক্ষ্ণ সুতীক্ষ্ণ কম্পাস চিনে চিনে
এ প্রান্তর হতে ও-প্রান্তরে
ময়নামতি থেকে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারে
মাথিনের কূপ থেকে জাফলং এর গিরি ঝর্নার জলে
দেখেছি পূর্ব পুরুষের বীর দর্প প্রতিচ্ছবি,
সহস্রাব্দীর গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া অস্তিত্বের শেকড়!
ঐতিহ্যের সোনালী ইতিহাস
প্রাণের ইথারে থেকে থেকে গুমরে উঠা জীবনের উদ্ভাস!
শ্যাওলা পড়া বিবর্ণ ইট, বিদীর্ণ সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
উঠে যাই নির্জন হারেম কক্ষে; নুড়ি পাথরের বক্ষে
পৌঁছে যাই সহস্র বছরের নির্লিপ্ত বিমূর্ত চোখে
অধীর হয়ে শুনি ধ্যানীর কলবে উচ্চাঙ্গ লহরি,
শুনি প্রাচীন সুন্দরী পরী বিবির অন্তরের ধ্বনি।
অস্তিত্বের অতলে অনুষ্ণ শিহরন
শীতল স্রোতে জুড়িয়ে দেয় অনুক্ত রোদন।
হাজারো ঐতিহ্য জ্বল জ্বল করে বিহারের চূড়ায়
পাহাড়পুরের বাতাসে হেম-চূর্ণ রোদ্দুর প্রভা
ফেরার পথে হেসে উঠে হলুদ শস্যখেত অম্লান প্রহেলিকায়……………
দাউদুল ইসলাম
২৩শে জনুয়ারী ২০১৩
সেদিনের সেই কথা আজও মনে পড়ে যায় স্যার। অসাধারণ আপনার লিখনী।
সালাম নিন স্যার।
প্রায় এক যুগ হতে চল্লো আপনি আমার পোষ্টে কমেন্ট করে আসছেন, অবিরাম সেই উৎসাহে আমার এই পথচলা…।
আজকের কমেন্ট টা সবচেয়ে বড় কমেন্ট


লেখা পড়ে মন পুলকিত হলো।
লিখা পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।
ভাল থাকবেন সব সময়…। শুভেচ্ছা…।
"হাজারো ঐতিহ্য জ্বল জ্বল করে বিহারের চূড়ায়
পাহাড়পুরের বাতাসে হেম-চূর্ণ রোদ্দুর প্রভা
ফেরার পথে হেসে উঠে হলুদ শস্যখেত অম্লান প্রহেলিকায়……………"
দারুণ অনুভূতি। শুভকামনা।
ভালো লাগা রেখে গেলাম ভাইয়া।
শুভকামনা রইলো ।