চূর্ণ-বিচূর্ণ ভাবনা থেকে-১

১.
ভ্রমরের সাথে বন্ধুত্ব পেতেছিলাম একটু খানি মধু পাবার আশায়। কিন্তু সে মধু তো দিলোই না উল্টো ভেঙ্গে দিলো হৃদয়ের অঙ্গন। শূন্যতার তীব্র তাপদাহে ওপার থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, ওহে ভ্রমর কি কখনও কাদায় বাসা বানায়?

২.
“মেঘমুক্ত মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ, মাঠ চলে গেল বলের বাইরে। দুঃখিত দর্শকমণ্ডলী, আমি একটু আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম, বল চলে গেল সীমানার বাইরে। – বলুন তো কথাটা কার?

৩.
এই পৃথিবীটা খুবই মনোহর, মরতে হবে যে তাই!

৪.
উনিশ থেকে বিশ হলে, কিছু মানুষ নিজেদেরকে নিষ্কলুষ প্রমাণ করার লক্ষ্যে মিথ্যায় আশ্রয় খোঁজে। কারন সত্য অপেক্ষা তারা মিথ্যাকেই নিরাপদ মনে করে। অথচ মিথ্যার আশ্রয় যে দুর্ভোগের পাহাড় জমাতে থাকে এ বিষয়ে তারা থাকে সম্পূর্ণ জ্ঞানহীন। অতঃপর সত্য যখন উঁকি দিয়ে ওঠে মিথ্যা তখন ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় আর সেই সাথে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

৫.
বর্তমানকে শুদ্ধ করার লক্ষ্যে ফেলে আসা অতীতের স্মৃতিচারন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই একটি দীপ্তমান ভবিষ্যৎ পাওয়ার প্রত্যাশা করা যায়।

৬.
শোনা কথায় কান দেয়া আর মূর্খতায় ডুবে থাকা সে তো একই কথা।

18 thoughts on “চূর্ণ-বিচূর্ণ ভাবনা থেকে-১

  1. সুস্বাগতম শব্দনীড় ব্লগে। লেখা ভাল লেগেছে।

    ধন্যবাদ।  

    1.  ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।  

       

  2. “মেঘমুক্ত মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ, মাঠ চলে গেল বলের বাইরে। দুঃখিত দর্শকমণ্ডলী, আমি একটু আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম, বল চলে গেল সীমানার বাইরে।”

    কথাটি সম্ভবত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফত এর। :)

      1. পুরো নয় কিছুটা। ধন্যবাদ মি. মাহমুদুর রহমান। :)

  3. ভালো লাগলো চূর্ণ-বিচূর্ণ ভাবনাগুলো। সারাফাতের শরবতময়ী ধারাভাষ্য সম্পর্কে ফেবু বলে দিয়েছি গতকাল। মাহমুদ ভাই,প্রেয়সীকে সম্মোধন করে একটি চিরকুট পড়তে চাই আপনার কলম থেকে।

    1. এই মেঘ এই রোদ্দুর ধন্যবাদ আপনাকে।

  4. সত্য যখন উঁকি দিয়ে ওঠে মিথ্যা তখন ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় আর সেই সাথে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. সে জন্যই তো বলেছি। 

      ভালো থাকুন,বোন। 

  5. চূর্ণ-বিচূর্ণ ভাবনা গুলোন জোড়া লাগিয়ে জীবন গড়ে তুললে কেমন হবে ভাইজান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।