কিছুদিন আগে সকালে অফিস যাবার পথে পল্টন এর মোড় থেকে হোটেল ৭১ এর দিকে যাবার সময় দেখলাম ফুটপাথে এক লোক এই হারিয়ে যাওয়া খই নিয়ে বসে আছে। থমকে দাড়ালাম। অনেক কিছু মাথায় এলো। ৫০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম কিনে নিলেম, বাড়িতে মেয়েদের দেখাবার জন্য।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ব্যাগ থেকে বের করে গিন্নীর হাতে দিলাম, সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল কোথায় পেলে? দৈ কলা দিয়ে মাখিয়ে আমি আর গিন্নী এর সদ্বব্যাবহার করলাম।
কিন্তু যাদের দেখাবার জন্য আনলাম তারা আজকালের আমার মেয়েরা একটু মুখে দিয়ে আর কোন আগ্রহ দেখাল না। বুঝলাম সবই। এখন জয়জয়কার হলো বার্গার, পিজা, শর্মা এমনি কত কী নামও জানিনা ওরাও যেমন এগুলির নাম জানে না তেমনি।
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী দিনগুলি আজ আর নেই!
9 thoughts on “বিন্নি ধানের খই”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আমরা আসলে খই হারিয়ে ফেলছি …!
হ্যা, খই এখন পাওয়াই যায় না বলা যায়। বিন্নি ধানের খই বা ঢ্যাপের খইতো অনেক দূরের জিনিষ!
আসলে আমি লিখতে চেয়েছিলাম “খৈ হারিয়ে ফেলেছি!” খৈ হয়ে গেল খই …
যাই হোক খৈ আর খই একই কথা, এ নিয়ে এত ভাবনার কিছু নেই। যার কোন অস্তিত্বই নেই তার আবার বানান!
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী দিনগুলি আজ আর নেই! জেনারেশন বড় অদ্ভুত।
আহা! বিন্নি বাতাসা!
যুগের বিবর্তনের পাল্লায় কত কি আসে আবার কত কি চলেও যায়! এটাই নিয়ম।
এইসব খাবার অনেকদিন দেখি না! আমাদের সিলেটের গ্রামগঞ্জে মাঝে মাঝে কিছু দেখা যায়।
হ্যা ভাই সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় থাকতে ঢ্যাপের (শাপলার) খই পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে আপনাকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।
আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হলো এটা আপনার অতীত চারিতা, আপনার ভালো লেগেছিল বলে কি আপনার সন্তানদের ভাল লাগবে এমনতো নয়। তারাতো তাদের প্রেমিকের সাথে বার্গার, পিজাই খায়, আরো ছোটবেলায় আপনিই তো তাদের হাত ধরে নিয়ে গিয়েছেন সেইসব শপগুলিতে।
তবে হা আপনার এই স্মৃতিচারণ তা আমাকে আন্দোলিত করেছে, আমারও কিছু স্মৃতি জেগে উঠছে। মনে পরছে দাদীর কথা, মুড়ির টিনে ভরে রাখতেন মুড়ি আর খই। হারিয়ে গেছে পুরানো সেই মানুষগুলি, শুধু মাঝে মাঝে মনে পড়ে, সব সময় পড়ে না।
আমরা বিন্নি ধানের খই হারিয়ে ফেলেছি ক্ষতি নাই, খেই হারিয়ে ফেলছি সব বিষয়ে,। ভাবনার বিষয় বটে।