**
এরপর ঝরা পাতা
এরপর বৃষ্টি শেষে খোলা আকাশ
এরপর রোদ্দুরে ঘেমে নেয়ে আমাদের সন্ধ্যেবেলা-
এক ঝরা বিকেলে তোমার আকাশ ঘুমোয়
আমার চালায় এসে
আমি জলের বিছানায় শুয়ে আকাশ দেখি
রাত হলে দেখি ঝিম ধরা জোনাকির জ্বলে ওঠা
নিভে যাওয়া –
অতঃপর জানি সব ভুলে যেতে হয়-
**
আজিব আদমি
পোড় খাওয়া আফিমে
বোইরাগি আকাশ –
ঋতুকালীন সহবত
সব ভুলে গেছি-
ভুকা নাগা সন্যাসী
তোর পিছে আমি
অর্ধশতাধিক বছর
বোষ্টমী হয়ে আছি —
**
উত্তরে হাওয়াটা গলে গলে পড়ে গেল পিচ বসানো রাস্তায়, দমকা বাতাসের সাথে খানিকটা জল গড়িয়ে তোমার উঠোনে, তিনি একটা জবা গাছের ডালের সাথে আটকে দিলেন দীর্ঘস্থায়ী জটা।
আমি একটা উত্তুংগ বাতাসের ধারা। দীর্ঘপথের সাথে বন্ধন শেষ হয় না আমার। ধোঁয়াশার সাথে সাথে তুমি কতটা জল ঢেলে দিতে পারো। আজকাল বুকের ভেতর শুধুই হাহাকার।
জমে জমে যাই অথবা বদলে বদলে যাই। উত্তরের বাতাসের সাথে তোমার উঠোনে কুয়াশা জমে গেলে তোমার সাথে বাউলিনী হয়ে গান গাইবো বনসাই পথে।
**
রবীন্দ্র সরনীর সাথে সাথে নেমে এসেছে তোমার বহুকথিত দার্শনিকতা। আমি ভুলেই যাই তুমি শাস্ত্রের সাথে উড়ে যাওয়া নাবালক বিষাদ পাখি। তোমার পাখায় লেগে থাকে বিষণ্ন রঙের
জলপাই পাতা। তুমি চেননা জলরং এর সব ছবি। তুমি হালকা বায়বীয় বাতাসের ঝলকা – তবু ডিজে পার্টির বহু চেনা বালিকার হাসির সাথে এলিয়ে এলিয়ে পড়।
উড়ে যাও আমার নাবালক পাখির অচেনা চোখ। আমি বিষাদ ভুলে যেতে চাই –
**
কোথা থেকে একদল বখাটে বাতাস আমাকে উড়িয়ে নিয়ে ফেলে ঝিলের জলে।
উড়ে যাওয়া একদল বাতাসের সাথে আমি নিরীহ দুর্বাঘাস।
সুদুর তুমি এক বখে যাওয়া নিকোটিন।
ঘাড় কাত করে ঝুঁকে ঝুঁকে শলাকার সাথে এলোমেলো পায়ে বিক্ষিপ্ত পদে চলে যাও জারুল বৃক্ষের শাখায়।
তুমি সেই বখে যাওয়া এলো বাতাস। আমাকে উড়িয়ে নিয়ে আছড়ে আছড়ে বুকের ভেতর ক্ষত তৈরী করো।
তোমাকে চিনি নাই এখনো।
অচেনা তোমাকে একা ঝিলের জলে ছেড়ে এলে
পাহাড়ের আড়ালে ভাব জমিয়ে ফেলো বাবুই এর দলের সাথে।
আহা! অবিশ্বস্ত বাতাস তুমি তখন !!
'জমে জমে যাই অথবা বদলে বদলে যাই। উত্তরের বাতাসের সাথে তোমার উঠোনে কুয়াশা জমে গেলে তোমার সাথে বাউলিনী হয়ে গান গাইবো বনসাই পথে।' সুন্দর।
আমার কাছে ভালো লেগেছে লিখা গুলোন নাজমুন আপা।
এখানে মনে হলো বেশ কয়েকটি লিখা। যদি নাও হয় তাও ভালো কবি বোন।
মুগ্ধ হলাম নাজমুন নাহার দিদি ভাই।

সুন্দর।