বিষ নিঃশ্বাস

বিষ নিঃশ্বাস

কোথাও নতুন আরেক চোরকুঠুরি তৈরি হলো ;
কোথাও জমাট বাঁধে আরো কিছু গাঢ় অন্ধকার।

স্থির হও। স্থির
চরকির বংশদণ্ডের মতো।
যখন তোমার চারপাশে হাওয়ার তালে তালে ঘুরবে
রংগীন কাগজের ঘুর্ণাবর্ত ; পৃথিবীর উল্লাস,
তোমার মনে হবে —
আহা! যদি হতাম ইন্দ্রধনুডানার শিতিকণ্ঠ পাখি,
কেউ না কেউতো কুড়িয়ে নিতো আনন্দের একটি পালক !

তোমার আকাশ দেখা জানালায় কুরুশবুননের রেশমিজাল
বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বণিগুলো।
তুমি জানো
সবাই ময়ুর নয়,
কেউ কেউ ফুল ও পাতা ঝরানো কষ্ট বুকে নিয়ে
বৃক্ষ হয়েই বেঁচে থাকে।

কবে
কত যুগ আগে যেন
তোমার জানা হয়েছিল ‘নিঃসঙ্গতা’ একটি হিংস্র ময়াল
তার কিলবিলে স্পর্শে বারবার বিবমিষা এবং শ্বাসরুদ্ধকর ভয়।

চাঁদের ঘোরলাগা দেয়ালে
হুট করে একটি ধুসর টিকটিকি নেমে আসে,
পতঙ্গভুক বীভৎসতা দেখতে চাওনি ;
বিচ্ছিন্ন করেছো সোনালি কারুকাজের দেয়াল।

পাখির কাছে ধার করেছো যে দু’টো ডানা,
আভারনাসের বিষবাষ্পে তারও পালক পুড়ে গেছে।

2 thoughts on “বিষ নিঃশ্বাস

  1. 'যখন তোমার চারপাশে হাওয়ার তালে তালে ঘুরবে
    রংগীন কাগজের ঘুর্ণাবর্ত ; পৃথিবীর উল্লাস,
    তোমার মনে হবে —
    আহা! যদি হতাম ইন্দ্রধনুডানার শিতিকণ্ঠ পাখি,
    কেউ না কেউতো কুড়িয়ে নিতো আনন্দের একটি পালক !'

    অসাধারণ কবিতা আপা। সালাম জানবেন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।