শুন্যতা আসেনি মনে তাই-
কখনো বিচ্ছিন্ন হইনি প্রগতি থেকে
অনিন্দ্য সুন্দর কে খুঁজেছি উত্তাল ঢেউয়ে।
আলোর ঠিকানা খুঁজেছি ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ রাত্রিতে
পাড়ি দিয়েছি হাজার ক্রোশ এক ফোটা জলের খোঁজে
অবসাদ আসেনি ক্ষণিকের তরে।।
চারি ধারে নেমেছে ঘোর অন্ধকার
হিংস্র আরও বহুগুণ বেশি যে দল দানবের
এখনও স্বপ্ন দেখে আমার মানচিত্র চিঁড়ে খাবার।
আমি বিদ্রোহ করতে আসিনি-
আমার পূর্বপুরুষ কেউ বিদ্রোহী ছিলোনা
বিদ্রোহী হতে বাধ্য করেছ তোমরা।
নবাব সিরাজ মীর জাফরকে সহযোদ্ধা করেছিল
প্রতারণা আর বিশ্বাস ঘাতকতা ছাড়া কি দিয়েছিল ?
ইংরেজ শাসনের নামে শোষণ উপহার দিয়েছে
বিদ্রোহ ছাড়া কি উপায় ছিল আছে ?
পাকিস্তান মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে বাকরুদ্ধ করেছিলো
সালাম রফিক বরকত জব্বার আর শফিকের রক্তে
রাজপথ রাঙ্গিয়েছিল, আরও কত জনের রক্তের সাক্ষী রাজপথ !
খেলেছিল হোলি আসাদের রক্তে।
বিদ্রোহ ছাড়া আর কি গত্যন্তর ছিল ?
ছয় দফা এগার দফা করতে বাধ্য করেছ
নির্বাচনেও দেশের জনগণ শান্তির রায় দিয়েছিল
মেনে নেয়নি দানবের দল !
সবুজ শ্যমলিমায় বারুদের বিস্ফোরণ
নদীতে জলস্রোত নয় ; রক্ত স্রোতে পরিণত হল
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল জুড়ে লাশের মিছিল
হন্তারকের বারুদে, বন্দুকের গর্জনে
উদ্বাস্তুর দল ঠাঁই নিল ওপারে।
নরকের নীলশিখা থেকে বেরুতে
বিদ্রোহ ভিন্ন অন্য কি পথ ছিল বল ?
এখনও তারা আছে হয়তো থাকবে অনন্তকাল
সুযোগ পেলেই কেড়ে নিচ্ছে দেশ প্রেমিকের প্রাণ।
আমি বিদ্রোহী ; নয় রণক্লান্ত —
ভর করিব তোমার অবসাদে অন্যতে –
যতদিন দানবের পদ চিহ্ন দেখা দিবে এ ধরাতে
তত দিন আমায় পাবে নূতন রূপে জাগ্রত জনতার কাতারে।।
"আমি বিদ্রোহী ; নয় রণক্লান্ত —
ভর করিব তোমার অবসাদে অন্যতে –
যতদিন দানবের পদ চিহ্ন দেখা দিবে এ ধরাতে
তত দিন আমায় পাবে নূতন রূপে জাগ্রত জনতার কাতারে"
*


তেজদীপ্ত এই লিখাটি নিঃসন্দেহে আবৃতি উপযোগী একটি কবিতা। ভরাট কণ্ঠে দারুণ আসবে। সালাম এবং শুভেচ্ছা প্রিয় কবি। শুভ সকাল।
* অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রেরনাদাতা মুরুব্বী…
চারি ধারে নেমেছে ঘোর অন্ধকার
হিংস্র আরও বহুগুণ বেশি যে দল দানবের
এখনও স্বপ্ন দেখে আমার মানচিত্র চিঁড়ে খাবার।——চমৎকার প্রকাশ কবি দা
অনেক শুভেচ্ছা রইল—–
* দাদা, অনেক অনেক ধন্যবাদ…
দারুণ হয়েছে কবিতাটি। নমষ্কার কবি দাদা।
* কবি দি, কৃতজ্ঞতা অশেষ…