বাড়িয়ে দিয়েছি দুই হাত
দাও মোদের একমুঠো ভাত,
আহারে করি ক্ষুধা নিবারণ
দাও মোদের দিকে দৃষ্টিপাত।
ঐ শোনো ক্ষুধার্তের আর্তনাদ
মেটাতে চায় বেঁচে থাকার স্বাদ,
দাওনা একটু উচ্ছিষ্ট খাবার
এ থেকে দিয়ো না মোদের বাদ।
খাবার ফেলো না ডাস্টবিনে
নষ্ট করো না অযথা অকারণে,
বাড়তি খাবার বিলিয়ে দাও
যাঁরা ঘুরছে খাদ্যের সন্ধানে।
বাড়িয়ে দিয়েছি দুই হাত
শুনো মোদের প্রার্থনা মুনাজাত
তোমরা ধনীব্যক্তি মোরা গরিব
নেই কোনও জাত-বেজাত।
তোমার দেওয়া একটু খাবার
মোরা বাঁচি হাজার হাজার,
আমার খাবার তোমার কাছে
তাই করি এতো হাহাকার।
খাবার ফেলো না ডাস্টবিনে
নষ্ট করো না অযথা অকারণে,
বাড়তি খাবার বিলিয়ে দাও
যাঁরা ঘুরছে খাদ্যের সন্ধানে।
এই আকুতি সমকালীন শুধু নয়; চিরায়ত।
মানুষ জ্বালা নামের সব জ্বালা সহ্য করতে পারলেও, অন্তত ক্ষুধার জ্বালা সইতে পারে না। তা শতভাগ প্রমানিত। নিজেও ভুক্তভোগী। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা। সাথে থাকলো শ্রদ্ধা ভালোবাসা।
দুঃখ দারিদ্র্য পীড়িত বা জরুরতমান মানুষের নিজের খাবারের অর্ধাংশ ঊৎসর্গ করা উচিৎ। মানুষ অর্ধ পেট বেঁচে থাকতে পারে। অনাহারি পারে না। ওদের পাশে আমরা না দাঁড়ালে, দাঁড়াবে কে !! আমাদের পরিচয় তো মানুষ; নাকি !!
আমরা শুধু জীবের সেরা, সৃষ্টির সেরা পরিচয়েই আছি। এ নিয়ে গর্ববোধও করে থাকি। কাজের বেলায় ঘণ্টা বাজাই।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
ঈশ্বর কাউকেই যেন অনাহারে না রাখেন। অনাহারি'র দঃখ বা মনোকষ্ট সুখীরা বুঝবে না।
মহান সৃষ্টিকর্তা হয়তো কাউকে অনাহারী রাখেও না। শেষমুহুর্তে হয়তো তাঁদেরই অনাহারে রাখে, যাঁরা বর্তমানে ক্ষুধার্তদের না দিয়ে নিজেই খাচ্ছে, ফেলে দিচ্ছে।
ওকে ধরিলে তো ধরা দেবে না- ওকে দাও ছেড়ে, দাও ছেড়ে।
মন নাই যদি দিল, নাই দিল, মন নেয় যদি নিক কেড়ে॥
এ কী খেলা মোরা খেলেছি, শুধু নয়নের জল ফেলেছি–
ওরই জয় যদি হয় জয় হোক, মোরা হারি যদি, যাই হেরে॥
এক দিন মিছে আদরে মনে গরব সোহাগ না ধরে,
শেষে দিন না ফুরাতে ফুরাতে সব গরব দিয়েছে সেরে।
ভেবেছিনু ওকে চিনেছি, বুঝি বিনা পণে ওকে কিনেছি-
ও যে আমাদেরি কিনে নিয়েছে, ও যে, তাই আসে, তাই ফেরে॥
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
youtu.be/9I3AUFb4D1E
বিশ্বকবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাকে শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।